নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিচার বিভাগে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেছেন, শত শত রাজনৈতিক কর্মী গুম হয়েছেন, অনেককে আয়নাঘরে রাখা হয়েছে ১০-১১ বছর। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারদলীয়রাও অনেককে হত্যা করেছে, আহত করেছে। বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ কারণে মানুষ কোনো বিচার পায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বার সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক লুটপাট করেছে। তারা যেসব ব্যাংকের লাইসেন্স দিয়েছিল, সেগুলো খালি হয়ে গেছে। সব টাকা তারা নিয়ে গেছে। সব স্তরেই দুর্নীতি হয়েছে। মানুষ আদালতে আসতে পারেনি। আদালতও স্বপ্রণোদিত কোনো রুল জারি করেননি। কারণ, বিচার বিভাগ ছিল পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেই সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাদের (আওয়ামী লীগের) পছন্দমতো রায় না হলে বিচারকদের হয়রানি করত, অপমান করত।
এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় চাই। নিম্ন আদালতকে আইন মন্ত্রণালয়ে মুক্ত করতে হবে। গত ১৬ বছর যাঁরা শপথ ভঙ্গ করে রাজনৈতিক বিচার করেছেন, যাঁরা আইনজীবীদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা বা আইন করা হয়নি। বিচার বিভাগ শক্তিশালী না হলে যারা জীবন দিয়েছে, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
দুদকের বিষয়ে বারের সভাপতি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ছিল সরকারের আজ্ঞাবহ। দুদক গত ১৬ বছরে তার দায়িত্ব পালন করেনি। এটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদক চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা ও আইনজীবী প্যানেল পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে কত মানুষ ক্রসফায়ারে মারা গেছে, কোথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে—কোনো রিপোর্ট নেই। ছাত্র আন্দোলনে কত মানুষ মেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এটা দেখার দায়িত্ব ছিল না? তারা পালন করেনি। মানবাধিকার কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। এটি ভেঙে দেওয়া উচিত।’
বিচার বিভাগে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেছেন, শত শত রাজনৈতিক কর্মী গুম হয়েছেন, অনেককে আয়নাঘরে রাখা হয়েছে ১০-১১ বছর। মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারদলীয়রাও অনেককে হত্যা করেছে, আহত করেছে। বিচার বিভাগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ কারণে মানুষ কোনো বিচার পায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বার সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক খাতে ব্যাপক লুটপাট করেছে। তারা যেসব ব্যাংকের লাইসেন্স দিয়েছিল, সেগুলো খালি হয়ে গেছে। সব টাকা তারা নিয়ে গেছে। সব স্তরেই দুর্নীতি হয়েছে। মানুষ আদালতে আসতে পারেনি। আদালতও স্বপ্রণোদিত কোনো রুল জারি করেননি। কারণ, বিচার বিভাগ ছিল পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করেই সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাদের (আওয়ামী লীগের) পছন্দমতো রায় না হলে বিচারকদের হয়রানি করত, অপমান করত।
এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় চাই। নিম্ন আদালতকে আইন মন্ত্রণালয়ে মুক্ত করতে হবে। গত ১৬ বছর যাঁরা শপথ ভঙ্গ করে রাজনৈতিক বিচার করেছেন, যাঁরা আইনজীবীদের সঙ্গে সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে। তিনি বলেন, নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা বা আইন করা হয়নি। বিচার বিভাগ শক্তিশালী না হলে যারা জীবন দিয়েছে, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
দুদকের বিষয়ে বারের সভাপতি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ছিল সরকারের আজ্ঞাবহ। দুদক গত ১৬ বছরে তার দায়িত্ব পালন করেনি। এটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদক চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা ও আইনজীবী প্যানেল পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে কত মানুষ ক্রসফায়ারে মারা গেছে, কোথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে—কোনো রিপোর্ট নেই। ছাত্র আন্দোলনে কত মানুষ মেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এটা দেখার দায়িত্ব ছিল না? তারা পালন করেনি। মানবাধিকার কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। এটি ভেঙে দেওয়া উচিত।’
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
১ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮০ বাংলাদেশিসহ ৯৯ বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারায় তাঁদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়নি। খবর মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বারনামার।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে
৬ ঘণ্টা আগেসংলাপে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোকে দুই ভাগে করা হয়েছে। কতগুলো সংস্কার আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে করা যাবে। রাজনীতিকদের এ ব্যাপারে দ্বিমতের সুযোগ খুব কম। শত শত সুপারিশ আছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। আর কতগুলো সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মৌলিক
৭ ঘণ্টা আগে