নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, যানজট নিরসন এবং পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি রোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
বিপণিবিতানগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। যানজট নিরসনের জন্য, যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে দ্রুত টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫টি স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিং করা হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিকপক্ষকে ঈদের আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কন্ট্রোল রুমের তালিকা:
মো. মতিউর রহমান, যুগ্ম-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়— ০১৭১৪-১১৮৫৩৭
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়— ০১৫৮১-৭৮৬৭৬৩, ০১৭৬৬-০২১৮৭৬
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ— ০১৫৫০-০৫৬৫৭৭, ০১৫৫২১৪৬২২২
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ— ০১৭৬৯-০১৪৩৫৫
পুলিশ অধিদপ্তর— ০১৩২০-০০১২২৩, ০১৩২০-০০১ ৩০০
আনসার ও ভিডিপি— ০২-৪৭২১৪০৮৮/০২-৪৭২১৪৯৩১-৩২, ০১৭৭৭-৭৯৪৪৮১
কোস্টগার্ড— ০১৭৬৯-৪৪ ০৯৯৯, ০১৭৬৬-৬৯০ ০৪৯
বিজিবি— ০১৭৬৯-৬০০১১৪
Additional Director Ops, র্যাব সদর দপ্তর— ০১৭৭৭-৭২০০১১, ০১৭৭৭-৭২০০২৮, ০১৭৭৭-৭২০০২৯
ডিএমপি— ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ০১৩২০-০৩৭৮৪৭
হাইওয়ে পুলিশ— ০১৩২০-১৮২৫৯৮
নৌ-পুলিশ— ০১৩২০-১৬৯৫৯৮
মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি, শিল্প পুলিশ সদর দপ্তর— ০১৭২০-১৬৯৬৩৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সদর দপ্তর, এডি, ঢাকা— ০২-২২৩৩৫৫৫৫, (নতুন-১০২), ০১৯৩৫-৩৮৭৩৩৬

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, যানজট নিরসন এবং পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি রোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
বিপণিবিতানগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। যানজট নিরসনের জন্য, যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে দ্রুত টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫টি স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিং করা হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিকপক্ষকে ঈদের আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কন্ট্রোল রুমের তালিকা:
মো. মতিউর রহমান, যুগ্ম-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়— ০১৭১৪-১১৮৫৩৭
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়— ০১৫৮১-৭৮৬৭৬৩, ০১৭৬৬-০২১৮৭৬
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ— ০১৫৫০-০৫৬৫৭৭, ০১৫৫২১৪৬২২২
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ— ০১৭৬৯-০১৪৩৫৫
পুলিশ অধিদপ্তর— ০১৩২০-০০১২২৩, ০১৩২০-০০১ ৩০০
আনসার ও ভিডিপি— ০২-৪৭২১৪০৮৮/০২-৪৭২১৪৯৩১-৩২, ০১৭৭৭-৭৯৪৪৮১
কোস্টগার্ড— ০১৭৬৯-৪৪ ০৯৯৯, ০১৭৬৬-৬৯০ ০৪৯
বিজিবি— ০১৭৬৯-৬০০১১৪
Additional Director Ops, র্যাব সদর দপ্তর— ০১৭৭৭-৭২০০১১, ০১৭৭৭-৭২০০২৮, ০১৭৭৭-৭২০০২৯
ডিএমপি— ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ০১৩২০-০৩৭৮৪৭
হাইওয়ে পুলিশ— ০১৩২০-১৮২৫৯৮
নৌ-পুলিশ— ০১৩২০-১৬৯৫৯৮
মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি, শিল্প পুলিশ সদর দপ্তর— ০১৭২০-১৬৯৬৩৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সদর দপ্তর, এডি, ঢাকা— ০২-২২৩৩৫৫৫৫, (নতুন-১০২), ০১৯৩৫-৩৮৭৩৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, যানজট নিরসন এবং পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি রোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
বিপণিবিতানগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। যানজট নিরসনের জন্য, যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে দ্রুত টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫টি স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিং করা হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিকপক্ষকে ঈদের আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কন্ট্রোল রুমের তালিকা:
মো. মতিউর রহমান, যুগ্ম-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়— ০১৭১৪-১১৮৫৩৭
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়— ০১৫৮১-৭৮৬৭৬৩, ০১৭৬৬-০২১৮৭৬
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ— ০১৫৫০-০৫৬৫৭৭, ০১৫৫২১৪৬২২২
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ— ০১৭৬৯-০১৪৩৫৫
পুলিশ অধিদপ্তর— ০১৩২০-০০১২২৩, ০১৩২০-০০১ ৩০০
আনসার ও ভিডিপি— ০২-৪৭২১৪০৮৮/০২-৪৭২১৪৯৩১-৩২, ০১৭৭৭-৭৯৪৪৮১
কোস্টগার্ড— ০১৭৬৯-৪৪ ০৯৯৯, ০১৭৬৬-৬৯০ ০৪৯
বিজিবি— ০১৭৬৯-৬০০১১৪
Additional Director Ops, র্যাব সদর দপ্তর— ০১৭৭৭-৭২০০১১, ০১৭৭৭-৭২০০২৮, ০১৭৭৭-৭২০০২৯
ডিএমপি— ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ০১৩২০-০৩৭৮৪৭
হাইওয়ে পুলিশ— ০১৩২০-১৮২৫৯৮
নৌ-পুলিশ— ০১৩২০-১৬৯৫৯৮
মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি, শিল্প পুলিশ সদর দপ্তর— ০১৭২০-১৬৯৬৩৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সদর দপ্তর, এডি, ঢাকা— ০২-২২৩৩৫৫৫৫, (নতুন-১০২), ০১৯৩৫-৩৮৭৩৩৬

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দময় যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, যানজট নিরসন এবং পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি রোধেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
বিপণিবিতানগুলোতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। যানজট নিরসনের জন্য, যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে দ্রুত টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫টি স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটরিং করা হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিকপক্ষকে ঈদের আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কন্ট্রোল রুমের তালিকা:
মো. মতিউর রহমান, যুগ্ম-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়— ০১৭১৪-১১৮৫৩৭
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়— ০১৫৮১-৭৮৬৭৬৩, ০১৭৬৬-০২১৮৭৬
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ— ০১৫৫০-০৫৬৫৭৭, ০১৫৫২১৪৬২২২
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ— ০১৭৬৯-০১৪৩৫৫
পুলিশ অধিদপ্তর— ০১৩২০-০০১২২৩, ০১৩২০-০০১ ৩০০
আনসার ও ভিডিপি— ০২-৪৭২১৪০৮৮/০২-৪৭২১৪৯৩১-৩২, ০১৭৭৭-৭৯৪৪৮১
কোস্টগার্ড— ০১৭৬৯-৪৪ ০৯৯৯, ০১৭৬৬-৬৯০ ০৪৯
বিজিবি— ০১৭৬৯-৬০০১১৪
Additional Director Ops, র্যাব সদর দপ্তর— ০১৭৭৭-৭২০০১১, ০১৭৭৭-৭২০০২৮, ০১৭৭৭-৭২০০২৯
ডিএমপি— ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, ০১৩২০-০৩৭৮৪৭
হাইওয়ে পুলিশ— ০১৩২০-১৮২৫৯৮
নৌ-পুলিশ— ০১৩২০-১৬৯৫৯৮
মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি, শিল্প পুলিশ সদর দপ্তর— ০১৭২০-১৬৯৬৩৪
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সদর দপ্তর, এডি, ঢাকা— ০২-২২৩৩৫৫৫৫, (নতুন-১০২), ০১৯৩৫-৩৮৭৩৩৬

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক...
৪ ঘণ্টা আগে
ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
৪ ঘণ্টা আগে
উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সুপারিশের আলোকে আদেশ জারি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে। সুপারিশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন; নির্ধারিত সময় পার হলে বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিশন মতামত দিয়েছে, এখন কাজ সরকারের। কমিশনের যেকোনো মতামত, পরামর্শ সরকার গ্রহণ করতে পারে, বর্জন করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। এখন সিদ্ধান্ত সরকার কী করবে? সেটা সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে।
একাধিক আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রথম প্রস্তাবটি আইনগতভাবে দুর্বল হলেও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে সামনে রেখে কমিশন সেটি দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলগুলোর মধ্যে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাস আছে। অনেকে মনে করেন, বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা না হলে সংস্কার পরিষদে সনদের সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে না। এ প্রস্তাবের পক্ষে রয়েছে জামায়াত ও এনসিপি।
অবশ্য প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধানে কোনো কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না। তাই ২৭০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সরকার না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে—এটা সঠিক নয়, এটি ভ্রান্ত ধারণা। সংবিধানে কোনো কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে হলে অবশ্যই সংসদে পাস হতে হবে।
কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত করার প্রস্তাবটি অস্বাভাবিক। সেটা না করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে সংসদ বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া ভালো ছিল। এ রকম উদাহরণ তিউনিসিয়া, ভেনেজুয়েলায় হয়েছে। তাঁদের একজন বলেন, তাঁর মনে হয়, সরকার দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে। কারণ, প্রথমটি করতে হলে ৪৮টি প্রস্তাবের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরি করতে হবে, যা তৈরি করতে দুই মাস লাগতে পারে। দ্বিতীয়টির বিষয়ে সরকার চাইলে কালকেই আদেশ জারি করতে পারে।
দুটি প্রস্তাবের কারণে বিএনপির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, এতে সরকারের আলোচনা করার পথ তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে দুটি প্রস্তাবের উপযোগিতা আছে। দ্বিতীয় প্রস্তাব মানলে বিএনপিরও লাভ হবে। তাঁদের মতে, সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস না করলে তো বাস্তবায়ন হবে না। সে ক্ষেত্রে বিএনপির আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) প্রয়োগ করা যাবে।
২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতার প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো গৃহীত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে সংযুক্ত হবে—এটি একটি হাস্যকর ব্যাপার। অটোপাসের মতো কোনো বিষয় সংবিধানে থাকতে পারে না। এগুলো কীভাবে সুপারিশে এল আমি জানি না।’
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম প্রস্তাবকে সামনে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ জারি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জামায়াত ও এনসিপি। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা কমিশনের সুপারিশ করা প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী নভেম্বরে গণভোট করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সুপারিশ করা প্রথম প্রস্তাবে ভাষাগত অস্পষ্টতা আছে, সেটার আরও উন্নতি করা সম্ভব। তবে সেখানে বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে স্পষ্ট করা আছে। তাই তাঁরা এটির পক্ষে। দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্কারপ্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কারণ, সেখানে বাস্তবায়ন পদ্ধতি উল্লেখ নেই।
১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর হলেও সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। তখন দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেলে তারা স্বাক্ষর করবে না। কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পরও স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি।
সরোয়ার তুষার বলেন, ‘সরকার যদি বিকল্প-১ প্রস্তাব অনুযায়ী আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব।’
একাধিক সূত্র জানায়, আদেশ জারির বিষয়ে সরকার গতকাল পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সুপারিশের আলোকে আদেশ জারি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের কাছে চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিয়েছে। সুপারিশে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পাশাপাশি তা বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন; নির্ধারিত সময় পার হলে বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ধারাগুলো একই আছে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, কমিশন মতামত দিয়েছে, এখন কাজ সরকারের। কমিশনের যেকোনো মতামত, পরামর্শ সরকার গ্রহণ করতে পারে, বর্জন করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। এখন সিদ্ধান্ত সরকার কী করবে? সেটা সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে।
একাধিক আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রথম প্রস্তাবটি আইনগতভাবে দুর্বল হলেও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে সামনে রেখে কমিশন সেটি দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলগুলোর মধ্যে পরস্পরের প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাস আছে। অনেকে মনে করেন, বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা না হলে সংস্কার পরিষদে সনদের সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে না। এ প্রস্তাবের পক্ষে রয়েছে জামায়াত ও এনসিপি।
অবশ্য প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সংবিধানে কোনো কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না। তাই ২৭০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সরকার না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে—এটা সঠিক নয়, এটি ভ্রান্ত ধারণা। সংবিধানে কোনো কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে হলে অবশ্যই সংসদে পাস হতে হবে।
কয়েকজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত করার প্রস্তাবটি অস্বাভাবিক। সেটা না করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে সংসদ বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দেওয়া ভালো ছিল। এ রকম উদাহরণ তিউনিসিয়া, ভেনেজুয়েলায় হয়েছে। তাঁদের একজন বলেন, তাঁর মনে হয়, সরকার দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে। কারণ, প্রথমটি করতে হলে ৪৮টি প্রস্তাবের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরি করতে হবে, যা তৈরি করতে দুই মাস লাগতে পারে। দ্বিতীয়টির বিষয়ে সরকার চাইলে কালকেই আদেশ জারি করতে পারে।
দুটি প্রস্তাবের কারণে বিএনপির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, এতে সরকারের আলোচনা করার পথ তৈরি হয়েছে। সেদিক থেকে দুটি প্রস্তাবের উপযোগিতা আছে। দ্বিতীয় প্রস্তাব মানলে বিএনপিরও লাভ হবে। তাঁদের মতে, সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস না করলে তো বাস্তবায়ন হবে না। সে ক্ষেত্রে বিএনপির আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) প্রয়োগ করা যাবে।
২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতার প্রস্তাবের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো গৃহীত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে সংযুক্ত হবে—এটি একটি হাস্যকর ব্যাপার। অটোপাসের মতো কোনো বিষয় সংবিধানে থাকতে পারে না। এগুলো কীভাবে সুপারিশে এল আমি জানি না।’
এদিকে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম প্রস্তাবকে সামনে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ জারি করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জামায়াত ও এনসিপি। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা কমিশনের সুপারিশ করা প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী নভেম্বরে গণভোট করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সুপারিশ করা প্রথম প্রস্তাবে ভাষাগত অস্পষ্টতা আছে, সেটার আরও উন্নতি করা সম্ভব। তবে সেখানে বাস্তবায়ন পদ্ধতির বিষয়ে স্পষ্ট করা আছে। তাই তাঁরা এটির পক্ষে। দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী সংস্কারপ্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। কারণ, সেখানে বাস্তবায়ন পদ্ধতি উল্লেখ নেই।
১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর হলেও সেদিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। তখন দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেলে তারা স্বাক্ষর করবে না। কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পরও স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি।
সরোয়ার তুষার বলেন, ‘সরকার যদি বিকল্প-১ প্রস্তাব অনুযায়ী আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব।’
একাধিক সূত্র জানায়, আদেশ জারির বিষয়ে সরকার গতকাল পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ
২৫ মার্চ ২০২৫
ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
৪ ঘণ্টা আগে
উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা

ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রি করা হচ্ছে, এ ধরনের ৩৩টি ডালের নমুনা সম্প্রতি দৈবচয়নের ভিত্তিতে সংগ্রহ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পরীক্ষায় এসব নমুনা ডালের ১৮টির মধ্যে হলুদ রঙের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। রংমিশ্রিত ডালের একটি নমুনা বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে সেখানে টারট্রাজিন রং পাওয়া যায়। টারট্রাজিন নামক এই রঙের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ। এ কারণে রং মেশানো মথবীজ কেনার বিষয়ে সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, টারট্রাজিন বা হালকা হলুদ রং বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে ২০০ পিপিএম পর্যন্ত। কিন্তু এসব রং কাঁচা পণ্যে ব্যবহারের সুযোগ নেই। এসব রং মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির জটিল রোগ হতে পারে।
সেই সঙ্গে মুগ ডাল ও মথবীজ আমদানির ক্ষেত্রে রং পরীক্ষা নিশ্চিত- করণ এবং রংমিশ্রিত ডাল আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, রং মেশানো মথ বীজ আমদানি বন্ধ চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এসব আমদানি করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে প্রকৃত মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা দেখতে অনেকটাই মুগ ডালের মতো ‘মথ বীজ’ হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, বিচক্ষণ ব্যক্তিরাও এসব ডালের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। এ সুযোগ নিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। মুগ ডাল নামে মথ বীজ বিক্রি করে আসছেন তাঁরা।
পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ডালপট্টির মেসার্স এস আলম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলী আজগর জানান, বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা মুগ ডালসদৃশ এসব ডাল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা এই দেশের কৃষককে শেষ করে ফেলছে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী মথ বীজ আমদানি করে তাতে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন।
বাজারে কী পরিমাণ ভেজাল মুগ ডাল আছে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে বাংলাদেশে ডাল আমদানির বিষয়ে অ্যাসাইকুডা অনলাইন ডেটা পর্যালোচনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে এইচএস কোড-০৭১৩৯৯০, ০৭১৩৩৯১০, ০৭১৩৩১৯০ এবং ০৭১৩৯০৯০-এর আওতায় মুগ ডাল আমদানির পরিমাণ ছিল অনুমান ১০ হাজার ৯৬১ টন। অন্যদিকে এইচএস কোড-০৭১৩৯০৯০-এর আওতায় মথ বীজ আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৮৯১ টন। মুগ ডালের তুলনায় মথ বীজ আমদানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হলেও ৩৩টি নমুনা সংগ্রহের সময় বাজারে মথ নামে ডাল পায়নি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শিবির বিচিত্র বড়ুয়া বলেন, ডালের নামে ক্ষতিকর খাদ্যপণ্য আমদানির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাজারে মুগ ডাল নামে বিক্রি করা হচ্ছে, এ ধরনের ৩৩টি ডালের নমুনা সম্প্রতি দৈবচয়নের ভিত্তিতে সংগ্রহ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পরীক্ষায় এসব নমুনা ডালের ১৮টির মধ্যে হলুদ রঙের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। রংমিশ্রিত ডালের একটি নমুনা বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হলে সেখানে টারট্রাজিন রং পাওয়া যায়। টারট্রাজিন নামক এই রঙের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ। এ কারণে রং মেশানো মথবীজ কেনার বিষয়ে সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, টারট্রাজিন বা হালকা হলুদ রং বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে ২০০ পিপিএম পর্যন্ত। কিন্তু এসব রং কাঁচা পণ্যে ব্যবহারের সুযোগ নেই। এসব রং মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ক্যানসার, লিভার ও কিডনির জটিল রোগ হতে পারে।
সেই সঙ্গে মুগ ডাল ও মথবীজ আমদানির ক্ষেত্রে রং পরীক্ষা নিশ্চিত- করণ এবং রংমিশ্রিত ডাল আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, রং মেশানো মথ বীজ আমদানি বন্ধ চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এসব আমদানি করছেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে প্রকৃত মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে।
অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা দেখতে অনেকটাই মুগ ডালের মতো ‘মথ বীজ’ হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, বিচক্ষণ ব্যক্তিরাও এসব ডালের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। এ সুযোগ নিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। মুগ ডাল নামে মথ বীজ বিক্রি করে আসছেন তাঁরা।
পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ ডালপট্টির মেসার্স এস আলম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলী আজগর জানান, বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা মুগ ডালসদৃশ এসব ডাল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ চন্দ্র সাহা বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা এই দেশের কৃষককে শেষ করে ফেলছে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী মথ বীজ আমদানি করে তাতে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন।
বাজারে কী পরিমাণ ভেজাল মুগ ডাল আছে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে বাংলাদেশে ডাল আমদানির বিষয়ে অ্যাসাইকুডা অনলাইন ডেটা পর্যালোচনা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, গত অর্থবছরে এইচএস কোড-০৭১৩৯৯০, ০৭১৩৩৯১০, ০৭১৩৩১৯০ এবং ০৭১৩৯০৯০-এর আওতায় মুগ ডাল আমদানির পরিমাণ ছিল অনুমান ১০ হাজার ৯৬১ টন। অন্যদিকে এইচএস কোড-০৭১৩৯০৯০-এর আওতায় মথ বীজ আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৮৯১ টন। মুগ ডালের তুলনায় মথ বীজ আমদানির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হলেও ৩৩টি নমুনা সংগ্রহের সময় বাজারে মথ নামে ডাল পায়নি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শিবির বিচিত্র বড়ুয়া বলেন, ডালের নামে ক্ষতিকর খাদ্যপণ্য আমদানির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ
২৫ মার্চ ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক...
৪ ঘণ্টা আগে
উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেমনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় সংকট কাটাতে বিমানকে ভাড়ায় উড়োজাহাজ আনার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র বলেছে, সংকট এড়াতে বড় আকারের (৩২০-এর বেশি আসনের) চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে দুটি বোয়িং লিজ নিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফা দরপত্র আহ্বান করেও সাড়া পায়নি বিমান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিজ নিতে বিমানের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এবারও তেমন আশঙ্কা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সংস্থাটির বহরে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ ও পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। এগুলো দিয়ে বিমান ২৩টি আন্তর্জাতিক ও সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভাড়ার মেয়াদ শেষে বহরের দুটি বোয়িং ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। এ দুটি ফেরত গেলে বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ১৯টি। এ সময়ের মধ্যে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে ফ্লাইট পরিচালনায় জটিলতার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। তাই চারটি বড় আকারের উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যাত্রীর চাহিদা বাড়ছে, ফলে বহর ছোট হয়ে গেলে ফ্লাইট পরিচালনায় সমস্যা হবে। তাই ঘাটতি সামাল দিতে অন্তত কিছু উড়োজাহাজ লিজে আনার চেষ্টা চলছে।
বিমান সূত্র জানায়, চারটি উড়োজাহাজ লিজ নিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হবে ওয়েট লিজে। মূলত সামনের হজ মৌসুমের চাপ সামাল দিতে এ দুটি উড়োজাহাজ আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভাড়া নিতে চায় বিমান।
প্রসঙ্গত, ওয়েট লিজের চুক্তিতে একটি এয়ারলাইনস (ইজারা দেওয়া) অন্য এয়ারলাইনসকে (ইজারা গ্রহীতা) উড়োজাহাজ, তার সম্পূর্ণ ক্রু, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিমা সরবরাহ করে। এই ব্যবস্থা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ব্যবহারের জন্য করা হয়।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে বহর সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে বিমান বাংলাদেশ। নতুন উড়োজাহাজ কিনতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরকালে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল এয়ারবাস। প্রতিটির দাম ধরা হয়েছিল প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়। পরে বোয়িংও নতুন প্রস্তাব পাঠায়। গত জুলাইয়ে বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন উড়োজাহাজ কেনার লক্ষ্যে এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি হলেও তাদের কেউই ২০৩২ সালের আগে উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারবে না। সে হিসেবে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে লাগবে প্রায় সাত বছর। এর আগেই পবিত্র হজসহ ব্যস্ত মৌসুমে যাত্রী পরিবহনে ঘাটতি দেখা দেবে। তাই আপাতত চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী এক দশকে দেশের আকাশপথে যাত্রীসংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বছরে গড়ে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখে। কিন্তু এই সম্ভাবনার বিপরীতে উড়োজাহাজ সংকটে পড়েছে বিমান। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা-টরন্টো, ঢাকা-নারিতা ও ঢাকা-রোম রুটে ফ্লাইট চালুর পর থেকে সংকটের শুরু।
জানা গেছে, গত হজ মৌসুমে পরিস্থিতি জটিল হলে জরুরি ভিত্তিতে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮ উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করে বিমান। সিদ্ধান্ত ছিল, ছয় বছরের জন্য ভাড়া নেওয়া হবে। এর একটি গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং অন্যটি ১ এপ্রিলের মধ্যে বহরে যুক্ত করার কথা ছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফায় দরপত্র দিলেও কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদা অনুযায়ী সাড়া পায়নি বিমান। ফলে গত হজ মৌসুমে বিদ্যমান উড়োজাহাজ দিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়েছে। এতে নারিতা রুট বন্ধসহ বেশ কিছু রুটের ফ্লাইট কমাতে হয়। এদিকে লোকসানে থাকা ঢাকা-নারিতা রুট উড়োজাহাজ সংকটে গত ১ জুলাই বন্ধ করে দেয় বিমান।
এদিকে চাহিদা অনুযায়ী চারটি উড়োজাহাজ ভাড়া পেলে নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষের। বিমান সূত্র জানায়, মালদ্বীপের মালে, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাজার যাচাই-বাছাই চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উড়োজাহাজ লিজ নিতে বিমান কর্তৃপক্ষ যে প্রক্রিয়ায় দরপত্র আহ্বান করে, তাতে কখনই সফল হবে না। কারণ, বিমানের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। কোনো এয়ারলাইনসই তার উড়োজাহাজ বিমানের জন্য একদিনও বসিয়ে রাখবে না। এ কারণে গত বছরও দফায় দফায় দরপত্র দিয়েও উড়োজাহাজ লিজ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও সে পথেই হাঁটছে বিমান।

উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় সংকট কাটাতে বিমানকে ভাড়ায় উড়োজাহাজ আনার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্র বলেছে, সংকট এড়াতে বড় আকারের (৩২০-এর বেশি আসনের) চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে দুটি বোয়িং লিজ নিতে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফা দরপত্র আহ্বান করেও সাড়া পায়নি বিমান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিজ নিতে বিমানের দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এবারও তেমন আশঙ্কা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সংস্থাটির বহরে ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার, দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ ও পাঁচটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ। এগুলো দিয়ে বিমান ২৩টি আন্তর্জাতিক ও সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভাড়ার মেয়াদ শেষে বহরের দুটি বোয়িং ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। এ দুটি ফেরত গেলে বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ১৯টি। এ সময়ের মধ্যে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে ফ্লাইট পরিচালনায় জটিলতার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। তাই চারটি বড় আকারের উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যাত্রীর চাহিদা বাড়ছে, ফলে বহর ছোট হয়ে গেলে ফ্লাইট পরিচালনায় সমস্যা হবে। তাই ঘাটতি সামাল দিতে অন্তত কিছু উড়োজাহাজ লিজে আনার চেষ্টা চলছে।
বিমান সূত্র জানায়, চারটি উড়োজাহাজ লিজ নিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হবে ওয়েট লিজে। মূলত সামনের হজ মৌসুমের চাপ সামাল দিতে এ দুটি উড়োজাহাজ আগামী বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভাড়া নিতে চায় বিমান।
প্রসঙ্গত, ওয়েট লিজের চুক্তিতে একটি এয়ারলাইনস (ইজারা দেওয়া) অন্য এয়ারলাইনসকে (ইজারা গ্রহীতা) উড়োজাহাজ, তার সম্পূর্ণ ক্রু, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিমা সরবরাহ করে। এই ব্যবস্থা সাধারণত স্বল্পমেয়াদি ব্যবহারের জন্য করা হয়।
সূত্র জানায়, কয়েক বছর ধরে বহর সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে বিমান বাংলাদেশ। নতুন উড়োজাহাজ কিনতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের এয়ারবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরকালে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল এয়ারবাস। প্রতিটির দাম ধরা হয়েছিল প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই চুক্তি স্থগিত হয়। পরে বোয়িংও নতুন প্রস্তাব পাঠায়। গত জুলাইয়ে বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন উড়োজাহাজ কেনার লক্ষ্যে এয়ারবাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি হলেও তাদের কেউই ২০৩২ সালের আগে উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারবে না। সে হিসেবে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে লাগবে প্রায় সাত বছর। এর আগেই পবিত্র হজসহ ব্যস্ত মৌসুমে যাত্রী পরিবহনে ঘাটতি দেখা দেবে। তাই আপাতত চারটি উড়োজাহাজ লিজে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী এক দশকে দেশের আকাশপথে যাত্রীসংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বছরে গড়ে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেন। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখে। কিন্তু এই সম্ভাবনার বিপরীতে উড়োজাহাজ সংকটে পড়েছে বিমান। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা-টরন্টো, ঢাকা-নারিতা ও ঢাকা-রোম রুটে ফ্লাইট চালুর পর থেকে সংকটের শুরু।
জানা গেছে, গত হজ মৌসুমে পরিস্থিতি জটিল হলে জরুরি ভিত্তিতে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮ উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করে বিমান। সিদ্ধান্ত ছিল, ছয় বছরের জন্য ভাড়া নেওয়া হবে। এর একটি গত ১ ফেব্রুয়ারি এবং অন্যটি ১ এপ্রিলের মধ্যে বহরে যুক্ত করার কথা ছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চার দফায় দরপত্র দিলেও কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদা অনুযায়ী সাড়া পায়নি বিমান। ফলে গত হজ মৌসুমে বিদ্যমান উড়োজাহাজ দিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করতে হয়েছে। এতে নারিতা রুট বন্ধসহ বেশ কিছু রুটের ফ্লাইট কমাতে হয়। এদিকে লোকসানে থাকা ঢাকা-নারিতা রুট উড়োজাহাজ সংকটে গত ১ জুলাই বন্ধ করে দেয় বিমান।
এদিকে চাহিদা অনুযায়ী চারটি উড়োজাহাজ ভাড়া পেলে নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষের। বিমান সূত্র জানায়, মালদ্বীপের মালে, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাজার যাচাই-বাছাই চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উড়োজাহাজ লিজ নিতে বিমান কর্তৃপক্ষ যে প্রক্রিয়ায় দরপত্র আহ্বান করে, তাতে কখনই সফল হবে না। কারণ, বিমানের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ, সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। কোনো এয়ারলাইনসই তার উড়োজাহাজ বিমানের জন্য একদিনও বসিয়ে রাখবে না। এ কারণে গত বছরও দফায় দফায় দরপত্র দিয়েও উড়োজাহাজ লিজ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এবারও সে পথেই হাঁটছে বিমান।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ
২৫ মার্চ ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক...
৪ ঘণ্টা আগে
ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৪ ঘণ্টা আগেজোটের ভোটে নির্বাচনী প্রতীক
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।
গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।
এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।
গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।
এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় যৌথ অপারেশন সেন্টার (০১৩২০০০০১২২৩)–এর সঙ্গে এই কন্ট্রোল রুমগুলোকে সংযুক্ত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে বিশেষ
২৫ মার্চ ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনে বাস্তবায়ন করতে না পারলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাবকে বিএনপি ‘হাস্যকর’ বলেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক...
৪ ঘণ্টা আগে
ডাল খেতে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অনেকে খাদ্যতালিকায় মুগ ডাল রাখেন। মানুষের এই পছন্দের ডাল নিয়ে শুরু হয়েছে ভয়ংকর প্রতারণা। বাজারে মুগ ডালের নামে যা বিক্রি হচ্ছে, তার বড় একটি অংশ ‘মথবীজ’। বিদেশ থেকে আমদানি করা মথবীজে রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
৪ ঘণ্টা আগে
উড়োজাহাজ সংকটে ইতিমধ্যে একটি রুট বন্ধ করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ওপর লিজে (ভাড়ায়) আনা দুটি বোয়িং আগামী ডিসেম্বরে ফেরত যাচ্ছে। ফলে বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত না হলে জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির বর্তমান স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে