Ajker Patrika

১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুমকি ঢাবি শিক্ষকদের

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৪, ২১: ১৯
১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুমকি ঢাবি শিক্ষকদের

সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও এক ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকেরা। পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষিত তিন দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনের মতো পালন করেন শিক্ষকেরা। দাবি পূরণ না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি হুমকি দেন শিক্ষকেরা।  

অর্ধদিবস কর্মবিরতির টানা তিন দিনের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কলাভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান গ্রহণও করেন শিক্ষকেরা।

এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। 

কর্মবিরতি পালনকালে  শিক্ষকেরা বিভাগে যাননি এবং কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি। 

অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষকেরা ক্লাসে পাঠদান করাবে। কিন্তু তারা এখন অধিকার আদায়ের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে, আন্দোলন করছে। এর ফল ভালো হবে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট বাড়বে। নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। যেটা আমরা কখনো চাই না। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। ফলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে।’

অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘মৌলিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করে কীভাবে এ রকম একটা স্কিম চালু করার চিন্তা মাথায় আসে, তা বুঝি না। কারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এ বিষয়ে সামনে এনেছে, তা আমরা বুঝছি না। ফলে সৃষ্টিশীল মানুষ নতুনভাবে কেউ শিক্ষকতায় আসবে না। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশ করার যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা সেটাও ব্যাহত হবে।’

এদিকে ঢাবির বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেন অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। জিনাত হুদা প্রস্তাব উত্থাপন করার সঙ্গে প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন প্রদান করেন অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া। 

উল্লেখ্য, চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। এই স্কিম বাতিলের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত