’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে (ক্রিমিনাল আপিল ১৪৮/১৪) আপিল করেন তিনি। প্রায় ১১ বছর পরও ওই আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্র বলেছে, মোবারকের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫২ জনের করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। তাঁদের অনেকে বছরের পর বছর রয়েছেন কারাগারের কনডেম সেলে। কারও কারও কেটেছে এক দশক।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা এসব আসামির আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আসামির পক্ষে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলার শুনানিতে তারিখ নির্ধারণের জন্য তাঁরা আদালতের নজরে আনবেন। যেহেতু একটি (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) মামলায় আপিল বিভাগ বলেছেন, অতীতে আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়নি। তাই এসব মামলায়ও তাঁরা ওই সুবিধা পাবেন। এখন দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি হলে আসামিরা মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারকে গত ২৭ মে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। ২৮ মে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজহারকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড ও আপিল বিভাগে ইতিপূর্বে তা বহাল রাখার রায় বাতিল করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায়ে বলেছেন, ওই মামলায় যেসব তথ্য-প্রমাণ ছিল, অতীতে আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে প্রথম খালাস পেলেন এ টি এম আজহার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। মামলার সংখ্যা কমে গেলে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। আওয়ামী লীগের আমলে দুই ট্রাইব্যুনাল মিলে ৫৫টি মামলার রায় দেন। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-২ দেন ১১টি রায়। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। বর্তমানে ৫২ জনের আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মোবারক হোসেন ছাড়া আরও ৫১ জনের আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আপিল বিভাগে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাহিদুর রহমান, ফোরকান মল্লিক, সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম হোসেন, আতাউর রহমান, ওবায়দুল হক তাহের, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া, মো. শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মো. ইসহাক শিকদার, মো. রনজু মিয়া, আমিনুল ইমলাম, আব্দুল খালেক তালুকদার, শেখ মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
আপিল চলাকালে কয়েকজন মারা গেছেন। পরে তাঁদের আপিল অ্যাবেটেড (সমাপ্তি) ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীম, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান, কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধান, মৌলভীবাজারের রাজনগরের মো. আকমল আলী তালুকদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আপিল নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
ট্রাইব্যুনালে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলে মুক্তি পাবেন। আর আপিলে দণ্ড বহাল থাকলে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সব শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করলে সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলায় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিলগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। তাই আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানির জন্য উঠলে প্রসিকিউশন সেখানে অংশ নেবে। আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিলকারী পক্ষ থেকেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারের মামলায় সেটেল হয়েছে কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত। যা আগে হয়নি। আপিল নিষ্পত্তির পর সাজা বহাল থাকতে পারে, আবার আসামি মুক্তিও পেতে পারেন। তবে যেটাই হোক, দ্রুত আপিলগুলো নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে (ক্রিমিনাল আপিল ১৪৮/১৪) আপিল করেন তিনি। প্রায় ১১ বছর পরও ওই আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্র বলেছে, মোবারকের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫২ জনের করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। তাঁদের অনেকে বছরের পর বছর রয়েছেন কারাগারের কনডেম সেলে। কারও কারও কেটেছে এক দশক।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা এসব আসামির আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আসামির পক্ষে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলার শুনানিতে তারিখ নির্ধারণের জন্য তাঁরা আদালতের নজরে আনবেন। যেহেতু একটি (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) মামলায় আপিল বিভাগ বলেছেন, অতীতে আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়নি। তাই এসব মামলায়ও তাঁরা ওই সুবিধা পাবেন। এখন দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি হলে আসামিরা মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারকে গত ২৭ মে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। ২৮ মে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজহারকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড ও আপিল বিভাগে ইতিপূর্বে তা বহাল রাখার রায় বাতিল করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায়ে বলেছেন, ওই মামলায় যেসব তথ্য-প্রমাণ ছিল, অতীতে আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে প্রথম খালাস পেলেন এ টি এম আজহার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। মামলার সংখ্যা কমে গেলে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। আওয়ামী লীগের আমলে দুই ট্রাইব্যুনাল মিলে ৫৫টি মামলার রায় দেন। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-২ দেন ১১টি রায়। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। বর্তমানে ৫২ জনের আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মোবারক হোসেন ছাড়া আরও ৫১ জনের আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আপিল বিভাগে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাহিদুর রহমান, ফোরকান মল্লিক, সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম হোসেন, আতাউর রহমান, ওবায়দুল হক তাহের, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া, মো. শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মো. ইসহাক শিকদার, মো. রনজু মিয়া, আমিনুল ইমলাম, আব্দুল খালেক তালুকদার, শেখ মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
আপিল চলাকালে কয়েকজন মারা গেছেন। পরে তাঁদের আপিল অ্যাবেটেড (সমাপ্তি) ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীম, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান, কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধান, মৌলভীবাজারের রাজনগরের মো. আকমল আলী তালুকদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আপিল নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
ট্রাইব্যুনালে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলে মুক্তি পাবেন। আর আপিলে দণ্ড বহাল থাকলে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সব শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করলে সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলায় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিলগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। তাই আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানির জন্য উঠলে প্রসিকিউশন সেখানে অংশ নেবে। আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিলকারী পক্ষ থেকেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারের মামলায় সেটেল হয়েছে কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত। যা আগে হয়নি। আপিল নিষ্পত্তির পর সাজা বহাল থাকতে পারে, আবার আসামি মুক্তিও পেতে পারেন। তবে যেটাই হোক, দ্রুত আপিলগুলো নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধ
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে (ক্রিমিনাল আপিল ১৪৮/১৪) আপিল করেন তিনি। প্রায় ১১ বছর পরও ওই আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্র বলেছে, মোবারকের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫২ জনের করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। তাঁদের অনেকে বছরের পর বছর রয়েছেন কারাগারের কনডেম সেলে। কারও কারও কেটেছে এক দশক।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা এসব আসামির আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আসামির পক্ষে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলার শুনানিতে তারিখ নির্ধারণের জন্য তাঁরা আদালতের নজরে আনবেন। যেহেতু একটি (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) মামলায় আপিল বিভাগ বলেছেন, অতীতে আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়নি। তাই এসব মামলায়ও তাঁরা ওই সুবিধা পাবেন। এখন দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি হলে আসামিরা মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারকে গত ২৭ মে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। ২৮ মে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজহারকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড ও আপিল বিভাগে ইতিপূর্বে তা বহাল রাখার রায় বাতিল করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায়ে বলেছেন, ওই মামলায় যেসব তথ্য-প্রমাণ ছিল, অতীতে আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে প্রথম খালাস পেলেন এ টি এম আজহার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। মামলার সংখ্যা কমে গেলে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। আওয়ামী লীগের আমলে দুই ট্রাইব্যুনাল মিলে ৫৫টি মামলার রায় দেন। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-২ দেন ১১টি রায়। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। বর্তমানে ৫২ জনের আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মোবারক হোসেন ছাড়া আরও ৫১ জনের আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আপিল বিভাগে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাহিদুর রহমান, ফোরকান মল্লিক, সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম হোসেন, আতাউর রহমান, ওবায়দুল হক তাহের, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া, মো. শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মো. ইসহাক শিকদার, মো. রনজু মিয়া, আমিনুল ইমলাম, আব্দুল খালেক তালুকদার, শেখ মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
আপিল চলাকালে কয়েকজন মারা গেছেন। পরে তাঁদের আপিল অ্যাবেটেড (সমাপ্তি) ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীম, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান, কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধান, মৌলভীবাজারের রাজনগরের মো. আকমল আলী তালুকদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আপিল নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
ট্রাইব্যুনালে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলে মুক্তি পাবেন। আর আপিলে দণ্ড বহাল থাকলে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সব শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করলে সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলায় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিলগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। তাই আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানির জন্য উঠলে প্রসিকিউশন সেখানে অংশ নেবে। আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিলকারী পক্ষ থেকেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারের মামলায় সেটেল হয়েছে কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত। যা আগে হয়নি। আপিল নিষ্পত্তির পর সাজা বহাল থাকতে পারে, আবার আসামি মুক্তিও পেতে পারেন। তবে যেটাই হোক, দ্রুত আপিলগুলো নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে (ক্রিমিনাল আপিল ১৪৮/১৪) আপিল করেন তিনি। প্রায় ১১ বছর পরও ওই আপিলের নিষ্পত্তি হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্র বলেছে, মোবারকের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৫২ জনের করা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। তাঁদের অনেকে বছরের পর বছর রয়েছেন কারাগারের কনডেম সেলে। কারও কারও কেটেছে এক দশক।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা এসব আসামির আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আসামির পক্ষে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব মামলার শুনানিতে তারিখ নির্ধারণের জন্য তাঁরা আদালতের নজরে আনবেন। যেহেতু একটি (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) মামলায় আপিল বিভাগ বলেছেন, অতীতে আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়নি। তাই এসব মামলায়ও তাঁরা ওই সুবিধা পাবেন। এখন দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি হলে আসামিরা মুক্তি পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারকে গত ২৭ মে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। ২৮ মে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। আজহারকে দেওয়া ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড ও আপিল বিভাগে ইতিপূর্বে তা বহাল রাখার রায় বাতিল করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগ তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায়ে বলেছেন, ওই মামলায় যেসব তথ্য-প্রমাণ ছিল, অতীতে আপিল বিভাগ তা সঠিকভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে প্রথম খালাস পেলেন এ টি এম আজহার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়। মামলার সংখ্যা কমে গেলে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। আওয়ামী লীগের আমলে দুই ট্রাইব্যুনাল মিলে ৫৫টি মামলার রায় দেন। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-২ দেন ১১টি রায়। এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হয়। বর্তমানে ৫২ জনের আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মোবারক হোসেন ছাড়া আরও ৫১ জনের আপিল শুনানির জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আপিল বিভাগে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মাহিদুর রহমান, ফোরকান মল্লিক, সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম হোসেন, আতাউর রহমান, ওবায়দুল হক তাহের, শামসুদ্দিন আহম্মেদ, মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া, মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া, মো. শামসুল হক, এস এম ইউসুফ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রিয়াজ উদ্দিন ফকির, মো. ইসহাক শিকদার, মো. রনজু মিয়া, আমিনুল ইমলাম, আব্দুল খালেক তালুকদার, শেখ মো. আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
আপিল চলাকালে কয়েকজন মারা গেছেন। পরে তাঁদের আপিল অ্যাবেটেড (সমাপ্তি) ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা আবদুল আলীম, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুস সুবহান, কিশোরগঞ্জের মোসলেম প্রধান, মৌলভীবাজারের রাজনগরের মো. আকমল আলী তালুকদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আপিল নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
ট্রাইব্যুনালে দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলে মুক্তি পাবেন। আর আপিলে দণ্ড বহাল থাকলে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সব শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করলে সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বেশ কয়েকটি মামলায় আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মো. আবুল হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিলগুলো নিষ্পত্তি না হওয়ায় অনেকে দীর্ঘদিন ধরে কনডেম সেলে আছেন। তাই আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের কোনো মামলা শুনানির জন্য উঠলে প্রসিকিউশন সেখানে অংশ নেবে। আপিল নিষ্পত্তির জন্য আপিলকারী পক্ষ থেকেই বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে এ টি এম আজহারের মামলায় সেটেল হয়েছে কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত। যা আগে হয়নি। আপিল নিষ্পত্তির পর সাজা বহাল থাকতে পারে, আবার আসামি মুক্তিও পেতে পারেন। তবে যেটাই হোক, দ্রুত আপিলগুলো নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
০৬ জুলাই ২০২৫
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
০৬ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
০৬ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ‘রাজাকার কমান্ডার’ মোবারক হোসেনকে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
০৬ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে