আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলা আয়োজিত ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব?’ —শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তের বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমঝোতা করবে কারা? একটা পক্ষ হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ থেকে ন্যূনতম ঐক্য বের করে আনা দুষ্কর হয়ে উঠবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের সংস্কার বিষয়ে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। এই পার্থক্য মেটাতে প্রয়োজন দলগুলোর মুখোমুখি আলোচনা এবং সমঝোতা।’
হাসিবউদ্দীন আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজে যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশকে বৈধতা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না, তাই তাদের দায়িত্ব হতে পারত—রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু চায় যে, দেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে দ্রুত একটা নির্বাচনী গণতন্ত্রে ফিরে যেতে—তারাও তাদের স্বার্থে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার ডাক দিতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই সভার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান রাখছে। একই সঙ্গে, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে এই পরিষদে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সরকারের ঐক্য পরিষদ এই সমঝোতা পরিষদের সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
সংলাপে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব না এবং যে সকল সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোও সম্ভব না। ন্যূনতম সমঝোতা, ঐক্য, আপসের জন্য আমরা সকলেই একমত।’
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যার ক্ষমতা আছে, যারা বড়, তারা সমঝোতা চাইবে কেন? আমরা যারা ছোট দল, আমরাই মূলত সমঝোতা চাই। সমঝোতা কার সঙ্গে? শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব হয় নাই। তিনি নাকি ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার। তিনি সারা জীবন জপেছেন, পালাবেন না, কিন্তু পালিয়েছেন। যারা সমঝোতা চাইবেন না তাদের পালাতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সমঝোতা বাস্তবায়ন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা লাগবে। সামনের নির্বাচনটা শুধু একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন। আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে, সারা বিশ্ব আমাদের মনে রাখবে। অন্যথায় তিউনিসিয়ায় যেমন গৃহযুদ্ধ লেগে আছে তেমন অবস্থা হতে পারে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দূরত্ব, ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এই দূরত্ব আরও বাড়তে থাকলে তারা কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই ফিরে আসবে। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘কি চাই তা খোঁজার জন্য চিন্তার প্রক্রিয়াটা যদি এক না হয় তাহলে সামনে চিন্তার প্রক্রিয়া ভিন্ন হবে। গত ১৫ বছরের আন্দোলনের একটা পর্যায়ে আমরা ৩১ দফার মধ্য দিয়ে একটা সমঝোতা কিন্তু তৈরি করেছি।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের একটা পরিসর এবং পদ্ধতি নিয়ে এক ধরনের চিন্তা দানা বেঁধেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের এক ধরনের চিন্তা আছে সংস্কার নিয়ে। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা খুব একটা করছে না। সরকার না করলেও আমরা যারা লড়াই করে আসছি, একসঙ্গে হয়েছি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন প্রমুখ।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলা আয়োজিত ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব?’ —শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তের বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমঝোতা করবে কারা? একটা পক্ষ হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ থেকে ন্যূনতম ঐক্য বের করে আনা দুষ্কর হয়ে উঠবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের সংস্কার বিষয়ে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। এই পার্থক্য মেটাতে প্রয়োজন দলগুলোর মুখোমুখি আলোচনা এবং সমঝোতা।’
হাসিবউদ্দীন আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজে যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশকে বৈধতা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না, তাই তাদের দায়িত্ব হতে পারত—রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু চায় যে, দেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে দ্রুত একটা নির্বাচনী গণতন্ত্রে ফিরে যেতে—তারাও তাদের স্বার্থে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার ডাক দিতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই সভার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান রাখছে। একই সঙ্গে, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে এই পরিষদে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সরকারের ঐক্য পরিষদ এই সমঝোতা পরিষদের সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
সংলাপে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব না এবং যে সকল সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোও সম্ভব না। ন্যূনতম সমঝোতা, ঐক্য, আপসের জন্য আমরা সকলেই একমত।’
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যার ক্ষমতা আছে, যারা বড়, তারা সমঝোতা চাইবে কেন? আমরা যারা ছোট দল, আমরাই মূলত সমঝোতা চাই। সমঝোতা কার সঙ্গে? শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব হয় নাই। তিনি নাকি ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার। তিনি সারা জীবন জপেছেন, পালাবেন না, কিন্তু পালিয়েছেন। যারা সমঝোতা চাইবেন না তাদের পালাতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সমঝোতা বাস্তবায়ন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা লাগবে। সামনের নির্বাচনটা শুধু একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন। আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে, সারা বিশ্ব আমাদের মনে রাখবে। অন্যথায় তিউনিসিয়ায় যেমন গৃহযুদ্ধ লেগে আছে তেমন অবস্থা হতে পারে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দূরত্ব, ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এই দূরত্ব আরও বাড়তে থাকলে তারা কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই ফিরে আসবে। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘কি চাই তা খোঁজার জন্য চিন্তার প্রক্রিয়াটা যদি এক না হয় তাহলে সামনে চিন্তার প্রক্রিয়া ভিন্ন হবে। গত ১৫ বছরের আন্দোলনের একটা পর্যায়ে আমরা ৩১ দফার মধ্য দিয়ে একটা সমঝোতা কিন্তু তৈরি করেছি।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের একটা পরিসর এবং পদ্ধতি নিয়ে এক ধরনের চিন্তা দানা বেঁধেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের এক ধরনের চিন্তা আছে সংস্কার নিয়ে। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা খুব একটা করছে না। সরকার না করলেও আমরা যারা লড়াই করে আসছি, একসঙ্গে হয়েছি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলা আয়োজিত ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব?’ —শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তের বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমঝোতা করবে কারা? একটা পক্ষ হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ থেকে ন্যূনতম ঐক্য বের করে আনা দুষ্কর হয়ে উঠবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের সংস্কার বিষয়ে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। এই পার্থক্য মেটাতে প্রয়োজন দলগুলোর মুখোমুখি আলোচনা এবং সমঝোতা।’
হাসিবউদ্দীন আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজে যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশকে বৈধতা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না, তাই তাদের দায়িত্ব হতে পারত—রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু চায় যে, দেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে দ্রুত একটা নির্বাচনী গণতন্ত্রে ফিরে যেতে—তারাও তাদের স্বার্থে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার ডাক দিতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই সভার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান রাখছে। একই সঙ্গে, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে এই পরিষদে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সরকারের ঐক্য পরিষদ এই সমঝোতা পরিষদের সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
সংলাপে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব না এবং যে সকল সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোও সম্ভব না। ন্যূনতম সমঝোতা, ঐক্য, আপসের জন্য আমরা সকলেই একমত।’
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যার ক্ষমতা আছে, যারা বড়, তারা সমঝোতা চাইবে কেন? আমরা যারা ছোট দল, আমরাই মূলত সমঝোতা চাই। সমঝোতা কার সঙ্গে? শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব হয় নাই। তিনি নাকি ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার। তিনি সারা জীবন জপেছেন, পালাবেন না, কিন্তু পালিয়েছেন। যারা সমঝোতা চাইবেন না তাদের পালাতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সমঝোতা বাস্তবায়ন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা লাগবে। সামনের নির্বাচনটা শুধু একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন। আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে, সারা বিশ্ব আমাদের মনে রাখবে। অন্যথায় তিউনিসিয়ায় যেমন গৃহযুদ্ধ লেগে আছে তেমন অবস্থা হতে পারে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দূরত্ব, ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এই দূরত্ব আরও বাড়তে থাকলে তারা কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই ফিরে আসবে। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘কি চাই তা খোঁজার জন্য চিন্তার প্রক্রিয়াটা যদি এক না হয় তাহলে সামনে চিন্তার প্রক্রিয়া ভিন্ন হবে। গত ১৫ বছরের আন্দোলনের একটা পর্যায়ে আমরা ৩১ দফার মধ্য দিয়ে একটা সমঝোতা কিন্তু তৈরি করেছি।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের একটা পরিসর এবং পদ্ধতি নিয়ে এক ধরনের চিন্তা দানা বেঁধেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের এক ধরনের চিন্তা আছে সংস্কার নিয়ে। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা খুব একটা করছে না। সরকার না করলেও আমরা যারা লড়াই করে আসছি, একসঙ্গে হয়েছি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন প্রমুখ।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলা আয়োজিত ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব?’ —শীর্ষক সংলাপে এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তের বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমঝোতা করবে কারা? একটা পক্ষ হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ থেকে ন্যূনতম ঐক্য বের করে আনা দুষ্কর হয়ে উঠবে। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানের সংস্কার বিষয়ে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। এই পার্থক্য মেটাতে প্রয়োজন দলগুলোর মুখোমুখি আলোচনা এবং সমঝোতা।’
হাসিবউদ্দীন আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নিজে যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশকে বৈধতা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না, তাই তাদের দায়িত্ব হতে পারত—রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু চায় যে, দেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে দ্রুত একটা নির্বাচনী গণতন্ত্রে ফিরে যেতে—তারাও তাদের স্বার্থে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার ডাক দিতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই সভার মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান রাখছে। একই সঙ্গে, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের ঐক্য কমিশনকে এই পরিষদে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সরকারের ঐক্য পরিষদ এই সমঝোতা পরিষদের সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’
সংলাপে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব না এবং যে সকল সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোও সম্ভব না। ন্যূনতম সমঝোতা, ঐক্য, আপসের জন্য আমরা সকলেই একমত।’
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যার ক্ষমতা আছে, যারা বড়, তারা সমঝোতা চাইবে কেন? আমরা যারা ছোট দল, আমরাই মূলত সমঝোতা চাই। সমঝোতা কার সঙ্গে? শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব হয় নাই। তিনি নাকি ২২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার। তিনি সারা জীবন জপেছেন, পালাবেন না, কিন্তু পালিয়েছেন। যারা সমঝোতা চাইবেন না তাদের পালাতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘সমঝোতা বাস্তবায়ন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা লাগবে। সামনের নির্বাচনটা শুধু একটি সাধারণ সংসদ নির্বাচন নয়, এই নির্বাচনের সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন। আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে, সারা বিশ্ব আমাদের মনে রাখবে। অন্যথায় তিউনিসিয়ায় যেমন গৃহযুদ্ধ লেগে আছে তেমন অবস্থা হতে পারে।’
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দূরত্ব, ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এই দূরত্ব আরও বাড়তে থাকলে তারা কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই ফিরে আসবে। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘কি চাই তা খোঁজার জন্য চিন্তার প্রক্রিয়াটা যদি এক না হয় তাহলে সামনে চিন্তার প্রক্রিয়া ভিন্ন হবে। গত ১৫ বছরের আন্দোলনের একটা পর্যায়ে আমরা ৩১ দফার মধ্য দিয়ে একটা সমঝোতা কিন্তু তৈরি করেছি।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের একটা পরিসর এবং পদ্ধতি নিয়ে এক ধরনের চিন্তা দানা বেঁধেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের এক ধরনের চিন্তা আছে সংস্কার নিয়ে। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা খুব একটা করছে না। সরকার না করলেও আমরা যারা লড়াই করে আসছি, একসঙ্গে হয়েছি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।’
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এমএএন শাহীন প্রমুখ।

বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
২ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিবৃতিতে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিবৃতিতে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে...
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
২ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে...
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
৫ মিনিট আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
২ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে একধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই অপপ্রচার তারা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তা করছে না। কারণ, সারা বিশ্ব জানে—বাংলার মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান—সবাই হাজার বছরের সংস্কৃতি ধারণ করে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা গণহত্যা করেছে, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা আগে সেই টাকা দেশে ফেরত আনুক। তারপরে দেশের জনগণ ভেবে দেখবে, তারা নির্বাচন করতে পারবে কি না।’
শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দেশ গণমানুষের দেশ, গরিব মানুষের, কৃষক-শ্রমিকের দেশ। আগে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়েনি, মানুষের আয় ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—কর্মসংস্থান করুন, নাহলে দেশ সঠিকভাবে চালানো কঠিন হবে।’
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল, যারা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীনতার পক্ষে লড়েছে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিভিন্ন মহল থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বলে একধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেই অপপ্রচার তারা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে চালিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তা করছে না। কারণ, সারা বিশ্ব জানে—বাংলার মানুষ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান—সবাই হাজার বছরের সংস্কৃতি ধারণ করে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে।’
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সবার রাজনৈতিক অধিকার আছে, আমরা তা অস্বীকার করি না। কিন্তু যারা গণহত্যা করেছে, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা আগে সেই টাকা দেশে ফেরত আনুক। তারপরে দেশের জনগণ ভেবে দেখবে, তারা নির্বাচন করতে পারবে কি না।’
শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘এই দেশ গণমানুষের দেশ, গরিব মানুষের, কৃষক-শ্রমিকের দেশ। আগে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। বর্তমানে এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বাড়েনি, মানুষের আয় ক্রমশ কমে যাচ্ছে। চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—কর্মসংস্থান করুন, নাহলে দেশ সঠিকভাবে চালানো কঠিন হবে।’
দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি লিংকন, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে...
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
২ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন দলগুলোর নেতারা। এ ছাড়া আজ রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পুনরায় গণমাধ্যমকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠায় দলগুলো।
যুগপৎ আন্দোলনের পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এর আগে একই দাবিতে তিন পর্বের কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো।
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।
১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন দলগুলোর নেতারা। এ ছাড়া আজ রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পুনরায় গণমাধ্যমকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠায় দলগুলো।
যুগপৎ আন্দোলনের পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
এর আগে একই দাবিতে তিন পর্বের কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো।
যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম ঐক্য বা সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজনৈতিক দল, গনঅভ্যূত্থান সংশ্লিষ্টদের ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছে...
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির উত্থাপিত ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনায় কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার এক বিবৃতিতে এমনটি জানান দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
৫ মিনিট আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চারদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও সক্রিয়। তাদের ঠেকাতে হলে একটি যোগ্য, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচনে দেশপ্রেমিক দলকে নির্বাচিত করতে হবে—যারা পরীক্ষিত, যারা মুক্তিসংগ্রামে অংশ নিয়েছিল...
২ ঘণ্টা আগে