বাসব রায়
মানুষের জীবনে আতঙ্ক বা ভয় একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। পারিপার্শ্বিকতার কারণে ছোটবেলা থেকেই ভূত-প্রেত, দেও-দৈত্য, রাক্ষস-খোক্কস প্রভৃতি শব্দ ও কল্পিত ভয়ংকর রূপ বা চেহারা অন্তরে গেঁথে যায় এবং সেখান থেকেই আতঙ্কের যাত্রা হয়েছে শুরু। একটু উনিশ-বিশ হলেই ভয় লাগে, বুক ধড়ফড় করে ওঠে। কখনো জানা আতঙ্ক আবার কখনো অজানা আতঙ্ক পেয়ে বসে মানব মনকে। জানা আতঙ্ক নিয়ে মোকাবিলা করা গেলেও অজানা-অচেনা আতঙ্ক নিয়ে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। পক্ষান্তরে জানা আতঙ্ক বলতেও আর তেমন কিছু নেই। কারণ, খুব পরিচিত লোকদের দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় বেশি। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আতঙ্ক একেবারে কাছাকাছি এসে শ্বাস ফেলে। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে পথেঘাটে দিনে কিংবা রাতে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, প্রাণহানি সবই ঘটে চলছে। জনমনে তীব্র আতঙ্ক! জানমালের নিরাপত্তা বিন্দুমাত্র নেই। সুতরাং ভয় বা আতঙ্ক ঘনীভূত হচ্ছে। স্বাভাবিক থাকবার নিশ্চয়তা মানুষ পাচ্ছে না। মানুষ একটা বড় আতঙ্ক অন্তরে ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে মাত্র, তবে এতে না আছে কোনো স্বস্তি না আছে কোনো শান্তি বা স্বাচ্ছন্দ্য। মানুষের বিপন্ন অস্তিত্বে ভয় দানা বেঁধে আছে।
আজকাল কথায় কথায় আতঙ্ক। কী বললে যে কী রকম শাস্তির আওতায় পড়তে হবে, বক্তার কাছে তা এখনো অনিশ্চিত। বুঝেসুজে ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে, নইলে নিশ্চিত বহুমুখী সাজার আওতায় আসতেই হবে। লাজলজ্জার বালাই নেই, হম্বিতম্বি সার; অথচ এদের বিলুপ্ত অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র যখন পক্ষ নেয়, তখন একধরনের ভয়াবহ আতঙ্ক জনমনে তৈরি হবেই, যার থেকে রেহাই পাওয়া জনগণের জন্য বেশ কঠিন। কথায় কথায় মামলা-হামলার কারণে আতঙ্ক এখন বড় রকমের পারমাণবিক বোমার মতো ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বিস্ফোরণের অপেক্ষা মাত্র।
বৈষম্য দূর করতে গিয়ে নতুন নতুন বৈষম্যের পথ খুলে যাচ্ছে, যাতে করে মানুষ ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। মবোক্রেসির আতঙ্কে মানুষ এতটাই সন্ত্রস্ত যে, ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। পুরোপুরি অনৈতিক কার্যকলাপকে মেনে নিয়ে সার্কুলার জারি হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা ব্যাপক দুঃখজনক একটি বিষয়। হয়রানির শিকার সব শ্রেণির মানুষ। সুবিধামতো ট্যাগ লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা হচ্ছে এবং কখনো প্রাণহানির মতো নির্মম ঘটনাও ঘটছে। মুখে বড় গালগল্প কিন্তু পরিকল্পনায় অন্তঃসারশূন্য। বর্তমান অবস্থাটাই একটা মস্তবড় আতঙ্কের জনপদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সাধারণ মানুষ নানাভাবে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে চলছে; সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে উদ্ভূত সংকট থেকে উত্তরণের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জনগণ জানে। দীর্ঘসূত্রতার কারণে মানুষ ন্যূনতম আশ্বাসটুকুকে ভরসা করে আছে কিন্তু আশানুরূপ ফল পাবে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। তবু আতঙ্কিত সময়ের মাঝেই নিজেকে রক্ষা করবার প্রচেষ্টা মানুষের থাকবেই।
বাক্স্বাধীনতাকে যখন খর্ব করা হয়, তখন মুক্তপথ বা মুক্তমত বলতে আর কিছুই থাকে না। অজুহাতের লেজুড় ধরে যখন ইচ্ছেমতো কাউকে নাজেহাল করা হয়, তখন আতঙ্কের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ওঠে। আপনার সে অধিকার থাকুক আর নাই থাকুক আপনি যা খুশি তাই করতে পারবেন, আপনি মারতেও পারেন, খুনও করতে পারেন, আপনি সব ধরনের শাস্তিও দিতে পারেন কিন্তু ভুলেও প্রতিবাদ করা যাবে না। প্রতিবাদ করলেই সমূহ বিপদে পড়বার ঝুঁকি আছে।
আতঙ্ক সৃষ্টি করে, মানুষের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা যদি দেওয়া হয়, তবে তা হবে মারাত্মক রকমের প্রহসন। সবকিছুই অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত। কোনোটাতেই লাগাম নেই। সব অনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বড় রকমের শৈল্পিক পদ্ধতিতে। নির্বাহী পর্ষদের ভূমিকা বলতে কিছুই নেই।
আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে সফল এবং ভুক্তভোগীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জড়সড়। বাস্তবতা এটাই। কিন্তু যদি একটু উল্টো করে ভাবা যায় তাহলে দেখা যাবে যে, আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরাই সর্বোচ্চ আতঙ্কে আছে নিজেদের জানমাল নিয়ে। কারণ, সুযোগ একদিন আসবেই আর সেদিনই সাধারণ জনতা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবে ‘কত ধানে কত চাল’। মব সৃষ্টির কলাকুশলীরাসহ নীতিনির্ধারকদের ঘাড়ে বসারা চরম ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় আছে, কারণ কখন যে রাজনীতির চাকা কোন দিকে ঘুরবে তা অনিশ্চিত। আর এ রকমটি ঘটলে কী করুণ ভয়ংকর পরিণতি এদের হবে, তা তারা ভাবতে গেলেও হোঁচট খায় বিশবার।
যখন কেউ চরম আক্রমণাত্মক হবে তখন ধরে নিতে হবে সে চরম দুর্বল; আক্রমণ করে সে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। কাজেই আতঙ্ক তাদের মনেও আছে, যেটা তারা জনমনে ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু তা কি আর হয়! ধরা পড়তেই হবে আজ হোক আর কাল হোক।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির নেতিবাচক দিকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে। জনগণ দ্বিধাগ্রস্ত থাকে এবং প্রায়ই নানাবিধ আশঙ্কায় দিন কাটে। কিছু দুর্বিনীত এসব ক্ষেত্রে সুযোগ খোঁজে এবং ফায়দা লুটতে বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে। অজস্র দুর্বৃত্তায়নের পটভূমিতে চারদিকে আতঙ্ককেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সুরক্ষিত থাকছে না কিছুই। সার্বিক চেতনা ভেঙে পড়ছে, আদর্শিক জায়গা থেকে অনেকেই ছিটকে পড়ছেন। একটা ফাঁকা অবস্থানে একদল শকুন বড় রকমের মাতবরি করবার সুযোগ পাবেই পাবে। শকুনের দোষ কী! আতঙ্কিত জাতি আতঙ্ক থেকে মুক্তি চায় এবং সহজ-সরল জীবনযাপন করতে চায়। কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়তে চায় না। এক আতঙ্ক থেকে বের হতে না হতেই অন্য আতঙ্কে পড়তে হচ্ছে। তবে এরূপ অবস্থা চলতে পারে না। যেভাবেই হোক, সময় একদিন ভুক্তভোগী মানুষকে জানিয়ে দেবে—আর আতঙ্ক নেই বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
লেখক: কবি
মানুষের জীবনে আতঙ্ক বা ভয় একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়। পারিপার্শ্বিকতার কারণে ছোটবেলা থেকেই ভূত-প্রেত, দেও-দৈত্য, রাক্ষস-খোক্কস প্রভৃতি শব্দ ও কল্পিত ভয়ংকর রূপ বা চেহারা অন্তরে গেঁথে যায় এবং সেখান থেকেই আতঙ্কের যাত্রা হয়েছে শুরু। একটু উনিশ-বিশ হলেই ভয় লাগে, বুক ধড়ফড় করে ওঠে। কখনো জানা আতঙ্ক আবার কখনো অজানা আতঙ্ক পেয়ে বসে মানব মনকে। জানা আতঙ্ক নিয়ে মোকাবিলা করা গেলেও অজানা-অচেনা আতঙ্ক নিয়ে মোকাবিলা করা খুবই কঠিন। পক্ষান্তরে জানা আতঙ্ক বলতেও আর তেমন কিছু নেই। কারণ, খুব পরিচিত লোকদের দ্বারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় বেশি। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আতঙ্ক একেবারে কাছাকাছি এসে শ্বাস ফেলে। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে পথেঘাটে দিনে কিংবা রাতে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, প্রাণহানি সবই ঘটে চলছে। জনমনে তীব্র আতঙ্ক! জানমালের নিরাপত্তা বিন্দুমাত্র নেই। সুতরাং ভয় বা আতঙ্ক ঘনীভূত হচ্ছে। স্বাভাবিক থাকবার নিশ্চয়তা মানুষ পাচ্ছে না। মানুষ একটা বড় আতঙ্ক অন্তরে ধারণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে মাত্র, তবে এতে না আছে কোনো স্বস্তি না আছে কোনো শান্তি বা স্বাচ্ছন্দ্য। মানুষের বিপন্ন অস্তিত্বে ভয় দানা বেঁধে আছে।
আজকাল কথায় কথায় আতঙ্ক। কী বললে যে কী রকম শাস্তির আওতায় পড়তে হবে, বক্তার কাছে তা এখনো অনিশ্চিত। বুঝেসুজে ঠান্ডা মাথায় কথা বলতে হবে, নইলে নিশ্চিত বহুমুখী সাজার আওতায় আসতেই হবে। লাজলজ্জার বালাই নেই, হম্বিতম্বি সার; অথচ এদের বিলুপ্ত অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র যখন পক্ষ নেয়, তখন একধরনের ভয়াবহ আতঙ্ক জনমনে তৈরি হবেই, যার থেকে রেহাই পাওয়া জনগণের জন্য বেশ কঠিন। কথায় কথায় মামলা-হামলার কারণে আতঙ্ক এখন বড় রকমের পারমাণবিক বোমার মতো ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বিস্ফোরণের অপেক্ষা মাত্র।
বৈষম্য দূর করতে গিয়ে নতুন নতুন বৈষম্যের পথ খুলে যাচ্ছে, যাতে করে মানুষ ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। মবোক্রেসির আতঙ্কে মানুষ এতটাই সন্ত্রস্ত যে, ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। পুরোপুরি অনৈতিক কার্যকলাপকে মেনে নিয়ে সার্কুলার জারি হওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা ব্যাপক দুঃখজনক একটি বিষয়। হয়রানির শিকার সব শ্রেণির মানুষ। সুবিধামতো ট্যাগ লাগিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা হচ্ছে এবং কখনো প্রাণহানির মতো নির্মম ঘটনাও ঘটছে। মুখে বড় গালগল্প কিন্তু পরিকল্পনায় অন্তঃসারশূন্য। বর্তমান অবস্থাটাই একটা মস্তবড় আতঙ্কের জনপদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সাধারণ মানুষ নানাভাবে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে চলছে; সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে উদ্ভূত সংকট থেকে উত্তরণের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জনগণ জানে। দীর্ঘসূত্রতার কারণে মানুষ ন্যূনতম আশ্বাসটুকুকে ভরসা করে আছে কিন্তু আশানুরূপ ফল পাবে বলে বিশ্বাস করা কঠিন। তবু আতঙ্কিত সময়ের মাঝেই নিজেকে রক্ষা করবার প্রচেষ্টা মানুষের থাকবেই।
বাক্স্বাধীনতাকে যখন খর্ব করা হয়, তখন মুক্তপথ বা মুক্তমত বলতে আর কিছুই থাকে না। অজুহাতের লেজুড় ধরে যখন ইচ্ছেমতো কাউকে নাজেহাল করা হয়, তখন আতঙ্কের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ওঠে। আপনার সে অধিকার থাকুক আর নাই থাকুক আপনি যা খুশি তাই করতে পারবেন, আপনি মারতেও পারেন, খুনও করতে পারেন, আপনি সব ধরনের শাস্তিও দিতে পারেন কিন্তু ভুলেও প্রতিবাদ করা যাবে না। প্রতিবাদ করলেই সমূহ বিপদে পড়বার ঝুঁকি আছে।
আতঙ্ক সৃষ্টি করে, মানুষের ভেতরে ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা যদি দেওয়া হয়, তবে তা হবে মারাত্মক রকমের প্রহসন। সবকিছুই অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত। কোনোটাতেই লাগাম নেই। সব অনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে বড় রকমের শৈল্পিক পদ্ধতিতে। নির্বাহী পর্ষদের ভূমিকা বলতে কিছুই নেই।
আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরা আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে সফল এবং ভুক্তভোগীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জড়সড়। বাস্তবতা এটাই। কিন্তু যদি একটু উল্টো করে ভাবা যায় তাহলে দেখা যাবে যে, আতঙ্ক সৃষ্টিকারীরাই সর্বোচ্চ আতঙ্কে আছে নিজেদের জানমাল নিয়ে। কারণ, সুযোগ একদিন আসবেই আর সেদিনই সাধারণ জনতা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবে ‘কত ধানে কত চাল’। মব সৃষ্টির কলাকুশলীরাসহ নীতিনির্ধারকদের ঘাড়ে বসারা চরম ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় আছে, কারণ কখন যে রাজনীতির চাকা কোন দিকে ঘুরবে তা অনিশ্চিত। আর এ রকমটি ঘটলে কী করুণ ভয়ংকর পরিণতি এদের হবে, তা তারা ভাবতে গেলেও হোঁচট খায় বিশবার।
যখন কেউ চরম আক্রমণাত্মক হবে তখন ধরে নিতে হবে সে চরম দুর্বল; আক্রমণ করে সে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। কাজেই আতঙ্ক তাদের মনেও আছে, যেটা তারা জনমনে ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু তা কি আর হয়! ধরা পড়তেই হবে আজ হোক আর কাল হোক।
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির নেতিবাচক দিকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে। জনগণ দ্বিধাগ্রস্ত থাকে এবং প্রায়ই নানাবিধ আশঙ্কায় দিন কাটে। কিছু দুর্বিনীত এসব ক্ষেত্রে সুযোগ খোঁজে এবং ফায়দা লুটতে বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে। অজস্র দুর্বৃত্তায়নের পটভূমিতে চারদিকে আতঙ্ককেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সুরক্ষিত থাকছে না কিছুই। সার্বিক চেতনা ভেঙে পড়ছে, আদর্শিক জায়গা থেকে অনেকেই ছিটকে পড়ছেন। একটা ফাঁকা অবস্থানে একদল শকুন বড় রকমের মাতবরি করবার সুযোগ পাবেই পাবে। শকুনের দোষ কী! আতঙ্কিত জাতি আতঙ্ক থেকে মুক্তি চায় এবং সহজ-সরল জীবনযাপন করতে চায়। কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়তে চায় না। এক আতঙ্ক থেকে বের হতে না হতেই অন্য আতঙ্কে পড়তে হচ্ছে। তবে এরূপ অবস্থা চলতে পারে না। যেভাবেই হোক, সময় একদিন ভুক্তভোগী মানুষকে জানিয়ে দেবে—আর আতঙ্ক নেই বা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
লেখক: কবি
ড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি করেছেন। হামবোল্ট রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন জার্মানির পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। পুরো বিশ্বের নজর ছিল সেদিকে। সাধারণত যেটা হয়, দুই দেশের নেতারা যখন মুখোমুখি হন, তখন বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা বসেন হিসাবনিকাশে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় সময়ই খবর হয়, যানজটের কারণে রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছে দিতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স এবং পথেই রোগীর মৃত্যু। ২০১৮ সালে সড়ক আন্দোলনের সময়টায় যখন দ্রুত ও সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আন্দোলনকারীরা আলাদা লেন করে দিল...
৪ ঘণ্টা আগেঅনেকেরই সংশয় ছিল। কারও কিছুটা হালকা, কারও আবার গভীর। কেউ কেউ শঙ্কিতও ছিলেন। দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে। এদের সবার সেই সব সংশয় ও শঙ্কা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ফলে দেশের শাসনব্যবস্থার গণতান্ত্রিক রূপান্তরকামী সাধারণ মানুষের জন্য তা হয়ে উঠেছে অশনিসংকেত। হ্যাঁ, এই কথাগুলো হচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয়
১ দিন আগে