Ajker Patrika

অর্থ পাচারের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট

১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলার আসামি ক্যাসিনোকাণ্ডের আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন।

গত বৃহস্পতিবার আদালত এক আদেশে আজ সম্রাটকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই দিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হাজিরা দেন।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে শুনানি চলাকালে বিচারক আসামিপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘সম্রাট কোথায় আছেন?’

জবাবে আইনজীবী জানান, তিনি কোথায় আছেন, জানা নেই।

এরপর বিচারক আজ আসামি সম্রাটের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু আজ হাজির না হওয়ায় সম্রাটের ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির এসআই রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অবৈধ কর্মকাণ্ড’ চালাতেন সম্রাট।

এভাবে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিপুল অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। এসব অর্থের উৎস গোপন করার জন্য সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে তিনি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।

২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই ও একবার হংকংয়ে যান সম্রাট।

আর এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ২৩ বার ‍সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলায় বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান সম্রাট। পরে তিনি অসুস্থ মর্মে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন করলে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দেন।

গত বছরের ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সম্রাটের কোনো খোঁজ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্য মামলায় তিনি পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আগের অনুমতি বাতিল চেয়ে আবেদন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে আগ্নেয়াস্ত্রভর্তি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

এলাকার খবর
Loading...