সম্পাদকীয়
এই দৃশ্য কল্পনা করুন—একজন বয়স্ক মানুষ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি একসময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, যিনি সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন দেশ ও জনগণের সেবায়—আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে। তাঁর চোখে অপমান, তাঁর শরীরে আতঙ্ক, আর চারপাশে রক্তচক্ষু নিক্ষেপকারী জনতা।
এ দৃশ্য কেবল একজন নূরুল হুদার অপমান নয়, এটি আমাদের বিবেকের, আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার, আমাদের মানবিক চেতনাবোধের গভীর অপমান। এ দৃশ্য আমাদের সবাইকে রক্তাক্ত করে।
কে এম নূরুল হুদা—২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার। হ্যাঁ, আমরা জানি সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ক্ষমতার ধারক-বাহকেরা সেই নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে রুদ্ধ করেছিল, ভোটাধিকারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল, আর নির্বাচন কমিশন ছিল সেই যন্ত্রের অন্যতম চাকা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, একজন আমলার গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে আমরা কোন সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছি? বিচারপ্রার্থী এক সমাজ যদি নিজেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ায়, তাহলে ন্যায় কোথায়, মানবতা কোথায়, রাষ্ট্র কোথায়?
আমরা যারা আবেগে ভেসে গেছি, যারা এই দৃশ্য দেখে একটু-আধটু প্রশান্তিও পেয়েছি—আমরা আসলে সমাজকে কি আরও অস্থির, আরও প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলেছি না? এই অমানবিকতা একবার শুরু হলে আর থামে না। আজ হুদা, কাল হয়তো আরেকজন। আজ একজন ‘পাপী’ প্রমাণিত, কাল হয়তো আপনি বা আমি—কারণ আমরা হয় ভুল পক্ষের হয়ে ছিলাম অথবা যথাসময়ে নীরব ছিলাম।
আমরা ভেবেছিলাম, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের বিকল্প রাজনীতির ভিত্তি গড়ে তুলবে। কিন্তু আমরা মনে রাখিনি যে ইতিহাস কেবল শুদ্ধ আত্মত্যাগে চলে না—এটি ছিনতাই হয়ে যায়, বিকৃত হয় এবং ক্ষমতালোভীদের হাতে বন্দী হয়। আজ কি তেমন অবস্থা দেখছি?
কেউ একদিন রাষ্ট্রের নির্দেশ পালন করলে, পরদিন যদি তাঁকে রাস্তায় অপমানিত হতে হয়, তাহলে আজ যারা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের নির্দেশে কিছু করবে, তারাও কি একদিন গণপিটুনির শিকার হবে?
তাই এখন প্রশ্ন একটাই: আমরা কি ন্যায় চাই, নাকি প্রতিশোধ? আমরা কি বিচার চাই, নাকি খণ্ড খণ্ড লাঞ্ছনা? আমরা কি সভ্য রাষ্ট্র চাই, নাকি আবেগনির্ভর এক কুৎসিত আগামী?
যদি সত্যিই কেউ অপরাধী হয়—তাকে আদালতে দাঁড় করানো হোক। যুক্তি, প্রমাণ, আইন ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে বিচার হোক। যদি আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে হবে, তাকে সংস্কার করতে হবে, কিন্তু পায়ে পিষে মারার সংস্কৃতি গড়ে তোলা যাবে না।
একজন নূরুল হুদার অপমান, একজন মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা আমাদের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা যদি ইতিহাসের দায় নিতে পারি, তবে এই অপমানের প্রেক্ষাপটেও আমাদের মানবিক অবস্থান নিতে হবে। আজ যদি কেউ অপমানিত হয়, কাল সেই অপমান আপনার ঘরে আসতে পারে। আসুন, আমরা সভ্য হই। সাহসী হই। কিন্তু যেন কিছুতেই ন্যায়ভ্রষ্ট না হই।
এই দৃশ্য কল্পনা করুন—একজন বয়স্ক মানুষ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, যিনি একসময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, যিনি সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন দেশ ও জনগণের সেবায়—আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে। তাঁর চোখে অপমান, তাঁর শরীরে আতঙ্ক, আর চারপাশে রক্তচক্ষু নিক্ষেপকারী জনতা।
এ দৃশ্য কেবল একজন নূরুল হুদার অপমান নয়, এটি আমাদের বিবেকের, আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার, আমাদের মানবিক চেতনাবোধের গভীর অপমান। এ দৃশ্য আমাদের সবাইকে রক্তাক্ত করে।
কে এম নূরুল হুদা—২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার। হ্যাঁ, আমরা জানি সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ক্ষমতার ধারক-বাহকেরা সেই নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে রুদ্ধ করেছিল, ভোটাধিকারকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল, আর নির্বাচন কমিশন ছিল সেই যন্ত্রের অন্যতম চাকা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, একজন আমলার গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে আমরা কোন সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছি? বিচারপ্রার্থী এক সমাজ যদি নিজেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ায়, তাহলে ন্যায় কোথায়, মানবতা কোথায়, রাষ্ট্র কোথায়?
আমরা যারা আবেগে ভেসে গেছি, যারা এই দৃশ্য দেখে একটু-আধটু প্রশান্তিও পেয়েছি—আমরা আসলে সমাজকে কি আরও অস্থির, আরও প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলেছি না? এই অমানবিকতা একবার শুরু হলে আর থামে না। আজ হুদা, কাল হয়তো আরেকজন। আজ একজন ‘পাপী’ প্রমাণিত, কাল হয়তো আপনি বা আমি—কারণ আমরা হয় ভুল পক্ষের হয়ে ছিলাম অথবা যথাসময়ে নীরব ছিলাম।
আমরা ভেবেছিলাম, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের বিকল্প রাজনীতির ভিত্তি গড়ে তুলবে। কিন্তু আমরা মনে রাখিনি যে ইতিহাস কেবল শুদ্ধ আত্মত্যাগে চলে না—এটি ছিনতাই হয়ে যায়, বিকৃত হয় এবং ক্ষমতালোভীদের হাতে বন্দী হয়। আজ কি তেমন অবস্থা দেখছি?
কেউ একদিন রাষ্ট্রের নির্দেশ পালন করলে, পরদিন যদি তাঁকে রাস্তায় অপমানিত হতে হয়, তাহলে আজ যারা বর্তমান ক্ষমতাসীনদের নির্দেশে কিছু করবে, তারাও কি একদিন গণপিটুনির শিকার হবে?
তাই এখন প্রশ্ন একটাই: আমরা কি ন্যায় চাই, নাকি প্রতিশোধ? আমরা কি বিচার চাই, নাকি খণ্ড খণ্ড লাঞ্ছনা? আমরা কি সভ্য রাষ্ট্র চাই, নাকি আবেগনির্ভর এক কুৎসিত আগামী?
যদি সত্যিই কেউ অপরাধী হয়—তাকে আদালতে দাঁড় করানো হোক। যুক্তি, প্রমাণ, আইন ও মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে বিচার হোক। যদি আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে হবে, তাকে সংস্কার করতে হবে, কিন্তু পায়ে পিষে মারার সংস্কৃতি গড়ে তোলা যাবে না।
একজন নূরুল হুদার অপমান, একজন মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা আমাদের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা যদি ইতিহাসের দায় নিতে পারি, তবে এই অপমানের প্রেক্ষাপটেও আমাদের মানবিক অবস্থান নিতে হবে। আজ যদি কেউ অপমানিত হয়, কাল সেই অপমান আপনার ঘরে আসতে পারে। আসুন, আমরা সভ্য হই। সাহসী হই। কিন্তু যেন কিছুতেই ন্যায়ভ্রষ্ট না হই।
বাংলাদেশে আর যা কিছুরই অভাব থাক না কেন রাজনৈতিক দলের কোনো অভাব নেই। নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে শতাধিক রাজনৈতিক দল আছে। সব দলের নাম যেমন সবার জানা নেই, তেমনি সব দলের নেতাদের নামও বেশির ভাগ মানুষের কাছে অজানা। ছোট দেশ, কিন্তু মানুষের সংখ্যা অনেক। সব মানুষ আবার এক চিন্তার নয়। তাই ১৭-১৮ কোটি মানুষের...
৭ ঘণ্টা আগে২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেওয়া এক সাক্ষ্যে তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে বিজয় অর্জন এবং ইরাক ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র পৌঁছাতে না দেওয়ার জন্য ইরাকে আক্রমণ চালানো জরুরি। তিনি আরও দাবি করেন...
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া দলটি ‘নতুন বন্দোবস্তের’ স্লোগান দিয়ে নিজেদের নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারক হিসেবে তুলে ধরেছে। বিশেষ করে, নারীর নেতৃত্ব, অংশগ্রহণ ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রশ্নে এনসিপির বাণীতে
১ দিন আগেসমাপ্তপ্রায় অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে, এ সময়ে দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে ২৮.৭৯ শতাংশ ও মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ২৫.৫৬ শতাংশ। প্রায় একই ধরনের অর্থনৈতিক প্রবণতার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যরোও (বিবিএস)।
১ দিন আগে