Ajker Patrika

অনিয়ম ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ১২: ২৭
অনিয়ম ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষাকে খুবই সতর্কতার সঙ্গে নিয়ে থাকি। এখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি আমরা। যেসব গাড়ি প্রশ্ন নিয়ে যায়, সেগুলোকে আমরা ডিজিটালি ট্র্যাক করি। ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) অফিসে বসে আমরা দেখতে পারি কোথায় গাড়ি যাচ্ছে, থামছে কিংবা রওনা দিচ্ছে। যে বাক্সে করে প্রশ্ন নেওয়া হয়, সেই বক্স খুললেও বলা যায় এই বক্স এখন খোলা হচ্ছে নাকি বন্ধ করা হচ্ছে।’

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক সচিব আলিনুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রি. জেনারেল নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ।

এবারে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। সে হিসাবে প্রতি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জনের বেশি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছি। এখানে পুলিশ, র‍্যাব দায়িত্ব পালন করছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপকেও আমরা মনিটরিং করছি। ইতিমধ্যে দুজনকে ধরা হয়েছে। যারা ভুয়া প্রশ্নপত্র পেয়ে বলেছে আমরা প্রশ্ন পেয়েছি এবং তা তারা টাকাপয়সার মাধ্যমে বিক্রি করতে চেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমি দু-একটা হলে গিয়েছি, পরীক্ষা সুন্দরভাবে হয়েছে। সারা বাংলাদেশে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা শুনিনি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললাম, তারা জানিয়েছে প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত