কূটনৈতিক প্রতিবেদক

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে তুরস্ক দূতাবাসে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান দুই দেশের সম্পর্ক, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বাণিজ্য সম্ভাবনা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াত ইসলাম নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বৈধ, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে কূটনীতিকেরা। তবে বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে তুরস্কের কোন অবস্থান নেই। তুরস্কের অবস্থান বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে। এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি রকম আচরণ করবে। আর বাংলাদেশের সেই অবস্থানকে তুরস্ক সম্মান করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে কোন দেশ তার মতামত প্রকাশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে তুরস্কের নেওয়া তখনকার ও বর্তমান অবস্থান জানতে চাইলে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর পরিবর্তন করতে পারবে না। সেই সময়টিতে যা হয়েছে তার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য কখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ছিল না। তুরস্ক বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি যত্নশীল। কিন্তু বন্ধু হিসেবে পুনবিবেচনার জন্য কিছু বলতে পারে। এটি ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। বরং সৎ উদ্দেশ্যে মতামত দিয়েছিল।’
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃত্যুদণ্ডের বিশ্বাস করে না তুরস্ক। তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড নেই। কারণ মৃত্যুদণ্ড সমাধানের পরিবর্তে সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বিষয় তার দেশের আইন কীভাবে চলবে। কিন্তু বন্ধ হিসেবে কিছু সময়ে আমাদের মধ্যেও মতানৈক্য হয়। কিছু সময়ে বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক কারণে পরিস্থিতির বাইরে গিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।
মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ২০১৬ সালে যখন তুরস্কে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। তখন বাংলাদেশই সর্বপ্রথম তুরস্কের সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সে সময়ে তুরস্কের অন্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সংহতি প্রকাশ করেনি। আর বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা চলে আসে তখন তুরস্ক বাংলাদেশের প্রতি প্রথম সংহতি জানিয়েছিল। এটিই প্রমাণ করে দুই দেশের সম্পর্ক কতটা মজবুত। অতীতে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, যা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ভালো বন্ধু। তুরস্ক যা করে বা যা বলে তা বাংলাদেশের ভালোর জন্য করে বা বলে। বিষয়টিকে এভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে খারাপ করছে, এভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কে আশানুরূপ পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন মোস্তফা ওসমান তুরান। তার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয় কেন দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক আশানুরূপ পর্যায়ে নেই জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর প্রয়োজন। যখন আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর হবে। তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে ভালো হচ্ছে।
তুরস্কে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ও রোহিঙ্গার সময়ে দুই দেশ একে অপরের প্রতি সংহতি জানানোর কারণে কি সম্পর্ক আবার নতুন মোড় নিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই, এ কারণে সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে।
জামায়াত নিয়ে তুরস্ক ও বাংলাদেশের মাঝে ভুল ব্যাখ্যা কে দিয়েছিল? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, আমরা জানতাম কি হচ্ছে। ফলে এখানে আমাদের দ্বারা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়নি। আর বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে সব জানে। কিছু চক্র রয়েছে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না। যখন সুযোগ এসেছে, তখন তারা (চক্র) সম্পর্ককে খারাপের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি, এমনকি আগেও দিইনি।
চক্র বলতে কি বোঝাতে চাইছেন জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এদের নাম আমি জানাতে পারব না। বুঝতে হবে কিছু সময়ে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন স্বার্থে রাজনীতি নিয়ে রাজনীতি করে। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন।
প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক প্রযুক্তির হস্তান্তর করবে কি না? এর উত্তরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, গত ১০ / ১৫ বছরে তুরস্ক প্রতিরক্ষা খাতে বেশ এগিয়ে গেছে। আর এর মূল কারণ হচ্ছে যাদের সঙ্গেই আমরা প্রতিরক্ষায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক করেছি, তাদের সঙ্গে যৌথ উৎপাদনে গিয়েছি। প্রতিরক্ষা খাতে তুরস্ক এখন ৭০ শতাংশ স্বনির্ভর হয়েছে। একই ভাবে বাংলাদেশকেও বাহিনীগুলোর জন্য জাহাজ তৈরিতে যৌথ উৎপাদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে শুধু প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য নয়, বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের জন্যও জাহাজ তৈরি করা যাবে। আর বাংলাদেশকে আমরা যে সমরাস্ত্র বিক্রি করব না কেন, তার সঙ্গে এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ের সুসম্পর্কের বার্তা দেয়।
অস্ত্র বিক্রি করলে এ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বাংলাদেশ কিভাবে বজায় রাখবে? প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা ওসমান বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মিসাইল বিক্রি করেছে তুরস্ক। কিন্তু তা দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিফলন হবে না। এটি নিয়মিত পণ্য নয়। বাংলাদেশ ও তুরস্কের বাণিজ্য দুই বছর আগেও প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের মত ছিল। তা বর্তমানে করোনা থাকার পরও ১২০ কোটির ওপর দিয়েছে। আগামী তিন বছরে বাণিজ্য ৩০০ কোটিতে নেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশের বিশ্বমানের ওষুধ, তথ্য ও প্রযুক্তি, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। যার রপ্তানি তুরস্কে বাড়িয়ে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে পারে।
কি ধরনের সমরাস্ত্র বাংলাদেশকে বিক্রি করছে তুরস্ক? এর উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এর তালিকা এভাবে দেওয়া যাবে না। তবে এটি বলতে চাই যে বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা খাতের সমাধান দিতে চায় তুরস্ক। চলতি মাসের শেষ দিকে তুরস্কের নৌবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছে। এ সময়ে বাহিনীর জন্য জাহাজ তৈরি নিয়ে আলোচনা হবে।
ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে তুরস্কের অবস্থান জানতে চাইলে মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, এ অঞ্চলকে ঘিরে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এ প্রতিযোগিতা আগে ইউরোপকে নিয়ে ছিল। যা পরিবর্তন হয়ে এদিকে এসেছে। মূলত চীনের উল্লেখযোগ্য উত্থানের কারণে এ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরস্ক কোন পক্ষ না নিয়ে কাজ করছে। বরং তুরস্ক এশিয়ার জন্য নতুন নীতি নিয়েছে। আর সেই নীতিতে তুরস্কের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্কের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রপতি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। করোনা না থাকলে এত দিনে এ সফরটি হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মার্চে তাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আর সে দাওয়াত এখন বলবৎ রয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১২ মিনিট আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

সাবেক কর্মীর প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রৌনক জাহান তাকি এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
তিনি বলেন, আসামি তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া অন্য দুজন হলেন গ্রামীণফোনের ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সায়িদা হোসেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের ২৬ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোন কোম্পানি লিমিটেডে চাকরি করতেন রাকিবুল আজম। চাকরিরত অবস্থায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আউটসোর্সিংয়ের রক্ষিত টাকা কর্মচারীদের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই আউটসোর্সিংয়ের কাজের জন্য কোম্পানির কাছে বাদীর ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮ টাকা পাওনা হয়।
গত বছরের ১০ নভেম্বর বাদীকে তাঁর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। টাকা আনতে গেলে আসামিরা ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে বাদীর স্বাক্ষর নেন। কিন্তু বাদীর পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেন আসামি তিনজন।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২১
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২১
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১২ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২১
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১২ মিনিট আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির এই কাঠামো এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা এবং কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজরভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশির ভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ম-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতাই শুধু নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল-থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে, তত দিনে পিয়ার-ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির এই কাঠামো এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা এবং কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজরভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশির ভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ম-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতাই শুধু নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল-থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে, তত দিনে পিয়ার-ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

কিছু চক্র রয়েছে বিভিন্ন স্বার্থে তারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। তিনি জানান যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের রায় নিয়ে সে সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২১
আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন গ্রামীণফোনের সাবেক কর্মী রাকিবুল আজম। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নেন।
১২ মিনিট আগে
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
৩৪ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
৩ ঘণ্টা আগে