সম্পাদকীয়
এটাকে ঠিক কী বলে আখ্যা দেওয়া যায়, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এমন কি হতে পারে, ‘মানুষ-শিয়ালের সহাবস্থান?’ গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক এলাকায় এখন ৫০টি শিয়ালের বসবাস। আবাসিক এলাকা যখন, তখন যে কেউ সেখানে বসবাস করতে পারে বলেই হয়তো শিয়ালগুলো ভেবেছে এখানেই ঠাঁই খুঁজে নেওয়া যায়।
ভেবে দেখলে এই ছোট্ট ঘটনায় আরও কিছু ব্যঞ্জনার সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত, গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। ‘মাস্টারপাড়া’ কথাটি শুনলেই শৈশবে শিয়াল আর কুমিরের গল্পটি মনে ভেসে ওঠে। কুমিরছানাদের মাস্টার হয়েই তো শিয়াল তাদের সাবাড় করেছিল। ‘শিয়াল পণ্ডিত’ নামেই সে ছিল পরিচিত। বেচারি কুমির-মা একই ছানাকে বারবার দেখে ভাবত, ছানাপোনারা ঠিকই পড়াশোনা শিখছে! রূপকথার শেষটা কুমিরের জন্য বিয়োগান্ত হলেও শিশুরা শিয়ালের পলায়নে যারপরনাই আনন্দ পেত। এই গল্পের সূত্র ধরেই বলা যায়, মাস্টারপাড়াকে আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়ে শিয়ালরা ভুল করেনি।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক এলাকাকে তারা বেছে নিয়েছে। লক্ষণীয় হলো, ‘উন্নয়ন’ শব্দটি। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু কখনো কখনো খবর পাওয়া যাচ্ছে, উন্নয়নের টাকা লুটেপুটেও খাচ্ছে কেউ কেউ। ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন’-এর উন্নতির পথে কোনো বাদ সাধছে না শিয়ালগুলো, এ এক বলার মতো সংবাদ। সবচেয়ে বড় কথা, এরা একবারও মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। দিনদুপুরেই এরা খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে; অর্থাৎ খাদ্যসংকট প্রকট বলেই ৫০টি শিয়াল এখন লোকালয়ে থাকছে।
শিয়ালকে নিশাচর প্রাণী বলেই আমরা জানি। লোকালয়ের বাইরেই তারা থাকতে ভালোবাসে। খেতে না পেলে চলে আসে লোকালয়ে, হাঁস-মুরগি ধরে খায়। জলাতঙ্ক রোগ না হলে এরা অকারণে বেপরোয়া হয়ে ওঠে না। ক্যানিড়ি পরিবারের স্তন্যপায়ী এ প্রাণীটিকে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। ওদের থাকা-খাওয়ার নিরাপত্তা থাকলে ওরা মানুষের ঘরে আসে না।
একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, ইঁদুর, পোকামাকড়, মৃত প্রাণী, পচা-গলা খাবার পেলেই শিয়াল তৃপ্ত থাকে। ফলে প্রাণীটি যে পরিবেশবান্ধব, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শিয়াল প্রয়োজনীয় প্রাণী।
এ কথা বোঝা কঠিন নয় যে মানুষ তার নিজের স্বার্থে জঙ্গল সাফ করে ফেলেছে বলেই বিপন্ন এই প্রাণীটি উঠে এসেছে লোকালয়ে। বাঁশঝাড় আর জঙ্গল কেটে ফেললে প্রাণীরা যাবে কোথায়?
এ কথাটি মনে রেখে পরিবেশবান্ধব প্রাণীটির জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কি কিছু করার আছে?
ব্যাপারটি শুধু গাইবান্ধার নয়, শিয়ালের নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের স্বার্থে জঙ্গল কেটে সাফ করার প্রবণতা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
এটাকে ঠিক কী বলে আখ্যা দেওয়া যায়, তা বুঝে উঠতে পারছি না। এমন কি হতে পারে, ‘মানুষ-শিয়ালের সহাবস্থান?’ গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক এলাকায় এখন ৫০টি শিয়ালের বসবাস। আবাসিক এলাকা যখন, তখন যে কেউ সেখানে বসবাস করতে পারে বলেই হয়তো শিয়ালগুলো ভেবেছে এখানেই ঠাঁই খুঁজে নেওয়া যায়।
ভেবে দেখলে এই ছোট্ট ঘটনায় আরও কিছু ব্যঞ্জনার সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। প্রথমত, গাইবান্ধা শহরের মাস্টারপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। ‘মাস্টারপাড়া’ কথাটি শুনলেই শৈশবে শিয়াল আর কুমিরের গল্পটি মনে ভেসে ওঠে। কুমিরছানাদের মাস্টার হয়েই তো শিয়াল তাদের সাবাড় করেছিল। ‘শিয়াল পণ্ডিত’ নামেই সে ছিল পরিচিত। বেচারি কুমির-মা একই ছানাকে বারবার দেখে ভাবত, ছানাপোনারা ঠিকই পড়াশোনা শিখছে! রূপকথার শেষটা কুমিরের জন্য বিয়োগান্ত হলেও শিশুরা শিয়ালের পলায়নে যারপরনাই আনন্দ পেত। এই গল্পের সূত্র ধরেই বলা যায়, মাস্টারপাড়াকে আবাসস্থল হিসেবে বেছে নিয়ে শিয়ালরা ভুল করেনি।
দ্বিতীয়ত, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আবাসিক এলাকাকে তারা বেছে নিয়েছে। লক্ষণীয় হলো, ‘উন্নয়ন’ শব্দটি। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু কখনো কখনো খবর পাওয়া যাচ্ছে, উন্নয়নের টাকা লুটেপুটেও খাচ্ছে কেউ কেউ। ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন’-এর উন্নতির পথে কোনো বাদ সাধছে না শিয়ালগুলো, এ এক বলার মতো সংবাদ। সবচেয়ে বড় কথা, এরা একবারও মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। দিনদুপুরেই এরা খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে; অর্থাৎ খাদ্যসংকট প্রকট বলেই ৫০টি শিয়াল এখন লোকালয়ে থাকছে।
শিয়ালকে নিশাচর প্রাণী বলেই আমরা জানি। লোকালয়ের বাইরেই তারা থাকতে ভালোবাসে। খেতে না পেলে চলে আসে লোকালয়ে, হাঁস-মুরগি ধরে খায়। জলাতঙ্ক রোগ না হলে এরা অকারণে বেপরোয়া হয়ে ওঠে না। ক্যানিড়ি পরিবারের স্তন্যপায়ী এ প্রাণীটিকে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। ওদের থাকা-খাওয়ার নিরাপত্তা থাকলে ওরা মানুষের ঘরে আসে না।
একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, ইঁদুর, পোকামাকড়, মৃত প্রাণী, পচা-গলা খাবার পেলেই শিয়াল তৃপ্ত থাকে। ফলে প্রাণীটি যে পরিবেশবান্ধব, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শিয়াল প্রয়োজনীয় প্রাণী।
এ কথা বোঝা কঠিন নয় যে মানুষ তার নিজের স্বার্থে জঙ্গল সাফ করে ফেলেছে বলেই বিপন্ন এই প্রাণীটি উঠে এসেছে লোকালয়ে। বাঁশঝাড় আর জঙ্গল কেটে ফেললে প্রাণীরা যাবে কোথায়?
এ কথাটি মনে রেখে পরিবেশবান্ধব প্রাণীটির জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কি কিছু করার আছে?
ব্যাপারটি শুধু গাইবান্ধার নয়, শিয়ালের নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নের স্বার্থে জঙ্গল কেটে সাফ করার প্রবণতা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
১০ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
১০ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
১ দিন আগে