নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণতন্ত্রের জন্য দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা উচিত জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘ঘরে বসে অধিকার আদায় হবে না।’ আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরাম আয়োজিত ‘সংবিধানের ৫০ বছর এবং নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য সকলের উচিত রাস্তায় নামা। ঘরে ঘরে গণতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে যাতে মানুষ সচেতন হয়। আমরা যদি মনে করি ঘরে বসে অধিকার আদায় হবে এটি হবে ভুল। ঘরে বসে সকল অধিকার ভোগ করার কথা ভাবা ভুল। এ জন্য মানুষকে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। মানুষ মৌলিক অধিকারের বিষয় সচেতন হোক, সরকার তা চায় না।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’ এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পাড়া-মহল্লায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ জানান তিনি।
রাষ্ট্রের নাগরিকেরা বঞ্চিত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাতে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলে দেশের ক্ষতি হবে। সংবিধানে দেখি জনগণ ক্ষমতার মালিক, এটা কথার কথা নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের মালিক হতে হলে অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হলে দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘চাল কিনতে মানুষের আয়ের ৩২ শতাংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে। সকল প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবের জোগান সরকারকে দেওয়ার কথা অথচ দেশ পরিচালনায় সরকার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশি ঋণ নিয়ে সরকার টিকে থাকতে চাইছে কিন্তু এভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার পুলিশ-আমলা ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে থাকতে চাইছে। এভাবে আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনই গণতন্ত্রের ভিত্তি। সরকারের উচিত সকলের সঙ্গে সংলাপে বসা।’
আলোচনায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ না করতে পারলে সব ব্যর্থ হবে। দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালনা করার কথা ছিল। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল রাজিও ছিল কিন্তু পঞ্চম সংশোধনী তা বদলে দিয়েছে। সংবিধানের চতুর্থ এবং পঞ্চম সংশোধনী সবচেয়ে খারাপ সংশোধনী। সংবিধান কাটাছেঁড়া করতে করতে হযবরল হয়ে গেছে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
গণতন্ত্রের জন্য দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামা উচিত জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘ঘরে বসে অধিকার আদায় হবে না।’ আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে গণফোরাম আয়োজিত ‘সংবিধানের ৫০ বছর এবং নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য সকলের উচিত রাস্তায় নামা। ঘরে ঘরে গণতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে যাতে মানুষ সচেতন হয়। আমরা যদি মনে করি ঘরে বসে অধিকার আদায় হবে এটি হবে ভুল। ঘরে বসে সকল অধিকার ভোগ করার কথা ভাবা ভুল। এ জন্য মানুষকে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। মানুষ মৌলিক অধিকারের বিষয় সচেতন হোক, সরকার তা চায় না।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রয়োগ করে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’ এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পাড়া-মহল্লায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ জানান তিনি।
রাষ্ট্রের নাগরিকেরা বঞ্চিত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাতে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না। গণতন্ত্র না থাকলে দেশের ক্ষতি হবে। সংবিধানে দেখি জনগণ ক্ষমতার মালিক, এটা কথার কথা নয়। সত্যিকার অর্থে আমাদের মালিক হতে হলে অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। মৌলিক অধিকার বঞ্চিত হলে দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব না।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘চাল কিনতে মানুষের আয়ের ৩২ শতাংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে। সকল প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবের জোগান সরকারকে দেওয়ার কথা অথচ দেশ পরিচালনায় সরকার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশি ঋণ নিয়ে সরকার টিকে থাকতে চাইছে কিন্তু এভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
সরকারের প্রতি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার পুলিশ-আমলা ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে থাকতে চাইছে। এভাবে আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনই গণতন্ত্রের ভিত্তি। সরকারের উচিত সকলের সঙ্গে সংলাপে বসা।’
আলোচনায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে, জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ না করতে পারলে সব ব্যর্থ হবে। দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালনা করার কথা ছিল। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল রাজিও ছিল কিন্তু পঞ্চম সংশোধনী তা বদলে দিয়েছে। সংবিধানের চতুর্থ এবং পঞ্চম সংশোধনী সবচেয়ে খারাপ সংশোধনী। সংবিধান কাটাছেঁড়া করতে করতে হযবরল হয়ে গেছে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের স্বাধীনতাকে আমরা সম্মান করি। আমরা তাদের সঙ্গে সম্মান, শ্রদ্ধা আর সম্প্রীতিতে বসবাস করতে চাই। আমরা ভালো না থাকলে তারা ভালো থাকবে কি না, সেটা তাদের ভাবতে হবে।’ আজ শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট শহরের কালেক্টরেট মাঠে জেলা জামায়াত
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে বিএনপি নাকি তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আবার সরকারের অনুরাগী কেউ কেউ বলতে চায় যদি সংস্কার না করে নির্বাচন হয়, তাহলে নাকি ভবিষ্যতে আর সংস্কার হবে না। যেকোনো সংস্কার রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। সংস্কার একটি
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনা আরেকটু সময় পেলে বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলত এবং দেশটি এক ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিয়ে নিজেদেরও ফ্যাসিস্ট বলে প্রমাণ করেছে। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’—উদ্যোগে আয়োজিত ভারতে মুসলিম নির্যাতন
২ ঘণ্টা আগেসংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়...
১৬ ঘণ্টা আগে