এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে একীভূত হওয়া নিয়ে দুই দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই দলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আমরা আলাদা একটা ব্লক হতে চাই। বিএনপির একটা ব্লক আছে। জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামপন্থী দলগুলোরও একটা ব্লক করার চেষ্টা চলছে। আমরাও আমাদের সমমনাদের নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে একসাথে আগাতে পারব কি না, সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সারোয়ার তুষার মনে করেন, দুটো দল একসঙ্গে কাজ করলে দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। তিনি বলেন, ‘একীভূত কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে যদি তরুণেরা একই প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে অবশ্যই সেটা সারা দেশের মানুষকে একটা ভালো মেসেজ দেবে। বড় দলগুলোর ওপর অনাস্থাজনিত কারণে সারা দেশের মানুষ একটা বিকল্প চাইছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ একটা ভরসা পাবে। আজ অথবা কাল এই তরুণেরাই তো বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেদিক থেকে এটা একটা ভালো বার্তা দেবে বলে আমার ধারণা।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন মনে করেন, দুটো দল এক হলে পুরো তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে আছে—এমন বার্তা পাবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘একীভূত বা জোট হবে কি না, তা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক বা আন্দোলনকেন্দ্রিক জোট হওয়া, যুগপৎ হওয়া বা একীভূত হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটাকে স্বাভাবিক একটি পরিক্রমা হিসেবেই দেখছি। তরুণদের একটা দল থাকবে, সেটা সকলেরই চাওয়া। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো এটা আমরা দেখতে পাব। যেহেতু আমাদের দাবি দফা খুব কাছাকাছিই আছে, খুব বেশি পার্থক্য নাই। সেহেতু এটা খুব ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করবে। যদি একীভূত হয়, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন।’
আওয়ামী লীগ বিএনপির পর দেশে তৃতীয় কোনো দল দাঁড়াতে পারেনি বা তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপি একীভূত হলে সেই তৃতীয় শক্তির ঘাটতি পূরণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুটি দল একীভূত হলে তৃতীয় শক্তি হবে নাকি দ্বিতীয় শক্তি হবে, এটা আসলে দেশের জনগণ হিসাব করবে, এটার বার্তাটা জনগণ দেবে। আগের রাজনৈতিক সমীকরণ আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছে। ডাকসুতেও প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভোট দিতে এসেছে। তার মানে, সমীকরণে ফেলে স্বার্থসিদ্ধি করার দিন আর থাকবে না। এরপরে যে-ই জনগণের রাজনীতি করবে, সেই তৃতীয় শক্তি হোক আর প্রথম শক্তি হোক, উঠে দাঁড়াবে। বেসিক্যালি রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও চেঞ্জ হবে। কারণ জনগণ এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট সচেতন।’
এনসিপির নেতারা জানান, দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবার মতামত এ ক্ষেত্রে নেওয়া হবে। যদি কাঠামোগত পরিবর্তনের দরকার হয়, সেটাও সবার মতামত নিয়েই করা হবে বলে জানান নেতারা। এ বিষয়ে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুই দল এক হওয়া নিয়ে এখন আলাপ চলছে। কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলাপ হয়নি। কারণ আমরা সর্বোচ্চ গণতন্ত্র চর্চা করি। বিষয়টি এমন নয় যে সিদ্ধান্তটা শুধু নাহিদ ইসলামের কাছ থেকে আসছে। এটা ইসি (নির্বাহী পরিষদ) থেকে আসার কথা চলছে। জেনারেল মেম্বার থেকে আসবে। সবাই যখন এটাতে একমত হবে, তখন এটা হবে। কাঠামোগত যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও দলীয়ভাবে গণতান্ত্রিক উপায়েই হবে। এটা কারও একক সিদ্ধান্তে হবে না।’
এনসিপির সঙ্গে একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময় হয়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের (এনসিপি) অনেকে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। যে কারণে তাদের ও আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা আছে যে, কীভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করা যায়। তবে একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক বা পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়নি। সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্নজনের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। তবে এখনই সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাথে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তরুণেরা একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে, এসব বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে দেশের তরুণদের ইতিবাচক একটা ধারণা আছে। তরুণেরা এক প্ল্যাটফর্মে এক হতে চায়।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে একীভূত হওয়া নিয়ে দুই দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই দলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আমরা আলাদা একটা ব্লক হতে চাই। বিএনপির একটা ব্লক আছে। জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামপন্থী দলগুলোরও একটা ব্লক করার চেষ্টা চলছে। আমরাও আমাদের সমমনাদের নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে একসাথে আগাতে পারব কি না, সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সারোয়ার তুষার মনে করেন, দুটো দল একসঙ্গে কাজ করলে দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। তিনি বলেন, ‘একীভূত কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে যদি তরুণেরা একই প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে অবশ্যই সেটা সারা দেশের মানুষকে একটা ভালো মেসেজ দেবে। বড় দলগুলোর ওপর অনাস্থাজনিত কারণে সারা দেশের মানুষ একটা বিকল্প চাইছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ একটা ভরসা পাবে। আজ অথবা কাল এই তরুণেরাই তো বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেদিক থেকে এটা একটা ভালো বার্তা দেবে বলে আমার ধারণা।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন মনে করেন, দুটো দল এক হলে পুরো তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে আছে—এমন বার্তা পাবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘একীভূত বা জোট হবে কি না, তা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক বা আন্দোলনকেন্দ্রিক জোট হওয়া, যুগপৎ হওয়া বা একীভূত হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটাকে স্বাভাবিক একটি পরিক্রমা হিসেবেই দেখছি। তরুণদের একটা দল থাকবে, সেটা সকলেরই চাওয়া। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো এটা আমরা দেখতে পাব। যেহেতু আমাদের দাবি দফা খুব কাছাকাছিই আছে, খুব বেশি পার্থক্য নাই। সেহেতু এটা খুব ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করবে। যদি একীভূত হয়, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন।’
আওয়ামী লীগ বিএনপির পর দেশে তৃতীয় কোনো দল দাঁড়াতে পারেনি বা তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপি একীভূত হলে সেই তৃতীয় শক্তির ঘাটতি পূরণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুটি দল একীভূত হলে তৃতীয় শক্তি হবে নাকি দ্বিতীয় শক্তি হবে, এটা আসলে দেশের জনগণ হিসাব করবে, এটার বার্তাটা জনগণ দেবে। আগের রাজনৈতিক সমীকরণ আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছে। ডাকসুতেও প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভোট দিতে এসেছে। তার মানে, সমীকরণে ফেলে স্বার্থসিদ্ধি করার দিন আর থাকবে না। এরপরে যে-ই জনগণের রাজনীতি করবে, সেই তৃতীয় শক্তি হোক আর প্রথম শক্তি হোক, উঠে দাঁড়াবে। বেসিক্যালি রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও চেঞ্জ হবে। কারণ জনগণ এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট সচেতন।’
এনসিপির নেতারা জানান, দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবার মতামত এ ক্ষেত্রে নেওয়া হবে। যদি কাঠামোগত পরিবর্তনের দরকার হয়, সেটাও সবার মতামত নিয়েই করা হবে বলে জানান নেতারা। এ বিষয়ে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুই দল এক হওয়া নিয়ে এখন আলাপ চলছে। কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলাপ হয়নি। কারণ আমরা সর্বোচ্চ গণতন্ত্র চর্চা করি। বিষয়টি এমন নয় যে সিদ্ধান্তটা শুধু নাহিদ ইসলামের কাছ থেকে আসছে। এটা ইসি (নির্বাহী পরিষদ) থেকে আসার কথা চলছে। জেনারেল মেম্বার থেকে আসবে। সবাই যখন এটাতে একমত হবে, তখন এটা হবে। কাঠামোগত যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও দলীয়ভাবে গণতান্ত্রিক উপায়েই হবে। এটা কারও একক সিদ্ধান্তে হবে না।’
এনসিপির সঙ্গে একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময় হয়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের (এনসিপি) অনেকে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। যে কারণে তাদের ও আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা আছে যে, কীভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করা যায়। তবে একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক বা পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়নি। সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্নজনের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। তবে এখনই সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাথে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তরুণেরা একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে, এসব বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে দেশের তরুণদের ইতিবাচক একটা ধারণা আছে। তরুণেরা এক প্ল্যাটফর্মে এক হতে চায়।’
এনসিপি-গণঅধিকার পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে একীভূত হওয়া নিয়ে দুই দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই দলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আমরা আলাদা একটা ব্লক হতে চাই। বিএনপির একটা ব্লক আছে। জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামপন্থী দলগুলোরও একটা ব্লক করার চেষ্টা চলছে। আমরাও আমাদের সমমনাদের নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে একসাথে আগাতে পারব কি না, সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সারোয়ার তুষার মনে করেন, দুটো দল একসঙ্গে কাজ করলে দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। তিনি বলেন, ‘একীভূত কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে যদি তরুণেরা একই প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে অবশ্যই সেটা সারা দেশের মানুষকে একটা ভালো মেসেজ দেবে। বড় দলগুলোর ওপর অনাস্থাজনিত কারণে সারা দেশের মানুষ একটা বিকল্প চাইছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ একটা ভরসা পাবে। আজ অথবা কাল এই তরুণেরাই তো বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেদিক থেকে এটা একটা ভালো বার্তা দেবে বলে আমার ধারণা।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন মনে করেন, দুটো দল এক হলে পুরো তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে আছে—এমন বার্তা পাবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘একীভূত বা জোট হবে কি না, তা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক বা আন্দোলনকেন্দ্রিক জোট হওয়া, যুগপৎ হওয়া বা একীভূত হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটাকে স্বাভাবিক একটি পরিক্রমা হিসেবেই দেখছি। তরুণদের একটা দল থাকবে, সেটা সকলেরই চাওয়া। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো এটা আমরা দেখতে পাব। যেহেতু আমাদের দাবি দফা খুব কাছাকাছিই আছে, খুব বেশি পার্থক্য নাই। সেহেতু এটা খুব ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করবে। যদি একীভূত হয়, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন।’
আওয়ামী লীগ বিএনপির পর দেশে তৃতীয় কোনো দল দাঁড়াতে পারেনি বা তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপি একীভূত হলে সেই তৃতীয় শক্তির ঘাটতি পূরণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুটি দল একীভূত হলে তৃতীয় শক্তি হবে নাকি দ্বিতীয় শক্তি হবে, এটা আসলে দেশের জনগণ হিসাব করবে, এটার বার্তাটা জনগণ দেবে। আগের রাজনৈতিক সমীকরণ আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছে। ডাকসুতেও প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভোট দিতে এসেছে। তার মানে, সমীকরণে ফেলে স্বার্থসিদ্ধি করার দিন আর থাকবে না। এরপরে যে-ই জনগণের রাজনীতি করবে, সেই তৃতীয় শক্তি হোক আর প্রথম শক্তি হোক, উঠে দাঁড়াবে। বেসিক্যালি রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও চেঞ্জ হবে। কারণ জনগণ এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট সচেতন।’
এনসিপির নেতারা জানান, দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবার মতামত এ ক্ষেত্রে নেওয়া হবে। যদি কাঠামোগত পরিবর্তনের দরকার হয়, সেটাও সবার মতামত নিয়েই করা হবে বলে জানান নেতারা। এ বিষয়ে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুই দল এক হওয়া নিয়ে এখন আলাপ চলছে। কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলাপ হয়নি। কারণ আমরা সর্বোচ্চ গণতন্ত্র চর্চা করি। বিষয়টি এমন নয় যে সিদ্ধান্তটা শুধু নাহিদ ইসলামের কাছ থেকে আসছে। এটা ইসি (নির্বাহী পরিষদ) থেকে আসার কথা চলছে। জেনারেল মেম্বার থেকে আসবে। সবাই যখন এটাতে একমত হবে, তখন এটা হবে। কাঠামোগত যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও দলীয়ভাবে গণতান্ত্রিক উপায়েই হবে। এটা কারও একক সিদ্ধান্তে হবে না।’
এনসিপির সঙ্গে একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময় হয়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের (এনসিপি) অনেকে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। যে কারণে তাদের ও আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা আছে যে, কীভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করা যায়। তবে একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক বা পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়নি। সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্নজনের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। তবে এখনই সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাথে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তরুণেরা একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে, এসব বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে দেশের তরুণদের ইতিবাচক একটা ধারণা আছে। তরুণেরা এক প্ল্যাটফর্মে এক হতে চায়।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। তবে একীভূত হওয়া নিয়ে দুই দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
দুই দলের একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে, আমরা আলাদা একটা ব্লক হতে চাই। বিএনপির একটা ব্লক আছে। জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামপন্থী দলগুলোরও একটা ব্লক করার চেষ্টা চলছে। আমরাও আমাদের সমমনাদের নিয়ে একত্র হওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সামনে একসাথে আগাতে পারব কি না, সে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
সারোয়ার তুষার মনে করেন, দুটো দল একসঙ্গে কাজ করলে দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। তিনি বলেন, ‘একীভূত কিংবা জোটবদ্ধ হয়ে যদি তরুণেরা একই প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে অবশ্যই সেটা সারা দেশের মানুষকে একটা ভালো মেসেজ দেবে। বড় দলগুলোর ওপর অনাস্থাজনিত কারণে সারা দেশের মানুষ একটা বিকল্প চাইছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের মানুষ একটা ভরসা পাবে। আজ অথবা কাল এই তরুণেরাই তো বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। সেদিক থেকে এটা একটা ভালো বার্তা দেবে বলে আমার ধারণা।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন মনে করেন, দুটো দল এক হলে পুরো তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে আছে—এমন বার্তা পাবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘একীভূত বা জোট হবে কি না, তা নিয়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। রাজনীতিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক বা আন্দোলনকেন্দ্রিক জোট হওয়া, যুগপৎ হওয়া বা একীভূত হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। এটাকে স্বাভাবিক একটি পরিক্রমা হিসেবেই দেখছি। তরুণদের একটা দল থাকবে, সেটা সকলেরই চাওয়া। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো এটা আমরা দেখতে পাব। যেহেতু আমাদের দাবি দফা খুব কাছাকাছিই আছে, খুব বেশি পার্থক্য নাই। সেহেতু এটা খুব ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করবে। যদি একীভূত হয়, তাহলে দুই-তিন মাসের মধ্যেই দেখতে পাবেন।’
আওয়ামী লীগ বিএনপির পর দেশে তৃতীয় কোনো দল দাঁড়াতে পারেনি বা তাদের দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপি একীভূত হলে সেই তৃতীয় শক্তির ঘাটতি পূরণ হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুটি দল একীভূত হলে তৃতীয় শক্তি হবে নাকি দ্বিতীয় শক্তি হবে, এটা আসলে দেশের জনগণ হিসাব করবে, এটার বার্তাটা জনগণ দেবে। আগের রাজনৈতিক সমীকরণ আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছে। ডাকসুতেও প্রচুর পরিমাণ মানুষ ভোট দিতে এসেছে। তার মানে, সমীকরণে ফেলে স্বার্থসিদ্ধি করার দিন আর থাকবে না। এরপরে যে-ই জনগণের রাজনীতি করবে, সেই তৃতীয় শক্তি হোক আর প্রথম শক্তি হোক, উঠে দাঁড়াবে। বেসিক্যালি রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা চেঞ্জ হয়ে গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও চেঞ্জ হবে। কারণ জনগণ এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট সচেতন।’
এনসিপির নেতারা জানান, দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একীভূতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবার মতামত এ ক্ষেত্রে নেওয়া হবে। যদি কাঠামোগত পরিবর্তনের দরকার হয়, সেটাও সবার মতামত নিয়েই করা হবে বলে জানান নেতারা। এ বিষয়ে মাহমুদা মিতু বলেন, ‘দুই দল এক হওয়া নিয়ে এখন আলাপ চলছে। কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে আলাপ হয়নি। কারণ আমরা সর্বোচ্চ গণতন্ত্র চর্চা করি। বিষয়টি এমন নয় যে সিদ্ধান্তটা শুধু নাহিদ ইসলামের কাছ থেকে আসছে। এটা ইসি (নির্বাহী পরিষদ) থেকে আসার কথা চলছে। জেনারেল মেম্বার থেকে আসবে। সবাই যখন এটাতে একমত হবে, তখন এটা হবে। কাঠামোগত যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও দলীয়ভাবে গণতান্ত্রিক উপায়েই হবে। এটা কারও একক সিদ্ধান্তে হবে না।’
এনসিপির সঙ্গে একীভূতকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সব সময় হয়। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের (এনসিপি) অনেকে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। যে কারণে তাদের ও আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা আছে যে, কীভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করা যায়। তবে একীভূত হওয়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক বা পার্টি টু পার্টি আলোচনা হয়নি। সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্নজনের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া আছে। তবে এখনই সবকিছু নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি।’
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সাথে কোনো আলোচনা এখনো হয়নি। তরুণেরা একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে, এসব বিষয়ে আলাপ হচ্ছে। তবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে দেশের তরুণদের ইতিবাচক একটা ধারণা আছে। তরুণেরা এক প্ল্যাটফর্মে এক হতে চায়।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেরেজা করিম, ঢাকা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা ও হঠাৎ করে নির্বাচন নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীলদের সরব ভূমিকায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে তাদের মনে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন যাতে না হয়, সে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে—বিএনপির তরফ থেকে এই অভিযোগ আসছে বারবার। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে নির্বাচন যেন পিছিয়ে যায়, নির্বাচন যেন সঠিক সময়ে না হয়।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যে সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়—এ বিষয়ে সরকারের ওপর বিএনপির আস্থা আছে। কিন্তু অনেক দলই নির্বাচন পেছানোর জন্য চেষ্টা করছে, নানা রকম কলাকৌশল অবলম্বন করছে বলে বিএনপির কাছে মনে হচ্ছে। ওই সব দলের এ চেষ্টায় একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তখন সরকার বাধ্য হবে নির্বাচন পেছাতে। এ বিষয়টিই বিএনপির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের ওপর আস্থা রাখলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যে খানিকটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই বললেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারের ওপর এখনো আমাদের আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে এবং সমর্থনও আছে। নির্বাচন পেছাবে, এখনই আমরা এটা মনে করি না। তবে কিছু মহল কিছু ঘটনা সামনে নিয়ে আসছে, যেগুলো এখন সামনে আসার কথা নয়। স্বাভাবিক কারণে একধরনের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএনপি যখন বারবার নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে, তখন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোরালো অবস্থান জানান দিচ্ছেন সরকারের দায়িত্বশীল লোকেরা। তাঁরাও বারবার জোর দিয়েই বলে চলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই, এটি প্রতিহত করবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে সব দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবার।’
সরকারের দিক থেকে বারবার জোর দিয়ে একই কথা বলাতেও আবার খটকা লাগছে বিএনপির নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনে এখনো একটি বিশেষ দলের লোকেরা জায়গা করে নিয়ে আছে, সরকারের মধ্যে সন্দেহভাজন উপদেষ্টা আছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপির কিছু সুপারিশ আছে। এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দিক থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। কেবল মাঠপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির কিছু কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই নির্বাচন নিয়ে সরকারের লোকজনদের বক্তৃতায় আর কাজে কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বিলম্বে সরকারের ভেতরেই ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটাও একটা সন্দেহের বিষয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের দিক থেকে বেশি বেশি বলায় মনে হচ্ছে, হঠাৎ করে এত গতি বেড়ে গেল কেন!’ নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ। সরকারের ভেতর থেকেও সেটায় ইন্ধন আছে। এ রকম ইঙ্গিত আমরা তো পাচ্ছি।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একপর্যায়ে কঠোর অবস্থান নেয় তারা। বিএনপির এই দাবির বিপরীতে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি আসে সরকারের দিক থেকে। এরপর গত জুনে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসে।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গতকাল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই আমরাও প্রত্যাশা করি, সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হবে। আমরা আস্থা রাখছি এবং বিশ্বাস করি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে পারে—এমন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তরুণদের এই দুটি দল এক হলে তা রাজনীতিতে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসবে বলে মনে করছেন নেতারা। তাঁদের আশা, দুই দলের কর্মীরা যেমন বিষয়টিকে স্বাগত জানাবেন, তেমনি তরুণ ভোটাররাও দলের প্রতি আকৃষ্ট হবেন...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনো আস্থায় রেখেছে বিএনপি। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘোষিত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন বলে বিশ্বাস করেন দলটির নেতারা। তবে এর মধ্যেও কিছু ঘটনা, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের তৎপরতা
১২ ঘণ্টা আগে