ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে চলাচল বন্ধ হতে পারে, এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গতকাল সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর হাজারো বাংলাদেশি পেট্রাপোল সীমান্তে ভিড় করছেন দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। গতকাল এই বন্দরের ইমিগ্রেশনে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ভারত থেকে ফেরত এক বাংলাদেশি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁয় বাংলাদেশিদের হোটেলে জায়গা না দিতে রাস্তায় মাইকিং করা হয়েছে। এ কারণেও অনেকে আতঙ্কে দেশে ফিরেছেন।
গতকাল যাঁরা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ঢাকা, কক্সবাজার, রংপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, সিলেট, চট্টগ্রামের অনেকে ছিলেন। তাঁদেরই একজন চট্টগ্রামের সুকুমার।
তিনি বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে হাবড়ায় এসেছিলাম ভাইয়ের কাছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। চট্টগ্রামে আমার পরিবার থাকে। সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমাকে যেকোনো মূল্যে আজ (রোববার) সীমান্ত পার হতেই হবে।’
এদিকে সীমান্ত নিয়ে এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। এই বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সীমান্ত বন্ধ নিয়ে যা ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন। বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য সব সময়ই সীমান্ত খোলা। তবে যাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আসার চেষ্টা করবেন, তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেউ কেউ। তাঁদের একজন ফরিদপুরের সুধারানী মণ্ডল। তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি শুনেছি বাড়িঘর, দোকানপাট, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেক হিন্দু আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। আমি আসলে জানি না, আমার সঙ্গে কী হবে। তবে আমি আমার স্বামী, সন্তান নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগেই ফিরে যেতে চাই।’
এদিকে সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে গেছে ১ হাজার ৯৮২ জন এবং ভারত থেকে এসেছে ১ হাজার ৯৪২ জন পাসপোর্টধারী।
সীমান্ত বিজেপির সভা, আতঙ্ক
বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধে স্থলবন্দর পেট্টাপোলের কাছে সভা করেছে বিজেপি। তবে এই সীমান্ত দিয়ে চলাচলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
গতকাল সীমান্তে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল বিজেপি। তবে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় তাদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে সীমান্তের কাছে সভা করে বিজেপি। সেখানে বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ‘পেট্রাপোল সীমান্তে সকাল থেকে সভা-সমাবেশ চলছে জানতে পারেছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি যে পাসপোর্টধারী যাতায়াত বন্ধ রাখবে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল দিনভর স্বাভাবিক ছিল।’
এদিকে ভারত থেকে আসা ফেরত আসা বাংলাদেশি শাহাবুদ্দীন জানান, কিছু বাংলাদেশবিরোধী মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ শহরে মাইকিং করে বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকা বন্ধ করতে হোটেলমালিকদের চাপ প্রয়োগ করছে। এতে বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, অনেকে দেশে ফিরে আসছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে পাসপোর্টধারীরা সেখানে অবস্থানে সহযোগিতা পেয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে চলাচল বন্ধ হতে পারে, এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গতকাল সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর হাজারো বাংলাদেশি পেট্রাপোল সীমান্তে ভিড় করছেন দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য। গতকাল এই বন্দরের ইমিগ্রেশনে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ভারত থেকে ফেরত এক বাংলাদেশি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁয় বাংলাদেশিদের হোটেলে জায়গা না দিতে রাস্তায় মাইকিং করা হয়েছে। এ কারণেও অনেকে আতঙ্কে দেশে ফিরেছেন।
গতকাল যাঁরা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ঢাকা, কক্সবাজার, রংপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, সিলেট, চট্টগ্রামের অনেকে ছিলেন। তাঁদেরই একজন চট্টগ্রামের সুকুমার।
তিনি বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে হাবড়ায় এসেছিলাম ভাইয়ের কাছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। চট্টগ্রামে আমার পরিবার থাকে। সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমাকে যেকোনো মূল্যে আজ (রোববার) সীমান্ত পার হতেই হবে।’
এদিকে সীমান্ত নিয়ে এই গুজব উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। এই বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, সীমান্ত বন্ধ নিয়ে যা ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন। বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য সব সময়ই সীমান্ত খোলা। তবে যাঁরা অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আসার চেষ্টা করবেন, তাঁদের থামিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেউ কেউ। তাঁদের একজন ফরিদপুরের সুধারানী মণ্ডল। তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি শুনেছি বাড়িঘর, দোকানপাট, মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। অনেক হিন্দু আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। আমি আসলে জানি না, আমার সঙ্গে কী হবে। তবে আমি আমার স্বামী, সন্তান নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই। ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ হওয়ার আগেই ফিরে যেতে চাই।’
এদিকে সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে গেছে ১ হাজার ৯৮২ জন এবং ভারত থেকে এসেছে ১ হাজার ৯৪২ জন পাসপোর্টধারী।
সীমান্ত বিজেপির সভা, আতঙ্ক
বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধে স্থলবন্দর পেট্টাপোলের কাছে সভা করেছে বিজেপি। তবে এই সীমান্ত দিয়ে চলাচলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
গতকাল সীমান্তে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল বিজেপি। তবে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় তাদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে সীমান্তের কাছে সভা করে বিজেপি। সেখানে বক্তব্য দেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ‘পেট্রাপোল সীমান্তে সকাল থেকে সভা-সমাবেশ চলছে জানতে পারেছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি যে পাসপোর্টধারী যাতায়াত বন্ধ রাখবে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল দিনভর স্বাভাবিক ছিল।’
এদিকে ভারত থেকে আসা ফেরত আসা বাংলাদেশি শাহাবুদ্দীন জানান, কিছু বাংলাদেশবিরোধী মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ শহরে মাইকিং করে বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকা বন্ধ করতে হোটেলমালিকদের চাপ প্রয়োগ করছে। এতে বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, অনেকে দেশে ফিরে আসছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে পাসপোর্টধারীরা সেখানে অবস্থানে সহযোগিতা পেয়েছেন।
পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) পদে ৪ হাজার সদস্য নিয়োগ করবে সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ-৩ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট অচিরেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।
৩৯ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো উদ্বেগ নেই। ভালো ভোট করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য, দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র
২ ঘণ্টা আগেপ্রবাসী কর্মীদের পাসপোর্ট ফি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে