মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে আসামিদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে— প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ ২২ অক্টোবর।
এর আগে ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই প্রসিকিউশন এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
এরপর ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে আসামিদের আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা এই অপরাধ সংঘটিত করেন নাই। একজন আইজিপি এখানে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী)। তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে তা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। এখানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তাঁদের এই ঘটনার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।’
তাঁদের কোন কারাগারে পাঠানো হয়েছে— প্রশ্নের জবাবে সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যে সাবজেল ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে, সেখানে নেওয়া হবে বলে আমরা জেনেছি।’
বিগত আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ ২২ অক্টোবর।
এর আগে ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই প্রসিকিউশন এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
এরপর ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত এই সেনা কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কে এম আজাদ।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না; পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না; ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করতে পারবেন; প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না; ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে; সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
আরও বলা হয়, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না; কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য) ক্ষতি করা যাবে না; সমুদ্রসৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চালানো যাবে না; নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান চলাচলের অনুমতি দিতে পারবে না; পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা শুধু দিনের বেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন, রাত যাপন করা যাবে না; ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত যাপন করতে পারবেন; প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না; ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে; সেন্ট মার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে দ্বীপে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।
আরও বলা হয়, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না; কোনোভাবেই দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের (সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য) ক্ষতি করা যাবে না; সমুদ্রসৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যানবাহন চালানো যাবে না; নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, স্ট্র, সাবান ও শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, ৫০০ ও ১০০০ মিলিলিটারের প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং প্লাস্টিকের পানির বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল।
আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে দলটি যমুনায় পৌঁছায়।
জামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
বৈঠকে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গত সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে সব জেলা প্রশাসকদের পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এ ধরনের আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
চিঠিতে সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ডরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে আকস্মিক অগ্নি দুর্ঘটনা, যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা বিপর্যয় এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ যাবতীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সব বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় শুনানি শেষে আজ বুধবার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর একই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসেন্ট মার্টিন দ্বীপের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দ্বীপের , পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা হতে ১২টি নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াত জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের লক্ষ্যে দলের নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গেছে।
১ ঘণ্টা আগে