মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটা।
ইসির লক্ষ্য ছিল, বিদ্যমান ভোটারের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৫ জনকে ভোটারকে নিবন্ধনের আওতায় আনা। আর ফরম পূরণ করেছেন ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭ জন। মৃত ভোটার কর্তনের ফরমও পূরণ করা হয়েছে কম। ২০২২ সালে ২২ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছিল। এ বছর কর্তনের জন্য ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩টি ফরম পূরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হওয়ার পরদিন গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন বলেন, কতটা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কম হলে সমস্যা কী ছিল, তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কি না, না পেরে থাকলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই গিয়েছেন, কাউকে না পেলে ফোন নম্বর দিয়ে এসেছেন ৷ তবে আমরা যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি এলাকা
রাজধানীর পশ্চিম আগারগাঁও এবং পশ্চিম কাফরুল এলাকার কয়েকটি বাড়িতে যাওয়া ছাড়াও উত্তরা, মগবাজার, মতিঝিল এজিবি কলোনি, পূর্ব রায়েরবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার কয়েকজন সংবাদকর্মী। তাঁরা পশ্চিম আগারগাঁও ও পশ্চিম কাফরুলের যে ১১টি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে ৭টি বাড়িতেই যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। যে চারটি বাড়িতে গেছেন, সেগুলোর সবই রাস্তার লাগোয়া। যেসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন, সেগুলোর কেয়ারটেকাররা জানিয়েছেন, কেউ বাদ পড়লে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নম্বরসহ একটি স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ৫ নম্বর বাড়ি রোকন আহমেদ সুপারভিলার কেয়ারটেকার মো. জুয়েল জানান, বাড়িটিতে কেউ তথ্য সংগ্রহে আসেননি। একই কথা বলেন পশ্চিম কাফরুলের ১৫৫/৮ নম্বর বাসার কেয়ারটেকার রাশেদ। ৫৫/১ বাড়ির বাসিন্দা ও ১৫৫/৩/১ নম্বর বাসা দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোমেনা বেগম জানান, তাঁদের বাসায় কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে যাননি।
পশ্চিম কাফরুলের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হবে। কিন্তু কেউ তথ্য সংগ্রহ করতে আসেননি।’
একই এলাকার বাসিন্দা একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ হারিয়ে ফেলায় তাঁর মা ভোটার হতে পারেননি। ভেবেছিলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা এলে তাঁদের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। তাঁরা না আসায় মায়ের ভোটার হওয়া নিয়ে উদ্বেগে আছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাননি অভিযোগ করে মগবাজারের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। শুক্রাবাদের রিয়াদ হোসেনের বাসায়ও কেউ হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্য যাননি।
উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা মো. আরিফ বলেন, দুজন ভোটারযোগ্য সদস্য বাসায় রয়েছেন, কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা আসেননি। মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা গোলাম সামদানি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও শ্যালিকার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করব। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারীরা বাসায় না আসায় কাজটি করতে পারছি না।’
ঢাকার বাইরের খণ্ডচিত্র
উত্তরের জয়পুরহাটে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলার কোমর গ্রামের আব্দুল ওয়ারেছ, করিম নগর গ্রামের লুৎফর রহমান জাকের, কালাই উপজেলার তালুকদার পাড়ার লিটন, বাখড়া গ্রামের গাজিউল, খলিলুর, নওপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম পাড়ুলিয়া গ্রামের আরমান, তারাকুলের হাসেম, মিনিগারির আব্দুর রাজ্জাক, গোপীনাথপুরের মোস্তফা আলী, কাটাপুকুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনসহ ২৫ জনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা গেছেন। ছয়জন বলেছেন, গ্রামের মাইকে প্রচার করে এক জায়গায় বসে তথ্য হালনাগাদের কাজ করা হয়েছে। তিনজনের বাড়িতে কেউ যাননি।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৬টি পরিবারে দৈবচয়ন ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। ১৬টি বাড়ির মধ্যে ৯টির লোকজন বলেছেন, তাঁরা একবার মাইকে ভোটার হালনাগাদের কথা প্রচার করতে শুনেছেন, কিন্তু কেউ তথ্য নিতে আসেননি।
এর মধ্যে বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের আট্টাকী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার হব। সব কাগজ গুছিয়ে রেখেছি; কিন্তু কেউ আসেননি।’
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোটার মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক বাড়িতেই এসে তথ্য সংগ্রহ করতে দেখেছি।’
সাতক্ষীরা পৌর শহরসহ আশপাশের অনেক এলাকায় যাননি তথ্য সংগ্রহকারীরা। সাতক্ষীরার কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার বাসিন্দা রুকসানা আক্তার বলেন, ‘আমার বাড়িতে কেউ আসেননি। জানামতে, আমাদের মহল্লার কোনো বাড়িতেই তাঁরা আসেননি।’
একই কথা বলেন পলাশপোল এলাকার বাসিন্দা লাভলী চৌধুরী ও আনিসুর রহমান।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অনেকের অভিযোগ, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাঁদের বাড়িতে যাননি। ভোটার হতে আগ্রহী তথ্য সংগ্রহকারীকে ফোন করেও তথ্য দিতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটেদের ক্ষেত্রে বাড়িমালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়েছেন।
রংপুরের মিঠাপুকুরে তথ্য সংগ্রহকারীদের অনেকে বাড়িতে গিয়ে ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের অনন্ত রায় জানান, তাঁর মেয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্য। কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি। চিথলী দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম জানান, ছেলের তথ্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করার পরও তথ্য সংগ্রহকারী তাঁর বাড়িতে যাননি। পরে তিনি নিজ দায়িত্বে সুপারভাইজারের কাছ থেকে ফরম সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহকারীর বাড়িতে গিয়ে তথ্য ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।
তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা বুধবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকলে কারণ জানার চেষ্টা করব। পর্যালোচনা করে অবহেলা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা; মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট; আরিফ রহমান, ঝালকাঠি;আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট); মিন্টু মিয়া, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) ও প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)]

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩৩ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩৩ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৩১ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। ওই পোস্টে আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও হাস্যোজ্জ্বল ছবিও যুক্ত করেন তিনি।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘পদে থাকার সবচেয়ে বড় বিপদ হইতেছে হিউমার করতে পারি না। তো সেই জন্য একটা নিরামিষ ক্যাপশন দিয়াই ছাড়তে হইলো পোস্টটা। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা, ব্রাদারস!’
ফারুকী ফুটনোট দিয়ে আরও লেখেন, ‘অরিজিনাল ক্যাপশন কি দিতে চাইছিলাম সেটা অবশ্য ওদের দুইজনকে পারসোনালি বলছি।’

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান। ওই পোস্টে আসিফ ও মাহফুজের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও হাস্যোজ্জ্বল ছবিও যুক্ত করেন তিনি।
পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘পদে থাকার সবচেয়ে বড় বিপদ হইতেছে হিউমার করতে পারি না। তো সেই জন্য একটা নিরামিষ ক্যাপশন দিয়াই ছাড়তে হইলো পোস্টটা। ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা, ব্রাদারস!’
ফারুকী ফুটনোট দিয়ে আরও লেখেন, ‘অরিজিনাল ক্যাপশন কি দিতে চাইছিলাম সেটা অবশ্য ওদের দুইজনকে পারসোনালি বলছি।’

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩৩ মিনিট আগে
সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ...
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।’
আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার পাশাপাশি নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পদত্যাগের আগে আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ইতিমধ্যে আজ সকালেই আমি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছি এবং আমার যে কূটনৈতিক পাসপোর্ট আছে সেটাও আমি ক্যানসেল করেছি।’
আপনি এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন করবেন কিনা বিষয়টা স্পষ্ট করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ধোঁয়াশা রাখছি না, এ বিষয়ে আসলে সত্যিকার অর্থেই কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। আর এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আপনারা সবাই জানতে পারবেন এবং যে দলের কথা বললেন অবশ্যই যারা গণঅভ্যুত্থানে আমার সহযোদ্ধা ছিলেন তারাই সেই দলটা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আরো অনেক আগেই বলেছি যে এটা ধরে নেয়া ঠিক হবে না যে আমি সেই দলেই যুক্ত হব বা অংশগ্রহণ করব। তবে আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি মনে করি যে আপনাদের জায়গা থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের প্রতি আসলে মনোযোগটা দেওয়া উচিত।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দায়িত্বে থাকাকালীন অবশ্যই আওয়ামী লীগের বিদায় নেয়ার পরে বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আমি মনে করি কোন কোন ক্ষেত্রে অনেকেই বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগও করেছেন। অনেক সংবাদ মাধ্যমও করেছে। যদিও আমাদের জায়গা থেকে আমরা সেটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। বাক স্বাধীনতা থাকবে এবং সেটার যেন প্রকৃত ব্যবহারটাও সবাই নিশ্চিত করে। সৎ ব্যবহারটা নিশ্চিত করে এটাই আমার প্রত্যাশা থাকবে। আমার দিক থেকে আমি প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করব। আপনাদের দিক থেকে আপনারা করবেন এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ গত সোমবার শেষ হয়েছে। তবে নিবন্ধন এবং মৃত ভোটারের নাম কাটা—কোনোটির সংখ্যার ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা উপেক্ষা করে এবার অনেক তথ্য সংগ্রহকারী বাড়ি বাড়ি যাননি বলে...
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৩১ মিনিট আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৩৩ মিনিট আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করা দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে শুভকামনা জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে সরকারের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার কারণে ‘হিউমার’ করতে না পারার আক্ষেপও প্রকাশ করেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে