Ajker Patrika

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও তিন মাস

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৩০
২০০৯ সালে পিলখানায় বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত
২০০৯ সালে পিলখানায় বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃ তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন কমিশনের মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনটি আজ থেকেই কার্যকর ধরা হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েক শ সদস্য। দুই দিন ধরে চলা বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনার দুদিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে পৃথক মামলা হয়। হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাড়ে আট শ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ওই মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন আসামি। রায় ঘোষণার আগেই মৃত্যু ঘটে চার আসামির।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃ তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ডিসেম্বর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়।

এর কিছু দিন পর ২৪ ডিসেম্বর পিলখানা হত্যাকাণ্ড পুনঃ তদন্তে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে সভাপতি করে স্বাধীন কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হলেও পরে কমিশনের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়।

কমিশনকে বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃতি ও স্বরূপ উদ্‌ঘাটন করতে বলা হয়।

একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ইন্ধনদাতা ও ঘটনাসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়সহ দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ, সংগঠন ইত্যাদি চিহ্নিত করার দায়িত্ব এই কমিশনকে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাকিব খানের নামের সঙ্গে ‘মেগাস্টার’ শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তির পরই অস্ত্রের লাইসেন্স পান উপদেষ্টা আসিফ

চীনের নতুন হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফট, গতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এনপিবি পিস্তল কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হয়েছে: শহীদ আবু সাঈদের ভাই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত