সৌভিক রেজা
কায়েস আহমেদের প্রিয় সাহিত্যিকদের একজন ছিলেন প্রয়াত হাসান আজিজুল হক। শক্তিমান সেই হাসান আজিজুল হক একবার বলেছিলেন, ‘লেখকমাত্রই অনন্য, স্বতন্ত্রভাবে ভোগ্য ও অনুসন্ধানযোগ্য।’ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও আমাদের জানিয়েছিলেন, ‘সাহিত্যবিষয়ক সাধারণ নিয়মকানুনের সিদ্ধান্ত নয়, লেখকদের রচনা এবং রচনা বিচার করেই সাধারণ নিয়মকানুন তৈরি হয়।’ তাঁর এই সাহিত্যচিন্তার ওপর ভর দিয়ে হাসান আজিজুল হক এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছিলেন, ‘লেখকে-লেখকে ভিন্নতা আমি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে রাজি এবং যতটা খোলা মন নিয়ে আমি তাঁদের সম্মুখীন হতে চাই, তাকে কেউ নৈরাজ্যিক বললেও আমার আপত্তি হবে না।’ কায়েস আহমেদের মধ্যেও আমরা সেই রকম কোনো আপত্তি কখনো দেখিনি।
আপত্তিটা যে তিনি দেখেননি তার কারণ হচ্ছে, কায়েস আহমেদ জানতেন একাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশ আর আগের মতো নেই। একটা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক রাজনীতি আর আগের মতো থাকে না, থাকতে পারে না। তাঁর সেই উপলব্ধি থেকেই কায়েসের মনে হয়েছিল, ‘এই পরিবর্তিত বাস্তবতাকে নতুন আঙ্গিকেই ধরতে হবে।’ আর সেই ‘নতুন আঙ্গিকে ধরতে হলে প্রথমেই চিনতে হবে এই বাস্তবতার স্বরূপটিকে, তাকে যদি যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, তখনই আসবে তাকে ধরার কলাকৌশলের প্রসঙ্গটি।’ একজন লেখক, তা তিনি যতই বড় মাপের হোন না কেন, পরিবর্তনের এই সূত্রটির সন্ধান না পেলে, সেটিকে না পারলে নতুন আঙ্গিকে নতুন দিনের বাস্তবতাকে সাহিত্যে চিত্রিত করতে সক্ষম হবেন—এমনটা কখনোই কায়েস ভাবতে পারেননি, কারও পক্ষে সেটি ভাবতে পারা সম্ভবও নয়।
একজন লেখক হিসেবে নিজের সামর্থ্যের পাশাপাশি তাঁর সীমাবদ্ধতাকেও বোঝার ক্ষমতা কায়েসের ছিল। ‘আমার লেখা’ প্রবন্ধের মাধ্যমে নিজের পাঠকদের অকপটে তিনি বলতে পেরেছিলেন, ‘নিজেকে এত যে দুমড়ে-মুচড়ে-নিংড়ে শেষ করে লেখাটা লিখলাম, সেই লেখাই যখন ছাপার হরফে দেখি, তখন নিজের অক্ষমতার জন্য নিজের ওপরেই রাগ ধরে। কোথায়? যেমন করে কথাগুলো বলতে চেয়েছিলাম, তা বলা হলো কোথায়?’ তখন কায়েসের মনে হতে থাকে, ‘এই হলো আমার লেখালেখির অন্দরমহলের খবর। না, নিজের লেখা নিয়ে আমি স্থির নিশ্চিত হতে পারিনি এখনো। সারা জীবনেও কি পারব?’
নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটা অনিশ্চিত ভাবনা পাড়ি দেওয়ার পরেও কায়েস বলেছিলেন, ‘তবে একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, যত দিন বেঁচে থাকব, লিখে যেতে হবে আমাকে। না লিখলে জীবনযাপনের এত যে চাপ, প্রতি মুহূর্তের এত লাঞ্ছনা, এত অপমান, ক্রোধ, ঘৃণা, হতাশা, ক্লান্তি, ভালোবাসা, সাধ, স্বপ্ন, বিশ্বাস—এসব ধারণ করব কীভাবে? কাজেই লিখতেই হবে আমাকে।’ কায়েস এভাবেই তাঁর সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে, একজন লেখক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন আমৃত্যু।
কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মনে করতেন, সৎ কথাসাহিত্যিক কখনোই কারও নির্দেশ মেনে লেখালেখি করেন না। ইলিয়াসের মতে, ‘কবির মতো কথাসাহিত্যিকও সত্য অনুসন্ধানে ব্যাপৃত, কিন্তু কবির দায়িত্ব তার সারাৎসারটি প্রকাশ করা, কিন্তু এই সত্য জ্ঞাপন করার জন্য কথাসাহিত্যিককে পরিভ্রমণ করতে হয় বড়, দীর্ঘ, কখনো কখনো অস্বস্তিকর পথ।’ কেন সেটি অস্বস্তিকর, তা খোলাসা করতে গিয়ে ইলিয়াস জানিয়েছিলেন, ‘যে-প্রেক্ষিতে তিনি ব্যক্তির ভেতরটা উন্মোচন করেন, বেশির ভাগ সময়েই তা আর যাই হোক রুচিকর নয়; শিল্পীর মার্জিত রুচি বলে যা পরিচিত, তাতে তার সায় নেই। কিন্তু কবির মতো এক কথায় তিনি কিছু নাকচ বা ঘোষণা করতে পারেন না।’
একই কারণে তাঁর লেখালেখির দীর্ঘ-একটা পথ পাড়ি দেওয়ার পরে কায়েসের মনে হয়েছিল, ‘এমন একটা সময় আসে শিল্প-সাহিত্যে যখন প্রচলিত, প্রথাগত বাঁধা সড়কে চলতে আর মন চায় না। ঘাড় বাঁকানো জেদি ঘোড়ার মতো ভেতরে-ভেতরে পা ঠোঁকে। কখনো কোনো পরাক্রান্ত একক ব্যক্তিত্বের হাতে, কখনো একদল মানুষের সম্মিলিত সাধনায় পাশ বদলের পতাকা ওড়ে।’ নিজের ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নিয়েও লেখকের একক ব্যক্তিত্ব বা সম্মিলিত মানুষের সাধনার পরিক্রমকে মেনে নিতে কায়েসের কখনো আপত্তি হয়নি।
একজন সৎ লেখককে একা পথ চলতে হয় আর সেই সঙ্গে তাঁকে তৈরি করে নিতে হয় নিজের মতো করে একটি আলাদা জগৎ। হাসান আজিজুল হকের কথাটা মেনে নিয়েও নিজের প্রবণতা অনুযায়ী কায়েস আহমেদ বলেছিলেন, ‘এই দ্বিবিধ প্রচেষ্টার মধ্যেই থাকে কোনো সমবায়ী ব্যাপার নয়—একক সাধনাই—তবু সমসাময়িক এদের মধ্যে কোথাও না কোথাও ঐক্য থাকে।’ তিনি বিশ্বাস করতে চেয়েছিলেন যে, ‘এই দ্বিবিধ প্রচেষ্টার মধ্যে’ থাকে নতুনভাবে নতুন চোখে দেখা এবং দেখানোর অন্তর্লীন আর্তি। এভাবেই নিজের সাহিত্যচিন্তাকে একটা উজ্জ্বল পরিধিতে স্থাপনের প্রচেষ্টা কায়েসের মধ্যে ছিল। আবার এ-ও তো সত্যি যে, কায়েস আহমেদের সেই প্রয়াস খুব একটা সফলতার চেহারা দেখতে পায়নি। নিজের ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর নিজের ভেতরেই তিনি ঘুরপাক খেয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
একটা অসহিষ্ণু রাষ্ট্রের সহিষ্ণু মানুষ হওয়ার কোনো উপায় আজকের দিনের লেখকের নেই, কায়েসেরও ছিল না। নতুবা নিজের জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেছে নেওয়া, এইভাবে পরাজিত হওয়ার মতো মানুষ কায়েস তো নন। শুধুই নিজের জীবনকে নয়, তাঁর গোটা জীবনের সাহিত্যকর্মকেও যেন একটা তীক্ষ্ণ পথরেখায় টেনে নিয়ে গেলেন তিনি।
১৯৯২ সালের ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন কায়েস আহমেদ। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।
লেখক: অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কায়েস আহমেদের প্রিয় সাহিত্যিকদের একজন ছিলেন প্রয়াত হাসান আজিজুল হক। শক্তিমান সেই হাসান আজিজুল হক একবার বলেছিলেন, ‘লেখকমাত্রই অনন্য, স্বতন্ত্রভাবে ভোগ্য ও অনুসন্ধানযোগ্য।’ সেই সঙ্গে তিনি এ-ও আমাদের জানিয়েছিলেন, ‘সাহিত্যবিষয়ক সাধারণ নিয়মকানুনের সিদ্ধান্ত নয়, লেখকদের রচনা এবং রচনা বিচার করেই সাধারণ নিয়মকানুন তৈরি হয়।’ তাঁর এই সাহিত্যচিন্তার ওপর ভর দিয়ে হাসান আজিজুল হক এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছিলেন, ‘লেখকে-লেখকে ভিন্নতা আমি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে রাজি এবং যতটা খোলা মন নিয়ে আমি তাঁদের সম্মুখীন হতে চাই, তাকে কেউ নৈরাজ্যিক বললেও আমার আপত্তি হবে না।’ কায়েস আহমেদের মধ্যেও আমরা সেই রকম কোনো আপত্তি কখনো দেখিনি।
আপত্তিটা যে তিনি দেখেননি তার কারণ হচ্ছে, কায়েস আহমেদ জানতেন একাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশ আর আগের মতো নেই। একটা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক রাজনীতি আর আগের মতো থাকে না, থাকতে পারে না। তাঁর সেই উপলব্ধি থেকেই কায়েসের মনে হয়েছিল, ‘এই পরিবর্তিত বাস্তবতাকে নতুন আঙ্গিকেই ধরতে হবে।’ আর সেই ‘নতুন আঙ্গিকে ধরতে হলে প্রথমেই চিনতে হবে এই বাস্তবতার স্বরূপটিকে, তাকে যদি যথাযথভাবে শনাক্ত করা যায়, তখনই আসবে তাকে ধরার কলাকৌশলের প্রসঙ্গটি।’ একজন লেখক, তা তিনি যতই বড় মাপের হোন না কেন, পরিবর্তনের এই সূত্রটির সন্ধান না পেলে, সেটিকে না পারলে নতুন আঙ্গিকে নতুন দিনের বাস্তবতাকে সাহিত্যে চিত্রিত করতে সক্ষম হবেন—এমনটা কখনোই কায়েস ভাবতে পারেননি, কারও পক্ষে সেটি ভাবতে পারা সম্ভবও নয়।
একজন লেখক হিসেবে নিজের সামর্থ্যের পাশাপাশি তাঁর সীমাবদ্ধতাকেও বোঝার ক্ষমতা কায়েসের ছিল। ‘আমার লেখা’ প্রবন্ধের মাধ্যমে নিজের পাঠকদের অকপটে তিনি বলতে পেরেছিলেন, ‘নিজেকে এত যে দুমড়ে-মুচড়ে-নিংড়ে শেষ করে লেখাটা লিখলাম, সেই লেখাই যখন ছাপার হরফে দেখি, তখন নিজের অক্ষমতার জন্য নিজের ওপরেই রাগ ধরে। কোথায়? যেমন করে কথাগুলো বলতে চেয়েছিলাম, তা বলা হলো কোথায়?’ তখন কায়েসের মনে হতে থাকে, ‘এই হলো আমার লেখালেখির অন্দরমহলের খবর। না, নিজের লেখা নিয়ে আমি স্থির নিশ্চিত হতে পারিনি এখনো। সারা জীবনেও কি পারব?’
নিজের লেখালেখি নিয়ে এতটা অনিশ্চিত ভাবনা পাড়ি দেওয়ার পরেও কায়েস বলেছিলেন, ‘তবে একটি ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, যত দিন বেঁচে থাকব, লিখে যেতে হবে আমাকে। না লিখলে জীবনযাপনের এত যে চাপ, প্রতি মুহূর্তের এত লাঞ্ছনা, এত অপমান, ক্রোধ, ঘৃণা, হতাশা, ক্লান্তি, ভালোবাসা, সাধ, স্বপ্ন, বিশ্বাস—এসব ধারণ করব কীভাবে? কাজেই লিখতেই হবে আমাকে।’ কায়েস এভাবেই তাঁর সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে, একজন লেখক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন আমৃত্যু।
কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস মনে করতেন, সৎ কথাসাহিত্যিক কখনোই কারও নির্দেশ মেনে লেখালেখি করেন না। ইলিয়াসের মতে, ‘কবির মতো কথাসাহিত্যিকও সত্য অনুসন্ধানে ব্যাপৃত, কিন্তু কবির দায়িত্ব তার সারাৎসারটি প্রকাশ করা, কিন্তু এই সত্য জ্ঞাপন করার জন্য কথাসাহিত্যিককে পরিভ্রমণ করতে হয় বড়, দীর্ঘ, কখনো কখনো অস্বস্তিকর পথ।’ কেন সেটি অস্বস্তিকর, তা খোলাসা করতে গিয়ে ইলিয়াস জানিয়েছিলেন, ‘যে-প্রেক্ষিতে তিনি ব্যক্তির ভেতরটা উন্মোচন করেন, বেশির ভাগ সময়েই তা আর যাই হোক রুচিকর নয়; শিল্পীর মার্জিত রুচি বলে যা পরিচিত, তাতে তার সায় নেই। কিন্তু কবির মতো এক কথায় তিনি কিছু নাকচ বা ঘোষণা করতে পারেন না।’
একই কারণে তাঁর লেখালেখির দীর্ঘ-একটা পথ পাড়ি দেওয়ার পরে কায়েসের মনে হয়েছিল, ‘এমন একটা সময় আসে শিল্প-সাহিত্যে যখন প্রচলিত, প্রথাগত বাঁধা সড়কে চলতে আর মন চায় না। ঘাড় বাঁকানো জেদি ঘোড়ার মতো ভেতরে-ভেতরে পা ঠোঁকে। কখনো কোনো পরাক্রান্ত একক ব্যক্তিত্বের হাতে, কখনো একদল মানুষের সম্মিলিত সাধনায় পাশ বদলের পতাকা ওড়ে।’ নিজের ব্যর্থতাকে স্বীকার করে নিয়েও লেখকের একক ব্যক্তিত্ব বা সম্মিলিত মানুষের সাধনার পরিক্রমকে মেনে নিতে কায়েসের কখনো আপত্তি হয়নি।
একজন সৎ লেখককে একা পথ চলতে হয় আর সেই সঙ্গে তাঁকে তৈরি করে নিতে হয় নিজের মতো করে একটি আলাদা জগৎ। হাসান আজিজুল হকের কথাটা মেনে নিয়েও নিজের প্রবণতা অনুযায়ী কায়েস আহমেদ বলেছিলেন, ‘এই দ্বিবিধ প্রচেষ্টার মধ্যেই থাকে কোনো সমবায়ী ব্যাপার নয়—একক সাধনাই—তবু সমসাময়িক এদের মধ্যে কোথাও না কোথাও ঐক্য থাকে।’ তিনি বিশ্বাস করতে চেয়েছিলেন যে, ‘এই দ্বিবিধ প্রচেষ্টার মধ্যে’ থাকে নতুনভাবে নতুন চোখে দেখা এবং দেখানোর অন্তর্লীন আর্তি। এভাবেই নিজের সাহিত্যচিন্তাকে একটা উজ্জ্বল পরিধিতে স্থাপনের প্রচেষ্টা কায়েসের মধ্যে ছিল। আবার এ-ও তো সত্যি যে, কায়েস আহমেদের সেই প্রয়াস খুব একটা সফলতার চেহারা দেখতে পায়নি। নিজের ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর নিজের ভেতরেই তিনি ঘুরপাক খেয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
একটা অসহিষ্ণু রাষ্ট্রের সহিষ্ণু মানুষ হওয়ার কোনো উপায় আজকের দিনের লেখকের নেই, কায়েসেরও ছিল না। নতুবা নিজের জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুকে বেছে নেওয়া, এইভাবে পরাজিত হওয়ার মতো মানুষ কায়েস তো নন। শুধুই নিজের জীবনকে নয়, তাঁর গোটা জীবনের সাহিত্যকর্মকেও যেন একটা তীক্ষ্ণ পথরেখায় টেনে নিয়ে গেলেন তিনি।
১৯৯২ সালের ১৪ জুন আত্মহত্যা করেন কায়েস আহমেদ। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।
লেখক: অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
একটি সফল গণ-অভ্যুত্থানের মাত্র এক বছরের মধ্যে প্রশ্নটি সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছে। কারণ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যহীন অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক দেশ এবং ‘দায় ও দরদের সমাজ’ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছিল, গত এক বছরের চলার পথ তার ধারেকাছেও নেই। বরং এক বছর ধরে দেশবাসী দেখে...
১ ঘণ্টা আগেঢাকায় প্রতিদিন আমরা যে শ্বাস গ্রহণ করি, তার প্রতিটি কণায় লুকিয়ে আছে অদৃশ্য বিষ, যা নিঃশব্দে আমাদের দেহকে দুর্বল করে দিচ্ছে, কেড়ে নিচ্ছে সুস্থতার অধিকার। একসময় যাকে বলা হতো প্রাণের শহর, আজ তা যেন বিষে ভরা এক মৃত্যুপুরী। ঢাকার বাতাস আর নিছক বাতাস নয়—এ যেন নিশ্বাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক অদৃশ্য...
২ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন একটি স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন, নির্বাচনী ব্যবস্থার ভেঙে পড়া কাঠামো এবং প্রচলিত দেউলিয়া রাজনীতির বিপরীতে তরুণদের নবজাগরণ এমন এক সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে পারত..
২ ঘণ্টা আগেচীনের বেইজিং শহরের তিয়েনআনমেন স্কয়ারের পূর্ব দিকে যে জাতীয় জাদুঘরটি রয়েছে, তা আধুনিককালে যাত্রা শুরু করলেও এর পেছনে জড়িয়ে আছে ১১৩ বছরের ইতিহাস। চীনের এই জাতীয় জাদুঘরের সূচনা ঘটে দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে—ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব চায়নিজ হিস্টোরি ও মিউজিয়াম অব দ্য চায়নিজ রেভল্যুশন...
২ ঘণ্টা আগে