Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তাই নিষেধাজ্ঞা: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ১৭: ১১
যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ক্ষমতায় দেখতে চায় না, তাই নিষেধাজ্ঞা: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না অথবা চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তাদের পছন্দ হচ্ছে না বলেই হয়তো বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই আধাসামরিক বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রই প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। সেভাবেই এই বাহিনী কাজ করছে, তাহলে নিষেধাজ্ঞা কেন?

কয়েক দিন আগে যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সাক্ষাৎকারের একটি অংশের ভিডিও ইয়ালদা টুইটারে শেয়ার করেছেন।

টুইটে ইয়ালদা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিরল এক সাক্ষাৎকারে ছিলাম। তাঁর দেশে মানবাধিকারের রেকর্ড, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘিরে উদ্বেগ, গুম, নির্যাতন ও সংবাদমাধ্যমের ওপর সাঁড়াশি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।’

বাংলাদেশের র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চান বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই এই বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাদের সকল প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রই দিয়েছে। যেভাবে তারা এ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তারা সেভাবেই কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন।’

তাহলে নিষেধাজ্ঞার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে—ইয়ালদার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, আমি ক্ষমতায় থাকি তারা হয়তো চায় না, আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি। একটা পর্যায়ে সন্ত্রাস সব দেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছিল। আমাদের দেশে আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করেছি। এরপর মাত্র একটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেছে।’

মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি।

বিবিসির ইয়ালদা হাকিমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলা ওই সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি গণতন্ত্র ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন।

নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা খেলার মতো

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অটোক্রেসি বা একনায়কতন্ত্রের যে ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করা হয়, সেটি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘গত ১৪ বছর ধরেই শুধুমাত্র দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে, তাই আমরা উন্নতি করতে পারছি।’

বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বিবিসির ইয়ালদা হাকিম। সেখানে দেখানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ২০১৮ সালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪৬৬, ২০১৯ সালে ৩৮৮ এবং ২০২০ সালে নিহত ১৮৮ জন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এই সংখ্যা মাত্র ১৫ জনে নেমে এসেছে।

এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব নম্বর তারা উল্লেখ করেছে, সেগুলো তারা প্রমাণ করতে পারেনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব হত্যাকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেনি। কারণ আমরা প্রমাণ চেয়েছিলাম, সেগুলো তারা পাঠিয়ে দিক, আমরা তদন্ত করে দেখব।’

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলের একটি তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, এই র‍্যাবের দুই ব্যক্তি গোপন তথ্য ফাঁস করে বলেছেন যে এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে।

এই তথ্য তুলে ধরা হলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না তারা কীভাবে এটা করেছে, কিন্তু আমেরিকায় কী ঘটছে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে প্রায় প্রতিদিন একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমনকি স্কুল, শপিং মল, রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমনকি স্কুল শিক্ষার্থীরা, সাধারণ মানুষ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সশস্ত্র ব্যক্তির হাতে নিহত হচ্ছে।

‘আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের নিজেদের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হওয়া। তাদের দেশের কী অবস্থা? তাদের উচিত শিশুদের জীবন রক্ষা করা। তারা নিজেদের লোকজনের ব্যাপারে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা যেসব অভিযোগ করেছে, আমরা তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছিলাম। তারা দেয়নি।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘আমি মনে করি, নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা একটা খেলার মতো। এটা আমার কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন তারা আমাদের দেশের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিল?’

শেখ হাসিনা নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ‘এই খুনিরা দায়মুক্তি পেয়েছিল। আমি এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি, আমার বিচার পাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। সেই সময় তারা কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং একজন হত্যাকারী আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি, তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য। তারা করেনি। কেন তারা শুনছে না, আমি জানি না।’

বাংলাদেশের পার্লামেন্টে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে বলেছেন, আমেরিকা বাংলাদেশের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে চায়। এই বক্তব্যের পক্ষে কী প্রমাণ আছে? বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় শেখ হাসিনার কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে একটা বড় প্রশ্ন হলো, কেন তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করল? যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য কাজ করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তখন তারা লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা ভুক্তভোগী, তাদের পক্ষে নয়।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘ, সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে—এই তথ্য শেখ হাসিনাকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১২টি প্রতিষ্ঠান মিলে এসব বক্তব্য দিয়েছে, কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমি জানি না কী আন্তর্জাতিক খেলা চলছে।’

কেন তারা আপনাকে সরাতে চাইবে? ইয়ালদা হাকিমের এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমার পিতাকে হত্যা করেছে। যারা আমার পরিবারকে হত্যা করেছে, এমনকি ১০ বছরের ভাইকে হত্যা করেছে, সেই ষড়যন্ত্রকারীরা চায় না এই পরিবারের কেউ ক্ষমতায় আসুক।’

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ

বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ তৈরি করা সম্পর্কে বিভিন্ন সময় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এই বিষয়ে শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলছেন, ‘আমি জানি না, তারা যেসব অভিযোগ করছে, সেগুলো খুব বেশি প্রমাণ করতে পারেনি। কিছু গ্রুপ বড় বড় সংখ্যায় অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমরা যখন তদন্ত করেছি, তখন আমরা পাঁচ ছয়জনের (হত্যা বা গুম) ব্যাপার দেখতে পেয়েছি।

‘আসলে কিছু মানুষ বিভিন্ন কারণে নিজেরাই লুকিয়ে ছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরাও সমর্থন করি না। আমাদের দেশে আইন আছে, আমাদের আইন প্রয়োগকারীরা কোনো অন্যায় করলে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

বিবিসির ইয়ালদা হাকিম শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, যেভাবে ডয়েচেভেলের তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, আসলেই কি সাংবাদিক, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, অ্যাকটিভিস্টদের ওপর হামলার জন্য র‍্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল?

কারণ সরকারের তথ্যেই জানা গেছে, বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২০ হাজারের মতো মামলা হয়েছে, সাত হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।

এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু তারা কী করেছিল? তারা মানুষ হত্যা করেছে, তারা মলোটভ ককটেল ছুড়েছে, তারা পাবলিক বাসে আগুন দিয়েছে। ৩৮০০ পাবলিক বাসের ভেতরে যাত্রীদের রেখেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেন, লঞ্চ, প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে। আপনি হলে কী করতেন? আপনারা কি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন না?

‘এটা সাধারণ দলীয় সমর্থকদের ক্ষেত্রে করা হয়নি। যারা হত্যা করেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে, দুর্নীতি করেছে- এই জন্য তারা শাস্তি পেয়েছে। আমি বুঝতে পারি না, তারা যেসব অপরাধ করেছে, কেন এইসব (মানবাধিকার) সংগঠন সেটা দেখতে পাচ্ছে না,’ বলছেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থাগুলো কখনো আমার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেনি। যখন আমার পুরো পরিবারকে হারিয়েছি, তখনো তারা আমার পক্ষে কথা বলেনি। কেন?’

বিবিসির সংবাদদাতা ইয়ালদা হাকিম জানতে চান, আমেরিকার কেউ কেউ মনে করেন, আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার আসল কারণ হলো, বাংলাদেশের মানবাধিকার অবস্থাকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। এর জবাবে তিনি কী বলবেন?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই মানবাধিকার রক্ষা করে আসছে। মানবাধিকার মানেই শুধু শরীরের নিরাপত্তা নয়। আমার কাছে মানবাধিকার মানে হলো তাদের নিরাপত্তা, খাদ্য, শিক্ষা, ভোট, সুস্থ থাকার অধিকার। সবকিছু আমরা রক্ষা করছি।’

যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নির্বাচন
বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের বিরোধী নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা নির্বাচন কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছে?

এর জবাবে শেখ হাসিনা বলছেন, ‘অবশ্যই না। নির্বাচন এবং ভোটাধিকারের জন্য আমি সারা জীবন ধরে সংগ্রাম করেছি, সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাই আইন করেছি। আমরা সব সময়ই চেয়েছি যেন মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। এখন আমাদের ভোটার লিস্ট ছবিসহ তৈরি করেছি, আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করেছি।’

সেই সময় ইয়ালদা হাকিম উল্লেখ করেন,গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটের এই হার মিসরের মতো অনেক সামরিক শাসকের চেয়েও বেশি। এটা অনেকটা ভ্লাদিমির পুতিনের ভোটের মতো।

শেখ হাসিনা তার জবাবে বলেন, ‘কেন নয়। আমাদের কাজের জন্যই মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা তাদের জন্য কাজ করেছি। আমাদের ১৭০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে। আমাদের জনগণ রাজনৈতিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্য কমেছে, খাদ্য নিরাপত্তা বেড়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ণ- সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। তাহলে মানুষ কেন (আমাদের) ভোট দেবে না?’

বিবিসির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেয়া হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে জরিপ করেছে, সেখানে ৫০টা আসনের মধ্যে ৪৭টিতেই অনিয়ম দেখতে পেয়েছে। যার মধ্যে জাল ভোট, ভোটার ও বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। এই কারণেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

‘তারা কি সেটা প্রমাণ করতে পেরেছে? কোথায় সেই প্রমাণ? আমি নথিপত্র দেখতে চাই। কারণ আমি বলছি, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কেউ অভিযোগ করেনি। ২১-দলীয় জোট, বিএনপি-জামায়াত ইসলামী সব মিলিয়ে কতগুলো আসন পেয়েছিল? ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২১টি। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমাদের জোটকে ভোট দিয়েছে,’ শেখ হাসিনা বলেন।

তাহলে কেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছে যে এটা অবাধ আর স্বচ্ছ হয়নি? ইয়ালদা হাকিম প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা আমি জানি না, তারা কীভাবে এটা দেখেছে। কিন্তু নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ এবং অবাধ হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা (বিএনপি জোট) শুরুতে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কী হলো? আমাদের ৩০০ আসন আছে। আপনাকে ৩০০ প্রার্থী দিতে হবে। তারা মনোনয়ন দিয়েছে প্রায় ৭০০ জনকে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে যায়। তাহলে তারা কীভাবে দাবি করতে পারে যে নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হয়নি।

সেই সময় ইয়ালদা হাকিম মনে করিয়ে দেন, এটা বিরোধীদের কথা নয়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এই তথ্য দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এটা বলেছে, আমার তাদের স্বচ্ছতা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। আমি খোলাখুলিভাবেই বলছি।’

রোহিঙ্গা ইস্যু
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানবাধিকারের কথা বিবেচনা করেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

ইয়ালদা হাকিম তাঁর কাছে জানতে চান, আপনি যখন তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, বিশ্বের কাছে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। তাদের বিপদের সময় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। বাংলাদেশকে, আপনাকে তারা প্রশংসা করেছে। কিন্তু পাঁচ বছর পরে কী হচ্ছে? সেখানে সংখ্যাতিরিক্ত মানুষ বসবাস করছে, ক্যাম্পে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে, সহিংসতা হচ্ছে। তাদের আরেকটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে যারা গিয়েছে, তারা অনেক ভালো অবস্থায় বসবাস করছে। কারণ সেখানে এক লাখ পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। কে বলেছে সেটা বন্যাপ্রবণ? বন্যা ঠেকাতে সেখানে সবকিছুই করা হয়েছে। সেখানে ভালো স্কুল, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পের চেয়ে সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা অনেক ভালো।’

তিনি বলেন, এখন যেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ওই এলাকার পরিবেশ পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। ওখানে গভীর জঙ্গল ছিল, সেটা এখন নেই। তারা এখন একে অপরের সঙ্গে মারামারি করছে। তারা মানব পাচার, মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

এ ধরনের অভিযোগ করার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। তাদের (রোহিঙ্গাদের) উচিত নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া।

মিয়ানমারে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ পালিয়ে এসে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে

কিন্তু রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া কি নিরাপদ? বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘জাতিসংঘ এবং অন্য সংগঠনগুলোর সে জন্য ব্যবস্থা করা উচিত। তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজেদের দেশেই তাদের নিরাপদ থাকার কথা। এটা জাতিসংঘের নিশ্চিত করার দায়িত্ব, আমাদের না।’

‘যখন তারা বিপদে ছিল, আমরা তাদের আমাদের দেশে ঢুকতে দিয়েছি, তাদের জন্য সব ব্যবস্থা করেছি। ৪০ হাজার নারী গর্ভবতী ছিল, তাদের খাবার, স্বাস্থ্য চিকিৎসা দিয়েছি। প্রথমে কেউ এগিয়ে আসেনি, আমাদের দেশের লোকজন তাদের সহায়তা করেছে।’

বিবিসির প্রশ্ন ছিল, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কী হবে? কারণ জাতিসংঘ বলেছে, কাউকে জোর করে পাঠানো উচিত নয়। ২০ জনের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমার ঘুরে এসে বলেছে, বাংলাদেশি কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বৈঠক করতে নিয়ে গেছে।

এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলছেন, ‘না, আমি জানি না কেন তারা এটা বলছে। তারা স্বেচ্ছায় পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছিল। কেউ তাদের মিথ্যা বলে নিয়ে যায়নি। কেন মিথ্যা বলা হবে? তারা স্বেচ্ছায় সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিল। আমরা তাদের জোর করিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনিই বলুন, কোন দেশ কীভাবে ১০ লাখের বেশি মানুষের এই বোঝা কত দিন বয়ে যাবে? দিন দিন এটা আরও বড় হচ্ছে, আমরা এই বোঝা কত দিন টানব? তাদের উচিত নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া।’

‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি, তারা যাতে এসব মানুষকে নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এটা তাদের দায়িত্ব। তারা এই বোঝা চিরদিনের জন্য আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। এমনিতেই আমাদের দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের স্থানীয় মানুষজন অনেক দুঃখকষ্ট ভোগ করছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু এই বিষয়ে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বাংলাদেশ যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছে? জানতে চান বিবিসির ইয়ালদা হাকিম।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সমর্থন করছে, কিন্তু তারা ইতিবাচক কিছু করছে না। আলোচনা করলেই তারা বলে, হ্যাঁ, তাদের ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু তারা ইতিবাচক কিছু করছে না। কেন? এটা আমার প্রশ্ন। মানবাধিকারের কথা চিন্তা করে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।’

‘এখন আপনি বলুন, যখন আমরা এত বেশি মানুষকে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছি, তখন কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভিযোগ করে যে আমরা নিজেদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছি?’ প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সুতরাং এসব অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট। আমরা জানি না, কেন তারা এসব করছে? আমার নিজেরও প্রশ্ন, কেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে?’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

  • নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি হবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ।
  • আগামী মাসে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা।
  • দুর্নীতিমুক্ত এবং গণমুখী প্রার্থী খোঁজা হবে।
  • দলের বাইরেও ‘গ্রহণযোগ্য’ ব্যক্তিদের সমর্থনের চিন্তা।
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা 
৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।

বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’

একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’

জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’

প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আমলারা: হাসনাত আবদুল্লাহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’

আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’

সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’

হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’

রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’

এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামী ব্যাংকের কর্মীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দিতে বিএনপির আহ্বান, জামায়াতের উদ্বেগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৮
রাজবাড়ীতে জামায়াতের সম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজবাড়ীতে জামায়াতের সম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’

বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে ভোট চায় এনডিএম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।

চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত