Ajker Patrika

বাংলাদেশে ব্যাপক গ্রেপ্তারে উদ্বেগ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা জাতিসংঘের 

আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৫: ৫৪
বাংলাদেশে ব্যাপক গ্রেপ্তারে উদ্বেগ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা জাতিসংঘের 

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্রের প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও আলোচিত হলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে ব্যাপকসংখ্যক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

গতকাল ৬ নভেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।

স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, ‘একটি অবাধ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সেই সংলাপে অংশ নেয়নি। বরং বিএনপি ... এর পর ... নামে অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। আন্দোলনের নামে ... এরই মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন মারা গেছে।’

এই পর্যায়ে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, দুঃখিত, দুঃখিত, আপনার প্রশ্নটি কী ছিল? পরে প্রশ্নকর্তা আবার বলেন, ‘তারা নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেছে।

জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি আসলে বলতে পারব না কেন। মানে আমরা কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। তাই আমি বলতে পারব না কেন একটি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। তবে আমি যেটা বলতে পারি, আমরা খুব আশাবাদী যে বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আগেও যেমনটা বলেছি, যে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ব্যাপারে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’

এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনের আগের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং করতে থাকব এবং আমরা যেকোনো সহিংস ঘটনাকে মারাত্মক গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকার, বিরোধী দলগুলো, নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গে বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি এবং জানিয়ে যাব।’

বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন ‘এটা মনে রাখা জরুরি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এটি আমরা আগেও বলেছি, আপনার বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে আমরা এটি পুনরুল্লেখ করেছি। আমরা কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ওপর অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতী নই। এই মুহূর্তে আমাদের ফোকাস জানুয়ারির নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা।’

এ সময় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি জনগণের কল্যাণে সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে উল্লিখিত পক্ষগুলোর সঙ্গে যথাযথভাবে জড়িত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত