নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় সনদের কপি শুধু স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে, সনদ যেন সবার কাছে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। নাগরিকেরা যাতে বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐকমত্যে পৌঁছেছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী এবং অগ্রগতি কত দূর হয়েছে। এসব যেন তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অতি জরুরি বৈঠকে’র সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আপনারা যে সহায়তা করেছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। স্থায়ী অনুষ্ঠানে আমরা চাই, জাতীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অতিথিরাও উপস্থিত থাকুন। সেই বিবেচনা থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যেন আপনাদের দলের অধিকাংশ অতিথির তালিকা আমরা পাই। এখন অধিকাংশ দলের কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি এবং আগামীকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। জাতীয় সনদ সব তথ্য মিলিয়ে ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে। তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা ৮৪টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু বিষয়ে সামান্য ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, যা জাতীয় সনদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে বোঝা যাবে, কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, কোথায় ভিন্নমত ছিল এবং ভবিষ্যতে কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আপনাদের পক্ষ থেকে, জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, তা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সম্ভবত পৃথিবীরও বিরল দৃষ্টান্ত। এর মধ্য দিয়ে আপনারা যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছেন, তা অব্যাহত থাকবে—এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আপনারা এই ঐক্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সর্বোপরি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবেই। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের শক্তিকে আমরা একত্রে বজায় রাখব—এই বিশ্বাসেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং সেটি অব্যাহত রাখব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় সনদের কপি শুধু স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে, সনদ যেন সবার কাছে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। নাগরিকেরা যাতে বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐকমত্যে পৌঁছেছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী এবং অগ্রগতি কত দূর হয়েছে। এসব যেন তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অতি জরুরি বৈঠকে’র সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আপনারা যে সহায়তা করেছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। স্থায়ী অনুষ্ঠানে আমরা চাই, জাতীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অতিথিরাও উপস্থিত থাকুন। সেই বিবেচনা থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যেন আপনাদের দলের অধিকাংশ অতিথির তালিকা আমরা পাই। এখন অধিকাংশ দলের কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি এবং আগামীকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। জাতীয় সনদ সব তথ্য মিলিয়ে ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে। তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা ৮৪টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু বিষয়ে সামান্য ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, যা জাতীয় সনদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে বোঝা যাবে, কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, কোথায় ভিন্নমত ছিল এবং ভবিষ্যতে কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আপনাদের পক্ষ থেকে, জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, তা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সম্ভবত পৃথিবীরও বিরল দৃষ্টান্ত। এর মধ্য দিয়ে আপনারা যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছেন, তা অব্যাহত থাকবে—এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আপনারা এই ঐক্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সর্বোপরি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবেই। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের শক্তিকে আমরা একত্রে বজায় রাখব—এই বিশ্বাসেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং সেটি অব্যাহত রাখব।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
৩৪ মিনিট আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
২ ঘণ্টা আগেমামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগে