Ajker Patrika

তিস্তায় যুক্ত হচ্ছে চীন

  • নদী ও পানি ব্যবস্থাপনায় চীনের কাছে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ
  • এক চুক্তি, আট সমঝোতা সই। রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান চীনের
 কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৫, ২০: ৫০
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গতকাল বেইজিংয়ে। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গতকাল বেইজিংয়ে। ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশে তিস্তা নদীসহ পানিসম্পদ খাতের সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হবে চীন। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা অভিন্ন নদী যমুনার উজানে পানিপ্রবাহের বিষয়ে তথ্য দেবে দেশটি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের শীর্ষ বৈঠকে গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া চীনের পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশের নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য দেশটির কাছ থেকে ৫০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন।

এশিয়ার বোয়াও ফোরামে যোগদান ও দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার চীনে যান। ফোরামে অংশ নেওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং, উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শ্যুয়েশিয়াং, পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অনুষ্ঠানে চীনের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বিনিয়োগ, টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি, সামাজিক ব্যবসা ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশের উৎপাদন খাত ও বাজারজাতকরণের সুযোগের বিষয়ে আরও তিনটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

প্রধান উপদেষ্টার সফরের ওপর গতকাল প্রকাশিত যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সমুদ্র অর্থনীতি বিষয় সংলাপ আয়োজন ও সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়।

চীনের ইয়ারলুং জাংবো নদী ভারতে ব্রহ্মপুত্র ও বাংলাদেশে যমুনা নামে বয়ে চলেছে। নদীর চীনের অংশের পানিপ্রবাহের তথ্যবিনিময়, বাংলাদেশে নদী খনন, পানিসম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন, বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ হ্রাসের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে দেশটি সম্মত হয়।

উভয় পক্ষ পরস্পরের মূল স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়ের প্রতি সমর্থন দেওয়া, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করা, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় করা ও সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব সংহত ও গভীর করতে একমত হয়। ইউনূস ও সি দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ও আলোচনায় আনেন।

২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, এবারের সফরে চীনের সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাংলাদেশ মোট ২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।

৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে চীনের বিশেষ শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। আর চীন মোংলা বন্দর আধুনিক করার প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার, অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার ও প্রযুক্তি সহায়তা হিসেবে ১৫ কোটি ডলার প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ আসবে অনুদান ও অন্যান্য ঋণসহায়তা হিসেবে।

উভয় পক্ষ দ্রুত দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়।

বাংলাদেশ থেকে আমসহ বিভিন্ন কৃষি ও জলজ পণ্য আমদানি ত্বরান্বিত করতেও চীন সম্মত হয়।

এক চুক্তি, আট সমঝোতা সই

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের সফরে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি চুক্তি সই হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্যের অনুবাদ, শিল্পকর্মের সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বিনিময়।

দুই দেশ পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। বিষয়গুলো হলো বিনিয়োগের আলোচনা শুরু করা, বাংলাদেশে চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করা, মোংলা বন্দরকে আধুনিক ও সম্প্রসারণ করা, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং হৃদ্‌রোগে অস্ত্রোপচারের সুবিধা রয়েছে, এমন একটি গাড়ি অনুদান হিসেবে প্রদান।

রোহিঙ্গা সমস্যা

রোহিঙ্গা সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায় চীন। এ ক্ষেত্রে চীন তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শ্রদ্ধা করে। বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্বাধীন উন্নয়ন পথনির্ধারণকে চীন সম্মান করে। অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর শাসন পরিচালনা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীন সমর্থন দেয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন জানায় ও তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে।

চীনের প্রেসিডেন্ট বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই), বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ (জিএসআই) ও বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগে (জিসিআই) যুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান। বাংলাদেশ এ বিষয়গুলো বিবেচনার কথা জানায়।

পিকিং ইউনিভার্সিটি আজ শনিবার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক বিশেষ ডিগ্রি দেবে। প্রধান উপদেষ্টার আজ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অর্থ পাচারের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলার আসামি ক্যাসিনোকাণ্ডের আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।

গত বৃহস্পতিবার আদালত এক আদেশে আজ সম্রাটকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হাজিরা দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে শুনানি চলাকালে বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘সম্রাট কোথায় আছেন?’

জবাবে আইনজীবী জানান, তিনি কোথায় আছেন, জানা নেই।

এরপর বিচারক আজ আসামি সম্রাটের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু আজ হাজির না হওয়ায় সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট।

এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।

২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই ও একবার হংকংয়ে যান সম্রাট।

আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার ‍সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলায় বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান সম্রাট। পরে তিনি অসুস্থ মর্মে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন।

গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সম্রাটের কোনো খোঁজ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্য মামলায় তিনি পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের অনুমতি বাতিল চেয়ে আবেদন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স থেকে আত্মসাৎ হওয়া সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে আত্মসাৎ হওয়া প্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেকের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। পরে তাঁরা দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের টাকার ন্যায্য প্রাপ্তি চাই। যারা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

কোম্পানির রিকভারি সেকশনের ইনচার্জ মাসুদ বলেন, নজরুল-খালেক চক্র নজিরবিহীন লুটপাট চালিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। টাকা পাচার করে তারা বিদেশে নিয়ে গেছে। এখন আইনের ফাঁকফোকর গলে বাঁচার চেষ্টা করছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাঁদের অবদানে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের তহবিলে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা জমা পড়ে। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও পরিচালক এম এ খালেক ভুয়া বিনিয়োগ, কাগুজে খরচ ও কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়।

বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক তাঁদের প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঘুরছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার নজরুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা ঢাকার তোপখানা রোডের একটি স্থাপনা ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় অনিয়মের মাধ্যমে কেনাবেচা করে।

এর মধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নজরুল ইসলাম, এম এ খালেক ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড বছর পার হতেই আবার খুলে পড়ল কেন, এবার প্রাণহানির দায় কার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৭
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে একজন নিহত হন। উৎসুক মানুষের ভীড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে একজন নিহত হন। উৎসুক মানুষের ভীড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক বছর পার হতেই বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেল। আগেরবার হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবার একজন নিহত হয়েছেন এবং আরো দুজন আহত হয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে একই ধরনের প্রাণহানিকর ঘটনা মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রথমবার ত্রুটি ধরার পর মেট্রোরেল কি আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে থাকলে এই প্রাণহানির দায় কার? শুধু ক্ষতিপূরণ দিলেই দায় শেষ করবে কর্তৃপক্ষ?

আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেট স্টেশনের ঠিক পশ্চিম পাশে ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, গত বছর যে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, সেটি ছিল ৪৩০ নম্বর পিলার। একই জায়গায় না হলেও কাছাকাছি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মেট্রোরেলে (মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত) মোট পিলার আছে ৬২০টি। প্রতিটি পিলারে চারটি করে বিয়ারিং প্যাড আছে। সে হিসেবে মেট্রোরেলে মোট বিয়ারিং প্যাড আছে ২ হাজার ৪৮০টি।

‘বিয়ারিং প্যাড’ হচ্ছে রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি আয়তাকার একধরনের প্যাড, যা ম্যাট্রেসের মতো ব্যবহৃত হয়। মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথের ওপরই রেললাইনসহ যাবতীয় স্থাপনা বসানো হয়। ভায়াডাক্ট বসানো হয় স্তম্ভ বা পিলারের ওপর। এই স্তম্ভকে প্রকৌশলের ভাষায় পিয়ার বলা হয়।

কংক্রিটের তৈরি ৩০ থেকে ৪০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যান জোড়া দিয়ে মেট্রোরেলের উড়ালপথ তৈরি করা হয়েছে। ভায়াডাক্ট ও পিয়ার দুটিই কংক্রিটের হওয়ায় দুটি কংক্রিটের বস্তুর মধ্যে ঘর্ষণ থেকে ক্ষয় ও স্থানচ্যুতি ঠেকাতে ভায়াডাক্ট ও পিলারের মাঝখানে রাবার ও স্টিলের তৈরি বিয়ারিং প্যাড দেওয়া হয়, যা স্থাপনাটির সুরক্ষায় কাজ করে।

দুই পিলারের মাঝখানের প্রতিটি স্প্যানের জন্য চারটি করে বিয়ারিং প্যাড রয়েছে; অর্থাৎ একেকটি পিলারের আছে চারটি করে রাবার প্যাড। এগুলোর স্তরে স্তরে রাবার ও বিশেষ স্টিল দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজন এই বিয়ারিং প্যাডের। সেটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। তখনও প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ কয়েকগুণ বেশি। এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের ব্যাখ্যা হিসেবে মেট্রোরেল নির্মাণে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জাইকা ‘উচ্চ গুণগত মান’ রক্ষার কথা বলেছিল। সংস্থাটি বলেছিল, প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে ব্যয় কম হবে। তাহলে উচ্চ গুণ–মানসম্পন্ন মেট্রোরেল থেকে দ্বিতীয়বার ‘ভবনের ইট খুলে পড়ার মতো’ বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে কেন— সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হচ্ছে।

ছিটকে নিচে পড়ে যাওয়া মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছিটকে নিচে পড়ে যাওয়া মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাপানের কোম্পানি উচ্চ গুণ–মানের দাবি করলেও এই ঘটনার পেছনে ‘নকশাগত ত্রুটিকে’ দায়ী করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. হদিউজ্জামান। আগেরবার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মেট্রোরেলের যেখান থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গেছে সেই জায়গাটিতে বাঁক আছে। ট্রেন যখন সেই জায়গাটি অতিক্রম করে তখন লাইনের একপাশে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। তখন বিয়ারিং প্যাডের একদিকে বাড়তি চাপ পড়লে অন্য রাবারের বিয়ারিং প্যাড ছিটকে বেরিয়ে আসে।

তিনি বলেন, ‘এসব বাঁকে বাড়তি চাপ মাথায় রেখে লাইনে বিয়ারিং প্যাড ধরে রাখার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্ত এই মেট্রোরেলের নকশায় বাঁকের মধ্যে বাড়তি চাপের বিষয়টি বিবেচনা না করেই ভায়াডাক্ট বসানো হয়েছে। সেখানে রাবারের বিয়ারিং প্যাডকে ধরে রাখার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। ফলে বাড়তি চাপ নিতে না পেরে রাবারের প্যাড খুলে গেছে।’

মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের নির্মাণকাজের সঙ্গে এক পূরকৌশলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বিয়ারিং প্যাডটি খুলে নিচে পড়ে গেছে, তার পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলের সঠিক অবস্থানে সেটা বসানো হয়নি। সুষমভাবে ভরবণ্টন মাথায় রেখে সেটা বসানো ছিল না। ছিটকে পড়ে যাওয়া বিয়ারিং প্যাডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আয়তাকার প্যাডের এক কোণে ভর বেশি ছিল।’

আগেরবার ঘটনার পর সমাধান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় হিসেবে পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সাথে রাবারের বিয়ারিং বাদ দিয়ে টেকসই ও অধিক চাপ সহনশীল ‘পড বিয়ারিং’ ব্যবহার করার কথাও বলেছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাদী। ওই সময় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিল।

প্রকৌশলী কল্লোল মুস্তফা ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, এক বছরের বেশি সময় পার করে সেই ফার্মগেট এলাকাতেই আবারও বিয়ারিং প্যাড কেন খুলে পড়ে গেল। বুয়েটের পরামর্শ মতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কি পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড আটকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করেছিল।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ব্যাপারে জাপানের জাইকা ও মেট্রোরেলের নকশা ও নির্মাণের সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলোই বা কি পদক্ষেপ নিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া দরকার। সদ্য নির্মিত মেট্রোরেল থেকে এক বছরের ব্যবধানে দুইবার বিয়ারিং প্যাড খুলে যাওয়ার ঘটনা মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জাপান বেশি টাকা নেয়ার যুক্তি হিসেবে উচ্চগুণগত মানের যে যুক্তি দিয়েছিলো সেই যুক্তিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।’

তাই শুধু জাপানের উপর ভরসা না করে ‘অবিলম্বে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা প্রয়োজন’ বলে এই প্রকৌশলীর দাবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন গ্রামীণফোনের সিইওসহ ৩ জন

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।

পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।

গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

সুদান: সবুজ স্বর্গে পচে যাচ্ছে খাবার, অন্য পাশে দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত