সম্পাদকীয়
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তবে ময়মনসিংহে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের যে চিত্র দেখা গেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক মানুষ পণ্য কিনতে পারছেন না, সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এ নিয়ে ৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো, স্বল্প আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের তুলনায় পণ্যের মজুত কম থাকা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ এসব পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের জন্য দরিদ্র এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও ট্রাকের লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। মূলত বিগত সরকারের আমলে বিপুল অর্থ পাচারসহ নানাবিধ ভুল অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দরিদ্র মানুষের কাছে কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ, তাদের কাছে যেকোনো মূল্যে ক্ষুধা নিবারণই বড় ব্যাপার। তবে এখনো এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না ঘটাতে পারার জন্য এর দায় বর্তমান সরকারকে নিতে হবে। অর্থনীতিবিদদের অভিমত হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিসিবির পণ্যের সরবরাহ ও ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রয়োজনে এই খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা এডিপির অব্যবহৃত অর্থ ব্যয়েরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও টিসিবির সক্ষমতা রাতারাতি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখতে হবে। আর টিসিবির পণ্য বিক্রির বিকল্প ভাবার সুযোগ না থাকলেও সরকারকে বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে। বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পারবে। এতে টিসিবির পণ্য ক্রয়েও এর প্রভাব পড়বে।
চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকগুলোতে পণ্যের পরিমাণ অপ্রতুল। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক মানুষ পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ট্রাক আসার পর পণ্য কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দুর্বল ও বয়স্ক ব্যক্তিরা এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পণ্য কিনতে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে পণ্য কিনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
টিসিবিকে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে, যাতে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্য বিতরণের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে টোকেন পদ্ধতি বা অন্য কোনো কার্যকর উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। পণ্য বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম বা প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্রাক আসার সময়সূচি আগে থেকে জানিয়ে দিলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। তবে ময়মনসিংহে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের যে চিত্র দেখা গেছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক মানুষ পণ্য কিনতে পারছেন না, সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এ নিয়ে ৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো, স্বল্প আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের তুলনায় পণ্যের মজুত কম থাকা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ এসব পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের জন্য দরিদ্র এমনকি নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও ট্রাকের লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। মূলত বিগত সরকারের আমলে বিপুল অর্থ পাচারসহ নানাবিধ ভুল অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দরিদ্র মানুষের কাছে কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কারণ, তাদের কাছে যেকোনো মূল্যে ক্ষুধা নিবারণই বড় ব্যাপার। তবে এখনো এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না ঘটাতে পারার জন্য এর দায় বর্তমান সরকারকে নিতে হবে। অর্থনীতিবিদদের অভিমত হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে টিসিবির পণ্যের সরবরাহ ও ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। প্রয়োজনে এই খাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা এডিপির অব্যবহৃত অর্থ ব্যয়েরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও টিসিবির সক্ষমতা রাতারাতি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখতে হবে। আর টিসিবির পণ্য বিক্রির বিকল্প ভাবার সুযোগ না থাকলেও সরকারকে বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে। বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্য ক্রয় করতে পারবে। এতে টিসিবির পণ্য ক্রয়েও এর প্রভাব পড়বে।
চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকগুলোতে পণ্যের পরিমাণ অপ্রতুল। ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক মানুষ পণ্য না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ট্রাক আসার পর পণ্য কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দুর্বল ও বয়স্ক ব্যক্তিরা এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পণ্য কিনতে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে পণ্য কিনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
টিসিবিকে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে, যাতে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্য বিতরণের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে টোকেন পদ্ধতি বা অন্য কোনো কার্যকর উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। পণ্য বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম বা প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ট্রাক আসার সময়সূচি আগে থেকে জানিয়ে দিলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।
টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
‘এরা দেখি কোটি টাকার নিচে কথাই বলে না!’—পরিচিত এক ব্যবসায়ী হতাশ কণ্ঠে বললেন। বুঝলাম—রিয়াদ ইস্যুতে এমন প্রতিক্রিয়া তাঁর। রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা। এনসিপি বা সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। তাঁর ফেসবুকে সেসব নেতার সঙ্গে ছবিও দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগেইদানীং আশাহত হয়ে পড়ছি। দেশ ও দেশের জনগণ কোন পথে হাঁটছে, তা নিজের হাঁটা দেখেও বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, সবাই মিলে একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধাচরণেই এক বছর সময় কাটিয়ে দিল। সেই আগের মতোই দোষারোপের সংস্কৃতি।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতি এখন এমন এক শিল্প, যেখানে গণতন্ত্রের নাটক হয় কিন্তু দর্শক ছাড়া, প্রশ্নোত্তর হয় কিন্তু উত্তর আগে ঠিক করা, আর আন্দোলন হয়...যেটা আসলে অডিশনের মতো, কে কেমন নাটক করতে পারে। এদিকে, জুলাই মাস এখন নতুন এক রাজনৈতিক ব্র্যান্ড—একে বলতেই হয়, ‘জুলাই: পকেট ভারী করো লিমিটেড’।
১০ ঘণ্টা আগেধরা পড়েছেন বলেই রিয়াদকে নিয়ে তথ্য বের হচ্ছে। ধরা না পড়লে কেউ জানতেই পারত না এই সমন্বয়কের মহিমা। এ রকম কত সমন্বয়ক কত জায়গায় চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন, সে হিসাব কি কারও কাছে আছে? বীর বিক্রমেই তো গুলশানে চাঁদা আদায় করতে গিয়েছিল রিয়াদ অ্যান্ড গং।
১০ ঘণ্টা আগে