নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ভবনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা এনজিএসও (বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) গাইডলাইন করেছি। এর আওতায় স্টারলিংক বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। স্টারলিংকের মতো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে যোগাযোগ করছে।’
ফয়েজ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম না কমালে সরকার পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘দাম কমানোর পর্যাপ্ত রেগুলেটরি ও বাস্তবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টেকহোল্ডারেরা পার্টিসিপেট করেছেন। যাঁরা এখনো পার্টিসিপেট করেননি, তাঁদের পার্টিসিপেট করা উচিত। আর তাঁরা যদি আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট না করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় নেগোসিয়েশনগুলো আছে, সেগুলো আমরা আলোচনার টেবিলে আনব। সেখানে আনসেটেল্ড ডিউ (অনিষ্পন্ন দেনা) আছে, সেগুলো আলোচনায় চলে আসবে এবং তাঁদের পারফরম্যান্সও আলোচনার টেবিলে আসবে।’
বিশেষ সহকারী জানান, আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স) ও আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) পর্যায়ের ২০ শতাংশ দাম কমানোর যে উদ্যোগ বিটিআরসি নিয়েছে, সেটা ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, নারী- পুরুষ এবং শহর ও গ্রামে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। এমনকি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুযোগ সমানভাবে পৌঁছেনি। তিনি বলেন, ‘ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন হয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ের বাংলা মাধ্যমের কিছু কিছু স্কুলেও ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, কিন্তু গ্রামীণ অঞ্চলের মাদ্রাসাগুলো, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসায় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সুফল পৌঁছায়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল রূপান্তরে নারী-পুরুষ সমতায়ন’।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণে ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সব সদস্য রাষ্ট্র বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদ্যাপন করে থাকে। এ উপলক্ষে আইটিইউসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সভা, সেমিনার, কর্মশালা, শোভাযাত্রা, ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ, পাবলিক ক্যাম্পেইন, প্রদর্শনী ও হ্যাকাথন হয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী। তিনি বলেন, আজকের রূপান্তরশীল বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতীক নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ও মানবিক উন্নয়নের এক শক্তিশালী মাধ্যম। অথচ আজও বিশ্বে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট থেকে বঞ্চিত, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও কিশোরী। ডিজিটাল পরিমণ্ডলে তাদের অনুপস্থিতি মানে শুধুই প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের চাকা থেকে পিছিয়ে পড়া।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ৭০ ভাগ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ৬৫ ভাগ, যার ফলে অনলাইনে সক্রিয় পুরুষের সংখ্যা নারীদের তুলনায় প্রায় ১৮৯ মিলিয়ন বেশি। অনেক উন্নত দেশে নারী-পুরুষের মাঝে ডিজিটাল বৈষম্য কমে গেলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) এটি আরও বিস্তৃত হয়েছে, যেখানে ৪১ ভাগ পুরুষের তুলনায় মাত্র ২৯ ভাগ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে মাত্র ২১ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে, বিপরীতে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ শতাংশে, যা বৈশ্বিক ডিজিটাল বৈষম্যের একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আইটিইউ কানেক্ট ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার ও মোবাইল ফোন মালিকানায় নারী-পুরুষের সমতায়নে একটি বিশেষ লক্ষ্যের রূপরেখা প্রণয়ন । যদিও বিশ্বব্যাপী উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার ৪০ ভাগ নারীর দখলে, তবু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে তাঁদের অংশগ্রহণ এখনো কম। সফটওয়্যার উন্নয়ন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও নীতিনির্ধারণের সর্বোচ্চ স্তরে নারীরা প্রায় অনুপস্থিত। পুরুষদের তুলনায় নারীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হারও বেশি। নারীদের কেবল প্রযুক্তিতেই প্রবেশাধিকারে নয়, বরং ক্রয়ক্ষমতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়ে গেছে। সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে নিতে সরকার, বেসরকারি খাত ও সমাজের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। ডিজিটাল রূপান্তর তখনই সফল হবে, যখন তা নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সবার জন্য সমানভাবে কল্যাণ বয়ে আনবে। আইএমএফের মতে, শ্রমবাজারে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে জিডিপি ৮ ভাগ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসের অনুষ্ঠান বিগত সরকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে এসেছিল। এটা আবারও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর টেলিযোগাযোগ দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বিটিআরসি কার্যালয়ে, যেখানে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ দিবস সম্পর্কে আলোচনা সভা হবে। পরে টেলিযোগাযোগ খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যেমন সরকার, রেগুলেটর, উদ্যোক্তা, একাডেমিয়া ও বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে সেমিনার আয়োজন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কর্তৃক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হবে। এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্যোক্তা ও লাইসেন্সধারীদের সমন্বয়ে বিটিআরসির প্রাঙ্গণে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তি/দলকে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত বীরদের বিশেষ ডিভাইস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয় (ভেতর ও বাইরে), প্রেসক্লাব, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে সামরিক জাদুঘর ও আগারগাঁও (বিটিআরসি কার্যালয়ের প্রবেশপথ) পরিবেশবান্ধব ব্যানারের মাধ্যমে সজ্জিত করা হবে।
দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশো আয়োজন, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিসিএস (টেলিকম) সমিতি কর্তৃক স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের এই কাঠামোটি সরাসরি এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা ও কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দুর্ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল, যার ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজর্ভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসাল্ট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ণ-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা কেবল একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল–থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা–আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪–এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান–থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল–থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে তত দিনে পিয়ার–ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ ও কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক না কেন, যেকোনো ভিন্নমতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে, উনি ওই বইটা কিনবেন।’
প্রেস সচিব যোগ করেন, ‘আমরা চাই, এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী, কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে, না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না, যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিলেন ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে মোহন রায়হান আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটার জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন, বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি গাজীউল হাসান খান ও ফয়েজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বইমেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক না কেন, যেকোনো ভিন্নমতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে, উনি ওই বইটা কিনবেন।’
প্রেস সচিব যোগ করেন, ‘আমরা চাই, এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী, কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে, না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না, যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিলেন ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে মোহন রায়হান আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটার জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন, বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কবি গাজীউল হাসান খান ও ফয়েজ আলম।

স্টারলিংকের মতো স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ কথা জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
১৫ মে ২০২৫
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। প্রায় ১৪০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের....
১ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
১ ঘণ্টা আগে