Ajker Patrika

এমপি আনোয়ারুল হত্যা মামলায় ১২ দিনের রিমান্ডে ‘কসাই’ জিহাদ 

কলকাতা সংবাদদাতা
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ১১: ১৬
এমপি আনোয়ারুল হত্যা মামলায় ১২ দিনের রিমান্ডে ‘কসাই’ জিহাদ 

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার খুন বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহ গ্রেপ্তার জিহাদকে ১২ দিনে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত আদালত তাঁকে ১২ দিন সিআইডি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। 

২২ মে আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যা মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডি এ খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি জিহাদকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আজ জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

এদিকে আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল বনগাঁও থেকে গ্রেপ্তার হন জিহাদ হাওলাদার। 

বারাসত আদালতের প্রাঙ্গণে জিহাদকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকেরা। এ সময় জিহাদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। ‘কেন মারলে’সহ চারদিক থেকে নানা প্রশ্ন উড়ে এলেও কোনো প্রশ্নেরই জবাব দেননি জিহাদ। পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে দ্রুতই আদালতে নেওয়া হয় তাঁকে। 

সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে বাস করতেন। তাঁর বাড়ি খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে। তাঁর বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন দুই মাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। 

গতকাল জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর একটানা জেরা করেন সিআইডির কর্মকর্তারা। আনারের মরদেহ কলকাতার কোন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হয়। এমপির মরদেহের খোঁজে গতকাল রাতে কলকাতা পুলিশ এলাকার পোলেরহাট থানার কৃষ্ণবাটি সেতুর কাছে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায়। নিউ টাউন এলাকার যে ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়, তার সামনে দিয়েই বয়ে গেছে এই খাল। 

আনারকে হত্যার পর মরদেহের টুকরাগুলো যেভাবে সরানো হয়

সিআইডি বলছে, শাহীনের নির্দেশে জিহাদসহ চার বাংলাদেশি মিলে আনারকে ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে পথে কেউ ধরলে বলতে পারে, বাজার থেকে কেনা। উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে গুম করা হবে, যাতে কেউ কোনো দিন তাঁর অস্তিত্ব না পায়। 

১৩ মে আমানউল্লাহ, জিহাদ ও সিয়াম দুটি স্যুটকেসে এমপির দেহের টুকরাগুলো ভরে পাবলিক টয়লেটের সামনে দাঁড়ানো একটি গাড়িতে ওঠেন। সেই গাড়ির চালকও তেমন কিছু জানতেন না। পরে সিয়াম ও জিহাদকে স্যুটকেসসহ বিদায় করে আমানউল্লাহ আবার ওই ফ্ল্যাটে চলে যান। পরদিন ওই তিনজন বাকি টুকরাগুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত