সম্পাদকীয়
প্রতিদিন আমরা নানা নিষ্ঠুর ও অমানবিক ঘটনার খবর পড়ে, শুনে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, মনে হয় ভালো কিছু বুঝি আর কোথাও ঘটে না; ভালো খবর শুনে বুঝি আর মন ভালো করা হয়ে উঠবে না। কিন্তু না, সংখ্যায় কম হলেও পৃথিবীতে এখনও ভালো কিছু ঘটে, পৃথিবীতে এখনও হৃদয়বান ভালো মানুষ আছেন। এখনও মানুষের বিপদে মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়। সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি। বিবেকবোধ, মানবিক হৃদয়বৃত্তি এখনও জাগ্রত আছে বলেই পৃথিবীটা টিকে আছে, মানুষ বসবাস করতে পারছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের এক দরিদ্র রিকশাচালকের শিশুকন্যার চিকিৎসার জন্য কিছু সহৃদয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসার খবর গণমাধ্যমে পড়ে যেকোনো মানুষের ভালো লাগবে, মানুষ হিসেবে নিজে গৌরব বোধ করার প্রেরণা জাগবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ সালান্দর গ্রামের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক তারেক ইসলামের সাত মাসের শিশুকন্যা জান্নাত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।রিকশাচালক বাবার কাছে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না। লকডাউনের কারণে গণপরিবহনও বন্ধ। এ অবস্থায় নিরুপায় বাবা অসুস্থ মেয়েকে রিকশায় করে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বের রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পথে নানা অসুবিধা হয়েছে, রিকশার ব্যাটারির চার্জ শেষ গেছে। অন্য একাধিক মানুষের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল দুপুরে জান্নাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানোর অবস্থা তার গরিব বাবার ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর প্রচার হওয়ার পর রংপুরের 'স্ব' নামের একটি সুপারশপের মালিক জান্নাতের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এগিয়ে আসেন। আরও কিছু ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় জান্নাতের চিকিৎসা নিয়ে তার পরিবারের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।
১৯ এপ্রিল জান্নাতের অপারেশন সফল হয়েছে। শিশুটির পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচিয়ে গিয়েছিল। তার অস্ত্রোপচার করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার উপেন্দ্রনাথ রায়। তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি ভালো আছে।
আমরা আশা করি, শিশু জান্নাত দ্রুত আরোগ্য হয়ে মা-বাবার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে যাক। তার ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল হোক। যাঁরা জান্নাতকে নতুন জীবনদানে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের আমরা অভিনন্দন জানাই। মানুষের জন্য মানুষের এই দরদ-ভালোবাসায় যেন কিছুতেই ঘাটতি দেখা না দেয়। মানুষ মানুষের পাশে থেকে তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেওয়া অব্যাহত রাখুক।
প্রতিদিন আমরা নানা নিষ্ঠুর ও অমানবিক ঘটনার খবর পড়ে, শুনে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, মনে হয় ভালো কিছু বুঝি আর কোথাও ঘটে না; ভালো খবর শুনে বুঝি আর মন ভালো করা হয়ে উঠবে না। কিন্তু না, সংখ্যায় কম হলেও পৃথিবীতে এখনও ভালো কিছু ঘটে, পৃথিবীতে এখনও হৃদয়বান ভালো মানুষ আছেন। এখনও মানুষের বিপদে মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়। সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি। বিবেকবোধ, মানবিক হৃদয়বৃত্তি এখনও জাগ্রত আছে বলেই পৃথিবীটা টিকে আছে, মানুষ বসবাস করতে পারছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের এক দরিদ্র রিকশাচালকের শিশুকন্যার চিকিৎসার জন্য কিছু সহৃদয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসার খবর গণমাধ্যমে পড়ে যেকোনো মানুষের ভালো লাগবে, মানুষ হিসেবে নিজে গৌরব বোধ করার প্রেরণা জাগবে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ সালান্দর গ্রামের ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক তারেক ইসলামের সাত মাসের শিশুকন্যা জান্নাত অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।রিকশাচালক বাবার কাছে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না। লকডাউনের কারণে গণপরিবহনও বন্ধ। এ অবস্থায় নিরুপায় বাবা অসুস্থ মেয়েকে রিকশায় করে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বের রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পথে নানা অসুবিধা হয়েছে, রিকশার ব্যাটারির চার্জ শেষ গেছে। অন্য একাধিক মানুষের সহযোগিতায় ১৭ এপ্রিল দুপুরে জান্নাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানোর অবস্থা তার গরিব বাবার ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর প্রচার হওয়ার পর রংপুরের 'স্ব' নামের একটি সুপারশপের মালিক জান্নাতের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এগিয়ে আসেন। আরও কিছু ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় জান্নাতের চিকিৎসা নিয়ে তার পরিবারের দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।
১৯ এপ্রিল জান্নাতের অপারেশন সফল হয়েছে। শিশুটির পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচিয়ে গিয়েছিল। তার অস্ত্রোপচার করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার উপেন্দ্রনাথ রায়। তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি ভালো আছে।
আমরা আশা করি, শিশু জান্নাত দ্রুত আরোগ্য হয়ে মা-বাবার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে যাক। তার ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল হোক। যাঁরা জান্নাতকে নতুন জীবনদানে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের আমরা অভিনন্দন জানাই। মানুষের জন্য মানুষের এই দরদ-ভালোবাসায় যেন কিছুতেই ঘাটতি দেখা না দেয়। মানুষ মানুষের পাশে থেকে তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেওয়া অব্যাহত রাখুক।
প্রতিদিন সূর্য ওঠে, শিশুরা ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যায়। ব্যাগে বই-খাতার ফাঁকে ছোট ছোট স্বপ্ন থাকে—কেউ হবে বৈজ্ঞানিক, কেউ বলে ‘আমি পাইলট হব’, কারও চোখে ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছা। কেউ কারও প্রিয় বন্ধু, কেউ ভাইয়ের মতো, কেউ স্কুলে প্রথম হয়ে মা-বাবার গর্ব হবে বলে শপথ করে। কিন্তু আজ...সব ভুলে গিয়ে শুধু একটাই...
৮ ঘণ্টা আগেক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়—বিরোধী দলে থাকলে সবাই এ কথা বলে, কিন্তু শাসকে পরিণত হলে তা ভুলে যায়। বঙ্গবন্ধুর মতো জনপ্রিয় নেতাও এই চিরন্তন সত্যের ব্যতিক্রম ছিলেন না। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে যাওয়া তরুণদের কাছেও শেখ মুজিব ছিলেন প্রথম সহায়—সেই মুজিব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় থেকেও একসময় পাকিস্তানিদের...
৮ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ভবনে সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে আছে পুরো জাতি। স্কুলের শিক্ষার্থীরাই মূলত ওই দুর্ঘটনার শিকার হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব ছবি কিংবা ভিডিও দেখা গেছে, তার বেশির ভাগই বীভৎস...
৮ ঘণ্টা আগেনয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা জোরদারকরণ, বিনিয়োগে খুদে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রভৃতি দিক বিবেচনায় বাজেটে ও রাষ্ট্রের অন্যান্য নীতিমালায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বহুদিন ধরেই বলা হচ্ছে।
১ দিন আগে