Ajker Patrika

উপজেলা নির্বাচন: আ. লীগের নির্দেশ মানল না এমপির স্বজনেরা

তানিম আহমেদ, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: আ. লীগের নির্দেশ মানল না এমপির স্বজনেরা

প্রভাব বিস্তার করার আশঙ্কায় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে এমপিদের অধিকাংশ স্বজন শেষপর্যায়ে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন।

গতকাল সোমবার প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়। আজকের পত্রিকার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, এই ধাপে ২০ উপজেলায় এমপিদের ২৯ জন স্বজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। অর্থ্যাৎ তাঁরা ভোটে আছেন। এরই মধ্যে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারী এমপিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বসবেন তাঁরা। সেখানে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দিতে দলীয় কৌশল ঠিক করা হবে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি অ্যাজেন্ডায় থাকবে। যেসব এমপি দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি, তাঁদের জন্য আমাদের কী করণীয় সেটা আসবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যে সময়ের মধ্যে তিন এমপির স্বজন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁরা হলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলা থেকে 
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল, মাগুরার শালিখা উপজেলা থেকে এমপি বীরেন শিকদারের ছোট ভাই বিমলেন্দু শিকদার। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় প্রার্থী হয়েছিলেন স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে আশিক আলী। ছেলের সমর্থনে মা ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয় হওয়ার পথে এমপিপুত্র আশিক আলী।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এমপি একরামুল করীম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী, মাদারীপুর সদরে শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন ও সোনাতলায় এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাহাবউদ্দিনের ভাগনে সোয়েব আহমদ, নরসিংদীর পলাশের এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের স্ত্রীর বড় ভাই শরীফুল হক, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর এমপি মাজহারুল ইসলামের দুই চাচা মোহাম্মদ আলী ও সফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ভোটের মাঠে থাকছেন এমপি আলী আজগর টগরের ভাই আলী মুনসুর। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুনার রশীদ হীরা ও মামাতো ভাই খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।

সিরাজগঞ্জ সদরে প্রার্থী রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয়ের চাচাতো ভাই রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। পাবনার বেড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন এবং ভাতিজা আব্দুল কাদের সবুজও ভোটে থাকছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুরে প্রার্থী আছেন এমপি শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত