স্বপ্না রেজা
দিনাজপুরের মনি-মুক্তার কথা কারও মনে আছে কি, জন্মের পরপরই যারা সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল? ২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া দুই বোন, যারা একে অপরের পেটের সঙ্গে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল। এমন জোড়া সন্তান প্রসব করায় মা-বাবাসহ পুরো পরিবার ছিল তখন রীতিমতো দিশেহারা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। অনেকে ধারণা করেছিল, এই জোড়াকে হয়তো বাঁচানো বা টিকিয়ে রাখা যাবে না, সম্ভব হবে না। কিংবা অস্ত্রোপচার করলে হয়তো একজন বাঁচবে, অন্যজনকে বাঁচানো যাবে না। এমন শত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসকের সফল অস্ত্রোপচারে দুই বোনকে আলাদা করা সম্ভব হয়, তারা আলাদা সত্তায় পরিণত হয়। বাংলাদেশ চিকিৎসা বিভাগে এ এক যুগান্তকারী ঘটনা বটে। জানি না এই সফল চিকিৎসকের মূল্যায়ন আদৌ করা হয়েছে কি না বা হলেও সেটাই-বা কী ধরনের; যেখানে এমনিতে বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা-ভরসা কম, একেবারে নেই বললেই চলে। চিকিৎসাব্যবস্থা আবার বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ায় দারুণ এক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সেখানে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া জোড়া শিশুর এমন চিকিৎসাব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয়।
যাহোক, সেই মনি-মুক্তা এখন ১৬ বছরের দুই প্রাণবন্ত কিশোরী। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাদের দেখার সৌভাগ্য হলো। অবিকল এক রকম দেখতে এই দুই বোনকে আলাদা করা কঠিন হলেও আলাদা করা যায় বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। নিজেদের মুখেই সেই কথা শোনাল তারা। আর সেটা হলো, এক বোনের আছে নাকে তিল, আরেক বোনের গালে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এই দুই বৈশিষ্ট্যে তাদের শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। তাদের মা বলছিলেন, পাঁচ মাস পর্যন্ত তারা জোড়া অবস্থায় ছিল। পেটের সঙ্গে পেট লেগে থাকায় একজন নড়লে অন্যজনও নড়ে উঠত। একজন আরেকজনের চুল ধরে টান দিত। একজন কাঁদতে শুরু করলে অন্যজনও কেঁদে উঠত। কৌতূহলবশত গ্রামের লোকজন তাদের দেখতে আসত। কোনোভাবে যেন তাদের কৌতূহল আর কমে না!
স্বাভাবিক জীবনে এসে একপর্যায়ে দুই বোন স্কুলে যেতে শুরু করে আর দশজনের মতো। জন্মের পরপরই তাদের যে শারীরিক কঠিন ও অস্বাভাবিক অবস্থা ছিল, এখন তাদের দেখে যেন সেটা অনুমান করাও সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচারের সেলাইয়ের দাগ আছে যদিও। জোড়া লাগা দুই শিশু ভবিষ্যতে পৃথক সত্তায় জীবনযাপন করবে, বেড়ে উঠবে—ব্যাপারটা ধারণাতীত হলেও সৃষ্টিকর্তার এ এক পরম আশীর্বাদ, যা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দ্বারা। পৃথক হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে মনি-মুক্তা পড়াশোনা শুরু করে। পরীক্ষায় একজন কোনো বিষয়ে ভালো নম্বর পেলে অন্যজন চেষ্টা করে আরেকটা বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে, এগিয়ে থাকতে। অভিন্ন থাকায় তারা ছিল এক রকম, আর ভিন্ন হওয়ায় তারা আরেক রকম, একে অন্যের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে। এটাই বাস্তবতা।
এমন ঘটনার মধ্যে যে সত্য দেখতে পাই সেটা হলো, জীবনে কোনো শিরোনামই স্থির নয়, নয় কোনো অবস্থা ও অবস্থান চিরস্থায়ী। সৃষ্টিকর্তার বিধানের নাগাল পাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। প্রকৃতির ধরাছোঁয়ার বাইরের এক নিয়মে গোটা মানবজাতি ঘুরপাক খায় অনবরত। সময়, প্রয়োজন, বেঁচে থাকার চিন্তাচেতনা মানুষকে বদলে দেয়, বদলে দিতে বাধ্য হয়, একসময়ে পৌঁছে দেয় অজানায়, যেখান থেকে নতুনভাবে সব শুরু হয় আবার, শুরু হতে হয় নতুন করে, নতুন নিয়মে।
শুধু কি ব্যক্তি তার নিজের প্রয়োজনে বদলায়? নিশ্চয়ই না। অন্যের প্রয়োজনেও কেউ বদলাতে পারে, কাউকে কাউকে বদলাতে হয়। আর এই বদলানোটা হয় অন্যের প্রয়োজন মেটাতে। কারও কারও ভেতর আরেক ধরনের তীব্র প্রয়োজন সৃষ্টি হয়, যা মেটাতে ব্যক্তি মরিয়া হয়, অনেকটা অজান্তে বদলে যায় তারা। যেমন ধরুন, একজন ব্যক্তি অতিপরিচিত কাউকে আর চিনতে পারছে না, চিনতে চাইছে না তার নিজের কোনো একটা স্বার্থে, এমন অবস্থায় যাকে চিনতে চাইছে না, সে মরিয়া হয়ে উঠবে তাকেও ভুলে যেতে। তার ভেতর ভুলে যাওয়ার তীব্র প্রয়োজন বোধ জেগে উঠবে। মজার বিষয় হলো, নিজ প্রয়োজন ও পরিবর্তনের বিষয়টা সহজে কেউ অন্যের কাছে স্বীকার করে না বা প্রকাশ করতে চায় না।
মনি-মুক্তাকে আলাদা করা সম্ভব না হলে কি তারা বেঁচে থাকত, কিংবা জোড়া অবস্থায় তাদের জীবনযাপনই-বা কেমন হতো—এমন প্রশ্নের জবাব অনুমান করে বলা যায়, যার অর্থ ভালো কিছু বা সন্তোষজনক হবে না। সমাজের প্রচলিত আচরণগুলো ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিনির্ভর। মূল্যবোধ যেখানে গৌণ। দিন দিন ভালো কিছু ভাবার শক্তি মানুষ হারিয়েছে। অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো এর নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করে। বলতেই হয়, মা-বাবার অদম্য সাহস ও প্রার্থনায় মনি ও মুক্তা আজ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে। অভিন্নতার বিষয়টা যা তাদের এমন সুস্থতা দিতে পারত না।
মনি-মুক্তা একসঙ্গে জোড়া অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। জোড়া অবস্থায় তাদের জন্ম নিশ্চিত হয়েছে। মৃত্যুর কথা কিন্তু কেউ বলতে পারে না। তবে জোড়া অবস্থায় যে যাওয়া হবে না, এটা যে কেউ অনুমান করে বলতে পারে। তারপরও সৃষ্টিকর্তার লীলা বলে একটা খেলা তো দুনিয়ায় চলেই। তিনি যেভাবে নির্ধারণ করেছেন আসা ও যাওয়ার বিষয়, সেইভাবে সবাইকে আসা ও যাওয়া করতে হবে। যমজদের ভেতর আবেগ-অনুভূতির সাদৃশ্য থাকে, মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যেটা হয় জিনগত কারণে। তারপরও তারা আলাদা। আলাদা স্বকীয়তায় নিজেদের প্রকাশ করে, গড়ে তোলে। যেটা আমরা দেখি মনি-মুক্তার মাঝে।
মানুষ কি অভিন্ন বা অবিচ্ছিন্ন হতে পারে? না। অভিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন শব্দগুলো মূলত আবেগময়। এই শব্দগুলো ব্যবহার করে ব্যক্তি সাধারণত তার কোনো উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য, যে উদ্দেশ্য হয়তো সে নিজেও অনুধাবন করতে পারে না। সুপ্তভাবে থেকে যায় ব্যক্তির ভেতর। একটা সময়ে এসে আবেগ কমে যায় এবং সেটা হয় বাস্তবতার কারণে। তখন তার আসল স্বরূপ উন্মোচিত হয়। ব্যক্তিমাত্রই আলাদা, এমন সত্য দৃশ্যমান হয়।
স্বপ্না রেজা, কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক
দিনাজপুরের মনি-মুক্তার কথা কারও মনে আছে কি, জন্মের পরপরই যারা সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল? ২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া দুই বোন, যারা একে অপরের পেটের সঙ্গে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল। এমন জোড়া সন্তান প্রসব করায় মা-বাবাসহ পুরো পরিবার ছিল তখন রীতিমতো দিশেহারা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। অনেকে ধারণা করেছিল, এই জোড়াকে হয়তো বাঁচানো বা টিকিয়ে রাখা যাবে না, সম্ভব হবে না। কিংবা অস্ত্রোপচার করলে হয়তো একজন বাঁচবে, অন্যজনকে বাঁচানো যাবে না। এমন শত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসকের সফল অস্ত্রোপচারে দুই বোনকে আলাদা করা সম্ভব হয়, তারা আলাদা সত্তায় পরিণত হয়। বাংলাদেশ চিকিৎসা বিভাগে এ এক যুগান্তকারী ঘটনা বটে। জানি না এই সফল চিকিৎসকের মূল্যায়ন আদৌ করা হয়েছে কি না বা হলেও সেটাই-বা কী ধরনের; যেখানে এমনিতে বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা-ভরসা কম, একেবারে নেই বললেই চলে। চিকিৎসাব্যবস্থা আবার বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ায় দারুণ এক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সেখানে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া জোড়া শিশুর এমন চিকিৎসাব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয়।
যাহোক, সেই মনি-মুক্তা এখন ১৬ বছরের দুই প্রাণবন্ত কিশোরী। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে তাদের দেখার সৌভাগ্য হলো। অবিকল এক রকম দেখতে এই দুই বোনকে আলাদা করা কঠিন হলেও আলাদা করা যায় বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। নিজেদের মুখেই সেই কথা শোনাল তারা। আর সেটা হলো, এক বোনের আছে নাকে তিল, আরেক বোনের গালে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব এই দুই বৈশিষ্ট্যে তাদের শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। তাদের মা বলছিলেন, পাঁচ মাস পর্যন্ত তারা জোড়া অবস্থায় ছিল। পেটের সঙ্গে পেট লেগে থাকায় একজন নড়লে অন্যজনও নড়ে উঠত। একজন আরেকজনের চুল ধরে টান দিত। একজন কাঁদতে শুরু করলে অন্যজনও কেঁদে উঠত। কৌতূহলবশত গ্রামের লোকজন তাদের দেখতে আসত। কোনোভাবে যেন তাদের কৌতূহল আর কমে না!
স্বাভাবিক জীবনে এসে একপর্যায়ে দুই বোন স্কুলে যেতে শুরু করে আর দশজনের মতো। জন্মের পরপরই তাদের যে শারীরিক কঠিন ও অস্বাভাবিক অবস্থা ছিল, এখন তাদের দেখে যেন সেটা অনুমান করাও সম্ভব নয়। অস্ত্রোপচারের সেলাইয়ের দাগ আছে যদিও। জোড়া লাগা দুই শিশু ভবিষ্যতে পৃথক সত্তায় জীবনযাপন করবে, বেড়ে উঠবে—ব্যাপারটা ধারণাতীত হলেও সৃষ্টিকর্তার এ এক পরম আশীর্বাদ, যা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দ্বারা। পৃথক হওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মে মনি-মুক্তা পড়াশোনা শুরু করে। পরীক্ষায় একজন কোনো বিষয়ে ভালো নম্বর পেলে অন্যজন চেষ্টা করে আরেকটা বিষয়ে ভালো নম্বর পেতে, এগিয়ে থাকতে। অভিন্ন থাকায় তারা ছিল এক রকম, আর ভিন্ন হওয়ায় তারা আরেক রকম, একে অন্যের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে। এটাই বাস্তবতা।
এমন ঘটনার মধ্যে যে সত্য দেখতে পাই সেটা হলো, জীবনে কোনো শিরোনামই স্থির নয়, নয় কোনো অবস্থা ও অবস্থান চিরস্থায়ী। সৃষ্টিকর্তার বিধানের নাগাল পাওয়া কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। প্রকৃতির ধরাছোঁয়ার বাইরের এক নিয়মে গোটা মানবজাতি ঘুরপাক খায় অনবরত। সময়, প্রয়োজন, বেঁচে থাকার চিন্তাচেতনা মানুষকে বদলে দেয়, বদলে দিতে বাধ্য হয়, একসময়ে পৌঁছে দেয় অজানায়, যেখান থেকে নতুনভাবে সব শুরু হয় আবার, শুরু হতে হয় নতুন করে, নতুন নিয়মে।
শুধু কি ব্যক্তি তার নিজের প্রয়োজনে বদলায়? নিশ্চয়ই না। অন্যের প্রয়োজনেও কেউ বদলাতে পারে, কাউকে কাউকে বদলাতে হয়। আর এই বদলানোটা হয় অন্যের প্রয়োজন মেটাতে। কারও কারও ভেতর আরেক ধরনের তীব্র প্রয়োজন সৃষ্টি হয়, যা মেটাতে ব্যক্তি মরিয়া হয়, অনেকটা অজান্তে বদলে যায় তারা। যেমন ধরুন, একজন ব্যক্তি অতিপরিচিত কাউকে আর চিনতে পারছে না, চিনতে চাইছে না তার নিজের কোনো একটা স্বার্থে, এমন অবস্থায় যাকে চিনতে চাইছে না, সে মরিয়া হয়ে উঠবে তাকেও ভুলে যেতে। তার ভেতর ভুলে যাওয়ার তীব্র প্রয়োজন বোধ জেগে উঠবে। মজার বিষয় হলো, নিজ প্রয়োজন ও পরিবর্তনের বিষয়টা সহজে কেউ অন্যের কাছে স্বীকার করে না বা প্রকাশ করতে চায় না।
মনি-মুক্তাকে আলাদা করা সম্ভব না হলে কি তারা বেঁচে থাকত, কিংবা জোড়া অবস্থায় তাদের জীবনযাপনই-বা কেমন হতো—এমন প্রশ্নের জবাব অনুমান করে বলা যায়, যার অর্থ ভালো কিছু বা সন্তোষজনক হবে না। সমাজের প্রচলিত আচরণগুলো ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিনির্ভর। মূল্যবোধ যেখানে গৌণ। দিন দিন ভালো কিছু ভাবার শক্তি মানুষ হারিয়েছে। অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো এর নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করে। বলতেই হয়, মা-বাবার অদম্য সাহস ও প্রার্থনায় মনি ও মুক্তা আজ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে। অভিন্নতার বিষয়টা যা তাদের এমন সুস্থতা দিতে পারত না।
মনি-মুক্তা একসঙ্গে জোড়া অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছে। জোড়া অবস্থায় তাদের জন্ম নিশ্চিত হয়েছে। মৃত্যুর কথা কিন্তু কেউ বলতে পারে না। তবে জোড়া অবস্থায় যে যাওয়া হবে না, এটা যে কেউ অনুমান করে বলতে পারে। তারপরও সৃষ্টিকর্তার লীলা বলে একটা খেলা তো দুনিয়ায় চলেই। তিনি যেভাবে নির্ধারণ করেছেন আসা ও যাওয়ার বিষয়, সেইভাবে সবাইকে আসা ও যাওয়া করতে হবে। যমজদের ভেতর আবেগ-অনুভূতির সাদৃশ্য থাকে, মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যেটা হয় জিনগত কারণে। তারপরও তারা আলাদা। আলাদা স্বকীয়তায় নিজেদের প্রকাশ করে, গড়ে তোলে। যেটা আমরা দেখি মনি-মুক্তার মাঝে।
মানুষ কি অভিন্ন বা অবিচ্ছিন্ন হতে পারে? না। অভিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন শব্দগুলো মূলত আবেগময়। এই শব্দগুলো ব্যবহার করে ব্যক্তি সাধারণত তার কোনো উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য, যে উদ্দেশ্য হয়তো সে নিজেও অনুধাবন করতে পারে না। সুপ্তভাবে থেকে যায় ব্যক্তির ভেতর। একটা সময়ে এসে আবেগ কমে যায় এবং সেটা হয় বাস্তবতার কারণে। তখন তার আসল স্বরূপ উন্মোচিত হয়। ব্যক্তিমাত্রই আলাদা, এমন সত্য দৃশ্যমান হয়।
স্বপ্না রেজা, কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক
গত জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশন একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটা এ বছরের শুরুর দিকের কথা। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে হাসিনা সরকারের নির্মম কর্মকাণ্ডের একটা প্রাথমিক চিত্র পাওয়া যায়।
১৩ ঘণ্টা আগে৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন যে নারীরা, সখিনা বেগম ছিলেন তাঁদের অন্যতম। পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেশুধু বাংলাদেশই না, সারা পৃথিবীটাই একটা রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ বলতে যা বোঝায়, তার একটা চরম প্রদর্শনী হচ্ছে ইসরায়েলে। যুদ্ধবাজ এক জাতি তার নিরপরাধ প্রতিবেশী গাজা উপত্যকায় একটা মৃত্যুফাঁদ রচনা করে রক্তের উন্মুক্ত খেলায় মেতেছে। সেই জায়গা থেকে তারা অস্ত্রের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে ইরানে। ইরানের ক্ষম
২ দিন আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ শুধু একটি আঞ্চলিক লড়াই নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য, সামরিক প্রযুক্তি, ধর্মীয় মতাদর্শ ও আন্তর্জাতিক শক্তির দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। গণমাধ্যমে এ নিয়ে যেভাবে নানা মতপ্রকাশ ঘটছে—কোনোটি ইরানকে দুর্বল, আবার কোনোটি ইসরায়েলকে বিপদে বলছে—তাতে প্রকৃত অবস্থা
২ দিন আগে