নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
এখন দেশ যখন ভালো অবস্থানে এসেছে, অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার জন্য তাদের মাতব্বরি বেড়েছে। আর এটার জন্য মিডিয়া বহুলাংশে দায়ী। যারা মাতব্বরি করে, তাদের দেশেই অহরহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার সাহেব বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে তাঁদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।’
‘সরকার কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। সরকার চায় না কেউ গুম হোক। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা সরকার দায়ীদের শক্ত হাতে দমন করছে’ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে অযথাই মিডিয়ার লোকজন ছুটে যায়। অথচ বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা খুবই সামান্য।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা অত পরামর্শ চাই না, আমাদের হৃদয়টা স্বচ্ছ। যতগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে, সবগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিরিশ লাখ লোক জীবন দিয়েছেন, ওই সময় তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল?’
বেলা দেড়টার দিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে আরও তিনটি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেদখল হওয়া পুকুরগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট একসময় মাঠ ও পুকুরের নগর ছিল। এখন মাঠ ও পুকুরগুলো বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
সিলেটে নারীদের খেলাধুলা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এই সংসদ সদস্য একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, সিলেটের মানুষ কিছুটা রক্ষণশীল। এরপরও এখানের স্থানীয়রা মেয়েদের খেলা নিয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আগামীতে সিলেট থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
এখন দেশ যখন ভালো অবস্থানে এসেছে, অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার জন্য তাদের মাতব্বরি বেড়েছে। আর এটার জন্য মিডিয়া বহুলাংশে দায়ী। যারা মাতব্বরি করে, তাদের দেশেই অহরহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার সাহেব বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে তাঁদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।’
‘সরকার কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। সরকার চায় না কেউ গুম হোক। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা সরকার দায়ীদের শক্ত হাতে দমন করছে’ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে অযথাই মিডিয়ার লোকজন ছুটে যায়। অথচ বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা খুবই সামান্য।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা অত পরামর্শ চাই না, আমাদের হৃদয়টা স্বচ্ছ। যতগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে, সবগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিরিশ লাখ লোক জীবন দিয়েছেন, ওই সময় তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল?’
বেলা দেড়টার দিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে আরও তিনটি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেদখল হওয়া পুকুরগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট একসময় মাঠ ও পুকুরের নগর ছিল। এখন মাঠ ও পুকুরগুলো বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
সিলেটে নারীদের খেলাধুলা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এই সংসদ সদস্য একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, সিলেটের মানুষ কিছুটা রক্ষণশীল। এরপরও এখানের স্থানীয়রা মেয়েদের খেলা নিয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আগামীতে সিলেট থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে।’
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৩৪ মিনিট আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৪ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে কোনো পলাতক আসামি অংশ নিতে পারবেন না—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরপিও সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রথা বাতিল করেছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আয়-ব্যয়ের যাবতীয় হিসাব ছাড়াও দেশে-বিদেশে থাকা সব সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে। এই হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, আগে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জনপ্রতি জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা। সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। অধ্যাদেশে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাত্র একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে ‘না’ ভোট হবে। ‘না’ ভোট বেশি পড়লে ওই আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আগে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ হাজারখানেক মানুষ ভোটদানে বিরত থাকতেন। তাঁদের জন্য এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আগে কোনো কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে সেখানে ভোট বাতিল করা হতো। সংশোধিত আদেশে নির্বাচন কমিশন চাইলে এখন পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে। সে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।
০৮ অক্টোবর ২০২২আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৪ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৫ ঘণ্টা আগেআসামিরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।
আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে; এই বিচার তাঁদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’
আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।
আরও খবর পড়ুন:
বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।
০৮ অক্টোবর ২০২২পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৩৪ মিনিট আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৪ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’
বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।
০৮ অক্টোবর ২০২২পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৩৪ মিনিট আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেগত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।
গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।
বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।
০৮ অক্টোবর ২০২২পলাতক হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন—এ প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে, অথচ হাজির হননি, পরে তাঁদের হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে—তাঁরাই পলাতক বলে গণ্য হবেন।
৩৪ মিনিট আগেআসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ
৩ ঘণ্টা আগেঅ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন
৪ ঘণ্টা আগে