Ajker Patrika

বাজার তদারকির অভাব: সয়াবিন তেল গুদামে আছে দোকানে নেই

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ২৩: ৫৫
বাজার তদারকির অভাব: সয়াবিন তেল গুদামে আছে দোকানে নেই

দেশের বাজারে সয়াবিন তেল সাধারণ মানুষের একপ্রকার নাগালের বাইরে। লিটারপ্রতি দাম বাড়িয়েও কোনো লাভ হয়নি। খোলা বা বোতলজাত— তেল পাওয়াই কঠিন হয়ে গেছে। পাওয়া গেলেও সাধারণ ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশিতে। অথচ এমন নয় যে, সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। আছে, তবে দোকানে নয়, গুদামে। বাজার তদারকির অভাবের সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ বিপুল পরিমাণে সয়াবিন তেল মজুত করে রেখেছেন। এখন দেরিতে শুরু হওয়া অভিযানের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেল জব্দের খবর আসছে।

রাজশাহীর বাগমারার একটি গুদাম থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল। বাগমারা উপজেলা ও রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, উপজেলার তাহেরপুর বাজারের এক গুদাম থেকে আজ রাতে ৮টার দিকে পরিচালিত অভিযানে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করে পুলিশ। 

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে গুদামে ভোজ্যতেল মজুত রাখার তথ্যের ভিত্তিতে তারা অভিযানে চালান। এ সময় তাহেরপুর বাজারের শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বপন নামের এক ব্যক্তির গুদামে ১০০ ব্যারেল তেল পাওয়া যায়।’

রাজশাহীর এ ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে। শুধু রাজশাহী কেন অন্য অঞ্চলগুলোতেও এমন অভিযান চালানো হচ্ছে। কাউকে জরিমানা করা হচ্ছে। কাউকে আবার আটক করা হচ্ছে। তবু এই মজুতদারি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকেও এসেছে ভোজ্যতেল নিয়ে তেলেসমাতির খবর। ঈদের আগ থেকেই দাম বাড়বে—এমন আশায় ব্যবসায়ীরা সে সময় থেকেই ভোজ্যতেল মজুত শুরু করেন। শুরু হয় ভোজ্যতেল, বিশেষত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট। আজকের পত্রিকার নাগেশ্বরী প্রতিনিধি জানান, ঈদের পর বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি দাম ৪৪ টাকা ও খোলা সয়াবিনের দাম ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়। বাজারে এখনো বর্ধিত দামের সয়াবিন তেল না এলেও আগে মজুত করা তেলই এখন বর্ধিত দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দাম হাঁকছেন তাঁরা। বিশেষত, গ্রামের দোকানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২১৫-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় ভোক্তারা রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েছেন। 

উপজেলার কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদার গ্রামের জহুরুল ইসলাম বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনেছেন ২২০ টাকায়। তাঁর অভিযোগ, বাড়তি দাম নিলেও তেল কিনতে ঘাম ছুটে যাচ্ছে। এ দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁতেও। অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁয় পরোটা, মোগলাই, শিঙারা জাতীয় খাবার তৈরি বন্ধ রয়েছে বলে জানান নাগেশ্বরী প্রতিনিধি।

ভোক্তাদের দিক থেকে এত এত অভিযোগ সত্ত্বেও প্রশাসন বলছে সংকট নেই। কুড়িগ্রাম জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাজারে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। আমরা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি। প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

একই অবস্থা রংপুরেও। জেলার গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি জানান, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া বাজার, মন্থানা বাজার, বেতগাড়ি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা গেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর। বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন ভীষণ বিপাকে। 

কোলকন্দ ইউনিয়নের স্কুল পাড়ার ভ্যান চালক হানিফ মিয়া (৭৮) জানান, দামের কারণে তেল কিনতে না পারায় কয়েক দিন ধরে শুধু পাটশাকের শোলকা রান্না করে খাচ্ছেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এভাবে তেলের দাম বাড়লে হামার আর তেল দিয়া তরকারি খাওয়া লাগবে না। হামরা ভাতের জোগান দিম, নাকি তেলের টাকা জোগান দিম? সবারে দাম বাড়ছে খালি হামার গুলার ভ্যানের ভাড়ার দাম বাড়ে নাই।’ 

হানিফ মিয়ার সরাসরি অভিযোগ সরকারের দিকে। তিনি বলেন, ‘সরকার তো হামার মতো ভ্যান চালকের কথা চিন্তা করির নেয়। খালি চিন্তা করে বড় লোকের কথা, এখন তো মনে হওচে সরকার চায় হামরা না খেয়া মরি।’ 

বাজারে তেলের দাম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল এরশাদুল ইসলামের কথায়। বাড়াইবাড়ী বাজারে তেল কিনতে আসা এরশাদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার তো পেপার-পত্রিকাত খবর দিবার লাগছে তেলের দাম এখন থাকি নাকি ১৮০ থেকে ১৯৮ টাকা করছে। সে তেল কিনির আসি দেখি চোল ২২০-২৩০ টাকা ছাড়া তেলে না ব্যাচায় দেকানদাররা। দোকানিরা কওচে সরকার দাম কমাইলে কি হইবে তেল না পাইলে কি হামরা তোমাক চুরি করি আনি তেল দিম। হামাকো তো বেশি দামে কেনা লাগে এ জন্যে তো হামরাও বেশি দামে ব্যাচাওছি।’ 

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বাজার তদারকি অব্যাহত থাকলে সঠিক দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করতেন ব্যবসায়ীরা। উপজেলার বাজারগুলোতে তদারকির ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফলে সেখানে ইচ্ছামতো দাম হাকানো হচ্ছে। একই ধরনের পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেও। 

এদিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও কালিহাতী উপজেলা প্রতিনিধিরাও একই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সয়াবিন তেলের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। খোলা তেলই এখন ২২০-২৩০ টাকা লিটার দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তারা। 

মধুপুর ও কালিহাতীর একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়েছিল। এমন সময় দেশীয় কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আবার কোনো কোনো কোম্পানি সয়াবিন তেলের বোতলের সঙ্গে অপ্রচলিত পণ্য চাপিয়ে দেওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল কিনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এখনকার সংকটের মূলে রয়েছে এই বিষয়গুলোই। 

এ বিষয়ে মধুপুরের সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী খন্দকার আনোয়ারুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশীয় বড়বড় কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি ও প্রশাসনিক আমলারা কমিশন বাণিজ্য করায় দেশের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।’ 

কোথায় জট লেগেছে, তা খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল একেকজন একেক পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দিকে আঙুল তুলছেন। মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সহসম্পাদক ও ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত দামে কিনি, নির্ধারিত দামে বিক্রি করি। আমাদের লাভ হলো কমিশন। আগে ৫ লিটার সয়াবিন ৬০০ টাকা ছিল, এখন কোম্পানি দাম হয়েছে ৯৪৫ টাকা। আমরা বিক্রি করি ৯৬৫ টাকা, খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন বোতলের গায়ে লেখা দাম ৯৮৫ টাকায়।’ 

কেউ আঙুল তুলছেন কোম্পানির দিকে, কেউ পাইকারের দিকে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে রাখলেও এখনো তেল সরবরাহ পাননি। আবার অনেকে ভোজ্যতেলের সঙ্গে অপ্রচলিত পণ্য কিনতে বাধ্য করার বিষয়টিকে সামনে আনছেন। কিন্তু এর কোনোটি নিয়েই প্রশাসনিক তদারকি নেই। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসেইন এ বিষয়ে এখনই জানলেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আমরা অবহিত করব। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়াতে ও খোলা তেলে মান নিয়ন্ত্রণে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’ 

প্রশাসনের তরফ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অবশ্য নতুন নয়। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পরই অনেকে ক্ষেত্রে বাজার তদারকিতে নামতে দেখা যাচ্ছে তাদের। নারায়ণগঞ্জেই যেমন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের সংকটের প্রতিবেদন প্রকাশের পর অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আজ সোমবার দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ ও দ্বিগুবাবু বাজারের ফলপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান। 

অভিযানের বিষয়ে সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘আজ আমরা নিতাইগঞ্জ ও দ্বিগুবাবু বাজারের ফলপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। যদি কেউ তেল মজুত করে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। আমরা আজকে দুটি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি। সেখানে তারা গতকাল ১ লাখ লিটার খোলা তেল মজুত করে এবং আজ (সোমবার) তা বাজারে বিক্রি করছে। আপাতত বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের সংকট নেই।’ তিনি বলেন, ‘আগের দামে কেনা ৫৪০ লিটার তেল পাওয়া গেছে। সেসব তেল আমাদের উপস্থিতিতে ১৫৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।’ 

অথচ প্রশাসন আগে থেকে খোঁজ না পেলেও বিভিন্ন এলাকা থেকেই আসছে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুতের খবর। শুরুতেই রাজশাহীর বাগমারার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের দিল্লি গলির সিরাজ স্টোর নামের একটি দোকানের তিন গুদাম থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার ওই বাজারে অভিযানে গিয়ে দোকানগুলো তেলশূন্য পেলেও গুদামে ঠিকই বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেলের অস্তিত্ব মেলে। ওই দোকানিকে তেল মজুতের দায়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল রোববারও নগরীর চৌমুহনীর সিডিএ মার্কেটের খাজা স্টোরের গুদাম থেকে ১ হাজার ৫০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছিল। 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এই মজুতদারি ও ভোক্তা দুর্ভোগের খবর আসছে। এসবের প্রতিবাদে আন্দোলনের খবরও আসছে। বরিশাল প্রতিনিধি জানান, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বরিশালে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতা–কর্মীরা সোমবার বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকালে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বাসদ নেতা–কর্মীরা এ সমাবেশ করেন। পরে তাঁদের বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাজার ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।’ 

এ ধরনের প্রতিবাদের খবর সারা দেশ থেকেই আসছে। এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে প্রশাসন। সিলেটে আজ জেলার তেল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটের প্রধান পাইকারি ও খুচরা বাজার কালীঘাট এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ অস্থিতিশীলতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কোম্পানির পক্ষ থেকে এখনো যুদ্ধই দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ দেখছে যুদ্ধ তার হেঁশেলে ঢুকে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন অসহায়ত্বের কথা। ব্যবসায়ী, মিল মালিক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সোমবার হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আমি বিশ্বাস করে বলেছিলাম আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা দাম বাড়িয়েছে। তাদের ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম যে আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাদের বিশ্বাস করা ছিল আমার ব্যর্থতা। এভাবে বলা আমার ঠিক হয়নি।’

এই ব্যর্থতার ঘানি এখন নিম্ন আয়ের মানুষেরা টানছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল শুধু নয়, শহরের কেন্দ্রগুলোতেও চলছে ভোজ্যতেলের তেলেসমাতি। বাজার তদারকি বরাবরের মতোই হাপিত্যেশের পর্যায়ে। এ অবস্থায় যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী কিছু আশা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আগামী জুন মাস থেকে এক কোটি পরিবারকে সুলভ মূল্যে তেল দেওয়া হবে টিসিবির মাধ্যমে। আপাতত টিসিবির তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। প্রতি লিটার তেল ১১০ টাকা করেই বিক্রি হবে। তেল নিয়ে সিন্ডিকেট হয়নি। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত