সম্পাদকীয়
শিরোনাম দেখে পাঠক কি বুঝতে পারছেন কী নিয়ে আজকের সম্পাদকীয়? যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটু বেশি সময় ব্যয় করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন—পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের উক্তিই আলোচ্য বিষয়। তাঁর করা একটি মন্তব্য নিয়ে ২০ মে আজকের পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়।
১৯ মে ছিল বাউফল গার্লস স্কুলে দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের দিন। বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল এই অনুষ্ঠানে ইউএনও আমিনুল ইসলামকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য একাধিকবার তাঁর কার্যালয়ে যান এবং ফোন করেন। কিন্তু তাঁকে সশরীরে তো দূরের কথা, ফোনেও পাওয়া যায়নি।
শেষ পর্যন্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সোমবার অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। কিন্তু এসেই প্রধান শিক্ষকের কামরায় বসে এমরানের কাছে কৈফিয়ত চান যে কেন তাঁকে না জানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এমরান তাঁকে না পাওয়ার ব্যাখ্যা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মন্তব্য করেন, তাঁর কার্যালয়ে ‘কাউয়া-বক’ থাকে, তিনি তাঁর বাংলোতে অফিস করেন এবং কারও ফোন ধরতেও বাধ্য নন। তিনি এমরানকে বলেন, ‘আপনি ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ফোন দিলে আমি ধরব কেন?’
অথচ তিনি ফোন না ধরে কী করে বুঝলেন যে এমরান তাঁকে ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ’ করতে ফোন দিয়েছিলেন? এ প্রশ্ন স্বয়ং এমরানও তাঁকে করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’
ইউএনওর এরূপ বক্তব্যে সমালোচনার জন্ম হওয়াটা খুব আশ্চর্যের কোনো বিষয় নয়। তাঁর ক্ষমতার কোনো পরিধি নেই—এমনটাই কি তিনি বোঝাতে চাননি? তবে তিনি একটি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন—ইউএনও কার্যালয়ে ‘কাউয়া-বক’ থাকে! তাহলে কি সেইসব ‘কাউয়া-বক’ উপজেলার সব সমস্যা সমাধান করে? কেননা, আমিনুল ইসলাম তো অফিস করেন তাঁর বাংলোতে, উপজেলা কার্যালয়ে নয়।
ধরুন, বাউফলের কোনো বাসিন্দা এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য জানেন না। তিনি হয়তো ওইসব ‘কাউয়া-বককে’ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মনে করতে পারেন, সাহায্য চাইতে পারেন তাদের কাছে! পাঠক, কল্পনা করতে পারেন—বাউফল উপজেলার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে আছে একটি ‘কাউয়া’ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছে কয়েকটি ‘বক’!
এবার একটু গম্ভীর কথায় আসা যাক। ইউএনও নিজেই বলেছেন তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকর। তাহলে তো যেকোনো ‘প্রজা’ তথা নাগরিকের আজ্ঞা তাঁকে পালন করতেই হবে। তাই তিনি অন্তত কর্মঘণ্টার সময় ফোন ধরতেও বাধ্য।
আমরা আশা করব, ‘প্রজাতন্ত্রের চাকর’ হিসেবে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তাঁদের যেন আগেই ‘আচরণবিধি’ নিয়ে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নয়তো আমিনুল ইসলামরা ক্ষমতাবলে যে কাউকে ‘শাস্তি’ দিতে তোয়াক্কা করবেন না।
শিরোনাম দেখে পাঠক কি বুঝতে পারছেন কী নিয়ে আজকের সম্পাদকীয়? যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটু বেশি সময় ব্যয় করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন—পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের উক্তিই আলোচ্য বিষয়। তাঁর করা একটি মন্তব্য নিয়ে ২০ মে আজকের পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পাশাপাশি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়।
১৯ মে ছিল বাউফল গার্লস স্কুলে দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডের দিন। বাউফল দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেল এই অনুষ্ঠানে ইউএনও আমিনুল ইসলামকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য একাধিকবার তাঁর কার্যালয়ে যান এবং ফোন করেন। কিন্তু তাঁকে সশরীরে তো দূরের কথা, ফোনেও পাওয়া যায়নি।
শেষ পর্যন্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম ইউএনওকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সোমবার অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। কিন্তু এসেই প্রধান শিক্ষকের কামরায় বসে এমরানের কাছে কৈফিয়ত চান যে কেন তাঁকে না জানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এমরান তাঁকে না পাওয়ার ব্যাখ্যা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মন্তব্য করেন, তাঁর কার্যালয়ে ‘কাউয়া-বক’ থাকে, তিনি তাঁর বাংলোতে অফিস করেন এবং কারও ফোন ধরতেও বাধ্য নন। তিনি এমরানকে বলেন, ‘আপনি ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ফোন দিলে আমি ধরব কেন?’
অথচ তিনি ফোন না ধরে কী করে বুঝলেন যে এমরান তাঁকে ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ’ করতে ফোন দিয়েছিলেন? এ প্রশ্ন স্বয়ং এমরানও তাঁকে করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর, মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’
ইউএনওর এরূপ বক্তব্যে সমালোচনার জন্ম হওয়াটা খুব আশ্চর্যের কোনো বিষয় নয়। তাঁর ক্ষমতার কোনো পরিধি নেই—এমনটাই কি তিনি বোঝাতে চাননি? তবে তিনি একটি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন—ইউএনও কার্যালয়ে ‘কাউয়া-বক’ থাকে! তাহলে কি সেইসব ‘কাউয়া-বক’ উপজেলার সব সমস্যা সমাধান করে? কেননা, আমিনুল ইসলাম তো অফিস করেন তাঁর বাংলোতে, উপজেলা কার্যালয়ে নয়।
ধরুন, বাউফলের কোনো বাসিন্দা এই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য জানেন না। তিনি হয়তো ওইসব ‘কাউয়া-বককে’ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মনে করতে পারেন, সাহায্য চাইতে পারেন তাদের কাছে! পাঠক, কল্পনা করতে পারেন—বাউফল উপজেলার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে আছে একটি ‘কাউয়া’ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছে কয়েকটি ‘বক’!
এবার একটু গম্ভীর কথায় আসা যাক। ইউএনও নিজেই বলেছেন তিনি প্রজাতন্ত্রের চাকর। তাহলে তো যেকোনো ‘প্রজা’ তথা নাগরিকের আজ্ঞা তাঁকে পালন করতেই হবে। তাই তিনি অন্তত কর্মঘণ্টার সময় ফোন ধরতেও বাধ্য।
আমরা আশা করব, ‘প্রজাতন্ত্রের চাকর’ হিসেবে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তাঁদের যেন আগেই ‘আচরণবিধি’ নিয়ে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নয়তো আমিনুল ইসলামরা ক্ষমতাবলে যে কাউকে ‘শাস্তি’ দিতে তোয়াক্কা করবেন না।
রাজনীতি যদি জনগণের জন্য হয়, তাহলে সেই সাধারণ জনগণকে প্রতিদিন ভোগান্তির ভেতর যারা ফেলে, তারা কি আদৌ রাজনৈতিক দল? নাকি মুখে মুখে জনগণের কথা বলা সুবিধাবাদী দল? এই প্রশ্নটি রইল অতি ডান, মধ্যপন্থী ও বাম—সব দলের প্রতি। অন্য দেশেও মানুষ আন্দোলন করে, বিশেষ করে যদি ইউরোপের কথা বলি, সেখানে রাজপথের মাঝে খোলা
৮ ঘণ্টা আগেনারী পুরুষের সমান—এই বাক্যটি আমরা বহুবার শুনেছি। সংবিধানে, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায়, এমনকি সামাজিক প্রচারণাতেও এই কথার উচ্চারণ ঘন ঘন হয়। কিন্তু এই বক্তব্যটি বাস্তব জীবনে কতটা প্রতিফলিত হচ্ছে, সে প্রশ্ন আজও বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আসা বাংলাদেশে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃশ্যমান
৮ ঘণ্টা আগে১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন কয়েকজন সেনাসদস্যের হাতে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি ছিল একটি রাজনৈতিক দিক পরিবর্তনের মুহূর্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন সেনানায়ক বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে পুনর্গঠনের কারিগর, একটি নতুন রাজনৈতিক দলের
৯ ঘণ্টা আগেসবকিছু মিলিয়ে রাজনীতি যে জটের মধ্যে পড়েছে, তাতে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছে না দেশের গন্তব্য কোন দিকে।
৯ ঘণ্টা আগে