Ajker Patrika

পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম ছাড়া লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

বাসস
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ৪২
Thumbnail image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (বিএএফ) সদস্যদের যে কোনো লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিমানবহরে ‘গ্রোব-১২০ টিপি’ প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম ছাড়া লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। আমি আশা করি আপনারা এ বিষয়ে সচেতন হবেন।’  

‘একজন পেশাজীবীর প্রধান পরিচয় তার পেশাগত দক্ষতা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন, পেশাগত দক্ষতা ও সততার কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করি, আপনারা এ ব্যাপারে সজাগ থাকবেন এবং নিজেদের সেভাবেই গড়ে তুলবেন।’

শান্তির প্রতি তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান কখনো কারও দ্বারা আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনে আপনাদের গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে দেশের আপামর জনগণও গর্বিত এবং আনন্দিত। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের বিনিময়ে সংগৃহীত এই মূল্যবান গ্রোব-১২০ টিপি প্রশিক্ষণ বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে আপনাদের হতে হবে অত্যন্ত যত্নবান। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করবেন যাতে কোনো রকম ক্ষতি না হয়। ক্ষতি হলে সেটা দেশের জন্য বড় ক্ষতি হবে এটা মনে রাখতে হবে। কারণ, এক একটা বৈমানিকের জীবন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিন বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয় ১২টি গ্রোব-১২০ টিপি প্রশিক্ষণ বিমান। 

প্রধানমন্ত্রী নতুন অন্তর্ভুক্ত বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট প্রত্যক্ষ করেন। তাঁকে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে নতুন অন্তর্ভুক্ত বিমানের ওপর একটি ভিডিওচিত্র পরিবেশিত হয়। বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ অনুশীলন ও অবলোকন করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

সরকারপ্রধান বলেন, ’৭৫-এর দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সালে সরকার গঠন করেই তিনি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের উদ্যোগ এবং বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৭ সালে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বিমানবাহিনীতে ক্যুর অজুহাতে প্রায় ৬০০ কর্মকর্তা এবং সৈনিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যার ফলে বিমানবাহিনী ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত