ফারুক মেহেদী, ঢাকা

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এই জনশুমারির কাজে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব কেনার জন্য সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজে কেন ট্যাব কিনতে হবে সেটা যেমন প্রশ্ন, তেমনি এই ট্যাব কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দফায় দফায় পিছিয়ে পড়ছে জনগুরুত্বপূর্ণ জনশুমারির বাস্তব কাজ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনশুমারিতে কেনাকাটা ও অপচয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবিএসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা দরকার। বাজেট টু বাজেট পর্যালোচনা করা দরকার। এর মধ্যে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা থাকে, তা সংশোধন করা দরকার। পুরো বিষয়টি পরিবীক্ষণের আওতায় আনতে হবে। জানা যায়, ২০১১ সালের পঞ্চম জনশুমারিতে ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। আর ১০ বছর পর একই শুমারিতে প্রথম খরচের প্রস্তাব করা হয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ছিল। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে আপত্তি তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে তা কাটছাঁট করে ব্যয় নামিয়ে আনা হয় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। কিন্তু সেটিও বেশি মনে হয় কমিশনের কাছে। ফলে আরেক দফা ব্যয় কমিয়ে ১৭৬১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রথম যখন ব্যয় প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী এর সমালোচনা করে এক যুগের ব্যবধানে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ১০-১৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি এ প্রকল্পের নানান অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জনশুমারির জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খরচ করা হবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার জন্য। এই ট্যাব কেনার চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় ওয়ালটন ডিজি টেকের নথিপত্রে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ তোলে বিবিএসের মূল্যায়ন কমিটি। ট্যাবে যেসব ফিচার থাকার কথা, তাদের দেওয়া ওই সব নমুনা ট্যাবে তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তা ক্রয় কমিটিতে আটকে যায়। এ জন্য ওয়ালটন ডিজি টেককে শোকজ করা হয়।
তবে এই দরপত্রে ওয়ালটনের পাশাপাশি ওই ক্রয় প্রস্তাবে অংশ নেয় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। তাদের স্যামসাং ব্র্যান্ডের ট্যাবের জন্য ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দর প্রস্তাবের বিপরীতে ওয়ালটন দর দিয়েছিল ৪০২ কোটি টাকা। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসকেই কাজ দিতে চেয়েছিল বলে জানা যায়। একদিকে ওয়ালটনের ট্যাব নিয়ে নানা অভিযোগ, অন্যদিকে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাবের পেছনে সরকারের বাড়তি ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়–এসব কারণে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে দেয়। পরে বিবিএস ট্যাব কিনতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করে।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন ডিজি টেকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শোকজের জবাব দিয়েছি। আমরা আইন ও বিধিবিধান মেনেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি। তারা মূলত সুনির্দিষ্ট কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাচ্ছে। বিবিএস সফটওয়্যার কেনার দরপত্র আহ্বান করেনি। দরপত্র চেয়েছে হার্ডওয়্যারের। আমরা শর্ত মেনে দরপত্রে অংশ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ক্রয় প্রস্তাবটি মূল্যায়নের সময় অনৈতিকভাবে তারা আমাদের প্রতিযোগী ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরা মনে করি, প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিস্বার্থে দেশের ক্ষতি করে প্রকল্পটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জনশুমারির প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ালটনকে নোটিশ করেছিলাম, তারা জবাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করা হবে।’ একটি জরিপের জন্য এত ট্যাব কেন প্রয়োজন? মোবাইল ফোন দিয়ে তা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এসব বলছে, এ বিষয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। এখানে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয় আছে। তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে এর নিরাপত্তা কে দেবে?’ ট্যাবের ক্ষেত্রে কী নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে পারে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আসতে পারে। এ জন্য আমরা একটা সিঙ্গেল ব্র্যান্ড নিতে চাই।’
বেশি দামে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাব কেনার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছিল। সমালোচনায় পরে তা-ও বাতিল হয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হতে পারে। আমাদের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। এখানে তথ্যের নিরাপত্তা, পণ্যের গুণগত মান সুরক্ষিত। দাম বেশি হলেও এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
এখন প্রশ্ন উঠেছে ট্যাব কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও। কারণ, এতগুলো ট্যাব ব্যবহার হবে শুধু জরিপের সময়। এরপর এগুলোর সুরক্ষা বা ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিবিএসের একটি সূত্র জানায়, বিগত দিনে অনেক প্রকল্পের এমন অনেক ডিভাইস জরিপ শেষে তেমন আর কাজে আসেনি। সুতরাং এত দামি সব ট্যাবও জরিপ শেষে কাজে লাগবে কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এদিকে, পুরো প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব দুই দফায় কাটছাঁট করার পরও যা রয়েছে, তা-ও অনেক বেশি বলে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত যা চূড়ান্ত হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু খাত কাটছাঁট করা হয়েছে। জানা যায়, প্রতিজন সুপারভাইজার ও গণনাকারীর সম্মানী ১১ হাজার থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় প্রস্তাবে দেখা যায়, পুনর্গঠিত ডিপিপিতে জেলা পর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভেন্যু, মাল্টিমিডিয়া এবং যানবাহন ভাড়া বাবদ ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক খাতে খরচ কমানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৭৩ কোটি টাকা। তা কমিয়ে ২৬ কোটি টাকা করা হলেও সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্রমণ খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। পরে সেটা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিবিএসের মূল কাজই জরিপ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। কমবেশি প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরণে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। যেহেতু করোনার কারণে ভ্রমণে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে জনশুমারি প্রকল্পে ভ্রমণ খাতে আদৌ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন আছে কি না, এই নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ম্যাপিং খাতে প্রথমে ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা ধরা হয়। পরে তা কমিয়ে ২৮ কোটি টাকায় আনা হয়। টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ১৫ কোটি টাকা। সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে ১৮৮ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব কমিয়ে করা হয় ১৪৭ কোটি টাকা। মুদ্রণ ও বাঁধাই খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ৩৩৯ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে করা হয় ১৩৯ কোটি টাকা। অথচ বিবিএসে বিশ্বমানের নিজস্ব ছাপাখানা রয়েছে। সেখানে যাবতীয় প্রকাশনা মুদ্রণ করলে বিপুল অঙ্কের এ অপচয় রোধ করা যায় বলে খোদ বিবিএস থেকেই কথা উঠেছে। এ ছাড়া টেলিফোন, আপ্যায়ন, যানবাহন এবং জ্বালানি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাবেও সরকারি অর্থের অপচয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এই জনশুমারির কাজে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব কেনার জন্য সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজে কেন ট্যাব কিনতে হবে সেটা যেমন প্রশ্ন, তেমনি এই ট্যাব কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দফায় দফায় পিছিয়ে পড়ছে জনগুরুত্বপূর্ণ জনশুমারির বাস্তব কাজ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনশুমারিতে কেনাকাটা ও অপচয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবিএসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা দরকার। বাজেট টু বাজেট পর্যালোচনা করা দরকার। এর মধ্যে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা থাকে, তা সংশোধন করা দরকার। পুরো বিষয়টি পরিবীক্ষণের আওতায় আনতে হবে। জানা যায়, ২০১১ সালের পঞ্চম জনশুমারিতে ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। আর ১০ বছর পর একই শুমারিতে প্রথম খরচের প্রস্তাব করা হয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ছিল। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে আপত্তি তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে তা কাটছাঁট করে ব্যয় নামিয়ে আনা হয় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। কিন্তু সেটিও বেশি মনে হয় কমিশনের কাছে। ফলে আরেক দফা ব্যয় কমিয়ে ১৭৬১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রথম যখন ব্যয় প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী এর সমালোচনা করে এক যুগের ব্যবধানে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ১০-১৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি এ প্রকল্পের নানান অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জনশুমারির জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খরচ করা হবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার জন্য। এই ট্যাব কেনার চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় ওয়ালটন ডিজি টেকের নথিপত্রে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ তোলে বিবিএসের মূল্যায়ন কমিটি। ট্যাবে যেসব ফিচার থাকার কথা, তাদের দেওয়া ওই সব নমুনা ট্যাবে তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তা ক্রয় কমিটিতে আটকে যায়। এ জন্য ওয়ালটন ডিজি টেককে শোকজ করা হয়।
তবে এই দরপত্রে ওয়ালটনের পাশাপাশি ওই ক্রয় প্রস্তাবে অংশ নেয় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। তাদের স্যামসাং ব্র্যান্ডের ট্যাবের জন্য ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দর প্রস্তাবের বিপরীতে ওয়ালটন দর দিয়েছিল ৪০২ কোটি টাকা। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসকেই কাজ দিতে চেয়েছিল বলে জানা যায়। একদিকে ওয়ালটনের ট্যাব নিয়ে নানা অভিযোগ, অন্যদিকে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাবের পেছনে সরকারের বাড়তি ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়–এসব কারণে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে দেয়। পরে বিবিএস ট্যাব কিনতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করে।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন ডিজি টেকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শোকজের জবাব দিয়েছি। আমরা আইন ও বিধিবিধান মেনেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি। তারা মূলত সুনির্দিষ্ট কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাচ্ছে। বিবিএস সফটওয়্যার কেনার দরপত্র আহ্বান করেনি। দরপত্র চেয়েছে হার্ডওয়্যারের। আমরা শর্ত মেনে দরপত্রে অংশ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ক্রয় প্রস্তাবটি মূল্যায়নের সময় অনৈতিকভাবে তারা আমাদের প্রতিযোগী ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরা মনে করি, প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিস্বার্থে দেশের ক্ষতি করে প্রকল্পটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জনশুমারির প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ালটনকে নোটিশ করেছিলাম, তারা জবাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করা হবে।’ একটি জরিপের জন্য এত ট্যাব কেন প্রয়োজন? মোবাইল ফোন দিয়ে তা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এসব বলছে, এ বিষয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। এখানে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয় আছে। তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে এর নিরাপত্তা কে দেবে?’ ট্যাবের ক্ষেত্রে কী নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে পারে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আসতে পারে। এ জন্য আমরা একটা সিঙ্গেল ব্র্যান্ড নিতে চাই।’
বেশি দামে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাব কেনার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছিল। সমালোচনায় পরে তা-ও বাতিল হয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হতে পারে। আমাদের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। এখানে তথ্যের নিরাপত্তা, পণ্যের গুণগত মান সুরক্ষিত। দাম বেশি হলেও এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
এখন প্রশ্ন উঠেছে ট্যাব কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও। কারণ, এতগুলো ট্যাব ব্যবহার হবে শুধু জরিপের সময়। এরপর এগুলোর সুরক্ষা বা ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিবিএসের একটি সূত্র জানায়, বিগত দিনে অনেক প্রকল্পের এমন অনেক ডিভাইস জরিপ শেষে তেমন আর কাজে আসেনি। সুতরাং এত দামি সব ট্যাবও জরিপ শেষে কাজে লাগবে কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এদিকে, পুরো প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব দুই দফায় কাটছাঁট করার পরও যা রয়েছে, তা-ও অনেক বেশি বলে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত যা চূড়ান্ত হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু খাত কাটছাঁট করা হয়েছে। জানা যায়, প্রতিজন সুপারভাইজার ও গণনাকারীর সম্মানী ১১ হাজার থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় প্রস্তাবে দেখা যায়, পুনর্গঠিত ডিপিপিতে জেলা পর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভেন্যু, মাল্টিমিডিয়া এবং যানবাহন ভাড়া বাবদ ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক খাতে খরচ কমানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৭৩ কোটি টাকা। তা কমিয়ে ২৬ কোটি টাকা করা হলেও সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্রমণ খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। পরে সেটা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিবিএসের মূল কাজই জরিপ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। কমবেশি প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরণে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। যেহেতু করোনার কারণে ভ্রমণে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে জনশুমারি প্রকল্পে ভ্রমণ খাতে আদৌ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন আছে কি না, এই নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ম্যাপিং খাতে প্রথমে ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা ধরা হয়। পরে তা কমিয়ে ২৮ কোটি টাকায় আনা হয়। টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ১৫ কোটি টাকা। সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে ১৮৮ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব কমিয়ে করা হয় ১৪৭ কোটি টাকা। মুদ্রণ ও বাঁধাই খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ৩৩৯ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে করা হয় ১৩৯ কোটি টাকা। অথচ বিবিএসে বিশ্বমানের নিজস্ব ছাপাখানা রয়েছে। সেখানে যাবতীয় প্রকাশনা মুদ্রণ করলে বিপুল অঙ্কের এ অপচয় রোধ করা যায় বলে খোদ বিবিএস থেকেই কথা উঠেছে। এ ছাড়া টেলিফোন, আপ্যায়ন, যানবাহন এবং জ্বালানি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাবেও সরকারি অর্থের অপচয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এই জনশুমারির কাজে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব কেনার জন্য সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজে কেন ট্যাব কিনতে হবে সেটা যেমন প্রশ্ন, তেমনি এই ট্যাব কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দফায় দফায় পিছিয়ে পড়ছে জনগুরুত্বপূর্ণ জনশুমারির বাস্তব কাজ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনশুমারিতে কেনাকাটা ও অপচয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবিএসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা দরকার। বাজেট টু বাজেট পর্যালোচনা করা দরকার। এর মধ্যে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা থাকে, তা সংশোধন করা দরকার। পুরো বিষয়টি পরিবীক্ষণের আওতায় আনতে হবে। জানা যায়, ২০১১ সালের পঞ্চম জনশুমারিতে ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। আর ১০ বছর পর একই শুমারিতে প্রথম খরচের প্রস্তাব করা হয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ছিল। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে আপত্তি তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে তা কাটছাঁট করে ব্যয় নামিয়ে আনা হয় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। কিন্তু সেটিও বেশি মনে হয় কমিশনের কাছে। ফলে আরেক দফা ব্যয় কমিয়ে ১৭৬১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রথম যখন ব্যয় প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী এর সমালোচনা করে এক যুগের ব্যবধানে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ১০-১৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি এ প্রকল্পের নানান অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জনশুমারির জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খরচ করা হবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার জন্য। এই ট্যাব কেনার চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় ওয়ালটন ডিজি টেকের নথিপত্রে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ তোলে বিবিএসের মূল্যায়ন কমিটি। ট্যাবে যেসব ফিচার থাকার কথা, তাদের দেওয়া ওই সব নমুনা ট্যাবে তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তা ক্রয় কমিটিতে আটকে যায়। এ জন্য ওয়ালটন ডিজি টেককে শোকজ করা হয়।
তবে এই দরপত্রে ওয়ালটনের পাশাপাশি ওই ক্রয় প্রস্তাবে অংশ নেয় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। তাদের স্যামসাং ব্র্যান্ডের ট্যাবের জন্য ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দর প্রস্তাবের বিপরীতে ওয়ালটন দর দিয়েছিল ৪০২ কোটি টাকা। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসকেই কাজ দিতে চেয়েছিল বলে জানা যায়। একদিকে ওয়ালটনের ট্যাব নিয়ে নানা অভিযোগ, অন্যদিকে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাবের পেছনে সরকারের বাড়তি ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়–এসব কারণে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে দেয়। পরে বিবিএস ট্যাব কিনতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করে।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন ডিজি টেকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শোকজের জবাব দিয়েছি। আমরা আইন ও বিধিবিধান মেনেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি। তারা মূলত সুনির্দিষ্ট কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাচ্ছে। বিবিএস সফটওয়্যার কেনার দরপত্র আহ্বান করেনি। দরপত্র চেয়েছে হার্ডওয়্যারের। আমরা শর্ত মেনে দরপত্রে অংশ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ক্রয় প্রস্তাবটি মূল্যায়নের সময় অনৈতিকভাবে তারা আমাদের প্রতিযোগী ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরা মনে করি, প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিস্বার্থে দেশের ক্ষতি করে প্রকল্পটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জনশুমারির প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ালটনকে নোটিশ করেছিলাম, তারা জবাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করা হবে।’ একটি জরিপের জন্য এত ট্যাব কেন প্রয়োজন? মোবাইল ফোন দিয়ে তা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এসব বলছে, এ বিষয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। এখানে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয় আছে। তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে এর নিরাপত্তা কে দেবে?’ ট্যাবের ক্ষেত্রে কী নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে পারে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আসতে পারে। এ জন্য আমরা একটা সিঙ্গেল ব্র্যান্ড নিতে চাই।’
বেশি দামে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাব কেনার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছিল। সমালোচনায় পরে তা-ও বাতিল হয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হতে পারে। আমাদের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। এখানে তথ্যের নিরাপত্তা, পণ্যের গুণগত মান সুরক্ষিত। দাম বেশি হলেও এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
এখন প্রশ্ন উঠেছে ট্যাব কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও। কারণ, এতগুলো ট্যাব ব্যবহার হবে শুধু জরিপের সময়। এরপর এগুলোর সুরক্ষা বা ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিবিএসের একটি সূত্র জানায়, বিগত দিনে অনেক প্রকল্পের এমন অনেক ডিভাইস জরিপ শেষে তেমন আর কাজে আসেনি। সুতরাং এত দামি সব ট্যাবও জরিপ শেষে কাজে লাগবে কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এদিকে, পুরো প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব দুই দফায় কাটছাঁট করার পরও যা রয়েছে, তা-ও অনেক বেশি বলে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত যা চূড়ান্ত হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু খাত কাটছাঁট করা হয়েছে। জানা যায়, প্রতিজন সুপারভাইজার ও গণনাকারীর সম্মানী ১১ হাজার থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় প্রস্তাবে দেখা যায়, পুনর্গঠিত ডিপিপিতে জেলা পর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভেন্যু, মাল্টিমিডিয়া এবং যানবাহন ভাড়া বাবদ ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক খাতে খরচ কমানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৭৩ কোটি টাকা। তা কমিয়ে ২৬ কোটি টাকা করা হলেও সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্রমণ খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। পরে সেটা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিবিএসের মূল কাজই জরিপ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। কমবেশি প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরণে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। যেহেতু করোনার কারণে ভ্রমণে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে জনশুমারি প্রকল্পে ভ্রমণ খাতে আদৌ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন আছে কি না, এই নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ম্যাপিং খাতে প্রথমে ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা ধরা হয়। পরে তা কমিয়ে ২৮ কোটি টাকায় আনা হয়। টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ১৫ কোটি টাকা। সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে ১৮৮ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব কমিয়ে করা হয় ১৪৭ কোটি টাকা। মুদ্রণ ও বাঁধাই খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ৩৩৯ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে করা হয় ১৩৯ কোটি টাকা। অথচ বিবিএসে বিশ্বমানের নিজস্ব ছাপাখানা রয়েছে। সেখানে যাবতীয় প্রকাশনা মুদ্রণ করলে বিপুল অঙ্কের এ অপচয় রোধ করা যায় বলে খোদ বিবিএস থেকেই কথা উঠেছে। এ ছাড়া টেলিফোন, আপ্যায়ন, যানবাহন এবং জ্বালানি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাবেও সরকারি অর্থের অপচয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এই জনশুমারির কাজে প্রায় ৪ লাখ ট্যাব কেনার জন্য সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজে কেন ট্যাব কিনতে হবে সেটা যেমন প্রশ্ন, তেমনি এই ট্যাব কেনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান পরস্পরকে অভিযুক্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে দফায় দফায় পিছিয়ে পড়ছে জনগুরুত্বপূর্ণ জনশুমারির বাস্তব কাজ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনশুমারিতে কেনাকাটা ও অপচয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবিএসের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা আনা উচিত। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দেখা দরকার। বাজেট টু বাজেট পর্যালোচনা করা দরকার। এর মধ্যে যদি কোনো অস্বাভাবিকতা থাকে, তা সংশোধন করা দরকার। পুরো বিষয়টি পরিবীক্ষণের আওতায় আনতে হবে। জানা যায়, ২০১১ সালের পঞ্চম জনশুমারিতে ব্যয় হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। আর ১০ বছর পর একই শুমারিতে প্রথম খরচের প্রস্তাব করা হয় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা, যা আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ছিল। এমন অস্বাভাবিক প্রস্তাবে আপত্তি তোলে পরিকল্পনা কমিশন। পরে তা কাটছাঁট করে ব্যয় নামিয়ে আনা হয় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। কিন্তু সেটিও বেশি মনে হয় কমিশনের কাছে। ফলে আরেক দফা ব্যয় কমিয়ে ১৭৬১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
প্রথম যখন ব্যয় প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন খোদ পরিকল্পনামন্ত্রী এর সমালোচনা করে এক যুগের ব্যবধানে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ১০-১৫ গুণ বেড়ে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি এ প্রকল্পের নানান অসংগতি নিয়ে কথা বলেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জনশুমারির জন্য যে ব্যয় প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত অনুমোদন হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খরচ করা হবে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনার জন্য। এই ট্যাব কেনার চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় ওয়ালটন ডিজি টেকের নথিপত্রে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ তোলে বিবিএসের মূল্যায়ন কমিটি। ট্যাবে যেসব ফিচার থাকার কথা, তাদের দেওয়া ওই সব নমুনা ট্যাবে তা পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তা ক্রয় কমিটিতে আটকে যায়। এ জন্য ওয়ালটন ডিজি টেককে শোকজ করা হয়।
তবে এই দরপত্রে ওয়ালটনের পাশাপাশি ওই ক্রয় প্রস্তাবে অংশ নেয় ফেয়ার ইলেকট্রনিকস লিমিটেড। তাদের স্যামসাং ব্র্যান্ডের ট্যাবের জন্য ৫৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা দর প্রস্তাবের বিপরীতে ওয়ালটন দর দিয়েছিল ৪০২ কোটি টাকা। কিন্তু বিবিএস ১৪৬ কোটি টাকা বেশি দরে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসকেই কাজ দিতে চেয়েছিল বলে জানা যায়। একদিকে ওয়ালটনের ট্যাব নিয়ে নানা অভিযোগ, অন্যদিকে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাবের পেছনে সরকারের বাড়তি ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়–এসব কারণে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পুরো প্রক্রিয়াটি আটকে দেয়। পরে বিবিএস ট্যাব কিনতে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করে।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন ডিজি টেকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শোকজের জবাব দিয়েছি। আমরা আইন ও বিধিবিধান মেনেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি। তারা মূলত সুনির্দিষ্ট কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাচ্ছে। বিবিএস সফটওয়্যার কেনার দরপত্র আহ্বান করেনি। দরপত্র চেয়েছে হার্ডওয়্যারের। আমরা শর্ত মেনে দরপত্রে অংশ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘ক্রয় প্রস্তাবটি মূল্যায়নের সময় অনৈতিকভাবে তারা আমাদের প্রতিযোগী ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়। আমরা মনে করি, প্রকল্পের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিস্বার্থে দেশের ক্ষতি করে প্রকল্পটিকে পিছিয়ে দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জনশুমারির প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়ালটনকে নোটিশ করেছিলাম, তারা জবাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করা হবে।’ একটি জরিপের জন্য এত ট্যাব কেন প্রয়োজন? মোবাইল ফোন দিয়ে তা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা এসব বলছে, এ বিষয়ে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই। এখানে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয় আছে। তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে এর নিরাপত্তা কে দেবে?’ ট্যাবের ক্ষেত্রে কী নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে পারে না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আসতে পারে। এ জন্য আমরা একটা সিঙ্গেল ব্র্যান্ড নিতে চাই।’
বেশি দামে ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের ট্যাব কেনার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছিল। সমালোচনায় পরে তা-ও বাতিল হয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হতে পারে। আমাদের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। এখানে তথ্যের নিরাপত্তা, পণ্যের গুণগত মান সুরক্ষিত। দাম বেশি হলেও এখানে ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
এখন প্রশ্ন উঠেছে ট্যাব কেনার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও। কারণ, এতগুলো ট্যাব ব্যবহার হবে শুধু জরিপের সময়। এরপর এগুলোর সুরক্ষা বা ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিবিএসের একটি সূত্র জানায়, বিগত দিনে অনেক প্রকল্পের এমন অনেক ডিভাইস জরিপ শেষে তেমন আর কাজে আসেনি। সুতরাং এত দামি সব ট্যাবও জরিপ শেষে কাজে লাগবে কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এদিকে, পুরো প্রকল্পটির ব্যয় প্রস্তাব দুই দফায় কাটছাঁট করার পরও যা রয়েছে, তা-ও অনেক বেশি বলে প্রশ্ন উঠেছে। শেষ পর্যন্ত যা চূড়ান্ত হয়েছে, সেখানে বেশ কিছু খাত কাটছাঁট করা হয়েছে। জানা যায়, প্রতিজন সুপারভাইজার ও গণনাকারীর সম্মানী ১১ হাজার থেকে কমিয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় প্রস্তাবে দেখা যায়, পুনর্গঠিত ডিপিপিতে জেলা পর্যায়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ভেন্যু, মাল্টিমিডিয়া এবং যানবাহন ভাড়া বাবদ ব্যয় ৫৬ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ রকম আরও অনেক খাতে খরচ কমানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৭৩ কোটি টাকা। তা কমিয়ে ২৬ কোটি টাকা করা হলেও সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্রমণ খাতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি টাকা। পরে সেটা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিবিএসের মূল কাজই জরিপ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। কমবেশি প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এসব বিষয়ে জ্ঞান আহরণে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। যেহেতু করোনার কারণে ভ্রমণে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে জনশুমারি প্রকল্পে ভ্রমণ খাতে আদৌ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন আছে কি না, এই নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ম্যাপিং খাতে প্রথমে ব্যয় ৫৮ কোটি টাকা ধরা হয়। পরে তা কমিয়ে ২৮ কোটি টাকায় আনা হয়। টেলেক্স, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ১৫ কোটি টাকা। সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে ১৮৮ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব কমিয়ে করা হয় ১৪৭ কোটি টাকা। মুদ্রণ ও বাঁধাই খাতে প্রথম ব্যয় প্রস্তাব ৩৩৯ কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে করা হয় ১৩৯ কোটি টাকা। অথচ বিবিএসে বিশ্বমানের নিজস্ব ছাপাখানা রয়েছে। সেখানে যাবতীয় প্রকাশনা মুদ্রণ করলে বিপুল অঙ্কের এ অপচয় রোধ করা যায় বলে খোদ বিবিএস থেকেই কথা উঠেছে। এ ছাড়া টেলিফোন, আপ্যায়ন, যানবাহন এবং জ্বালানি ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতের সংশোধিত ব্যয় প্রস্তাবেও সরকারি অর্থের অপচয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ মিনিট আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক পর জেইসি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আর পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন দেশটির জ্বালানি (পেট্রোলিয়াম বিভাগ) মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সর্বশেষ জেইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশক পর আবার বৈঠক বসল, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন গতি এনেছে। বিশেষ করে গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ উষ্ণ হতে শুরু করেছে।
সভা শেষে সাংবাদিকদের পাকিস্তানের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ এখনো ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে, এর পরিমাণ বাড়ানো উচিত। আমরা বাংলাদেশ থেকে পাটসহ কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে চাই। ২০ বছর পর এই জেইসি বৈঠক হলো। একটি ইতিবাচক আলোচনার ধারা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্প্রসারণে কোথায় সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আকাশ ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ আবার চালু, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি বৈঠকটিকে ‘অত্যন্ত সফল’ বলে উল্লেখ করেন।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জ্বালানি, উচ্চশিক্ষা, ব্যাংকিং, পর্যটন, ক্রীড়া ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উভয় দেশই বন্দর ও লজিস্টিক সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় হ্রাস ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করে।
একই বৈঠকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং পাকিস্তান হালাল অথরিটির (পিএইচএ) মধ্যে ‘হালাল বাণিজ্য সহযোগিতা’ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এবং পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।
বৈঠক শেষে উভয় দেশই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। সিদ্ধান্ত হয়, পরবর্তী (দশম) জেইসি বৈঠক পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ মিনিট আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেননি ইইউ রাষ্ট্রদূত।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ইইউ আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এ ছাড়া তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এ জন্য তারা একটি প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দল পাঠাবে।’
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইইউর সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইইউর একটি বড় দল বাংলাদেশে আসবে। প্রায় ১৫০ সদস্যের এই পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে আসবে।
ইসি সচিব আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষক মিশন বাস্তবায়ন করা হবে। পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত তারা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালাবে।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৪ মিনিট আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগারগাঁও বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক শাহিনুর রহমানকে গত বছরের ৩০ মে গোপালগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বদলি করা হয়। বদলি আদেশের পর কর্মস্থলে যোগদানের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই আগের কর্মস্থল থেকে রিলিজ লেটার বা ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
পরে তিনি ৯ জুলাই চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার আগেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। এ জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর হতে গত বছরের ৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এরপর কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ১৪১ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, শাহিনুর রহমান বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে কর্মরত থাকাকালে নিজ পেশা ‘সরকারি চাকরি’ গোপন করে ‘শিক্ষক’ পেশা উল্লেখ করে নিজেই নিজের পাসপোর্টের আবেদন করেন। পরে তা নিজেই গ্রহণ করেন। তাঁর এই আচরণ ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এবং ৩(গ) বিধি মোতাবেক ‘পলায়ন’-এর শামিল। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযোগনামা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগনামার জবাব দেননি এবং ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন করেননি।
গত ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘পলায়ন’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’-এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাঁকে ‘বরখাস্তকরণ’-এর বিষয়ে একমত পোষণ করে গুরুদণ্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ মিনিট আগে
সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ দিতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ পেশ করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে কমিশনের সমাপনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সমাপনী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান পর্যন্ত সব ডকুমেন্ট, আলোচনার ভিডিও, অডিও, ছবি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এগুলো মহামূল্যবান সম্পদ। জাতি হিসেবে আমরা কোন প্রেক্ষাপটে কী প্রক্রিয়ায় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম, তা সবার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং উন্মুক্ত থাকা দরকার। যত বৈঠক হয়েছে, সেগুলোর ছবি ও ভিডিও, যত চিঠি চালাচালি হয়েছে—সব ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে এবং ক্যাটাগরি করে রাখতে হবে। টেলিভিশনে যেসব আলোচনা লাইভ প্রচার হয়েছে, সেগুলো খণ্ড খণ্ড আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ, এগুলো হবে ইতিহাসের চিরজীবন্ত দলিল। যারা গবেষণা করতে চায় তারা যেন এগুলো দেখে কাজে লাগাতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই ডকুমেন্ট থেকে যাবে। এ দলিলগুলোই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।’
এ সময় রাজনৈতিক দল, ঐকমত্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সমাপনী বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি অন্য সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নেও সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বাংলাদেশে একটি স্থায়ী জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেছে’ উল্লেখ করে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আইন বিশেষজ্ঞ, বিচারপতি, শিক্ষাবিদসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের (বিচার, সংস্কার, নির্বাচন) একটি কাঠামোগত সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ছিল সংস্কারের একটি রূপরেখা তৈরি করা। মিল-অমিল সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান ছিল। তারা বরাবরই আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দিনের পর দিন অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের যে সুযোগ দিয়েছে, সেটা যেন হারিয়ে না ফেলি। কমিশন সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জনগণ কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখতে পারে। কমিশন দায়িত্ব শেষ করল। কাল আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ হস্তান্তর করা হবে। কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। এরপরও সরকারের প্রয়োজন হলে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করব।’
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সবাই সরকারের নিবিষ্টতা ও সাহসিকতা প্রত্যাশা করে। গণ-অভ্যুত্থানে এত তাজা প্রাণ ঝরে গেল, এত মানুষ আহত হলো—এটা স্মরণে রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার যাতে নিশ্চিত হয়। এ সুযোগ যেন না হারাই।’
কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল একই রকম আন্তরিকতার প্রতিফলন ছিল কমিশনের বৈঠকগুলোতে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক।’
পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য সফর রাজ বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলো বসে ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের সৌহার্দ্য থাকে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও কমিশন সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুদক সংস্কারেও সরকারকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, ‘যতগুলো শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের জানিয়েছেন সংস্কার নিশ্চিত করা না হলে তাঁদের সন্তানদের জীবন উৎসর্গ করা বৃথা যাবে বলে তাঁরা মনে করেন। যারা জুলাইয়ে জীবন দিল তারাই এর মূল ভিত্তি।’
আগামীকাল দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশ হস্তান্তর করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

১০ বছর আগে পঞ্চম জনশুমারির জন্য খরচ হয়েছিল ২৩৭ কোটি টাকা। এ বছর ষষ্ঠ জনশুমারিতে সেই খরচ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৬১ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে সাত গুণ বেশি। আর প্রাথমিক প্রস্তাবে এই খরচ ছিল ১৫ গুণ বেশি। এ নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনা, পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তা কিছুটা কমেছে। তবে বর্তমান খরচ নিয়েও প্রশ্ন আছে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ থেকে পাট ও কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের নবম (জেইসি) বৈঠক। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এ বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে একাধিক
৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ মিনিট আগে
অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহিনুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে চাকরিচ্যুতির আগেই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে