নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার আগে তাঁকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল খুনিরা। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আগেও এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁরা জাতীয় নির্বাচনের আগে হত্যাচেষ্টা করে। তাঁরা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বার জানুয়ারি মাসের ১৭ থেকে ১৮ তারিখ আনোয়ারুল কলকাতায় যান। সেই সময়েও হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যায়। কিন্তু আনোয়ারুল হোটেলে থাকার কারণে সেইবার তাঁরা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে এসে তাঁরা সফল হয়েছে। তবে হত্যার আগে তাঁদের পরিকল্পনা ছিল সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে জিম্মি করা। এরপর তাঁর আপত্তিকর ছবি তুলে দুই দিন ব্ল্যাকমেল করে হুন্ডির মাধ্যমে এবং কলকাতায় থাকা তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা। কিন্তু আনোয়ারুল ওই বাসায় যাওয়ার পরে তাঁর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করায় জ্ঞান হারান। অজ্ঞান অবস্থায় আনোয়ারুলের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। তবে স্প্রে করায় জ্ঞান না ফেরায় ব্ল্যাকমেলের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এরপর তাঁরা মোবাইলগুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন। এমনকি হত্যাকারীদের একজন আনোয়ারুলের চারটি মোবাইল বেনাপোল এলাকায় নিয়ে আসে। এখানে এসে আনোয়ারুলের প্রতিপক্ষকে চারটি মোবাইল থেকে ফোন করা হয়। ফোন করে বলা হয় ‘শেষ’। এর টার্গেট ছিল এই ফোনের সূত্র ধরে যেন পুলিশ প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। হত্যাকারীদের যেন না পায়।
ডিবির প্রধান বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতীয় পুলিশের একটি দল ঢাকায় কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দুটি গ্রুপ পেয়েছি। তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ হত্যাকাণ্ড মদদ দিয়েছে, আরেকটি গ্রুপ বাস্তবায়নে করেছে। এই ঘটনার মদদদাতা আক্তারুজ্জামান শাহীন ৩০ এপ্রিল কলকাতায় তিন সদস্যকে নিয়ে যান। সেই দলে একজন মেয়েও ছিল। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের মূল নেতা ছিলেন শাহীন। তিনি ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করেন। কিলিং মিশন বাস্তবায়নের মূল নেতা পূর্ববাংলা কমিউনিস্টের নেতা। তিনি ভূঁইয়া নাম ব্যবহার করে ভারতে গিয়েছেন। সেই আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দিয়ে দেশে চলে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। যেহেতু ভারতীয় পুলিশ আমাদের এখানে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরাও কলকাতায় চলে যাব।’
কী কারণে হত্যা করা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এই হত্যা বাস্তবায়নে সবাই পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অন্তত পাঁচ-ছয়টি গলাকাটার ঘটনা ঘটিয়েছে। কী কারণে হত্যা, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী কারণে এই হত্যা, সেটি আরও তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে অনেকগুলো বিষয় আছে। তদন্ত শেষ করে আমরা আপনাদের জানাতে পারব।’
হত্যার ঘটনায় কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিসের ভিত্তিতে হত্যার কথা বলা হচ্ছে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করছি না। প্রমাণ পেয়েছে বলেই কলকাতায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। কলকাতায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই তারা আলামত পেয়েছে। কলকাতায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্তে আমারও যাব।’
আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার আগে তাঁকে জিম্মি করে টাকা আদায় করতে চেয়েছিল খুনিরা। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আগেও এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথমে তাঁরা জাতীয় নির্বাচনের আগে হত্যাচেষ্টা করে। তাঁরা ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বার জানুয়ারি মাসের ১৭ থেকে ১৮ তারিখ আনোয়ারুল কলকাতায় যান। সেই সময়েও হত্যাকারীরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যায়। কিন্তু আনোয়ারুল হোটেলে থাকার কারণে সেইবার তাঁরা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে এসে তাঁরা সফল হয়েছে। তবে হত্যার আগে তাঁদের পরিকল্পনা ছিল সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে জিম্মি করা। এরপর তাঁর আপত্তিকর ছবি তুলে দুই দিন ব্ল্যাকমেল করে হুন্ডির মাধ্যমে এবং কলকাতায় থাকা তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা। কিন্তু আনোয়ারুল ওই বাসায় যাওয়ার পরে তাঁর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করায় জ্ঞান হারান। অজ্ঞান অবস্থায় আনোয়ারুলের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। তবে স্প্রে করায় জ্ঞান না ফেরায় ব্ল্যাকমেলের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এরপর তাঁরা মোবাইলগুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন। এমনকি হত্যাকারীদের একজন আনোয়ারুলের চারটি মোবাইল বেনাপোল এলাকায় নিয়ে আসে। এখানে এসে আনোয়ারুলের প্রতিপক্ষকে চারটি মোবাইল থেকে ফোন করা হয়। ফোন করে বলা হয় ‘শেষ’। এর টার্গেট ছিল এই ফোনের সূত্র ধরে যেন পুলিশ প্রতিপক্ষকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। হত্যাকারীদের যেন না পায়।
ডিবির প্রধান বলেন, ‘সংসদ সদস্য আনোয়ারুল হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারতীয় পুলিশের একটি দল ঢাকায় কাজ করছে। পাশাপাশি আমাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা দুটি গ্রুপ পেয়েছি। তাদের মধ্যে একটি গ্রুপ হত্যাকাণ্ড মদদ দিয়েছে, আরেকটি গ্রুপ বাস্তবায়নে করেছে। এই ঘটনার মদদদাতা আক্তারুজ্জামান শাহীন ৩০ এপ্রিল কলকাতায় তিন সদস্যকে নিয়ে যান। সেই দলে একজন মেয়েও ছিল। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের মূল নেতা ছিলেন শাহীন। তিনি ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করেন। কিলিং মিশন বাস্তবায়নের মূল নেতা পূর্ববাংলা কমিউনিস্টের নেতা। তিনি ভূঁইয়া নাম ব্যবহার করে ভারতে গিয়েছেন। সেই আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দিয়ে দেশে চলে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। যেহেতু ভারতীয় পুলিশ আমাদের এখানে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরাও কলকাতায় চলে যাব।’
কী কারণে হত্যা করা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এই হত্যা বাস্তবায়নে সবাই পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অন্তত পাঁচ-ছয়টি গলাকাটার ঘটনা ঘটিয়েছে। কী কারণে হত্যা, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কী কারণে এই হত্যা, সেটি আরও তদন্ত শেষে বলা যাবে।’
স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো কিছুই বলা যাবে না। তবে অনেকগুলো বিষয় আছে। তদন্ত শেষ করে আমরা আপনাদের জানাতে পারব।’
হত্যার ঘটনায় কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিসের ভিত্তিতে হত্যার কথা বলা হচ্ছে জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করছি না। প্রমাণ পেয়েছে বলেই কলকাতায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। কলকাতায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই তারা আলামত পেয়েছে। কলকাতায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার তদন্তে আমারও যাব।’
আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেলে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন। এ উপলক্ষে ঢাকায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় নিয়ে এসেছে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞা। তাই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে
১ ঘণ্টা আগে৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েক ঘণ্টা আগে ঢাকা মহানগরীর চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করে দশম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার খান আনাস। একটি বুলেট তার বুকের বাঁ পাশ দিয়ে ঢুকে পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আনাস সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পড়ার টেবিলে মাকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখে বাসা থেকে
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হচ্ছে। এ জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ যাতে চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা যায়, তার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর মওকুফ চায় সরকার। গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ দাবি জানিয়েছে মুক্তি
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পর কয়েকটি নাম নিয়ে ব্যাপার সমালোচনা হয়। পরে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আজ শনিবার জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে