Ajker Patrika

যাচাই-বাছাই ছাড়া আসামির বয়স নির্ধারণ করা যাবে না: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২১, ১৯: ৪৮
যাচাই-বাছাই ছাড়া আসামির বয়স নির্ধারণ করা যাবে না: হাইকোর্ট

ঢাকা: ‘থানায় মামলা নেওয়ার পর আসামি গ্রেপ্তার, পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই ছাড়া বয়স নির্ধারণ করা যাবে না। ইচ্ছেমতো তদন্ত কর্মকর্তারা আসামির বয়স লিখতে পারেন না।’ আজ বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলায় আসামিদের জামিন শুনানির সময় বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে আসামিদের বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনলাইনে বা জন্মসনদ বা অন্য কোনো সনদ দেখে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে শুনানিধীন হত্যা মামলাটির আসামির জন্মসনদ যাচাই-বাছাই করে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভবিষ্যতে আর কোনো আসামির বয়স যাচাই-বাছাই ছাড়া মামলায় উল্লেখ করা যাবে না বলেও হাইকোর্ট বলেছেন।

ভার্চ্যুয়াল আদালতে খুলনার হরিণটানা থানার জয়খালী গ্রামের ডুয়েল হাঁসের খামারে সংঘটিত প্রদীপ দে ওরফে পাদু হত্যাকাণ্ডের আসামিদের জামিন শুনানি চলছিল। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে। প্রদীপের ছেলে লিটন কুমার দে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় শাকিব হাওলাদার ও শামীম মোড়লকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে শাকিব জানান, তাঁর বয়স ২০ বছর।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে শাকিব হাওলাদারের বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হয়। জেলা দায়রা আদালতে আসামির জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর হয়। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানির সময় শাকিবের বয়সের অসংগতি ধরা পড়ে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিণটানা থানার এসআই রাসেল হোসেনকে তলব করেন আদালত। আজ তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে বয়স নির্ধারণের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, জন্মসনদ অনুযায়ী আসামির বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আদালত জানান, যাচাই-বাছাই ছাড়া জন্মসনদ দিয়ে মামলার এজাহার (এফআইআর), চার্জশিট করা যাবে না। অন্যান্য সনদও বিবেচনায় নিতে হবে।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম। অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান সিরাজ বলেন, শিশু আইন অনুযায়ী আসামি শাকিব একজন শিশু। গ্রেপ্তারের পর তাকে শিশু আইন অনুযায়ী সুবিধা দেওয়া হয়নি। তাই আদালত বয়সের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে বয়স সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত