নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবার যে আন্দোলন শুরু করেছে তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এবার আন্দোলন শুরু করেছি। পরিষ্কার কথা-এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সমস্ত দল এতে অংশগ্রহণ করবে। একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। সে সরকার নতুন করে দেশের অর্থনীতিকে সজীব করে তুলবে।’
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিএনপির নবম গণসমাবেশ।
গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধী দলকে নির্মূল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মূল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেয়েছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে উঠেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনীতি দল নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে করে সম্পদের পাহাড় করেছে। সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কয়দিন আগে ২৫ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। কয়দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯টা গায়েবি কোম্পানিকে টাকা দিয়ে ব্যাংক খালি করে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় গানপাউডার দিয়ে একটা বাসেই ১১ জনকে হত্যা করেছিল। তারপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলেন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাঁচটা নির্বাচন হয়ে গেল। এরা ক্ষমতায় আসার পরে কী করল? ওই ব্যবস্থা পাল্টে দিল। কেন? তারা কিছুদিন পরে বুঝতে পারল দুর্নীতির কারণে, লুটপাটের কারণে জনগণ তাদের পছন্দ করছে না। তাই সেটা পাল্টে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ করল। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথা এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধীনে একটা কথাও বলা যাবে না। সেই সংবিধান চলতে পারে না। এটাও সংশোধন হতে হবে।’

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ওটার মানে কি? ওই যে আপনারা ফেসবুকে সব পোস্ট দেন না? ওইটাতে যদি দেখা যায় কেউ কোন ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। জামিন নাই। কোন দেশ? দাবি করেন গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। খারাপ কাজ করলে বলা যাবে না। এই দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছিলাম, সকলের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা চায় না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই, যেমন করে পারে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ক্ষমতায় বসে থাক। এই দেশ কি তাদের? এই দেশ আমাদের, এই দেশ জনগণের। এই দেশ শুধু তাদের ইচ্ছেমতো চলতে পারে না।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার ভাবে, বিএনপিকে এত পেটায়, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুটে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এ জন্য ভয় পেয়েছে। ১০ তারিখেও ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পান। সারাক্ষণ এই গেল, এই গেল, এই বিএনপি এল, বিএনপি এল ভাবতে থাকে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে। ওই দিন তো কোনো সমস্যা হয় নাই। আজকে হঠাৎ আপনাদের মাথায় সমস্যা আসছে কেন? কারণ, আপনারা জানেন অনেক খারাপ কাজ করেছেন। আপনারা ভেতরে-ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।’
সরকার জঙ্গি নিয়ে নতুন গল্প শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একটা নতুন গল্প করছে-দেশে জঙ্গি আসছে। অগ্নি সন্ত্রাস হচ্ছে। তারা জঙ্গি তৈরি করে বিএনপিকে ধরার জন্য। নিজেরা নিজেরা বাস পোড়ায়, আর বলে বিএনপি করছে। গুরুদাসপুরে একটা দোকান, ওই দোকানের মধ্যে নাকি ককটেল পেয়েছে। ওরা নিজেরা রাখে, তারপরে বলে এটা বিএনপির লোকজন করেছে। বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। এটা ইতিহাসে নেই।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমন দল করেন ছাত্রলীগের সম্মেলন চলে আপনাদের বক্তৃতাই দিতে দেয় না। বের করে দেয়। পত্রিকায় দেখলাম। এই আওয়ামী লীগ দেশের কিছু করতে পারবে না। দেশ আজ তলানিতে চলে গেছে। এমন অবস্থা তৈরি করেছে, এখন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার মতো ডলারও আমাদের হাতে নাই। থাকবে কোত্থেকে? সব পাচার হয়ে গেছে। বিদ্যুতের নাম করে যে লুট করেছে, প্রতি বছর ৭৮ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়। এই লুটপাট আর দেশে চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলে উন্নয়ন হচ্ছে। মেগা উন্নয়ন। রাজশাহীতে কয়টা মেগা উন্নয়ন উন্নয়ন হয়েছে? কৃষক ভাইয়েরা? সারের দাম কত? সার পাওয়া যায়? ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল সরকার, চাকরি পায় আমার ছেলেরা? কৃষক ভাই ধানের ন্যায্যমূল্য পায় না। তারা (অর্থ পাচারকারীরা) হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে চলে যায়।’
ফখরুল বলেন, ‘খবরের কাগজ খুললেই খুন, ধর্ষণ মারামারি, কাটাকাটি ছাড়া খবর নাই। আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের অত্যাচারে টেকা যায় না। বাড়ি দখল করে নেয়, দোকান দখল করে নেয়। আর কতকাল মানুষ এভাবে কষ্ট করবে? আজকে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে একাত্তরের স্বাধীনতা টিকবে না। সব ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ‘গায়েবি’ মামলা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের আগে মামলা, হয়রানি। কেন ভাই পুলিশ? আপনারা কি এই দেশের সন্তান না? অত্যাচার নির্যাতন চালাবেন না। এই দেশের মানুষ কোনো দিন অন্যায় সহ্য করেনি। পরিষ্কার করে বলছি, আপনাদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, আমরা রাষ্ট্রের মালিক। আপনাদের উচিত ছিল, এই ঈদগাহ মাঠ যখন ভরে গেল তখন নিজে থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া, পানি দেওয়া, সেবা করা। তা না করে কষ্ট দিয়েছেন। এত অমানুষ আপনারা? এখানে যারা বসে আছে বয়স্ক মানুষেরা, প্রত্যেকে আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। আপনারা দেশের সমস্ত মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা করবেন না। দেশের মানুষ অন্যায়কে ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। ১৪-১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছি। আমাদের ভাই মারা গেছে, সন্তান মারা গেছে। অনেকে গুম হয়েছে। তাদের বাচ্চাগুলো জানে না তাদের বাবার কি অপরাধ। আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছে। তার মেয়েটা এখনো দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি তার বাবা ফিরে আসে।’
বিএনপির এই আন্দোলন মানুষের অধিকারের জন্য উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য নয়। তারেক রহমানের জন্য আন্দোলন নয়। আমাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্যও নয়। এই আন্দোলন অধিকারকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা দুবার ভোট দিতে পারলাম না। ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে পদ্মার ঠান্ডা বাতাস গায়ে হু হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে এক বিন্দুও সরেননি। রাজশাহীর মাটি সংগ্রামের মাটি। খেয়ে না খেয়ে থেকেছেন। কীসের ভালোবাসায়, কীসের তাগিদে আপনারা তিন ধরে এখানে কাটালেন? একটিমাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ভয়াবহ দানবের হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান।’
ফখরুল বলেন, ‘এই ময়দানে নেত্রীকে নিয়ে অনেক প্রোগ্রাম করেছি। আমাদের কি দায়িত্ব নেই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার? তাই জেগে উঠতে হবে। তরুণ-যুবকদের প্রতি আহ্বান রাখতে চাই, আপনারা জেগে উঠুন। দুর্বার গতিতে আসুন। এই ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
এর আগে সকাল ৯টায় বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। এতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাদ্রাসা মাঠ। এ সমাবেশের আগে ধর্মঘট থাকায় তিন দিন আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এসে অবস্থান করছিলেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন-স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল মাহমুদ টুকু। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, এমএ মতিন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান তালুকদার, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবার যে আন্দোলন শুরু করেছে তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এবার আন্দোলন শুরু করেছি। পরিষ্কার কথা-এবার হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সমস্ত দল এতে অংশগ্রহণ করবে। একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। সে সরকার নতুন করে দেশের অর্থনীতিকে সজীব করে তুলবে।’
জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশের অংশ হিসেবে শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ) এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এটি বিএনপির নবম গণসমাবেশ।
গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ৬০০ নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে। এর মধ্যে পাবনার ঈশ্বরদীতে জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এটাই এই সরকারের চরিত্র। এভাবে তারা বিরোধী দলকে নির্মূল করে দিতে চায়। এতে কি নির্মূল হয়েছে? রাজশাহীর মানুষ ভয় পেয়েছে? পায়নি। আরও উত্তালে জেগে উঠেছে। এই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।’
আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনীতি দল নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এটা একটা লুটেরা দলে পরিণত হয়েছে। নিজেরা লুট করে করে সম্পদের পাহাড় করেছে। সাধারণ মানুষকে গরিব করছে। কয়দিন আগে ২৫ জন কৃষককে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য তাদের জেলখানায় নেওয়া হয়েছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। কয়দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯টা গায়েবি কোম্পানিকে টাকা দিয়ে ব্যাংক খালি করে দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় গানপাউডার দিয়ে একটা বাসেই ১১ জনকে হত্যা করেছিল। তারপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলেন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাঁচটা নির্বাচন হয়ে গেল। এরা ক্ষমতায় আসার পরে কী করল? ওই ব্যবস্থা পাল্টে দিল। কেন? তারা কিছুদিন পরে বুঝতে পারল দুর্নীতির কারণে, লুটপাটের কারণে জনগণ তাদের পছন্দ করছে না। তাই সেটা পাল্টে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুযোগ করল। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথা এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধীনে একটা কথাও বলা যাবে না। সেই সংবিধান চলতে পারে না। এটাও সংশোধন হতে হবে।’

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ওটার মানে কি? ওই যে আপনারা ফেসবুকে সব পোস্ট দেন না? ওইটাতে যদি দেখা যায় কেউ কোন ইঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। জামিন নাই। কোন দেশ? দাবি করেন গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। খারাপ কাজ করলে বলা যাবে না। এই দেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছিলাম, সকলের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা চায় না। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই, যেমন করে পারে বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ক্ষমতায় বসে থাক। এই দেশ কি তাদের? এই দেশ আমাদের, এই দেশ জনগণের। এই দেশ শুধু তাদের ইচ্ছেমতো চলতে পারে না।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার ভাবে, বিএনপিকে এত পেটায়, এত মামলা দেই, তারপরও বিএনপি উঠে আসে কোত্থেকে? বিএনপি মাটি ফুটে বেরিয়ে আসে। এটাই বিএনপি। এ জন্য ভয় পেয়েছে। ১০ তারিখেও ভয় পেয়েছে। আমরা বলেছি, পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশটা করতে চাই। ওদের ঘুম নাই। ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নিজের ওপর আস্থা নেই বলে ভয় পান। সারাক্ষণ এই গেল, এই গেল, এই বিএনপি এল, বিএনপি এল ভাবতে থাকে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা নয়াপল্টনে অনেক সমাবেশ করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছে। ওই দিন তো কোনো সমস্যা হয় নাই। আজকে হঠাৎ আপনাদের মাথায় সমস্যা আসছে কেন? কারণ, আপনারা জানেন অনেক খারাপ কাজ করেছেন। আপনারা ভেতরে-ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।’
সরকার জঙ্গি নিয়ে নতুন গল্প শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন একটা নতুন গল্প করছে-দেশে জঙ্গি আসছে। অগ্নি সন্ত্রাস হচ্ছে। তারা জঙ্গি তৈরি করে বিএনপিকে ধরার জন্য। নিজেরা নিজেরা বাস পোড়ায়, আর বলে বিএনপি করছে। গুরুদাসপুরে একটা দোকান, ওই দোকানের মধ্যে নাকি ককটেল পেয়েছে। ওরা নিজেরা রাখে, তারপরে বলে এটা বিএনপির লোকজন করেছে। বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। এটা ইতিহাসে নেই।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমন দল করেন ছাত্রলীগের সম্মেলন চলে আপনাদের বক্তৃতাই দিতে দেয় না। বের করে দেয়। পত্রিকায় দেখলাম। এই আওয়ামী লীগ দেশের কিছু করতে পারবে না। দেশ আজ তলানিতে চলে গেছে। এমন অবস্থা তৈরি করেছে, এখন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার মতো ডলারও আমাদের হাতে নাই। থাকবে কোত্থেকে? সব পাচার হয়ে গেছে। বিদ্যুতের নাম করে যে লুট করেছে, প্রতি বছর ৭৮ হাজার কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়। এই লুটপাট আর দেশে চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলে উন্নয়ন হচ্ছে। মেগা উন্নয়ন। রাজশাহীতে কয়টা মেগা উন্নয়ন উন্নয়ন হয়েছে? কৃষক ভাইয়েরা? সারের দাম কত? সার পাওয়া যায়? ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলেছিল সরকার, চাকরি পায় আমার ছেলেরা? কৃষক ভাই ধানের ন্যায্যমূল্য পায় না। তারা (অর্থ পাচারকারীরা) হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে চলে যায়।’
ফখরুল বলেন, ‘খবরের কাগজ খুললেই খুন, ধর্ষণ মারামারি, কাটাকাটি ছাড়া খবর নাই। আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদের অত্যাচারে টেকা যায় না। বাড়ি দখল করে নেয়, দোকান দখল করে নেয়। আর কতকাল মানুষ এভাবে কষ্ট করবে? আজকে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে একাত্তরের স্বাধীনতা টিকবে না। সব ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে ‘গায়েবি’ মামলা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সমাবেশের আগে মামলা, হয়রানি। কেন ভাই পুলিশ? আপনারা কি এই দেশের সন্তান না? অত্যাচার নির্যাতন চালাবেন না। এই দেশের মানুষ কোনো দিন অন্যায় সহ্য করেনি। পরিষ্কার করে বলছি, আপনাদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী, আমরা রাষ্ট্রের মালিক। আপনাদের উচিত ছিল, এই ঈদগাহ মাঠ যখন ভরে গেল তখন নিজে থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া, পানি দেওয়া, সেবা করা। তা না করে কষ্ট দিয়েছেন। এত অমানুষ আপনারা? এখানে যারা বসে আছে বয়স্ক মানুষেরা, প্রত্যেকে আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। আপনারা দেশের সমস্ত মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এটা করবেন না। দেশের মানুষ অন্যায়কে ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। ১৪-১৫ বছর ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছি। আমাদের ভাই মারা গেছে, সন্তান মারা গেছে। অনেকে গুম হয়েছে। তাদের বাচ্চাগুলো জানে না তাদের বাবার কি অপরাধ। আমাদের ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছে। তার মেয়েটা এখনো দরজার দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি তার বাবা ফিরে আসে।’
বিএনপির এই আন্দোলন মানুষের অধিকারের জন্য উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলন বিএনপির জন্য নয়। বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য নয়। তারেক রহমানের জন্য আন্দোলন নয়। আমাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্যও নয়। এই আন্দোলন অধিকারকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা দুবার ভোট দিতে পারলাম না। ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে পদ্মার ঠান্ডা বাতাস গায়ে হু হু করে লেগেছে। তারপরও আপনারা এখান থেকে এক বিন্দুও সরেননি। রাজশাহীর মাটি সংগ্রামের মাটি। খেয়ে না খেয়ে থেকেছেন। কীসের ভালোবাসায়, কীসের তাগিদে আপনারা তিন ধরে এখানে কাটালেন? একটিমাত্র কারণ, আপনারা মুক্তি চান। ভয়াবহ দানবের হাত থেকে আপনারা মুক্তি চান।’
ফখরুল বলেন, ‘এই ময়দানে নেত্রীকে নিয়ে অনেক প্রোগ্রাম করেছি। আমাদের কি দায়িত্ব নেই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার? তাই জেগে উঠতে হবে। তরুণ-যুবকদের প্রতি আহ্বান রাখতে চাই, আপনারা জেগে উঠুন। দুর্বার গতিতে আসুন। এই ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
এর আগে সকাল ৯টায় বিএনপির এই বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। এতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাদ্রাসা মাঠ। এ সমাবেশের আগে ধর্মঘট থাকায় তিন দিন আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এসে অবস্থান করছিলেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন-স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল মাহমুদ টুকু। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, এমএ মতিন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান তালুকদার, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আইন মন্ত্রণালয়কে পল্টন ট্র্যাজেডির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। এ জন্য ট্রাইব্যুনালকে দায়িত্ব দিতে হবে—এই হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ২৮ অক্টোবরে নৃশংস ও ইতিহাসের নজিরবিহীন বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। সারা দেশ ও দুনিয়া সেদিন শিহরিত হয়েছে। মানুষ সেই দৃশ্য ভিডিওতে দেখতে পারেনি। হাসিনা লাশের ওপরে নাচানাচি করে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল, শেষে তারা লাশ পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্টকে বাংলাদেশের জনগণ আর প্রশ্রয় দিতে পারে না।
সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, খুনি হাসিনা দিল্লি থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন। আইন উপদেষ্টাসহ সকলকে বলব এই খুনিদের রাজনীতি চিরতরে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করার জন্য। তাদের এই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি বলতে চাই, জুলাই সনদ অবিলম্বে আদেশ জারি করে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, একটি দলকে খুশি করার জন্য সরকারের অভ্যন্তরের কেউ কেউ গণভোটকে উপেক্ষা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পাঁয়তারা করছেন। আমরা বলতে চাই, একই দিনে গণভোট যাঁরা করতে চাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য হলো জুলাই সনদকে অকার্যকর করা।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যে জুলাই সনদে বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে, একই দিনে গণভোট যাঁরা চাচ্ছেন, তাঁরা জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে চান। এই অপরিণামদর্শী পথ থেকে ফিরে এসে আগামী নভেম্বরে গণদাবি অনুযায়ী গণভোট দিন। তার আগে রাষ্ট্রপতির আদেশে জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন। তারপর জাতীয় নির্বাচন দিন। তাহলেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, আল্লাহর কাছে তাঁদের শাহাদাত প্রার্থনা করছি। যাঁরা আহত হয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, অসুস্থ হয়েছিলেন, রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধী
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে এমনটি বলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না। কারণ, এখানে ‘‘অথবা’’ দিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ থাকায় আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমাদের বক্তব্য হলো—অবিলম্বে আদেশ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোট আয়োজন করতে হবে।
‘নভেম্বরে গণভোট না হলে জনগণ তো বুঝবে না কী সংস্কার হবে আর ভোট দিব কাকে। জনগণ তো সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না।’
একটা দল নির্বাচনের দিন গণভোট চাচ্ছে, এতে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কী—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, তারা চাইতেই পারে, তবে এর পেছনে সংস্কার বানচালের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না—এমন প্রশ্ন থেকে যায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধী
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইতিহাসকে যেন আর ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা না হয়। আওয়ামী লীগ এখন ডেড চ্যাপটার। এটা এখন মরা হাতি—এটাকে এখন যে ইচ্ছা, সে লাথি দিতে পারে। তবে আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে, না হলে ঝামেলা হতে পারে।’
আমলাতন্ত্রের সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘ব্যুরোক্রেসিকে গতিশীল করতে হবে। তারা গতিশীল না হলে যে ক্ষোভ জমছে, তাতে বিস্ফোরণ হবেই। আমলাতন্ত্র ঠিক না করতে পারলে, যেই ক্ষমতায় আসুক, ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধী
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন আসিফ নজরুল। এখন তাঁর কোর্টে বল গেছে, দেখা যাক তিনি কেমন খেলতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হক হলে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এনসিপি এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাটওয়ারী। তাঁর দাবি, ঘোষণা অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদেরও রাখতে হবে। ওই দিন এনসিপি সনদে সই করবে বলেও জানান তিনি।
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জেনেছি, জুলাই সনদ বর্তমানে আইন কমিশনে আছে। আমরা দেখতে চাই ড. আসিফ নজরুল স্যার কোনো টালবাহানা ছাড়াই জনগণের পক্ষে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে শহীদ মিনারে আসবেন।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়া জুলাই শহীদ ও জনগণের বড় অর্জন। জুলাই সনদ সই না করার কারণে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তবে রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এনসিপি। ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে এর সুফল পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ।’
এ বিষয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাহাত্তরের পচা সংবিধান দিয়ে এ দেশ আর চলতে পারে না। এ সংবিধান আমাদের ভাইদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে।’
এই নেতা বলেন, ‘রক্তের ট্যাংকার দিয়ে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে, বুলেট রেভল্যুশনের পর ব্যালট রেভল্যুশনের মাধ্যমে মানুষ জবাব দেবে। দলীয় দাস হিসেবে কেউ সংস্কার রুখতে চাইলে সেফ এক্সিট পাবে না তারা, মানুষ তাদের বিচার করবেই।’
এনসিপি সরকার গঠন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কারণ, পেছনের দরজা দিয়ে এনসিপি ক্যান্টনমেন্টে যাবে না, কোনো অ্যাম্বাসিতেও যাবে না। তাই মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবে।’
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অথর্ব নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘যে লাউ সেই কদুর নির্বাচন চায় না এনসিপি। বিএনপি-জামায়াত বিরোধী বিরোধী নাটক করছে। তারা একদল ভারতে, আরেক দল পাকিস্তানে পা দিয়ে রেখেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কী যেন নাম তাঁর? ওবায়দুল কাদের সাহেব। তিনি বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমাদেরকে ক্ষমতায় রাখার জন্য বারবার কাটাছেঁড়া করেছ সেই সংবিধান? তিনটা অনুচ্ছেদ রেখেছে সংবিধানে, যার অধী
০৩ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ৩০-৪০ বছর আগের মিথ্যা মামলার বিচার করে যদি মিথ্যা ফাঁসি দেওয়া যায়, তাহলে ২০ বছর আগে সত্য জীবন্ত হত্যায় হাসিনা, ইনু, মেননসহ ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচার কেন করা যাবে না? ১৪ দলের ফ্যাসিস্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটের সময় ‘নির্বাচনের আগে বা একই দিনে’ হওয়ার সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী।
৩ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ এখন মরা হাতি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, এই মরা হাতিকে এখন যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত বই ‘অগ্নিঝরা বর্ষা: দেশে ও বিদেশে’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান
৪ ঘণ্টা আগে