শামীমা জামান
শাহরুখপুত্র আরিয়ান গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকসহ। প্রমোদতরিতে এক মাদক পার্টি থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবরটি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ডে পরিণত হয়েছে। হওয়ারই কথা। শাহরুখ খানের পুত্র বলে কথা। মুম্বাইয়ের অন্য তিন খানের চেয়ে শাহরুখের দাপট একটু বেশিই। সে ওই মান্নাত-এর মতো সর্বাধিক মূল্যের বিলাসবহুল বাড়ির জন্যই হোক বা ব্যক্তিগত প্লেন আর বিশাল সম্পদের পাহাড়ের জন্যই হোক। আর কে না জানে, এ জগতে লোকে তাঁকেই পোচে, যাঁর আছে ঢের অর্থকড়ি আর সহায়সম্পদ।
শাহরুখ এসব তাঁর পুত্রের মতো জন্মসূত্রে পাননি। বরং অল্প বয়সে পিতামাতাহারা শাহরুখের দিন কষ্টেই কেটেছে। নিজের শ্রম আর অধ্যবসায় দিয়েই তিনি এসব অর্জন করেছেন। ঠিক এই কথাটাই নেটিজেনরা আরিয়ানের উদ্দেশে বলছেন শাহরুখকে সাপোর্ট করে। আরেক দল বাবা শাহরুখকে দুষলেও আসল জায়গাটি না জেনেই দুষছেন। বলছেন, তিনি টাকা আর খ্যাতির পেছনে ছুটে সন্তানকে সময় দেননি। যেখানে পুত্র আরিয়ান বাবা সম্পর্কে একটি গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
বাবার সঙ্গে দেখা করতে হলে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। শাহরুখের কুপুত্রকে নিয়ে শাহরুখভক্তরা যেন তাঁর মতোই বিব্রতবোধ করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি শাহরুখভক্তরা। এক নারীবাদী শাহরুখভক্ত দেখলাম শাহরুখের সাফাই গাইতে একটি আস্ত আর্টিকেলই লিখে ফেলেছেন। যেটা পড়ে মনে হলো, তিনি শাহরুখের ভক্ত হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেই লিখেছেন। তিনি আফসোস করে লিখেছেন, সবাই কীভাবে বেচারা শাহরুখ খানকে দুষছেন। শাহরুখ যত রাতই হোক, বাড়ি ফিরে এক ঘণ্টা সন্তানদের দেন। ব্লা ব্লা ব্লা...। আরেক ঢালিউড অভিনেতাকে দেখলাম, তিনি ‘শাহরুখের পাশে আছেন’ এ-জাতীয় বক্তব্য দিতে।
একজন অভিনেতা হিসেবে শাহরুখ খান আমারও পছন্দ। তাঁর চেয়েও পছন্দ তাঁর সুন্দরী স্ত্রী গৌরী খানকে। সেটা তাঁর বোল্ড অ্যান্ড বিউটি ইমেজের কারণেই। কিন্তু যেভাবে আরিয়ানকে কুপুত্র আখ্যা দিয়ে মহান শাহরুখকে সমবেদনা জানানো হচ্ছে, বাবা-মা হিসেবে শাহরুখ-গৌরী কি আদতেই তার যোগ্য? যাঁরা অন্ধ আবেগ আর ভালোবাসায় শাহরুখ-গৌরীর সাফাই গাইছেন, তাঁরা শুনুন, শাহরুখ হচ্ছেন সেই পরিপাটি বিড়াল, যে মলত্যাগ করে সুন্দর করে বালু বা মাটি দিয়ে কেউ দেখার আগেই ঢেকে ফেলতে পারে।
তাই শাহরুখের অভিনয় প্রতিভার আড়ালে তাঁর কদর্য দিকটি অনেকেই জানেন না। ২০০৬-০৭ সাল, ফারাহ খানের ছবি ‘ওম শান্তি ওম’-এর শুটিংয়ের সময় থেকে শাহরুখ খান নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন। তা তাঁর কাছের মানুষজন জানেন। সহকর্মী আমির বা সালমানের সমবয়সী হয়েও শাহরুখ খানের স্কিনের নারকোটিকস পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। যদিও বলিউড আর ড্রাগ প্রায় সমার্থক শব্দ। অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়।
সাধারণত বাবার উদাসীনতা বা সন্তানকে মূল্যবোধ শেখানোর ব্যাপারে ঘাটতি থাকলে মা একাই সেই জায়গাটি পূর্ণ করতে পারেন। কিন্তু বেচারা আরিয়ানের মা গৌরী খান নিজেই তো মাদকাসক্ত। গৌরীর কোকেনে আসক্তির খবর সেভাবে চাউর না হলেও মারিজুয়ানাসহ জে এফ কে এয়ারপোর্টে ধরা পড়ার খবরগুলো কয়েকবারই মিডিয়ায় এসেছে।
সেই ২০১১ সালের কথা। আর দেখুন, কারা তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছেন, পাশে থাকছেন? আরেক সুপারস্টার ঋত্বিক রোশনের সাবেক স্ত্রী সুজান খান, যিনি ভয়াবহভাবে কোকেনে আসক্ত। ঋত্বিকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের মূলেও এই মাদক কারবার। পরকীয়া তো এরই অংশ। এই সুজান খান আবার গৌরী খানের জানেজিগার ফ্যামিলি-ফ্রেন্ড।
এই মাদকবান্ধব পরিবেশেই বেড়ে উঠেছেন আরিয়ান। আরিয়ানদের কীভাবে দোষ দেন?
লেখক: নিউইয়র্কপ্রবাসী
শাহরুখপুত্র আরিয়ান গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদকসহ। প্রমোদতরিতে এক মাদক পার্টি থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবরটি টক অব দ্য ওয়ার্ল্ডে পরিণত হয়েছে। হওয়ারই কথা। শাহরুখ খানের পুত্র বলে কথা। মুম্বাইয়ের অন্য তিন খানের চেয়ে শাহরুখের দাপট একটু বেশিই। সে ওই মান্নাত-এর মতো সর্বাধিক মূল্যের বিলাসবহুল বাড়ির জন্যই হোক বা ব্যক্তিগত প্লেন আর বিশাল সম্পদের পাহাড়ের জন্যই হোক। আর কে না জানে, এ জগতে লোকে তাঁকেই পোচে, যাঁর আছে ঢের অর্থকড়ি আর সহায়সম্পদ।
শাহরুখ এসব তাঁর পুত্রের মতো জন্মসূত্রে পাননি। বরং অল্প বয়সে পিতামাতাহারা শাহরুখের দিন কষ্টেই কেটেছে। নিজের শ্রম আর অধ্যবসায় দিয়েই তিনি এসব অর্জন করেছেন। ঠিক এই কথাটাই নেটিজেনরা আরিয়ানের উদ্দেশে বলছেন শাহরুখকে সাপোর্ট করে। আরেক দল বাবা শাহরুখকে দুষলেও আসল জায়গাটি না জেনেই দুষছেন। বলছেন, তিনি টাকা আর খ্যাতির পেছনে ছুটে সন্তানকে সময় দেননি। যেখানে পুত্র আরিয়ান বাবা সম্পর্কে একটি গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
বাবার সঙ্গে দেখা করতে হলে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। শাহরুখের কুপুত্রকে নিয়ে শাহরুখভক্তরা যেন তাঁর মতোই বিব্রতবোধ করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি শাহরুখভক্তরা। এক নারীবাদী শাহরুখভক্ত দেখলাম শাহরুখের সাফাই গাইতে একটি আস্ত আর্টিকেলই লিখে ফেলেছেন। যেটা পড়ে মনে হলো, তিনি শাহরুখের ভক্ত হলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনেই লিখেছেন। তিনি আফসোস করে লিখেছেন, সবাই কীভাবে বেচারা শাহরুখ খানকে দুষছেন। শাহরুখ যত রাতই হোক, বাড়ি ফিরে এক ঘণ্টা সন্তানদের দেন। ব্লা ব্লা ব্লা...। আরেক ঢালিউড অভিনেতাকে দেখলাম, তিনি ‘শাহরুখের পাশে আছেন’ এ-জাতীয় বক্তব্য দিতে।
একজন অভিনেতা হিসেবে শাহরুখ খান আমারও পছন্দ। তাঁর চেয়েও পছন্দ তাঁর সুন্দরী স্ত্রী গৌরী খানকে। সেটা তাঁর বোল্ড অ্যান্ড বিউটি ইমেজের কারণেই। কিন্তু যেভাবে আরিয়ানকে কুপুত্র আখ্যা দিয়ে মহান শাহরুখকে সমবেদনা জানানো হচ্ছে, বাবা-মা হিসেবে শাহরুখ-গৌরী কি আদতেই তার যোগ্য? যাঁরা অন্ধ আবেগ আর ভালোবাসায় শাহরুখ-গৌরীর সাফাই গাইছেন, তাঁরা শুনুন, শাহরুখ হচ্ছেন সেই পরিপাটি বিড়াল, যে মলত্যাগ করে সুন্দর করে বালু বা মাটি দিয়ে কেউ দেখার আগেই ঢেকে ফেলতে পারে।
তাই শাহরুখের অভিনয় প্রতিভার আড়ালে তাঁর কদর্য দিকটি অনেকেই জানেন না। ২০০৬-০৭ সাল, ফারাহ খানের ছবি ‘ওম শান্তি ওম’-এর শুটিংয়ের সময় থেকে শাহরুখ খান নিয়মিত ইয়াবা সেবন করতেন। তা তাঁর কাছের মানুষজন জানেন। সহকর্মী আমির বা সালমানের সমবয়সী হয়েও শাহরুখ খানের স্কিনের নারকোটিকস পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো। যদিও বলিউড আর ড্রাগ প্রায় সমার্থক শব্দ। অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়।
সাধারণত বাবার উদাসীনতা বা সন্তানকে মূল্যবোধ শেখানোর ব্যাপারে ঘাটতি থাকলে মা একাই সেই জায়গাটি পূর্ণ করতে পারেন। কিন্তু বেচারা আরিয়ানের মা গৌরী খান নিজেই তো মাদকাসক্ত। গৌরীর কোকেনে আসক্তির খবর সেভাবে চাউর না হলেও মারিজুয়ানাসহ জে এফ কে এয়ারপোর্টে ধরা পড়ার খবরগুলো কয়েকবারই মিডিয়ায় এসেছে।
সেই ২০১১ সালের কথা। আর দেখুন, কারা তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছেন, পাশে থাকছেন? আরেক সুপারস্টার ঋত্বিক রোশনের সাবেক স্ত্রী সুজান খান, যিনি ভয়াবহভাবে কোকেনে আসক্ত। ঋত্বিকের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের মূলেও এই মাদক কারবার। পরকীয়া তো এরই অংশ। এই সুজান খান আবার গৌরী খানের জানেজিগার ফ্যামিলি-ফ্রেন্ড।
এই মাদকবান্ধব পরিবেশেই বেড়ে উঠেছেন আরিয়ান। আরিয়ানদের কীভাবে দোষ দেন?
লেখক: নিউইয়র্কপ্রবাসী
একাত্তরের যুদ্ধকালের মতো সমষ্টিগত দুঃসময় আমাদের জীবনে আর কখনো আসেনি। যুদ্ধটা ছিল রাজনৈতিক এবং তাতে জাতীয়তাবাদ নানাভাবে ও বিভিন্ন দিক দিয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্তি সে সময়ে বিশেষভাবে প্রকাশ পায়, তার দুর্বলতাও যে ধরা পড়েনি এমন নয়। বাঙালির জাতীয়তাবাদের শক্তি ছিল ঐক্যে...
১৫ ঘণ্টা আগেনতুন শিল্পকারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাবের ওপর আয়োজিত এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক গণশুনানি সব শ্রেণির গ্রাহক প্রতিনিধিদের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদের মুখে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারেনি। গত বুধবার ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই গণশুনানির আয়োজন করেছিল বিইআরসি।
১৫ ঘণ্টা আগেবর্তমান পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনে সামাজিক অপরাধের ব্যাপকতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি জনমনে যথেষ্ট আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। সমাজ হলো নাগরিকদের জন্য একটি দায়বদ্ধতার জায়গা। যেখানে মানবিক ও পারস্পরিক সম্পর্কগুলোর প্রতিনিয়ত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার...
১৫ ঘণ্টা আগেরচিত হয়েছিল। এর মধ্যেই নিহিত ছিল এক নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন ও দিকনির্দেশনা। স্বাধীনতার পর প্রায় পাঁচ দশক পেরিয়ে এলেও সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আজও অপরিসীম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। তবে সেই পরিবর্তন বা সংশোধন হবে কীভাবে—এটাই এখন বিতর্কের বিষয়।
১৫ ঘণ্টা আগে