সম্পাদকীয়
ধানমন্ডিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গে যে আচরণ করলেন কয়েক তরুণ, তাঁরা হয়তো এখনো মোহের ঘোরে আছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁরা সমন্বয়ক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। ইচ্ছে হলেই সমন্বয়ক পরিচয়ে যে কারও ওপর চড়াও হওয়া যাবে—এমন অঘটন আর কত দিন দেখতে হবে? সমন্বয়ক হলেই কি তাঁর সাত খুন মাফ? যে কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর বলতে পারলেই হলো, তার সঙ্গে যেমন ইচ্ছে তেমন ব্যবহার করা যাবে? ধানমন্ডির ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, তাঁকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে ‘আদেশ’ দিচ্ছিলেন এই মব-সন্ত্রাসীরা। থানার ওসির অনমনীয় অবস্থানের কারণে এই তরুণেরা বিশৃঙ্খলা চালাতে পারেননি।
বাংলাদেশে এখনো মব সন্ত্রাস বিদ্যমান। তারই ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে যাঁরা যথেচ্ছাচার করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা দরকার। কিন্তু দেখা গেল, তিনজন আইন ভঙ্গকারীকে পুলিশ যখন আটক করেছে, তখন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে এনেছেন। এভাবে যদি অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে থাকেন, তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কী করে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পদ উল্লেখ করে যাঁরা বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের প্রতি সরকারিভাবে কঠোর বার্তা দেওয়া দরকার। বিভিন্ন অঞ্চলে সমন্বয়ক পরিচয়ে কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে নানা অঘটনের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে সে ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই যে সত্য, সেটাও জানা যায়। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে এই তরুণদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কী করছে, তা জানা দরকার। আর এনসিপির একজন নেতা কেন থানায় গিয়ে এদের ছাড়িয়ে আনলেন, সেটাও ভেবে দেখতে হবে। দলের পক্ষ থেকে শুধু ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ দেওয়ার মাধ্যমেই কি ঘটনার ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে?
দেশে এখন নানা ধরনের সংকট চলছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন অনেক কিছুই ঘটছে, যা নিয়ে পুরো দেশই বিচলিত হয়ে রয়েছে। সরকার কিংবা সরকার-সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও জনগণ-ঘনিষ্ঠ হতে হবে। তাদের পারফরম্যান্সে জনগণ কতটুকু তুষ্ট, সেটা জানার জন্য অন্তত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে চোখ
রাখা উচিত। বিভিন্ন জরিপের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং সে অনুযায়ী নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।
এনসিপি গঠন হওয়ার পর তাদের যে সমাবেশগুলো হচ্ছে, তাতে দলটির সমর্থক বা জনগণের খুব একটা উপস্থিতি চোখে পড়ছে না। কিন্তু দলের নেতারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন, যা জনগণের আলোচনায় থাকছে। দলটির জন্য এই অবস্থা সুখকর হতে পারে না।
মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যাঁরা আশার আলো দেখবেন বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের দীর্ঘশ্বাস কি সরকারের নজরে পড়ছে? আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে অরাজকতাই এই জাতির ললাটলিখনে পরিণত হতে পারে।
ধানমন্ডিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে পুলিশের সঙ্গে যে আচরণ করলেন কয়েক তরুণ, তাঁরা হয়তো এখনো মোহের ঘোরে আছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, তাঁরা সমন্বয়ক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। ইচ্ছে হলেই সমন্বয়ক পরিচয়ে যে কারও ওপর চড়াও হওয়া যাবে—এমন অঘটন আর কত দিন দেখতে হবে? সমন্বয়ক হলেই কি তাঁর সাত খুন মাফ? যে কাউকে আওয়ামী লীগের দোসর বলতে পারলেই হলো, তার সঙ্গে যেমন ইচ্ছে তেমন ব্যবহার করা যাবে? ধানমন্ডির ঘটনায় যাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, তাঁকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে ‘আদেশ’ দিচ্ছিলেন এই মব-সন্ত্রাসীরা। থানার ওসির অনমনীয় অবস্থানের কারণে এই তরুণেরা বিশৃঙ্খলা চালাতে পারেননি।
বাংলাদেশে এখনো মব সন্ত্রাস বিদ্যমান। তারই ধারাবাহিকতায় ধানমন্ডিতে সমন্বয়ক পরিচয়ে যাঁরা যথেচ্ছাচার করেছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা দরকার। কিন্তু দেখা গেল, তিনজন আইন ভঙ্গকারীকে পুলিশ যখন আটক করেছে, তখন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে এনেছেন। এভাবে যদি অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে থাকেন, তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে কী করে?
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পদ উল্লেখ করে যাঁরা বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের প্রতি সরকারিভাবে কঠোর বার্তা দেওয়া দরকার। বিভিন্ন অঞ্চলে সমন্বয়ক পরিচয়ে কিংবা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে নানা অঘটনের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে সে ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই যে সত্য, সেটাও জানা যায়। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে এই তরুণদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার কী করছে, তা জানা দরকার। আর এনসিপির একজন নেতা কেন থানায় গিয়ে এদের ছাড়িয়ে আনলেন, সেটাও ভেবে দেখতে হবে। দলের পক্ষ থেকে শুধু ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ দেওয়ার মাধ্যমেই কি ঘটনার ভয়াবহতা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে?
দেশে এখন নানা ধরনের সংকট চলছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন অনেক কিছুই ঘটছে, যা নিয়ে পুরো দেশই বিচলিত হয়ে রয়েছে। সরকার কিংবা সরকার-সমর্থক রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও জনগণ-ঘনিষ্ঠ হতে হবে। তাদের পারফরম্যান্সে জনগণ কতটুকু তুষ্ট, সেটা জানার জন্য অন্তত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে চোখ
রাখা উচিত। বিভিন্ন জরিপের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং সে অনুযায়ী নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।
এনসিপি গঠন হওয়ার পর তাদের যে সমাবেশগুলো হচ্ছে, তাতে দলটির সমর্থক বা জনগণের খুব একটা উপস্থিতি চোখে পড়ছে না। কিন্তু দলের নেতারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন, যা জনগণের আলোচনায় থাকছে। দলটির জন্য এই অবস্থা সুখকর হতে পারে না।
মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর যাঁরা আশার আলো দেখবেন বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের দীর্ঘশ্বাস কি সরকারের নজরে পড়ছে? আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে অরাজকতাই এই জাতির ললাটলিখনে পরিণত হতে পারে।
রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়, তাহলে সেই সাধারণ জনগণকে প্রতিদিন ভোগান্তির ভেতর যারা ফেলে, তারা কি আদৌ রাজনৈতিক দল? নাকি মুখে মুখে জনগণের কথা বলা সুবিধাবাদী দল? এই প্রশ্নটি রইল অতি ডান, মধ্যপন্থী ও বাম—সব দলের প্রতি। অন্য দেশেও মানুষ আন্দোলন করে, বিশেষ করে যদি ইউরোপের কথা বলি, সেখানে রাজপথের মাঝে খোলা
৮ ঘণ্টা আগেনারী পুরুষের সমান—এই বাক্যটি আমরা বহুবার শুনেছি। সংবিধানে, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায়, এমনকি সামাজিক প্রচারণাতেও এই কথার উচ্চারণ ঘন ঘন হয়। কিন্তু এই বক্তব্যটি বাস্তব জীবনে কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন আজও বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আসা বাংলাদেশে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান
৮ ঘণ্টা আগে১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল একটি রাজনৈতিক দিক পরিবর্তনের মুহূর্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন সেনানায়ক বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে পুনর্গঠনের কারিগর, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের
৮ ঘণ্টা আগেসবকিছু মিলিয়ে রাজনীতি যে জটের মধ্যে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না দেশের গন্তব্য কোন দিকে।
৯ ঘণ্টা আগে