সম্পাদকীয়

করোনাভাইরাস মহামারিতে ঘরবন্দী মানুষ, বৃত্তবন্দী জীবন। মাঝে মাঝে সংক্রমণ কমলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্লথগতিতে কিছুটা হলেও কাজকর্ম চলে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

এটা সুখবরই বটে। একটু হলেও ওদের জন্য তা স্বস্তিদায়ক। অতিদরিদ্র, দিনমজুর, গরিব-অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী নতুন করে আরও একটি প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন।

দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও ‘কঠোর’ লকডাউন আট দিনের জন্য শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ থেকে ২২ জুলাই এই শিথিলতা চলবে। ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউনের কথা জানানো হয়েছে। লকডাউন নিয়ে একধরনের চোর-পুলিশ খেলা আমাদের দেশে প্রায় দেড় বছর ধরেই চলছে। আংশিক লকডাউন, পূর্ণ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন। সেঞ্চুরির ছড়াছড়ি আর রান–বন্যায় মনে হয়েছে অনায়াসেই এই টেস্টের বাধা পার হয়েছে বাংলাদেশ। এই জয় নিশ্চয়ই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে উজ্জীবিত করবে। জয় নিয়ে আমরা সবাই খুশি। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ এ ধরনের

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ঘটনাটি হৃদয়ে আঘাত হানে। ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারি বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলেন মতিন আর ময়না। এই স্বামী–স্ত্রীর দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যাও লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। আগুনের লেলিহান শিখা পরিবারটিকে তছনছ করে দিল। বাড়িতে না থাকায় পরিবারের একমাত্র ছেলেসন্তানটি আগুন থেকে রেহাই পেয়

কারও ঘরে চাল নেই। কেউ এক বেলা খেতে পারলেও আরেক বেলার সংস্থান নেই। কেউ হয়তো দিনরাত অক্লান্ত খেটে, জীবন বিপন্ন করে বেঁচেবর্তে আছেন। কৃষক, মজুর, রিকশাচালক, সবজি বিক্রেতা–এমন অসংখ্য মানুষ যখন জীবনের কঠিন কশাঘাতে পিষ্ট, তখন এ দেশেরই এক দলের কাছে উপচে পড়ছে টাকা! তাঁরা টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছেন না!

এ রকম হৃদয়ছেঁড়া কান্না কি এই প্রথম দেখলাম? আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়া লাশের মিছিলও কি আমাদের চোখে পড়ল এই প্রথম? এই যে পঞ্চাশের বেশি শ্রমিকের জীবন চলে গেল এক নিমেষে, সে জীবনগুলো কি কোনো কারণেই মূল্যবান নয়?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ‘আশ্রয়ণ’। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না–এই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ২৩ হাজার ছিন্নমূল মানুষের হাতে দুই শতক জমির ওপর একটি দুই কক্ষের মাথা গোঁজার ঠাঁই–একটি স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ট্রেনের নাম ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনের নাম ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন। বেশ! বেশ! আমাদের ট্রেনগুলো বেশ জাতে উঠছে। নামগুলো ইংরেজি হওয়ায় তাদের আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটছে বোধ হয়! দেশীয় নামের ঘেরাটোপে তা আর বাঁধা পড়তে চাইছে না।

এখন সময় খারাপ। মরণব্যাধি করোনা সবকিছু ভেঙেচুরে, তছনছ করে আমার-আপনার ঘরে ঢুকে পড়ছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সে বেশি দাপট দেখাচ্ছে। এর আক্রমণ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে যে, তাকে যেন থামানোর সাধ্য কারও নেই! আসলে সাধ্য আছে। তাকে থামিয়ে দেওয়ার শক্তি আমাদের নিজেদের হাতেই আছে! আমরা সরকার বা অন্যকে দোষ না দ

করোনাকালে এক ফন্দি করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। জরুরি পণ্যের ছদ্মবেশে মাদক পাঠিয়ে দিচ্ছেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। চট্টগ্রামের রংপুরে পণ্যবাহী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল।

করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন রেকর্ডের খবর আসছে প্রতিদিন। অবস্থা এমন দিকে যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ হয়ে উঠছে করোনার হটস্পট। হাসপাতালে সিট পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিইউ খালি নেই। যে হারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে বেসামাল হয়ে পড়ছে পুরো চিকিৎসাব্যবস্থা।

আচ্ছা মনে করুন, আপনি রাজা, আপনার একজন সৈনিক আপনাকে বলল, ‘মহারাজ, সৈন্যদলের সেনাপতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি শত্রুদের সঙ্গে চক্রান্ত করে আপনাকে সিংহাসনচ্যুত করতে চাইছেন।’

কড়া লকডাউনে শুরু হলো নতুন অর্থবছর। সবকিছু বন্ধের মধ্যেই আগামী এক বছরের আয়-ব্যয়ের বিশাল বোঝা সরকারের ওপর। পুরো এক বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। নিজে আয় করে এ খরচ মেটানোর সক্ষমতা আছে মাত্র ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার।

খবরটা এরই মধ্যে পড়েছেন অনেকেই। তবু বলি। মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্রীকে তার বাবা-মা সৌদিপ্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। মেয়েটি এই বিয়েতে রাজি ছিল না।

আড়াই টাকা! বাহ্! আড়াই টাকার গরমিল একজন মানুষের জীবনটাকেই গোঁজামিলে ভরে দিল। বছরের পর বছর এই আড়াই টাকার অপমান নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হলো একজন মানুষকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ায় এখন তিনি চাকরি ফিরে পাবেন, পাবেন ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাওনা টাকাও।

বাজেট নিয়ে অনেক তো কথা হলো। সংসদ থেকে রাজপথ। সরকার ও বিরোধী দল, প্রেসক্লাব, পত্রিকা, টেলিভিশন সর্বত্র অনেক আলোচনা, বিতর্ক, সমালোচনা। তাতে খুব যে কাজ হয়েছে, তা বলা যাবে না। যত সমালোচনাই হোক, প্রস্তাবিত বাজেটের খুব বড় কোনো পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।