রেজাউর রহিম, ঢাকা

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে সিমেন্ট, রড ও ইটের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ অবস্থায় সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক অবকাঠামো নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে প্রায় এক বছর ধরে দেশে রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর দামের ঊর্ধ্বগতির ফলে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
রডের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি টনের দাম এখন ৭৫ হাজার টাকায় উঠেছে। দাম বেড়েছে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত অ্যাঙ্গেল, শিট, মোটা ও পাতলা প্লেট, বালি, পাথর এবং সিমেন্টের। এই পরিস্থিতিতে আবাসন খাতেও চলছে প্রায় স্থবির অবস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের হাতে এখন ছোট-বড় ও মাঝারি বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২ হাজার প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণকাজও চলমান। এ ছাড়া আবাসন চাহিদা পূরণেও খাতসংশ্লিষ্টদের হাতে রয়েছে সহস্রাধিক প্রকল্প। উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাতেও শিল্প কারখানার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখা এবং বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পে আগাম কর প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি লৌহজাত পণ্য প্রস্তুতে ব্যবহার্য কয়েকটি কাঁচামাল, স্ক্র্যাপ ভেসেল ও পিভিসি, পিইটি রেজিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইথানল গ্লাইকলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে আগ্রীম করও অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দাম না কমে বরং বাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম আরও বেড়েছে। কতটা বেড়েছে?
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রডের দাম গড়ে ৪০ শতাংশ, পাথর প্রায় ৩৫, সিমেন্ট প্রায় ১৫ এবং ইটের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাবে চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে এখন নতুন কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্মাণ উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উন্নয়নকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, নির্মাণ সামগ্রীর দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আগের নির্ধারিত দরপত্রের মূল্যে সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলমান অনেক প্রকল্পকাজের গতিও কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় থাকা (মেগা প্রকল্প) পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ হাতেগোনা কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অনেকটাই অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
প্রকৌশল বিধি অনুযায়ী অবকাঠামোগত প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩৮ থেকে ৪২ শতাংশ রড, ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ ইট বা পাথর এবং ১৮-২২ শতাংশ পর্যন্ত সিমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মার্চ থেকে বাড়তে থাকা রডের দাম জুন মাসের দিকে কিছুটা কমে টনপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। এর পর করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা লকডাউনের মধ্যে আবার বাড়তে থাকে দাম। বর্তমানে ভালো মানের রডের টনপ্রতি দাম ৭৫ হাজার টাকায় উঠেছে। চার মাস আগে মোটা প্লেট প্রতি টন ৬০ হাজার টাকা থাকলেও, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকায়। বাজারে পাতলা প্লেটের দাম প্রতি টনে ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। কয়েক মাস আগেও এক টন অ্যাঙ্গেলের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় উঠেছে।
রডসহ এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বাড়ায় রডের দাম বেড়েছে। তবে উৎপাদন পর্যায়ের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়েছে অভিযোগ খুচরা ব্যাবসায়ীদের। নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতারা জানান, বিশ্ববাজারে এসব নির্মাণ সামগ্রীর কাঁচামাল ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দেশীয় উৎপাদকেরা দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন।
দেশে বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় ৪০০টি ইস্পাত কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০ লাখ টন। আর অভ্যন্তরীণ ইস্পাত ব্যবহারের পরিমাণ ৭৫ লাখ টন। বাংলাদেশে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) সূত্র জানায়, স্টিল ও রডের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বিলেট ও স্ক্র্যাপের প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে এ কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ছয় মাস আগে প্রতি টন স্ক্র্যাপের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ছিল ২৭০-৩৫০ ডলারের মধ্যে। এখন তা ৫৬০-৫৭০ ডলারে উঠেছে। বিলেটের বাজারমূল্য ছিল ৭৫০-৮০০ ডলারের মধ্যে। এখন তা ১ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া মেল্টিং মেটাল আমদানিতেও ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
একই অবস্থা সিমেন্টের ক্ষেত্রেও। চার মাস আগে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম গড়ে ৪০০ টাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে ৪৪০ থেকে ৪৭০ টাকা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৪টি সিমেন্ট কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪ কোটি টন। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা থাকলেও আড়াই থেকে সোয়া ৩ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করছে এ কোম্পানিগুলো।
সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিঙ্কার আমদানি ও জাহাজভাড়া বাড়ায় টনপ্রতি ক্লিংকারের দাম পড়ছে এখন ৫৫ থেকে ৫৬ ডলার। গত অর্থবছরেও দেশে ১ কোটি ৮৭ লাখ টন ক্লিঙ্কার আমদানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বগতি এবং জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশে সিমেন্ট উৎপাদনে এবং সেই সূত্রে সিমেন্টের দামে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, দেশে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল ক্লিঙ্কারের ৭৫ শতাংশ আমদানিনির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে এই ক্লিঙ্কারের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশে জাহাজীকরণের খরচও বেড়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন দেশে প্রস্তুত সিমেন্টের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দ্বৈত কর সমন্বয় জরুরি।
এদিকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই) সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ সামগ্রীর মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে বাড়তি খরচ সমন্বয়ের সুযোগ না থাকায় ঠিকাদারেরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারেরা কাজ চালিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছেন। এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও স্বনামধন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর ব্যয় দরপত্রের সময় নির্ধারণ হয়। প্রকল্প সম্পাদনের নির্দিষ্ট সময়ও এই দরপত্রে উল্লেখ থাকে। কিন্তু দেশে নির্মাণ সামগ্রীর দাম লাগামহীনভাবে বাড়ায় অনেক প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
বেড়েছে ইটের দামও। বর্তমানে ১ হাজার ভালো মানের ইট বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকায়, আর দ্বিতীয় গ্রেডের ইট বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকায়। অথচ ভালো মানের ইটের দাম কয়েক মাস আগেও ছিল ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ইট পোড়ানোর প্রধান কাঁচামাল কয়লার দাম ও এর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এমনটা হয়েছে। প্রতি টন কয়লার দাম বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার টাকা, যা কয়েক মাস আগেও ছিল ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
এদিকে নির্মাণকাজের আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাথরের দামও বেড়েছে। প্রায় ২৫ টাকা বেড়ে ভোলাগঞ্জের প্রতি ঘনফুট পাথর এখ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ভারতীয় কালো পাথর বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়, আর দুবাইয়ের পাথর ১৮৫ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের বালি। বর্তমানে প্রায় তিন টাকা বেড়ে প্রতি ঘনফুট সাদা বালি বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা দরে। আর লাল বালি প্রতি ঘনফুট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা কয়েক মাস আগেও ছিল ৪০ টাকা। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে পাথরের চাহিদা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন। এর প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর দেশে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন পাথর আমদানি করতে হয়। ফলে পাথর ও বালির দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে নানা নির্মাণ প্রকল্পের ওপর।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, জরুরি বিবেচনায় কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও উপকরণের বাড়তি দামের কারণে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন ঠিকাদারেরা। এ অবস্থায় নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্য সমন্বয় (প্রাইস আ্যডজাস্টমেন্ট) জরুরি। না হলে ঠিকাদারেরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসে (পিপিআর) ভবিষ্যতে সব দরপত্রের মূল্য সমন্বয়ের ধারা অন্তর্ভুক্ত না করলে প্রকল্পের বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ঠিকাদারদের লোকসান কমানো যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএসিআই আলোচনা করছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে সিমেন্ট, রড ও ইটের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ অবস্থায় সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক অবকাঠামো নির্মাণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে প্রায় এক বছর ধরে দেশে রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রীর দামের ঊর্ধ্বগতির ফলে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
রডের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি টনের দাম এখন ৭৫ হাজার টাকায় উঠেছে। দাম বেড়েছে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত অ্যাঙ্গেল, শিট, মোটা ও পাতলা প্লেট, বালি, পাথর এবং সিমেন্টের। এই পরিস্থিতিতে আবাসন খাতেও চলছে প্রায় স্থবির অবস্থা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের হাতে এখন ছোট-বড় ও মাঝারি বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২ হাজার প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণকাজও চলমান। এ ছাড়া আবাসন চাহিদা পূরণেও খাতসংশ্লিষ্টদের হাতে রয়েছে সহস্রাধিক প্রকল্প। উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাতেও শিল্প কারখানার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখা এবং বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পে আগাম কর প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি লৌহজাত পণ্য প্রস্তুতে ব্যবহার্য কয়েকটি কাঁচামাল, স্ক্র্যাপ ভেসেল ও পিভিসি, পিইটি রেজিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ইথানল গ্লাইকলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে আগ্রীম করও অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দাম না কমে বরং বাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম আরও বেড়েছে। কতটা বেড়েছে?
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রডের দাম গড়ে ৪০ শতাংশ, পাথর প্রায় ৩৫, সিমেন্ট প্রায় ১৫ এবং ইটের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর প্রভাবে চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে এখন নতুন কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্মাণ উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উন্নয়নকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, নির্মাণ সামগ্রীর দাম ক্রমান্বয়ে বাড়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আগের নির্ধারিত দরপত্রের মূল্যে সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চলমান অনেক প্রকল্পকাজের গতিও কমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকায় থাকা (মেগা প্রকল্প) পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ হাতেগোনা কয়েকটি প্রকল্প ছাড়া অন্য সব প্রকল্পে অনেকটাই অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
প্রকৌশল বিধি অনুযায়ী অবকাঠামোগত প্রকল্পের গুরুত্ব অনুযায়ী ৩৮ থেকে ৪২ শতাংশ রড, ৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ ইট বা পাথর এবং ১৮-২২ শতাংশ পর্যন্ত সিমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মার্চ থেকে বাড়তে থাকা রডের দাম জুন মাসের দিকে কিছুটা কমে টনপ্রতি ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকায় নেমে আসে। এর পর করোনা পরিস্থিতির কারণে টানা লকডাউনের মধ্যে আবার বাড়তে থাকে দাম। বর্তমানে ভালো মানের রডের টনপ্রতি দাম ৭৫ হাজার টাকায় উঠেছে। চার মাস আগে মোটা প্লেট প্রতি টন ৬০ হাজার টাকা থাকলেও, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকায়। বাজারে পাতলা প্লেটের দাম প্রতি টনে ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। কয়েক মাস আগেও এক টন অ্যাঙ্গেলের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় উঠেছে।
রডসহ এই পণ্যগুলোর দাম বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাঁচামালের দাম বাড়ায় রডের দাম বেড়েছে। তবে উৎপাদন পর্যায়ের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়েছে অভিযোগ খুচরা ব্যাবসায়ীদের। নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতারা জানান, বিশ্ববাজারে এসব নির্মাণ সামগ্রীর কাঁচামাল ও জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দেশীয় উৎপাদকেরা দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন।
দেশে বর্তমানে ছোট-বড় প্রায় ৪০০টি ইস্পাত কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৮০ লাখ টন। আর অভ্যন্তরীণ ইস্পাত ব্যবহারের পরিমাণ ৭৫ লাখ টন। বাংলাদেশে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমএ) সূত্র জানায়, স্টিল ও রডের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বিলেট ও স্ক্র্যাপের প্রায় শতভাগ আমদানিনির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে এ কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ছয় মাস আগে প্রতি টন স্ক্র্যাপের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য ছিল ২৭০-৩৫০ ডলারের মধ্যে। এখন তা ৫৬০-৫৭০ ডলারে উঠেছে। বিলেটের বাজারমূল্য ছিল ৭৫০-৮০০ ডলারের মধ্যে। এখন তা ১ হাজার ৩৫০ ডলার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া মেল্টিং মেটাল আমদানিতেও ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
একই অবস্থা সিমেন্টের ক্ষেত্রেও। চার মাস আগে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম গড়ে ৪০০ টাকা থাকলেও এখন তা বেড়ে ৪৪০ থেকে ৪৭০ টাকা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৪টি সিমেন্ট কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪ কোটি টন। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা থাকলেও আড়াই থেকে সোয়া ৩ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করছে এ কোম্পানিগুলো।
সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ক্লিঙ্কার আমদানি ও জাহাজভাড়া বাড়ায় টনপ্রতি ক্লিংকারের দাম পড়ছে এখন ৫৫ থেকে ৫৬ ডলার। গত অর্থবছরেও দেশে ১ কোটি ৮৭ লাখ টন ক্লিঙ্কার আমদানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বগতি এবং জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমদানি খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশে সিমেন্ট উৎপাদনে এবং সেই সূত্রে সিমেন্টের দামে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, দেশে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল ক্লিঙ্কারের ৭৫ শতাংশ আমদানিনির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে এই ক্লিঙ্কারের দাম বাড়ার পাশাপাশি দেশে জাহাজীকরণের খরচও বেড়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ায় এখন দেশে প্রস্তুত সিমেন্টের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দ্বৈত কর সমন্বয় জরুরি।
এদিকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই) সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ সামগ্রীর মাত্রাতিরিক্ত দামের কারণে বাড়তি খরচ সমন্বয়ের সুযোগ না থাকায় ঠিকাদারেরা লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারেরা কাজ চালিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছেন। এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও স্বনামধন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর ব্যয় দরপত্রের সময় নির্ধারণ হয়। প্রকল্প সম্পাদনের নির্দিষ্ট সময়ও এই দরপত্রে উল্লেখ থাকে। কিন্তু দেশে নির্মাণ সামগ্রীর দাম লাগামহীনভাবে বাড়ায় অনেক প্রকল্পের কাজ এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
বেড়েছে ইটের দামও। বর্তমানে ১ হাজার ভালো মানের ইট বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকায়, আর দ্বিতীয় গ্রেডের ইট বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকায়। অথচ ভালো মানের ইটের দাম কয়েক মাস আগেও ছিল ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ইট পোড়ানোর প্রধান কাঁচামাল কয়লার দাম ও এর আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এমনটা হয়েছে। প্রতি টন কয়লার দাম বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার টাকা, যা কয়েক মাস আগেও ছিল ৮ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।
এদিকে নির্মাণকাজের আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাথরের দামও বেড়েছে। প্রায় ২৫ টাকা বেড়ে ভোলাগঞ্জের প্রতি ঘনফুট পাথর এখ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ভারতীয় কালো পাথর বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকায়, আর দুবাইয়ের পাথর ১৮৫ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের বালি। বর্তমানে প্রায় তিন টাকা বেড়ে প্রতি ঘনফুট সাদা বালি বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা দরে। আর লাল বালি প্রতি ঘনফুট বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা কয়েক মাস আগেও ছিল ৪০ টাকা। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে পাথরের চাহিদা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টন। এর প্রায় ৯০ শতাংশ আমদানিনির্ভর। প্রতি বছর দেশে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন পাথর আমদানি করতে হয়। ফলে পাথর ও বালির দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে নানা নির্মাণ প্রকল্পের ওপর।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বিএসিআইয়ের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, জরুরি বিবেচনায় কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও উপকরণের বাড়তি দামের কারণে লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন ঠিকাদারেরা। এ অবস্থায় নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে মূল্য সমন্বয় (প্রাইস আ্যডজাস্টমেন্ট) জরুরি। না হলে ঠিকাদারেরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসে (পিপিআর) ভবিষ্যতে সব দরপত্রের মূল্য সমন্বয়ের ধারা অন্তর্ভুক্ত না করলে প্রকল্পের বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা ও ঠিকাদারদের লোকসান কমানো যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএসিআই আলোচনা করছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
০৮ অক্টোবর ২০২১
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
০৮ অক্টোবর ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
০৮ অক্টোবর ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে সিমেন্ট-রডসহ নির্মাণকাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম দিন দিন মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে। চলতি বছর দেশে অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় গড়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে পুরো নির্মাণ খাত এবং এর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টরা।
০৮ অক্টোবর ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪৪ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৪ ঘণ্টা আগে