অজয় দাশগুপ্ত
এবার সিডনির বইমেলায়ও মানুষের সমাগম কম হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলাটিতে ছিল সামান্যসংখ্যক মানুষ। পরদিন রোববার দীর্ঘকালের মেলাটি গতবারের মতো মানুষ টানতে পারেনি। আমি যখন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছাই, তখন যা দেখেছি তাতে এটা বলা চলে যে মানুষ আগের মতো আসেনি। আসতে চায়নি হয়তো। এর কারণ আমি জানি না, তবে অনুমান করতে পারি। এই ব্যর্থতা বা কম মানুষ হওয়ার দায় মেলা আয়োজকদের কাঁধে চাপালে তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। আসলে এই যে বইমেলা বা একুশের স্মরণ, এর আসল জায়গা তো স্বদেশ। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেই বায়ান্ন এখন প্রশ্নবিদ্ধ প্রায়। ঢাকা থেকে যা খবর পাই, যা দেখি, তাতে এটা নিশ্চিত জাতীয় বইমেলায়ও ভিড় ছিল না তেমন। ভিড় বলতে সব বছর যেমন একটা সাজ সাজ রব হই হই ব্যাপার, সেটা ছিল না। হতে পারে পরিবর্তিত পরিস্থিতি এখনো চলমান। হতে পারে নানা কারণে মানুষ ভয়ার্ত। ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা তো নিতান্তই স্বাভাবিক। কারণ মিডিয়া খুললেই যা চোখে পড়ে তার নাম আতঙ্ক। এই আতঙ্ক মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বাধা দেবে, এটাই নিয়ম।
এই যে জনস্রোতে ভাটা, এর কারণ যা-ই হোক, এটা যেন নিয়মিত হয়ে না দাঁড়ায়। কবার এমন কিছু দানা বাঁধলে তা সহজে ছেড়ে যাবে না। আমরা ইতিমধ্যে উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছি, বাঙালির অনেকেই মনীষার তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন। যেমন ধরুন বিজ্ঞানী জগদীশ বসু, আচার্য প্রফুল্ল রায় বা কবি জীবনানন্দ দাশ। এঁরা আমাদের পূর্বপুরুষ। অবিভক্ত বাংলার কৃতী সন্তান। কীর্তিমান এঁদের সবাই যাঁর যাঁর কাজে কিংবদন্তি। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সময় যে তিনজন কবির কবিতায় প্রাণ খুঁজে পেত, তাঁদের একজন জীবনানন্দ। বড় লাজুক আর নিরীহ মানুষ। প্রচারবিমুখ। অথচ তাঁর মতো করে বাংলাকে ভালোবাসার কবি বিরল। বেচারা কবি বাংলাদেশকে ‘রূপসী বাংলা’ বলে সম্বোধন করতেন। সেই কবিতাগুলো যত্ন করে লুকিয়ে রাখতেন। সময় তাঁকে যত আবিষ্কার করেছে, ততই আমরা চমকে গেছি। এখন এসব গতায়ু নিরীহ বাঙালিকে বাদ দেওয়ার মহোৎসব কেন? তাঁরা কেউ সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ নন বলেই কি এই আক্রমণ?
সব জাতি বা জাতিসত্তার এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের নামেই জাতির পরিচয়। আমরা বাংলাদেশের বাঙালি। বাংলাদেশি। আমাদের শিকড় আর অস্তিত্বে যাঁরা জড়িয়ে, তাঁদের বাদ দেওয়া মানেই কিন্তু শিকড়কে অস্বীকার করা। এমন হীন চেষ্টা আগেও হয়েছিল। রাজনীতির সেই সব দুরভিসন্ধি বাঙালি মানেনি। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ না হলে এই দেশ হতো না। একনায়ক, স্বৈরাচার—এসব তাড়াতেও ভূমিকা রাখেন এসব মনীষী। তাঁদের অপমান আর যাই হোক ভালো কোনো ফল বয়ে আনবে না।
এই যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অথবা বুঝে না-বুঝে বাঙালিত্বের ওপর ঝামেলা, এর গোড়ায় হাত দিতে হবে। সুযোগ বারবার আসে না। আগে ছিল পরিবারভিত্তিক বা ব্যক্তিতান্ত্রিক আধিপত্য। তাতে কোনো লাভ হয়েছে? সবকিছু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে সময় লাগেনি। এ ঘটনা থেকে আমরা যদি শিক্ষা না নিই, তাহলে সময় কি চুপ করে থাকবে?
বাংলাদেশ আমাদের বহু সাধনার ফসল। একক বা একা একা কোনো কীর্তির বাইরে সমবেত মানুষের ভালোবাসা আর ত্যাগের ফসল। এই শতাব্দীতে মানুষ তার উজ্জ্বল অতীত ধারণ করেই বড় হয়। পাশের দেশ বা পাকিস্তানের দিকে তাকালে দেখব হাজারো বিরোধিতার পরও রাজনীতি সেসব দেশের মূলধারায় হাত দেয়নি। বিশেষত, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে হাত লাগায়নি। লাগায়নি বলেই তারা ভালো আছে।
আমাদের তারুণ্য আমাদের সম্পদ। কিন্তু ভরসার জায়গা কেন আতঙ্কে পরিণত হবে? এই সেই সমাজ, যে সমাজের ছাত্ররা বারবার প্রাণ বিসর্জন দিয়ে, আত্মাহুতি দিয়ে অমঙ্গল প্রতিহত করেছে। সেই সমাজে অযথা উন্মাদনা আর আক্রোশ পরিত্যাজ্য। একুশের আয়োজন বা বইমেলা বাহ্যিকভাবে সাদামাটা মনে হলেও তার অন্তর্গত শক্তি বিপুল। আমরা যেন ভুলে না যাই, এই ইটের মিনার কেবল মিনার বা স্তম্ভ নয়। এর সঙ্গে আছে আমাদের শিকড় বা প্রাণের যোগ। সেই কবে বায়ান্ন সালে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, আজ এত বছর পরেও গ্রামগঞ্জে, শহর-নগরে তার এই আবেদন বা বেঁচে থাকাই বলে দেয় কতটা শক্তি আছে তার।
আমরা এ-ও জানি, আমাদের দেশই একমাত্র দেশ, যার ভিত্তি ছিল ভাষা আন্দোলন। ভাষা হারিয়ে ফেললে কী হয় সেটা পাশের বাংলায় গেলেই বোঝা যায়। তাদের মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া বাকিদের কথ্য ভাষা জগাখিচুড়ি। এই দুর্বলতা মানুষকে রুখে দাঁড়াতে দেয় না। দেয় না সাহস। আমাদের শারীরিক শক্তি যা-ই হোক, বাংলা ভাষার শক্তি অসীম। তাই সামনের বার থেকে এই দিন এবং তার সমস্ত অনুষঙ্গ যেন যত্নের সঙ্গে পালন করা হয়।
বাংলার শক্তি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার এই যুগে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা তাকে স্তব্ধ রাখা ভালো ফল আনবে না। এই যে কিছুদিন আগে প্রয়াত হলেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাংলাকে নিয়ে গাওয়া একটি মাত্র গান তাঁকে কিংবদন্তি করে রেখেছে। কী অসাধারণ বাণী—
‘আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
মেশে তের নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়...’
বাংলার ভেতর দিয়ে বিশ্ব দেখা ও বিশ্বকে জানার আকুতির নাম বিপ্লব। এর নামই আন্তর্জাতিকতা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যখন আমাদের বড় করে তুলছে, সারা দুনিয়ায় অনন্য এক পরিচয়ে নতুন মাত্রা যোগ করছে, তখন সবার উচিত এর পাশে দাঁড়ানো। বিশেষত বাংলা, বাঙালির যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের চোখের মণি এই ভাষা দিবস। যে কারণেই হোক, সিডনির বইমেলা আরও জনসমাগমে, আরও শক্তিতে দীপ্ত হোক। বলা বাহুল্য, দেশের ছায়া প্রবাসেও প্রভাব ফেলে। এই যেমন নিজেদের ভেতরে ভাগ করে নেওয়া, নিজেদের মানুষ দিয়ে মঞ্চ ভরিয়ে রাখা—এগুলো এখন এখানেও চলমান।
আমি আশাবাদী মানুষ। আমার ধারণা, একুশের শক্তি নিজে থেকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। ভাষার মাসের পরপরই আমাদের সামনে এসেছে স্বাধীনতার মাস। এই ধারাবাহিকতার কারণে মুক্তি আর সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করাটাই আমার কাছে সমীচীন মনে হয়।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
এবার সিডনির বইমেলায়ও মানুষের সমাগম কম হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলাটিতে ছিল সামান্যসংখ্যক মানুষ। পরদিন রোববার দীর্ঘকালের মেলাটি গতবারের মতো মানুষ টানতে পারেনি। আমি যখন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছাই, তখন যা দেখেছি তাতে এটা বলা চলে যে মানুষ আগের মতো আসেনি। আসতে চায়নি হয়তো। এর কারণ আমি জানি না, তবে অনুমান করতে পারি। এই ব্যর্থতা বা কম মানুষ হওয়ার দায় মেলা আয়োজকদের কাঁধে চাপালে তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। আসলে এই যে বইমেলা বা একুশের স্মরণ, এর আসল জায়গা তো স্বদেশ। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেই বায়ান্ন এখন প্রশ্নবিদ্ধ প্রায়। ঢাকা থেকে যা খবর পাই, যা দেখি, তাতে এটা নিশ্চিত জাতীয় বইমেলায়ও ভিড় ছিল না তেমন। ভিড় বলতে সব বছর যেমন একটা সাজ সাজ রব হই হই ব্যাপার, সেটা ছিল না। হতে পারে পরিবর্তিত পরিস্থিতি এখনো চলমান। হতে পারে নানা কারণে মানুষ ভয়ার্ত। ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা তো নিতান্তই স্বাভাবিক। কারণ মিডিয়া খুললেই যা চোখে পড়ে তার নাম আতঙ্ক। এই আতঙ্ক মানুষকে ঘর থেকে বের হতে বাধা দেবে, এটাই নিয়ম।
এই যে জনস্রোতে ভাটা, এর কারণ যা-ই হোক, এটা যেন নিয়মিত হয়ে না দাঁড়ায়। কবার এমন কিছু দানা বাঁধলে তা সহজে ছেড়ে যাবে না। আমরা ইতিমধ্যে উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছি, বাঙালির অনেকেই মনীষার তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন। যেমন ধরুন বিজ্ঞানী জগদীশ বসু, আচার্য প্রফুল্ল রায় বা কবি জীবনানন্দ দাশ। এঁরা আমাদের পূর্বপুরুষ। অবিভক্ত বাংলার কৃতী সন্তান। কীর্তিমান এঁদের সবাই যাঁর যাঁর কাজে কিংবদন্তি। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সময় যে তিনজন কবির কবিতায় প্রাণ খুঁজে পেত, তাঁদের একজন জীবনানন্দ। বড় লাজুক আর নিরীহ মানুষ। প্রচারবিমুখ। অথচ তাঁর মতো করে বাংলাকে ভালোবাসার কবি বিরল। বেচারা কবি বাংলাদেশকে ‘রূপসী বাংলা’ বলে সম্বোধন করতেন। সেই কবিতাগুলো যত্ন করে লুকিয়ে রাখতেন। সময় তাঁকে যত আবিষ্কার করেছে, ততই আমরা চমকে গেছি। এখন এসব গতায়ু নিরীহ বাঙালিকে বাদ দেওয়ার মহোৎসব কেন? তাঁরা কেউ সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ নন বলেই কি এই আক্রমণ?
সব জাতি বা জাতিসত্তার এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাঁদের নামেই জাতির পরিচয়। আমরা বাংলাদেশের বাঙালি। বাংলাদেশি। আমাদের শিকড় আর অস্তিত্বে যাঁরা জড়িয়ে, তাঁদের বাদ দেওয়া মানেই কিন্তু শিকড়কে অস্বীকার করা। এমন হীন চেষ্টা আগেও হয়েছিল। রাজনীতির সেই সব দুরভিসন্ধি বাঙালি মানেনি। মনে রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ না হলে এই দেশ হতো না। একনায়ক, স্বৈরাচার—এসব তাড়াতেও ভূমিকা রাখেন এসব মনীষী। তাঁদের অপমান আর যাই হোক ভালো কোনো ফল বয়ে আনবে না।
এই যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অথবা বুঝে না-বুঝে বাঙালিত্বের ওপর ঝামেলা, এর গোড়ায় হাত দিতে হবে। সুযোগ বারবার আসে না। আগে ছিল পরিবারভিত্তিক বা ব্যক্তিতান্ত্রিক আধিপত্য। তাতে কোনো লাভ হয়েছে? সবকিছু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে সময় লাগেনি। এ ঘটনা থেকে আমরা যদি শিক্ষা না নিই, তাহলে সময় কি চুপ করে থাকবে?
বাংলাদেশ আমাদের বহু সাধনার ফসল। একক বা একা একা কোনো কীর্তির বাইরে সমবেত মানুষের ভালোবাসা আর ত্যাগের ফসল। এই শতাব্দীতে মানুষ তার উজ্জ্বল অতীত ধারণ করেই বড় হয়। পাশের দেশ বা পাকিস্তানের দিকে তাকালে দেখব হাজারো বিরোধিতার পরও রাজনীতি সেসব দেশের মূলধারায় হাত দেয়নি। বিশেষত, ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে হাত লাগায়নি। লাগায়নি বলেই তারা ভালো আছে।
আমাদের তারুণ্য আমাদের সম্পদ। কিন্তু ভরসার জায়গা কেন আতঙ্কে পরিণত হবে? এই সেই সমাজ, যে সমাজের ছাত্ররা বারবার প্রাণ বিসর্জন দিয়ে, আত্মাহুতি দিয়ে অমঙ্গল প্রতিহত করেছে। সেই সমাজে অযথা উন্মাদনা আর আক্রোশ পরিত্যাজ্য। একুশের আয়োজন বা বইমেলা বাহ্যিকভাবে সাদামাটা মনে হলেও তার অন্তর্গত শক্তি বিপুল। আমরা যেন ভুলে না যাই, এই ইটের মিনার কেবল মিনার বা স্তম্ভ নয়। এর সঙ্গে আছে আমাদের শিকড় বা প্রাণের যোগ। সেই কবে বায়ান্ন সালে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, আজ এত বছর পরেও গ্রামগঞ্জে, শহর-নগরে তার এই আবেদন বা বেঁচে থাকাই বলে দেয় কতটা শক্তি আছে তার।
আমরা এ-ও জানি, আমাদের দেশই একমাত্র দেশ, যার ভিত্তি ছিল ভাষা আন্দোলন। ভাষা হারিয়ে ফেললে কী হয় সেটা পাশের বাংলায় গেলেই বোঝা যায়। তাদের মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া বাকিদের কথ্য ভাষা জগাখিচুড়ি। এই দুর্বলতা মানুষকে রুখে দাঁড়াতে দেয় না। দেয় না সাহস। আমাদের শারীরিক শক্তি যা-ই হোক, বাংলা ভাষার শক্তি অসীম। তাই সামনের বার থেকে এই দিন এবং তার সমস্ত অনুষঙ্গ যেন যত্নের সঙ্গে পালন করা হয়।
বাংলার শক্তি বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার এই যুগে তাকে থামিয়ে দেওয়া বা তাকে স্তব্ধ রাখা ভালো ফল আনবে না। এই যে কিছুদিন আগে প্রয়াত হলেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাংলাকে নিয়ে গাওয়া একটি মাত্র গান তাঁকে কিংবদন্তি করে রেখেছে। কী অসাধারণ বাণী—
‘আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়
মেশে তের নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়...’
বাংলার ভেতর দিয়ে বিশ্ব দেখা ও বিশ্বকে জানার আকুতির নাম বিপ্লব। এর নামই আন্তর্জাতিকতা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যখন আমাদের বড় করে তুলছে, সারা দুনিয়ায় অনন্য এক পরিচয়ে নতুন মাত্রা যোগ করছে, তখন সবার উচিত এর পাশে দাঁড়ানো। বিশেষত বাংলা, বাঙালির যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের চোখের মণি এই ভাষা দিবস। যে কারণেই হোক, সিডনির বইমেলা আরও জনসমাগমে, আরও শক্তিতে দীপ্ত হোক। বলা বাহুল্য, দেশের ছায়া প্রবাসেও প্রভাব ফেলে। এই যেমন নিজেদের ভেতরে ভাগ করে নেওয়া, নিজেদের মানুষ দিয়ে মঞ্চ ভরিয়ে রাখা—এগুলো এখন এখানেও চলমান।
আমি আশাবাদী মানুষ। আমার ধারণা, একুশের শক্তি নিজে থেকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে জানে। ভাষার মাসের পরপরই আমাদের সামনে এসেছে স্বাধীনতার মাস। এই ধারাবাহিকতার কারণে মুক্তি আর সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করাটাই আমার কাছে সমীচীন মনে হয়।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১ দিন আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
১ দিন আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
১ দিন আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
২ দিন আগে