নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘পক্ষপাতমূলক’ ভূমিকার জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বড় একটা দাগ রয়ে যাবে। যাঁরা গণমাধ্যমের (যাঁরা সত্য প্রকাশ করেননি) মালিক-সম্পাদক ছিলেন, তাঁদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে জুলাই ও তারপর’ শীর্ষক প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। পিআইবি এটা করবে বলে আশা করি। বাজেটের বিষয় আমি দেখব। তিন-চারটা টিভি যারা জুলাইয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছে, তাদের ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছি।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি। তিন দিনের চাপের মধ্যে যেই সরকার গঠন করা হয়েছে, সেটার ভালো-খারাপ সবই ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে এবং আরও হোক। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যেটা বলা হয়েছে এবং আমরা যখন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকি, তখন আমাদের অবশ্যই বলতে হয়। কারণ, রাষ্ট্রের ফাংশন ঠিক রাখতে হয়।’
অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার ‘কিছুই হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে যে ধরনের ভায়োলেন্স হওয়ার শঙ্কা ছিল, প্রথম তিন দিনে এবং এর পরবর্তী সময়, সেটা কিছুই হয়নি। বরং ওই এক মাসের সময়টা আমি মনে করি স্বপ্নের মতো। ওই এক মাসের সময়ে বাংলাদেশ যদি আর কখনো ফিরত, তাহলে আমরা যে ভুল করেছি, সেই ভুল করতাম না বা বাংলাদেশের জনগণ আর ভুল করত না। ওই সময়ে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এক হচ্ছে, কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছিল।’
আলোচনা সভায় লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘কোনো বিপ্লব পুরোপুরি সফল হয় না, পুরোপুরি ব্যর্থও হয় না। সেকেন্ড রিপাবলিক বলাটা যেন একটা পাপ। মোটেও তা না। ভিয়েতনাম বিপ্লবের পরে, যুদ্ধের পরে তিন-চারবার সংবিধান বদলেছে। কিন্তু আমরা এখনো ’৭২ সালের সংবিধানকে পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে যেন দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশ যেন বঙ্গোপসাগরে পড়ে যাবে, যদি এই সংবিধান পরিবর্তন করা হয়।
‘সংবিধান তো পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কিন্তু আরেকটা নতুন সংবিধান নিতে আপনি এতই ভয় পাচ্ছেন যে আপনি সংশোধনের কথা বলছেন। আপনি ওটাকে পুনরুদ্ধারের কথা বলছেন। তাহলে কয়দিন পর বাংলাদেশকে রাজতন্ত্র ঘোষণা করলে আমি বিস্মিত হব না।’
বর্তমানে বহুল আলোচিত ‘সেইফ এক্সিটের’ প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘সেইফ এক্সিট আর নাই কারও।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ‘পক্ষপাতমূলক’ ভূমিকার জন্য গণমাধ্যম মালিক-সম্পাদকদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, অনেক বড় একটা দাগ রয়ে যাবে। যাঁরা গণমাধ্যমের (যাঁরা সত্য প্রকাশ করেননি) মালিক-সম্পাদক ছিলেন, তাঁদের অবশ্যই ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে জুলাই ও তারপর’ শীর্ষক প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সময়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। পিআইবি এটা করবে বলে আশা করি। বাজেটের বিষয় আমি দেখব। তিন-চারটা টিভি যারা জুলাইয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছে, তাদের ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেছি।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঘটনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল দেশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি। তিন দিনের চাপের মধ্যে যেই সরকার গঠন করা হয়েছে, সেটার ভালো-খারাপ সবই ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে এবং আরও হোক। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যেটা বলা হয়েছে এবং আমরা যখন রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকি, তখন আমাদের অবশ্যই বলতে হয়। কারণ, রাষ্ট্রের ফাংশন ঠিক রাখতে হয়।’
অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার ‘কিছুই হয়নি’ বলে মন্তব্য করেন তথ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে যে ধরনের ভায়োলেন্স হওয়ার শঙ্কা ছিল, প্রথম তিন দিনে এবং এর পরবর্তী সময়, সেটা কিছুই হয়নি। বরং ওই এক মাসের সময়টা আমি মনে করি স্বপ্নের মতো। ওই এক মাসের সময়ে বাংলাদেশ যদি আর কখনো ফিরত, তাহলে আমরা যে ভুল করেছি, সেই ভুল করতাম না বা বাংলাদেশের জনগণ আর ভুল করত না। ওই সময়ে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। এক হচ্ছে, কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছিল।’
আলোচনা সভায় লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘কোনো বিপ্লব পুরোপুরি সফল হয় না, পুরোপুরি ব্যর্থও হয় না। সেকেন্ড রিপাবলিক বলাটা যেন একটা পাপ। মোটেও তা না। ভিয়েতনাম বিপ্লবের পরে, যুদ্ধের পরে তিন-চারবার সংবিধান বদলেছে। কিন্তু আমরা এখনো ’৭২ সালের সংবিধানকে পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে যেন দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশ যেন বঙ্গোপসাগরে পড়ে যাবে, যদি এই সংবিধান পরিবর্তন করা হয়।
‘সংবিধান তো পরিবর্তিত হয়ে গেছে। কিন্তু আরেকটা নতুন সংবিধান নিতে আপনি এতই ভয় পাচ্ছেন যে আপনি সংশোধনের কথা বলছেন। আপনি ওটাকে পুনরুদ্ধারের কথা বলছেন। তাহলে কয়দিন পর বাংলাদেশকে রাজতন্ত্র ঘোষণা করলে আমি বিস্মিত হব না।’
বর্তমানে বহুল আলোচিত ‘সেইফ এক্সিটের’ প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, ‘সেইফ এক্সিট আর নাই কারও।’
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য দেশের সব টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৯ মিনিট আগেপ্রায় আট মাস ধরে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষে প্রণীত হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দুজন করে
১২ মিনিট আগেঅনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা দেয়।
২২ মিনিট আগেশেষ মুহূর্তে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতভিন্নতার পরও আগামীকাল শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সময়েই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই অনুষ্ঠানে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
১ ঘণ্টা আগে