অনলাইন ডেস্ক
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা অগ্রসরমাণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত করবে করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল-২০২৪ পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি পরিষদের সদস্য আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ৷
লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে রাজনৈতিক ঐক্য। এই ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে, আমাদের জাতীয় চেতনা, যা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের সংবিধান এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংবিধান সংশোধন বা যুগোপযোগী করা রাষ্ট্রের জন্য চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা আমাদের অগ্রসরমাণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাধাগ্রস্ত করবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলের দায়িত্বশীল হওয়া কর্তব্য।’
এর আগে ড. কামাল হোসেন তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, ‘আমরা সারা জীবন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে তারা সব সময় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। ভালো কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস সব সময়ই থাকে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই এসব মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ঐক্যকে সংহত করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণকে নিয়েই আমাদের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রশ্ন রাখেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনার কথা যারা বলছে তারা কি বুঝে বলছে, নাকি না বুঝে বলছে? বাহাত্তরের সংবিধান ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধান। সংবিধান নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারে না। এতে সংবিধানের সংকট না, যারা অপব্যবহার করেছে তাদের সংকট। সংবিধান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র সংবিধান নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে তাদের এমন বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেন মন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম জুগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নূরুজ্জামান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটিতে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি ও ডা. মো. মিজানুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ২০ সদস্যবিশিষ্ট সভাপতি পরিষদ ও ১০ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে দলটি।
কমিটি ঘোষণা শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেখানে আবারও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। আমরা একাত্তরে একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম আর ’২৪-এ আমরা স্বৈরাচার উৎখাত করেছি। কিন্তু আজকে দেখতে পাচ্ছি, বাহাত্তরের সংবিধান কিংবা মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত ইস্যুগুলো আবারও সামনে আনা হচ্ছে। সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না তা নয়। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনা করা হবে—এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা অগ্রসরমাণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত করবে করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল-২০২৪ পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি পরিষদের সদস্য আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ৷
লিখিত বক্তব্যে কামাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তা সমাধানের একমাত্র পথ হচ্ছে রাজনৈতিক ঐক্য। এই ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে, আমাদের জাতীয় চেতনা, যা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের সংবিধান এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে আকাঙ্ক্ষা পূরণে সংবিধান সংশোধন বা যুগোপযোগী করা রাষ্ট্রের জন্য চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত ও মীমাংসিত বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা আমাদের অগ্রসরমাণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাধাগ্রস্ত করবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলের দায়িত্বশীল হওয়া কর্তব্য।’
এর আগে ড. কামাল হোসেন তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, ‘আমরা সারা জীবন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছি। জনগণের ঐক্যের বিরুদ্ধে তারা সব সময় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। ভালো কাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের আভাস সব সময়ই থাকে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই এসব মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ঐক্যকে সংহত করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণকে নিয়েই আমাদের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রশ্ন রাখেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনার কথা যারা বলছে তারা কি বুঝে বলছে, নাকি না বুঝে বলছে? বাহাত্তরের সংবিধান ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধান। সংবিধান নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারে না। এতে সংবিধানের সংকট না, যারা অপব্যবহার করেছে তাদের সংকট। সংবিধান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র সংবিধান নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে তাদের এমন বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ পরিস্থিতিতে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বিফলে যাবে বলে মন্তব্য করেন মন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ কে এম জুগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নূরুজ্জামান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নবগঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটিতে মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি ও ডা. মো. মিজানুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ২০ সদস্যবিশিষ্ট সভাপতি পরিষদ ও ১০ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে দলটি।
কমিটি ঘোষণা শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেখানে আবারও অনৈক্য দেখা দিয়েছে। আমরা একাত্তরে একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করেছিলাম আর ’২৪-এ আমরা স্বৈরাচার উৎখাত করেছি। কিন্তু আজকে দেখতে পাচ্ছি, বাহাত্তরের সংবিধান কিংবা মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত ইস্যুগুলো আবারও সামনে আনা হচ্ছে। সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না তা নয়। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচনা করা হবে—এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না।’
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সিঙ্গাপুর ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
৬ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে এই পদে কোনো প্রতিযোগিতা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতো। তা নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক।
৮ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট...
১৬ ঘণ্টা আগে