নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের দায়েরকৃত নির্বাচনী মামলার রায় ও নির্বাচন কমিশনের আপিল দায়ের না করা বিষয়ে কোন আইনি জটিলতা আছে কিনা-সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের দাম জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘মূল্য এ বছরের জুলাই মাস থেকে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (আইএসপি) ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ হারে কমানো হবে।’
১ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বোতল নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেস্বচ্ছতা ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী গণমাধ্যমের হালচাল’ শীর্ষক এক
২ ঘণ্টা আগে