সম্পাদকীয়
জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ সেপ্টেম্বর গণশক্তি আয়োজন করে ‘জুলাই সনদ ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। সেই সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে প্রশ্নটি করেছেন, তা কোটি টাকার সঙ্গে তুলনা করাই যায়। তাঁর সহজ জিজ্ঞাসা—‘ভোটের দিন যাঁর যেখানে শক্তি আছে, তাঁর যদি মনে হয় জিততে পারবেন না এবং ব্যালট বাক্স নিয়ে বাড়িতে চলে যান, তখন পুলিশ কি বাধা দেবে?’ প্রশ্নটা সহজ কিন্তু মূল্যবান। তবে এর উত্তর পুলিশ প্রশাসন কিংবা নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়া কমিশন সহজে দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রশ্ন নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় যে খবরটি ছাপা হয়েছে, তা পড়লে যে কারও মনে হতে পারে, পুলিশকে ইদানীং বেশির ভাগ মবের ঘটনায় যখন নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায়, তখন নির্বাচনেও হয়তো তারা সক্রিয় থাকতে পারবে না। ভাবা যায়, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ওই দেশের জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে!
নাগরিক ঐক্যের সভাপতির প্রশ্নটা শুধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নয়, দেশে ঘটে যাওয়া সব ধরনের মবোক্রেসির জন্য প্রযোজ্য। তিনি নিজেও দুটো উদাহরণ টেনেছেন—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা। আমরা এই তালিকা আরও বড় করতে পারি। মব ভায়োলেন্সের নামে ব্যক্তিকে হামলা ও অপমান, অফিস ও ঘরবাড়ি লুটপাট, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, মাজার ও আখড়া ভাঙা, এমনকি নারীদের ফুটবল ম্যাচ পর্যন্ত বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। নারী কোন পোশাক পরবে আর কোনটা পরবে না, সেই সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছে মব। এমনকি থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নেওয়ার মতো ঘটনার কথাও মনে করা যায়। মবাতঙ্ক ছড়িয়েছে পাহাড়ে ও সমতলে। শুধু মনে হয় আকাশপথটাই বাকি!
এই যে এত মব সন্ত্রাস হয়ে গেল, যা গত এক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে দাবি করছেন সমাজতাত্ত্বিকেরা, এসব ঘটনায় কতটা সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতার কেচ্ছাই বরং খবর হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সফলতা খুঁজতে হয়তো লণ্ঠন জ্বালাতে হবে। পাঠক, যদি গুগলে খোঁজ করেন, তাহলে ‘পুলিশ মব ঠেকিয়েছে’ ধরনের সংবাদ না পেয়ে আপনাকে হতাশ হতে হবে।
ঢাকায় মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সেটা জুন মাসের কথা। অথচ এর মধ্যেই দেখা গেছে ঢাকায় কারও বাড়ির সামনে মবাতঙ্ক তৈরি করেছে একদল।
শুধু ঢাকায় না, সারা দেশেই মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। মবই যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে পুলিশের কাজ কী—এই প্রশ্নটাও অমূলক নয়। অনতিবিলম্বে পুলিশ বাহিনী শক্তিশালী ও সক্রিয় হয়ে উঠুক।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ সেপ্টেম্বর গণশক্তি আয়োজন করে ‘জুলাই সনদ ও নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা। সেই সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে প্রশ্নটি করেছেন, তা কোটি টাকার সঙ্গে তুলনা করাই যায়। তাঁর সহজ জিজ্ঞাসা—‘ভোটের দিন যাঁর যেখানে শক্তি আছে, তাঁর যদি মনে হয় জিততে পারবেন না এবং ব্যালট বাক্স নিয়ে বাড়িতে চলে যান, তখন পুলিশ কি বাধা দেবে?’ প্রশ্নটা সহজ কিন্তু মূল্যবান। তবে এর উত্তর পুলিশ প্রশাসন কিংবা নির্বাচনের দায়িত্ব নেওয়া কমিশন সহজে দিতে পারবে কি না, এ নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রশ্ন নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায় যে খবরটি ছাপা হয়েছে, তা পড়লে যে কারও মনে হতে পারে, পুলিশকে ইদানীং বেশির ভাগ মবের ঘটনায় যখন নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায়, তখন নির্বাচনেও হয়তো তারা সক্রিয় থাকতে পারবে না। ভাবা যায়, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ওই দেশের জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে!
নাগরিক ঐক্যের সভাপতির প্রশ্নটা শুধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নয়, দেশে ঘটে যাওয়া সব ধরনের মবোক্রেসির জন্য প্রযোজ্য। তিনি নিজেও দুটো উদাহরণ টেনেছেন—চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা। আমরা এই তালিকা আরও বড় করতে পারি। মব ভায়োলেন্সের নামে ব্যক্তিকে হামলা ও অপমান, অফিস ও ঘরবাড়ি লুটপাট, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, মাজার ও আখড়া ভাঙা, এমনকি নারীদের ফুটবল ম্যাচ পর্যন্ত বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। নারী কোন পোশাক পরবে আর কোনটা পরবে না, সেই সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছে মব। এমনকি থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নেওয়ার মতো ঘটনার কথাও মনে করা যায়। মবাতঙ্ক ছড়িয়েছে পাহাড়ে ও সমতলে। শুধু মনে হয় আকাশপথটাই বাকি!
এই যে এত মব সন্ত্রাস হয়ে গেল, যা গত এক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে দাবি করছেন সমাজতাত্ত্বিকেরা, এসব ঘটনায় কতটা সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশ? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতার কেচ্ছাই বরং খবর হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশের সফলতা খুঁজতে হয়তো লণ্ঠন জ্বালাতে হবে। পাঠক, যদি গুগলে খোঁজ করেন, তাহলে ‘পুলিশ মব ঠেকিয়েছে’ ধরনের সংবাদ না পেয়ে আপনাকে হতাশ হতে হবে।
ঢাকায় মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। সেটা জুন মাসের কথা। অথচ এর মধ্যেই দেখা গেছে ঢাকায় কারও বাড়ির সামনে মবাতঙ্ক তৈরি করেছে একদল।
শুধু ঢাকায় না, সারা দেশেই মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। মবই যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে পুলিশের কাজ কী—এই প্রশ্নটাও অমূলক নয়। অনতিবিলম্বে পুলিশ বাহিনী শক্তিশালী ও সক্রিয় হয়ে উঠুক।
হিমালয়কন্যা নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ভূদৃশ্যটি পর্বতমালার মতোই চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। ১০ বছরের মাওবাদী বিদ্রোহের রক্তক্ষরণের পর ২০০৮ সালে উচ্ছেদ হয়েছিল রাজতন্ত্র। সেই থেকে ১৩ বার সরকার বদল হয়েছে। ক্ষমতার মসনদে ঘুরেফিরে দেখা যাচ্ছিল গুটিকয়েক নেতাকে।
১০ ঘণ্টা আগেবেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) পরিচালিত ‘২০২৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে দেশের পরিবারসমূহের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে যে তিন বছরে (২০২২-২৫) দেশে দারিদ্র্যের হার ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে এখন ২৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় একটি পরিচিত শব্দবন্ধ হলো বায়ুচড়া। এর আভিধানিক অর্থ হলো পাগলামি। পাগলামি, উন্মাদনা বা উন্মত্ততা অর্থে আমরা ‘মাথা গরম হওয়া’র কথা কমবেশি সবাই জানি। একই অর্থে বায়ুরোগ বা বায়ুগ্রস্ততাও তুলনামূলকভাবে পরিচিত। এমনকি পাগলামি অর্থে ‘মাথা ফোরটি নাইন হওয়া’র কথাও প্রচলিত রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনেপাল ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কেবল ভৌগোলিক নয়, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ। উন্মুক্ত সীমান্ত, অভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্য এবং ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও নেপালে ভারতবিরোধী মনোভাব একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল বাস্তবতা।
২১ ঘণ্টা আগে