নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাতেমা-তুজ-জোহরা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সব স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাতেমা-তুজ-জোহরা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সব স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাতেমা-তুজ-জোহরা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সব স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রেল মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাতেমা-তুজ-জোহরা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, দুষ্কৃতকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সব স্থাপনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন...
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেপিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদন
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন সংবাদমাধ্যমকর্মীর নাম রয়েছে।
কমিশন বলেছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তা ওই ঘটনায় সরাসরি ভূমিকা রাখেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য। কমিশনের সূত্র বলেছে, ওই ৪৯ ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ঘটনা ঘটানো, সহায়তা, উসকানি বা দায়িত্বে অবহেলায় জড়িত ছিলেন।
পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রায় ১১ মাস তদন্ত শেষে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এই কমিশনের প্রধান হলেন মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। ২০০৯ সালের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটি একটি বিশাল ভলিউমের প্রতিবেদন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে।
কমিশনের সূত্র বলেছে, অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার মাস কয়েক আগেই তৎকালীন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বিডিআরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে বৈঠক এবং সৈনিকদের অসন্তোষের তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে তাপসের বাসায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের উপস্থিতিতে বিডিআর সদস্যদের আরেকটি বৈঠক হয়, যেখানে প্রথমে অফিসারদের জিম্মি করার পরিকল্পনা করা হয়।
সূত্র আরও বলেছে, পরে সোহেল তাজ ও শেখ সেলিমের উপস্থিতিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ জনের একটি দল বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে কর্মকর্তা হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাপসকে অভিযুক্তদের নিরাপদে পলায়নে সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, লেদার লিটন ও তোরাব আলী। এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিও কর্নেল শামস অবগত ছিলেন এবং তাপস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্তের অনুমোদন নিতেন। বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বিডিআর সদস্যদের মধ্যে বিপুল অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল।
ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দাদের সংশ্লিষ্টতা
তদন্ত কমিশনের সূত্র বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর পুরো পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয় এবং সমন্বয়ের জন্য শেখ ফজলে নূর তাপসের বাসায় বৈঠক হয়। তদন্তে উঠে আসে, সংসদ সদস্য গোলাম রেজা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পিলখানা এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিম, সাবেক এমপি মোর্শেদ, শেখ সেলিম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখেছেন।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সূত্র বলেছে, বিদ্রোহ শুরুর পর ক্যাপ্টেন তানভীর হায়দার নূর স্ত্রীকে পিলখানায় ভারতীয় এনএসজি সদস্যদের উপস্থিতির কথা জানান। তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা জানান, তিনি বিডিআরের পোশাক পরা তিনজনকে হিন্দিতে গালাগাল করতে শোনেন। সেদিন পিলখানায় হিন্দি, পশ্চিমবঙ্গীয় টানে বাংলা এবং অচেনা ভাষায় কথোপকথন শোনার কথা একাধিক সাক্ষী জানিয়েছেন।
কমিশনের এক সদস্য জানান, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮২৭ জন ভারতীয় পাসপোর্টধারী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাঁদের মধ্যে ৬৫ জনের বহির্গমনের তথ্য পাওয়া যায়নি। একই সময়ে ১ হাজার ২২১ জনের বহির্গমনের তথ্য থাকলেও ৫৭ জনের আগমনের কোনো রেকর্ড ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। বিষয়টি আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে কমিশন প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে। বিদেশি ভাষা শোনা, বহিরাগতদের পলায়ন, কল তালিকায় বিদেশি নম্বর, ক্যাপ্টেন তানভীরের শেষ কথোপকথনসহ বিভিন্ন তথ্যকে কমিশন প্রতিবেদনে ভারতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে ১৭ রাজনীতিকের নাম
তদন্ত কমিশনসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল, যার পেছনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মোট ১৭ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম এ ঘটনায় উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, কামরুল ইসলাম, সাহারা খাতুন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, মাহবুব আরা গিনি, আসাদুজ্জামান নূর, তানজীম আহমদ সোহেল তাজ, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহীন সিদ্দিক, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মেহের আফরোজ চুমকি, লেদার লিটন এবং মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ।
সূত্র বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ‘সবুজসংকেত’ পাওয়ার পরই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয় এবং বিদ্রোহের শুরুতে তিনি ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অবগত ছিলেন। বিডিআরের মহাপরিচালক (মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) সেনা পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধারের জন্য শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সেনা পাঠানো হয়নি এবং রাজনৈতিক সমাধানের নামে সময়ক্ষেপণ করা হয়। এতে হত্যাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
সূত্র জানায়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ঘটনার বিভিন্ন ধাপে উসকানি, তথ্য গোপন এবং অস্ত্র সমর্পণের নামে ‘প্রহসনমূলক’ উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পিলখানার কোয়ার্টার গার্ডে গিয়ে তিনি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেননি।
শেখ সেলিমকে হত্যার ‘সংকেতদাতা’ উল্লেখ করে কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, ঘটনার আগে তাঁর বাসায় বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক হয়। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমের ক্ষেত্রেও বিদ্রোহের আগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার দিন মির্জা আজম সাদা কাপড় দেখিয়ে পিলখানায় প্রবেশ করেন, যা হত্যাকারী বিদ্রোহীদের জন্য একধরনের সংকেত ছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের বিষয়ে কমিশন দায়িত্বে অবহেলা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উল্লেখ করেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোহেল তাজের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ৩০ কর্মকর্তার নাম
কমিশন সূত্র বলেছে, তদন্তে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দীন আহম্মেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এস এম জিয়াউর রহমানসহ ১২ জন সাবেক সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন লে. জেনারেল (অব.) সিনা ইবনে জামালী, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল হাকিম আজিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামসুল আলম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইমামুল হুদা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদ হোসেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব সারোয়ার।
কমিশনের তদন্ত সূত্র বলছে, তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের সিদ্ধান্ত এবং আচরণ হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেয়। বিডিআরের ডিজি শাকিল পিলখানার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানানোর পরও তিনি সেনা পাঠানোর স্পষ্ট নির্দেশ দেননি এবং যুক্তি দেন, অভিযান চালালে ভারতীয় বাহিনী দেশে প্রবেশ করতে পারে। জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ সামরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে যান।
এর বাইরে ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, লে. জেনারেল (অব.) মামুন খালেদ, মেজর জেনারেল (অব.) ইমরুল কায়েস ও মেজর জেনারেল (অব.) সুলতানুজ্জামান সালেহ উদ্দীন; এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মুনিরুল ইসলাম ও মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জোবায়ের, র্যাবের চার কর্মকর্তা, বিডিআরের তিন কর্মকর্তা এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
র্যাবের সাবেক ওই কর্মকর্তারা হলেন তৎকালীন ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, মেজর জেনারেল (অব.) রেজানুর রহমান খান, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আজিম আহমেদ (তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর ইন্টেলিজেন্স)। কমিশন বলেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও তাঁরা র্যাবকে নিষ্ক্রিয় রেখেছেন।
বিডিআরের অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন কর্নেল (অব.) সাইদুল কবির, লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ এবং মেজর (অব.) গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরী। দায়িত্বে অবহেলা, সত্য গোপন করা এবং অপরাধীদের পালানোর সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠা পুলিশের কর্মকর্তারা হলেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাঈম আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) ও বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ ও তাঁর তদন্ত দল। তৎকালীন আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শুধু নিজের মেয়ে ও কিছু পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে নাম থাকার বিষয়ে আইজিপি বাহারুল আলম গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন সরকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। এখানে আমার দেখার বা বলার কিছু নেই।’
সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড চলাকালে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিশন। সূত্র বলেছে, কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম লাইভ অনুষ্ঠান, টক শোসহ বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর এবং একতরফা খবর প্রচার করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে, বিদ্রোহীরা বিদ্রোহের সময় সাংবাদিকদের হাতে একাধিক চিরকুট দেয়, যেখানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য লেখা ছিল। এই তথ্যগুলো যাচাই না করেই তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করে মিডিয়া ‘অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ’ করে। কমিশনের মতে, এসব প্রচার জনমনে সেনাবাহিনীর প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি করে এবং বিদ্রোহীদের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে সম্পাদকীয় ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। কমিশন মনে করে, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার উপসম্পাদকীয়ও সেই সময়ের বিতর্কিত আলোচনার অংশ ছিল।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনঃতদন্ত করে, বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এভাবেই সুপারিশ করেছি। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সবার কাছে প্রকাশ করার কথাও বলা হয়েছে।’

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন সংবাদমাধ্যমকর্মীর নাম রয়েছে।
কমিশন বলেছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ কর্মকর্তা ওই ঘটনায় সরাসরি ভূমিকা রাখেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য। কমিশনের সূত্র বলেছে, ওই ৪৯ ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ঘটনা ঘটানো, সহায়তা, উসকানি বা দায়িত্বে অবহেলায় জড়িত ছিলেন।
পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রায় ১১ মাস তদন্ত শেষে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এই কমিশনের প্রধান হলেন মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। ২০০৯ সালের ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এটি একটি বিশাল ভলিউমের প্রতিবেদন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে।
কমিশনের সূত্র বলেছে, অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার মাস কয়েক আগেই তৎকালীন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বিডিআরের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে বৈঠক এবং সৈনিকদের অসন্তোষের তথ্য সংগ্রহ করতেন। পরে তাপসের বাসায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের উপস্থিতিতে বিডিআর সদস্যদের আরেকটি বৈঠক হয়, যেখানে প্রথমে অফিসারদের জিম্মি করার পরিকল্পনা করা হয়।
সূত্র আরও বলেছে, পরে সোহেল তাজ ও শেখ সেলিমের উপস্থিতিতে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ২৪ জনের একটি দল বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে কর্মকর্তা হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাপসকে অভিযুক্তদের নিরাপদে পলায়নে সহায়তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, লেদার লিটন ও তোরাব আলী। এসব পরিকল্পনা সম্পর্কে ৪৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিও কর্নেল শামস অবগত ছিলেন এবং তাপস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্তের অনুমোদন নিতেন। বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বিডিআর সদস্যদের মধ্যে বিপুল অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল।
ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দাদের সংশ্লিষ্টতা
তদন্ত কমিশনের সূত্র বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতার বিভিন্ন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর পুরো পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয় এবং সমন্বয়ের জন্য শেখ ফজলে নূর তাপসের বাসায় বৈঠক হয়। তদন্তে উঠে আসে, সংসদ সদস্য গোলাম রেজা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে পিলখানা এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিম, সাবেক এমপি মোর্শেদ, শেখ সেলিম ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে দেখেছেন।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সূত্র বলেছে, বিদ্রোহ শুরুর পর ক্যাপ্টেন তানভীর হায়দার নূর স্ত্রীকে পিলখানায় ভারতীয় এনএসজি সদস্যদের উপস্থিতির কথা জানান। তাঁর স্ত্রী তাসনুভা মাহা জানান, তিনি বিডিআরের পোশাক পরা তিনজনকে হিন্দিতে গালাগাল করতে শোনেন। সেদিন পিলখানায় হিন্দি, পশ্চিমবঙ্গীয় টানে বাংলা এবং অচেনা ভাষায় কথোপকথন শোনার কথা একাধিক সাক্ষী জানিয়েছেন।
কমিশনের এক সদস্য জানান, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮২৭ জন ভারতীয় পাসপোর্টধারী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাঁদের মধ্যে ৬৫ জনের বহির্গমনের তথ্য পাওয়া যায়নি। একই সময়ে ১ হাজার ২২১ জনের বহির্গমনের তথ্য থাকলেও ৫৭ জনের আগমনের কোনো রেকর্ড ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। বিষয়টি আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে কমিশন প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে। বিদেশি ভাষা শোনা, বহিরাগতদের পলায়ন, কল তালিকায় বিদেশি নম্বর, ক্যাপ্টেন তানভীরের শেষ কথোপকথনসহ বিভিন্ন তথ্যকে কমিশন প্রতিবেদনে ভারতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনে ১৭ রাজনীতিকের নাম
তদন্ত কমিশনসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল, যার পেছনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মোট ১৭ জন রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম এ ঘটনায় উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, ফজলে নূর তাপস, শেখ সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, কামরুল ইসলাম, সাহারা খাতুন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, মাহবুব আরা গিনি, আসাদুজ্জামান নূর, তানজীম আহমদ সোহেল তাজ, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, শাহীন সিদ্দিক, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মেহের আফরোজ চুমকি, লেদার লিটন এবং মেজর (অব.) খন্দকার আব্দুল হাফিজ।
সূত্র বলেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ‘সবুজসংকেত’ পাওয়ার পরই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয় এবং বিদ্রোহের শুরুতে তিনি ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অবগত ছিলেন। বিডিআরের মহাপরিচালক (মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ) সেনা পাঠিয়ে তাঁদের উদ্ধারের জন্য শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে সেনা পাঠানো হয়নি এবং রাজনৈতিক সমাধানের নামে সময়ক্ষেপণ করা হয়। এতে হত্যাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।
সূত্র জানায়, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ঘটনার বিভিন্ন ধাপে উসকানি, তথ্য গোপন এবং অস্ত্র সমর্পণের নামে ‘প্রহসনমূলক’ উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পিলখানার কোয়ার্টার গার্ডে গিয়ে তিনি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেননি।
শেখ সেলিমকে হত্যার ‘সংকেতদাতা’ উল্লেখ করে কমিশন প্রতিবেদনে বলেছে, ঘটনার আগে তাঁর বাসায় বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক হয়। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমের ক্ষেত্রেও বিদ্রোহের আগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার দিন মির্জা আজম সাদা কাপড় দেখিয়ে পিলখানায় প্রবেশ করেন, যা হত্যাকারী বিদ্রোহীদের জন্য একধরনের সংকেত ছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের বিষয়ে কমিশন দায়িত্বে অবহেলা ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উল্লেখ করেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোহেল তাজের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ৩০ কর্মকর্তার নাম
কমিশন সূত্র বলেছে, তদন্তে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বহীনতা, অবহেলা ও সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জহির উদ্দীন আহম্মেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এস এম জিয়াউর রহমানসহ ১২ জন সাবেক সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন লে. জেনারেল (অব.) সিনা ইবনে জামালী, জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ, লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম, লে. জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল হাকিম আজিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামসুল আলম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইমামুল হুদা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদ হোসেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব সারোয়ার।
কমিশনের তদন্ত সূত্র বলছে, তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের সিদ্ধান্ত এবং আচরণ হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেয়। বিডিআরের ডিজি শাকিল পিলখানার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানানোর পরও তিনি সেনা পাঠানোর স্পষ্ট নির্দেশ দেননি এবং যুক্তি দেন, অভিযান চালালে ভারতীয় বাহিনী দেশে প্রবেশ করতে পারে। জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ সামরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে যান।
এর বাইরে ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, লে. জেনারেল (অব.) মামুন খালেদ, মেজর জেনারেল (অব.) ইমরুল কায়েস ও মেজর জেনারেল (অব.) সুলতানুজ্জামান সালেহ উদ্দীন; এনএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মুনিরুল ইসলাম ও মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জোবায়ের, র্যাবের চার কর্মকর্তা, বিডিআরের তিন কর্মকর্তা এবং পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
র্যাবের সাবেক ওই কর্মকর্তারা হলেন তৎকালীন ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, মেজর জেনারেল (অব.) রেজানুর রহমান খান, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আজিম আহমেদ (তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর ইন্টেলিজেন্স)। কমিশন বলেছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও তাঁরা র্যাবকে নিষ্ক্রিয় রেখেছেন।
বিডিআরের অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন কর্নেল (অব.) সাইদুল কবির, লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ এবং মেজর (অব.) গোলাম মাহবুবুল আলম চৌধুরী। দায়িত্বে অবহেলা, সত্য গোপন করা এবং অপরাধীদের পালানোর সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠা পুলিশের কর্মকর্তারা হলেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার নাঈম আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) ও বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ ও তাঁর তদন্ত দল। তৎকালীন আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শুধু নিজের মেয়ে ও কিছু পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে নাম থাকার বিষয়ে আইজিপি বাহারুল আলম গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন সরকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। এখানে আমার দেখার বা বলার কিছু নেই।’
সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড চলাকালে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিশন। সূত্র বলেছে, কমিশনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম লাইভ অনুষ্ঠান, টক শোসহ বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর এবং একতরফা খবর প্রচার করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে, বিদ্রোহীরা বিদ্রোহের সময় সাংবাদিকদের হাতে একাধিক চিরকুট দেয়, যেখানে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য লেখা ছিল। এই তথ্যগুলো যাচাই না করেই তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করে মিডিয়া ‘অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ’ করে। কমিশনের মতে, এসব প্রচার জনমনে সেনাবাহিনীর প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি করে এবং বিদ্রোহীদের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে সম্পাদকীয় ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। কমিশন মনে করে, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার উপসম্পাদকীয়ও সেই সময়ের বিতর্কিত আলোচনার অংশ ছিল।
তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনঃতদন্ত করে, বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে এভাবেই সুপারিশ করেছি। এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সবার কাছে প্রকাশ করার কথাও বলা হয়েছে।’

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
২১ দিন আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তাঁর লিভারে সমস্যা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গেছে, শ্বাসকষ্টসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তাঁর লিভারে সমস্যা, কিডনির কর্মক্ষমতা কমে গেছে, শ্বাসকষ্টসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
২১ দিন আগে
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন...
৮ ঘণ্টা আগে
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের ৫২৭টি থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদায়ন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো লটারিভিত্তিক এই পদায়ন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বচ্ছ রাখতে নেওয়া উদ্যোগ। ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে তাঁদের নতুন থানায় পদায়ন শুরু হবে।
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পুলিশ পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। পদায়ন করা নতুন ওসিদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা অভ্যন্তরীণ রেঞ্জ ও ২০ শতাংশ বাইরের রেঞ্জ থেকে আনা হয়েছে। এভাবে কর্মকর্তা বাছাই করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, পুরো পদায়ন স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে, যাতে কোনো রকম বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের জন্য দক্ষদের নির্বাচন করা হয়েছে।
পদায়নের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জে ১৩ জেলায় ৯৮ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১ জেলায় ১১১ থানার, খুলনা রেঞ্জে ১০ জেলায় ৬৪ থানার, ময়মনসিংহ রেঞ্জে চার জেলায় ৩৬ থানার, বরিশাল রেঞ্জে ছয় জেলায় ৪৬ থানার, সিলেট রেঞ্জে চার জেলায় ৩৯ থানার, রাজশাহী রেঞ্জে আট জেলায় ৭১ থানার ও রংপুর রেঞ্জে আট জেলায় ৬২ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তাকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে, যাতে তাঁরা পেন্ডিং কাজকর্ম শেষ করতে পারেন। এরপর নতুন থানায় তাঁদের যোগদান শুরু হবে।
১/১১ সরকারের নিয়োগ করা ব্যাচের কর্মকর্তারা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, লটারিভিত্তিক এই পদায়নে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাচ তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ ব্যাচ। এই পাঁচ ব্যাচ থেকে সর্বাধিকসংখ্যক কর্মকর্তাকে থানার ওসি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১/১১ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত দুই ব্যাচের কর্মকর্তারাও উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের মতে, এসব ব্যাচের কর্মকর্তাদের কর্মক্ষমতা, মাঠপর্যায়ে অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে ‘বিশ্বস্ততার’ বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল। তবে পদোন্নতি–বঞ্চনা ও ব্যাচভিত্তিক ভারসাম্য নিয়ে কিছু কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন তুলছেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদায়নের পুরো বিষয়টি সরকারের উচ্চমহল থেকে করা হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো হাত ছিল না। আমরা কেবল পরিদর্শকদের তালিকা পাঠিয়েছি।’
মহানগরের সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট কমিশনার
লটারিতে নির্বাচিত ৫২৭ জন কর্মকর্তার তালিকায় ‘প্রস্তাবিত’ উল্লেখ থাকলেও মেট্রোপলিটন থানাগুলো লটারিপ্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আটটি মহানগরে কোন থানায় কে ওসি হবেন—এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনারদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, দেশে মেট্রোপিলটন ও রেঞ্জ মিলিয়ে মোট থানার সংখ্যা ৬৩৯টি। এর মধ্যে জেলাপর্যায়ে ৫২৭টি ও মেট্রোপলিটন এলাকায় ১১০টি থানা রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার থানাগুলোতে লটারি নয়, সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা অভ্যন্তরীণভাবে ওসি পদায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন ওসির পদায়নের বিষয়ে পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় লটারির মাধ্যমে পদায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে অযোগ্য বা বিতর্কিত কেউ পদায়ন পেলে তাঁকে পরিবর্তন করা হবে।’
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দেশের ৫২৭টি থানায় নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদায়ন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো লটারিভিত্তিক এই পদায়ন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব নিশ্চিত ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বচ্ছ রাখতে নেওয়া উদ্যোগ। ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে তাঁদের নতুন থানায় পদায়ন শুরু হবে।
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পুলিশ পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। পদায়ন করা নতুন ওসিদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কর্মকর্তা অভ্যন্তরীণ রেঞ্জ ও ২০ শতাংশ বাইরের রেঞ্জ থেকে আনা হয়েছে। এভাবে কর্মকর্তা বাছাই করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, পুরো পদায়ন স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে, যাতে কোনো রকম বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের জন্য দক্ষদের নির্বাচন করা হয়েছে।
পদায়নের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জে ১৩ জেলায় ৯৮ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১ জেলায় ১১১ থানার, খুলনা রেঞ্জে ১০ জেলায় ৬৪ থানার, ময়মনসিংহ রেঞ্জে চার জেলায় ৩৬ থানার, বরিশাল রেঞ্জে ছয় জেলায় ৪৬ থানার, সিলেট রেঞ্জে চার জেলায় ৩৯ থানার, রাজশাহী রেঞ্জে আট জেলায় ৭১ থানার ও রংপুর রেঞ্জে আট জেলায় ৬২ থানার ওসিকে পদায়ন করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তাকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে, যাতে তাঁরা পেন্ডিং কাজকর্ম শেষ করতে পারেন। এরপর নতুন থানায় তাঁদের যোগদান শুরু হবে।
১/১১ সরকারের নিয়োগ করা ব্যাচের কর্মকর্তারা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, লটারিভিত্তিক এই পদায়নে কিছু নির্দিষ্ট ব্যাচ তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ ব্যাচ। এই পাঁচ ব্যাচ থেকে সর্বাধিকসংখ্যক কর্মকর্তাকে থানার ওসি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১/১১ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত দুই ব্যাচের কর্মকর্তারাও উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের মতে, এসব ব্যাচের কর্মকর্তাদের কর্মক্ষমতা, মাঠপর্যায়ে অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে ‘বিশ্বস্ততার’ বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল। তবে পদোন্নতি–বঞ্চনা ও ব্যাচভিত্তিক ভারসাম্য নিয়ে কিছু কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন তুলছেন।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আহসান হাবীব পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পদায়নের পুরো বিষয়টি সরকারের উচ্চমহল থেকে করা হয়েছে। এখানে আমাদের কোনো হাত ছিল না। আমরা কেবল পরিদর্শকদের তালিকা পাঠিয়েছি।’
মহানগরের সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট কমিশনার
লটারিতে নির্বাচিত ৫২৭ জন কর্মকর্তার তালিকায় ‘প্রস্তাবিত’ উল্লেখ থাকলেও মেট্রোপলিটন থানাগুলো লটারিপ্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আটটি মহানগরে কোন থানায় কে ওসি হবেন—এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনারদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, দেশে মেট্রোপিলটন ও রেঞ্জ মিলিয়ে মোট থানার সংখ্যা ৬৩৯টি। এর মধ্যে জেলাপর্যায়ে ৫২৭টি ও মেট্রোপলিটন এলাকায় ১১০টি থানা রয়েছে। মেট্রোপলিটন এলাকার থানাগুলোতে লটারি নয়, সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা অভ্যন্তরীণভাবে ওসি পদায়নের দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন ওসির পদায়নের বিষয়ে পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় লটারির মাধ্যমে পদায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছি। তবে অযোগ্য বা বিতর্কিত কেউ পদায়ন পেলে তাঁকে পরিবর্তন করা হবে।’
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হয়।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
২১ দিন আগে
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন...
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী।
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এই মামলায় হাজি সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২৮ নভেম্বর কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘আদালতের আদেশে রিমান্ডে পেয়ে হাজি সেলিমকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামি বাক্প্রতিবন্ধী। তিনি জিজ্ঞাসাবাদকালে ইশারায়, আকার-ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন—যা মামলার তদন্তে সহায়ক হবে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাঁকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাজি সেলিমকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। হাজি সেলিম এই মামলার ১২ নম্বর আসামি।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাজি সেলিমকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী।
চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ হাজি সেলিমকে আদালতে হাজির করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল হাসান খান পুলক তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এই মামলায় হাজি সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২৮ নভেম্বর কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘আদালতের আদেশে রিমান্ডে পেয়ে হাজি সেলিমকে ব্যাপক ও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামি বাক্প্রতিবন্ধী। তিনি জিজ্ঞাসাবাদকালে ইশারায়, আকার-ইঙ্গিতে মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন—যা মামলার তদন্তে সহায়ক হবে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তী সময়ে তাঁকে পুনরায় রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত হাজি সেলিমকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে সরকার পতনের আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা করেন। হাজি সেলিম এই মামলার ১২ নম্বর আসামি।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হাজি সেলিমকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন, ট্রেন, রেললাইন, রেলসেতুসহ সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।
২১ দিন আগে
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন স্তরের মোট ৪৯ জনকে দায়ী করেছে স্বাধীন তদন্ত কমিশন। ওই তালিকায় রাজনীতিবিদ, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র্যাব ও বিডিআর কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান আইজিপি এবং তিনজন...
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালে যান তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে
লটারি আয়োজনের আগে বিভিন্ন ইউনিটপ্রধানদের কাছ থেকে বিএনপি ও ১/১১-এর সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া ব্যাচগুলো থেকে পুলিশ পরিদর্শকদের মধ্যে সৎ, নিরপেক্ষ ও পেশাদার পরিদর্শকদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর লটারির মাধ্যমে নতুন ওসিদের প্রস্তাবিত তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগে