Ajker Patrika

পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফিরে পেতে চায় ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, ২২: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের অনিয়মের ক্ষেত্রে পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফিরে পেতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসির অষ্টম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে ইসির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সভার বিষয়ের বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সানাউল্লাহ বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা আবেদন করেছি। পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধের ক্ষমতা আমাদের আগে ছিল। সেটা বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটা আমরা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছি এবং আশা করি আমরা এটা ফেরত পাব।’

একসময় পুরো সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ইসির ছিল। সেটা পরে প্রত্যাহার করে শুধু ভোটকেন্দ্র বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়।

সানাউল্লাহ জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিষয়টি এখন কারিগরি কমিটির কাছে আছে।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ঐকমত্য কমিশনে বিশেষায়িত কমিটির মাধ্যমে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরামর্শ এসেছে। বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু করা যাবে, তা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশা করি, আগামী সপ্তাহে পুরোটা প্রকাশিত হবে।’

এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পোস্টাল ব্যালটে ভোট হবে। সীমাবদ্ধতা কাটাতে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট। নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনলাইনে আবেদন করবেন। সময় বাঁচাতে প্রিন্ট হওয়ার পরই ব্যালট পেপার বিশেষ ব্যবস্থায় ভোটারের কাছে পাঠানো হবে।’

রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইভিএমের বিষয়টি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনে কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হবে না।’

দল নিবন্ধনের ব্যাপারে সানাউল্লাহ জানান, এবার ১৪৪টি দল নিবন্ধন চেয়ে ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে। সঠিকভাবে করা আবেদনগুলো মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হবে। সামান্য ত্রুটিপূর্ণ আবেদনগুলো সংশোধনে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক চেয়ে নাগরিক ঐক্য ও এনসিপি আবেদন করেছে। ইসি সব বিবেচনা করে শাপলা তালিকাভুক্ত করেনি।

সানাউল্লাহ আরও বলেন, এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদে আগে বাদ পড়া প্রায় ৪৪ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সম্পূরক ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে। এরপর দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি শেষ করে জুলাই বা আগস্টের মধ্যে ভোটার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ইসি সচিবালয় আইন সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, সচিব ও অন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস হবে। সংস্কার কমিশনও এ ধরনের প্রস্তাব করেছে। এই সার্ভিস না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান বিধিতেই চলবে।

এ ছাড়া ১৯৯১ সালে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইনেও ছোট ছোট সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা পুনঃ অর্পণের বিষয়েও কিছু সংশোধন প্রস্তাব আনা হয়েছে। এনআইডি সংশোধনে ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা কমানোর প্রক্রিয়াও নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত