নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের এই সংকটপূর্ণ সময়ে নেতা–কর্মী ও দায়িত্বশীলদের কথাবার্তায় সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেতা–কর্মীদের আমি বলব, প্রত্যেককে কথাবার্তায়, আচার আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়, এ সময় ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে—এটাই আজ আমাদের বার্তা।’
সরকারের কোনো উপায় ছিল না বলেই মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের সংকটের একটা নেতিবাচক প্রভাব আজকে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। আমরা জানি, অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক মূল্য বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে উন্নত বিশ্বের কোনো দেশই আরামে নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনার আজকে ঘুম নেই, আন্তরিকভাবে তিনি এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালেও তিনি রাতে ঘুমোতে পারেননি, এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষকে একটু আরাম দেওয়া যায়, স্বস্তি দেওয়া যায়, যারা কষ্ট করছে সেটাই তিনি করে যাচ্ছেন, মানুষকে স্বস্তি দিতে।’
সংকটের সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরোধী দল সরকারকে সহযোগিতা করলেও দেশে বিএনপি সেটা করছে না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে তাঁরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করে না দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজেরা (বিএনপি) ইচ্ছেমতো মিছিল করছে পল্টন–প্রেসক্লাবের সামনে। এত দিন বলত, আওয়ামী লীগ আমাদের মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। এখন নেত্রী বলেছেন, ওরা করুক। যখন মিছিল মিটিং করতে পারছে তাদের সাহসের ডানা বিস্তারিত হচ্ছে। এখন তাঁরা বলে বিদেশি শক্তির চাপে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তাহলে এখন স্বীকার করলেন যে, পুলিশ বাধা দিচ্ছে না। বিদেশি শক্তির চাপে মাথা নত করার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নয়। মনে রাখবেন, কোনো শক্তির কাছে আমরা মাথা নত করি না। তিনি আপন শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান। আমাদের সমস্যা আমাদের সংকট আমাদের সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানা সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান, মোকাবিলা করতে চান, তাহলে বলব জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে এবং সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের শক্তি এখনো অজানা রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি তাদের সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনো পরিষ্কার নয়। খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করে তখন অনেককেই তিনি টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ডাকে ছুটে এসেছিলেন শুধু একজন, তিনি হলে নিরাপত্তা প্রধান কর্নেল জামিল। তাঁকেও সোবহানবাগ মসজিদের পাশে হত্যা করা হয়।’
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, কার্যকরী সভাপতি সামসুন্নাহার।
দেশের এই সংকটপূর্ণ সময়ে নেতা–কর্মী ও দায়িত্বশীলদের কথাবার্তায় সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেতা–কর্মীদের আমি বলব, প্রত্যেককে কথাবার্তায়, আচার আচরণে দায়িত্বশীল হতে হবে। এই সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কোনো কথা বলা সমীচীন নয়, এ সময় ক্ষমতার দাপট দেখানো সমীচীন নয়। ঠান্ডা মাথায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে—এটাই আজ আমাদের বার্তা।’
সরকারের কোনো উপায় ছিল না বলেই মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের সংকটের একটা নেতিবাচক প্রভাব আজকে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে। আমরা জানি, অনেক মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়ে গেছে, মানুষ কষ্ট করছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের সামনে কোনো উপায় ছিল না।’
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক মূল্য বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে উন্নত বিশ্বের কোনো দেশই আরামে নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের কষ্ট হচ্ছে। চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। শেখ হাসিনার আজকে ঘুম নেই, আন্তরিকভাবে তিনি এই সংকট উত্তরণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। করোনাকালেও তিনি রাতে ঘুমোতে পারেননি, এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষকে একটু আরাম দেওয়া যায়, স্বস্তি দেওয়া যায়, যারা কষ্ট করছে সেটাই তিনি করে যাচ্ছেন, মানুষকে স্বস্তি দিতে।’
সংকটের সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরোধী দল সরকারকে সহযোগিতা করলেও দেশে বিএনপি সেটা করছে না বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে তাঁরা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করে না দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজেরা (বিএনপি) ইচ্ছেমতো মিছিল করছে পল্টন–প্রেসক্লাবের সামনে। এত দিন বলত, আওয়ামী লীগ আমাদের মিছিল মিটিং করতে দিচ্ছে না। এখন নেত্রী বলেছেন, ওরা করুক। যখন মিছিল মিটিং করতে পারছে তাদের সাহসের ডানা বিস্তারিত হচ্ছে। এখন তাঁরা বলে বিদেশি শক্তির চাপে পুলিশ বাধা দিচ্ছে না।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তাহলে এখন স্বীকার করলেন যে, পুলিশ বাধা দিচ্ছে না। বিদেশি শক্তির চাপে মাথা নত করার মতো লোক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নয়। মনে রাখবেন, কোনো শক্তির কাছে আমরা মাথা নত করি না। তিনি আপন শক্তিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান। আমাদের সমস্যা আমাদের সংকট আমাদের সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না, কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানা সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস নিয়ে যদি নামতে চান, মোকাবিলা করতে চান, তাহলে বলব জনতার প্রতিরোধ সুনামিতে পরিণত হবে এবং সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের শক্তি এখনো অজানা রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের বিশ্বাসঘাতক যে রাজনৈতিক শক্তি তাদের সবার নাম আমরা জানি না। সবার ভূমিকা এখনো পরিষ্কার নয়। খুনিরা যখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করে তখন অনেককেই তিনি টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ডাকে ছুটে এসেছিলেন শুধু একজন, তিনি হলে নিরাপত্তা প্রধান কর্নেল জামিল। তাঁকেও সোবহানবাগ মসজিদের পাশে হত্যা করা হয়।’
মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথী, কার্যকরী সভাপতি সামসুন্নাহার।
সূত্র বলছে, টেলিগ্রামকে নিজের প্রধান রাজনৈতিক মঞ্চ বানিয়ে রেখেছেন কাদের। সেখানে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে ঢাকা ঘেরাওয়ের ডাক দিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর কথায় কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা বা বাস্তব পদক্ষেপ থাকে না বলে অভিযোগ সূত্রগুলোর।
১০ ঘণ্টা আগেঅভ্যুত্থানের অংশীদার পক্ষগুলোর বিভেদ এবং ভুলের কারণে পৃথিবীতে বেশির ভাগ বিপ্লব ও গণ-অভ্যুত্থান চূড়ান্ত সফলতার মুখ দেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার লঙ্ঘিত হলে জেন-জিরা আবার রাজপথে নামবে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেদলের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এনসিপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আমাদের লাখ লাখ কর্মী ও নেতার দরকার নেই। যাঁরা তেলবাজি ও সেলফিবাজি...
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ সোমবার ময়মনসিংহ মহানগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ ঘণ্টা আগে