
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং সাত জেলায় অন্তত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ (আমাদের নায়কদের স্মরণ) নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ। বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণা; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণা এবং আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট করা হবে। এসব কনটেন্ট অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুমের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে গতকাল রাজপথ, সব আদালত ও ক্যাম্পাসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীতে পথে পথে বাধা
রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকেই হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় অন্তত চার শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সাড়ে ১২টার দিকে আরও শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মী। এ সময় হাইকোর্টের আইনজীবীরাও মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দিলে শিশু একাডেমির সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হেনস্তার শিকার হন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।
বেলা ৩টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা শিক্ষা অধিকার চত্বরে অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে না পারলেও আদালতের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। দুপুরে দৈনিক বাংলা মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা মিছিল নিয়ে ফকিরাফুল, নয়াপল্টন, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর যান। বেলা ২টার দিকে মিরপুরের বেনারসিপল্লিতেও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

জেলায় জেলায় আটক-সংঘর্ষ
খুলনা নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ-বিজিবি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতার মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত রাস্তার মোড় সড়কে অবস্থান নেন। বেলা ২টার দিকে ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাতরাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পরে তাঁরা পদযাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সুবিদবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের পথ রোধ করে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিলেটের নাগরিক সমাজের সদস্যরা বিকেলে চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গান, মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বরিশাল শহরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরবাড়ি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফের শিক্ষার্থীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নগর ভবনের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকলির মোড় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবি লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। বিক্ষোভের সময় ১৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরে বেলা ১১টার দিকে আদালতের প্রবেশমুখ লালদীঘি এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে আইনজীবীদের একাংশের সহায়তায় তাঁরা মিছিল-স্লোগানসহ আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটক বদিউল আলম স্মারক ব্রিজের নিচে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনকালে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন নগরীর মতিহার থানায় এবং বাকি তিনজন রাজপাড়া থানায় পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকায় রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আশপাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত আটজনকে আটক করে।
যশোর পৌরসভার সামনে সকালে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মিছিলের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল করে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ছাড়া ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় গত সোমবার থেকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। ওই দিন বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। গতকাল বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে তল্লাশিতে অন্তত ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।
দিনাজপুর শহরে শহীদ মিনারের পাদদেশে দুপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশের ভ্যান থেকে চিৎকার করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী, আমরা আপনাদের কাছে বিচার চাই। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’
দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীদের একটি অংশও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ঝিনাইদহ শহরে দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা জর্জকোট এলাকায় যেতে চাই বাধা দেয় পুলিশ। ফরিদপুরে ঢাকা-বরিশাল সড়কে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জজকোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী শহরে দুপুরে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ময়মনসিংহ শহরে গতকাল পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নরসিংদীতেও একই ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ শহরে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে আইনজীবীরা সংহতি জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং সাত জেলায় অন্তত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ (আমাদের নায়কদের স্মরণ) নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ। বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণা; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণা এবং আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট করা হবে। এসব কনটেন্ট অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুমের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে গতকাল রাজপথ, সব আদালত ও ক্যাম্পাসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীতে পথে পথে বাধা
রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকেই হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় অন্তত চার শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সাড়ে ১২টার দিকে আরও শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মী। এ সময় হাইকোর্টের আইনজীবীরাও মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দিলে শিশু একাডেমির সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হেনস্তার শিকার হন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।
বেলা ৩টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা শিক্ষা অধিকার চত্বরে অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে না পারলেও আদালতের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। দুপুরে দৈনিক বাংলা মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা মিছিল নিয়ে ফকিরাফুল, নয়াপল্টন, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর যান। বেলা ২টার দিকে মিরপুরের বেনারসিপল্লিতেও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

জেলায় জেলায় আটক-সংঘর্ষ
খুলনা নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ-বিজিবি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতার মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত রাস্তার মোড় সড়কে অবস্থান নেন। বেলা ২টার দিকে ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাতরাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পরে তাঁরা পদযাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সুবিদবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের পথ রোধ করে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিলেটের নাগরিক সমাজের সদস্যরা বিকেলে চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গান, মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বরিশাল শহরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরবাড়ি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফের শিক্ষার্থীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নগর ভবনের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকলির মোড় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবি লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। বিক্ষোভের সময় ১৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরে বেলা ১১টার দিকে আদালতের প্রবেশমুখ লালদীঘি এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে আইনজীবীদের একাংশের সহায়তায় তাঁরা মিছিল-স্লোগানসহ আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটক বদিউল আলম স্মারক ব্রিজের নিচে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনকালে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন নগরীর মতিহার থানায় এবং বাকি তিনজন রাজপাড়া থানায় পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকায় রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আশপাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত আটজনকে আটক করে।
যশোর পৌরসভার সামনে সকালে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মিছিলের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল করে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ছাড়া ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় গত সোমবার থেকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। ওই দিন বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। গতকাল বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে তল্লাশিতে অন্তত ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।
দিনাজপুর শহরে শহীদ মিনারের পাদদেশে দুপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশের ভ্যান থেকে চিৎকার করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী, আমরা আপনাদের কাছে বিচার চাই। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’
দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীদের একটি অংশও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ঝিনাইদহ শহরে দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা জর্জকোট এলাকায় যেতে চাই বাধা দেয় পুলিশ। ফরিদপুরে ঢাকা-বরিশাল সড়কে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জজকোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী শহরে দুপুরে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ময়মনসিংহ শহরে গতকাল পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নরসিংদীতেও একই ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ শহরে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে আইনজীবীরা সংহতি জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং সাত জেলায় অন্তত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ (আমাদের নায়কদের স্মরণ) নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ। বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণা; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণা এবং আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট করা হবে। এসব কনটেন্ট অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুমের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে গতকাল রাজপথ, সব আদালত ও ক্যাম্পাসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীতে পথে পথে বাধা
রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকেই হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় অন্তত চার শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সাড়ে ১২টার দিকে আরও শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মী। এ সময় হাইকোর্টের আইনজীবীরাও মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দিলে শিশু একাডেমির সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হেনস্তার শিকার হন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।
বেলা ৩টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা শিক্ষা অধিকার চত্বরে অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে না পারলেও আদালতের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। দুপুরে দৈনিক বাংলা মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা মিছিল নিয়ে ফকিরাফুল, নয়াপল্টন, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর যান। বেলা ২টার দিকে মিরপুরের বেনারসিপল্লিতেও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

জেলায় জেলায় আটক-সংঘর্ষ
খুলনা নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ-বিজিবি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতার মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত রাস্তার মোড় সড়কে অবস্থান নেন। বেলা ২টার দিকে ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাতরাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পরে তাঁরা পদযাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সুবিদবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের পথ রোধ করে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিলেটের নাগরিক সমাজের সদস্যরা বিকেলে চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গান, মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বরিশাল শহরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরবাড়ি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফের শিক্ষার্থীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নগর ভবনের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকলির মোড় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবি লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। বিক্ষোভের সময় ১৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরে বেলা ১১টার দিকে আদালতের প্রবেশমুখ লালদীঘি এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে আইনজীবীদের একাংশের সহায়তায় তাঁরা মিছিল-স্লোগানসহ আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটক বদিউল আলম স্মারক ব্রিজের নিচে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনকালে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন নগরীর মতিহার থানায় এবং বাকি তিনজন রাজপাড়া থানায় পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকায় রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আশপাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত আটজনকে আটক করে।
যশোর পৌরসভার সামনে সকালে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মিছিলের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল করে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ছাড়া ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় গত সোমবার থেকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। ওই দিন বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। গতকাল বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে তল্লাশিতে অন্তত ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।
দিনাজপুর শহরে শহীদ মিনারের পাদদেশে দুপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশের ভ্যান থেকে চিৎকার করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী, আমরা আপনাদের কাছে বিচার চাই। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’
দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীদের একটি অংশও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ঝিনাইদহ শহরে দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা জর্জকোট এলাকায় যেতে চাই বাধা দেয় পুলিশ। ফরিদপুরে ঢাকা-বরিশাল সড়কে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জজকোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী শহরে দুপুরে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ময়মনসিংহ শহরে গতকাল পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নরসিংদীতেও একই ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ শহরে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে আইনজীবীরা সংহতি জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং সাত জেলায় অন্তত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ (আমাদের নায়কদের স্মরণ) নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ। বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা দেশে আজ বৃহস্পতিবার নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতগুলোর স্মৃতিচারণা; শহীদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার এবং সহপাঠীদের স্মৃতিচারণা এবং আন্দোলনে হওয়া নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন, ফেস্টুন তৈরি, ডিজিটাল পোর্ট্রেট করা হবে। এসব কনটেন্ট অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে কর্মসূচি পালন করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা-মামলা, গুমের প্রতিবাদ ও জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে গতকাল রাজপথ, সব আদালত ও ক্যাম্পাসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীতে পথে পথে বাধা
রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকেই হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যাপক পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে হাইকোর্টের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় অন্তত চার শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সাড়ে ১২টার দিকে আরও শিক্ষার্থী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন মানবাধিকার ও সংস্কৃতিকর্মী। এ সময় হাইকোর্টের আইনজীবীরাও মিছিল নিয়ে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইকোর্ট অভিমুখে রওনা দিলে শিশু একাডেমির সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হেনস্তার শিকার হন ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া।
বেলা ৩টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাঁরা শিক্ষা অধিকার চত্বরে অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে না পারলেও আদালতের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। দুপুরে দৈনিক বাংলা মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা মিছিল নিয়ে ফকিরাফুল, নয়াপল্টন, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর যান। বেলা ২টার দিকে মিরপুরের বেনারসিপল্লিতেও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

জেলায় জেলায় আটক-সংঘর্ষ
খুলনা নগরীর সাতরাস্তার মোড়ে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের সরিয়ে দেয় পুলিশ-বিজিবি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতার মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সাত রাস্তার মোড় সড়কে অবস্থান নেন। বেলা ২টার দিকে ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সাতরাস্তার মোড়ে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পাল্টা ধাওয়া দেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় তাঁদের অন্তত ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেটে শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পরে তাঁরা পদযাত্রা করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সুবিদবাজার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাঁদের পথ রোধ করে। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে অগ্রসর হন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়েন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সিলেটের নাগরিক সমাজের সদস্যরা বিকেলে চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গান, মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বরিশাল শহরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফকিরবাড়ি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফের শিক্ষার্থীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নগর ভবনের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১টার দিকে কাকলির মোড় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ-বিজিবি লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। বিক্ষোভের সময় ১৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরে বেলা ১১টার দিকে আদালতের প্রবেশমুখ লালদীঘি এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে আইনজীবীদের একাংশের সহায়তায় তাঁরা মিছিল-স্লোগানসহ আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটক বদিউল আলম স্মারক ব্রিজের নিচে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনকালে ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিনজন নগরীর মতিহার থানায় এবং বাকি তিনজন রাজপাড়া থানায় পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরের মহিষবাথান এলাকায় রাজপাড়া থানা-পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে আশপাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত আটজনকে আটক করে।
যশোর পৌরসভার সামনে সকালে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মিছিলের চেষ্টা করলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল করে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ছাড়া ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় গত সোমবার থেকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। ওই দিন বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। গতকাল বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোড়ে মোড়ে তল্লাশিতে অন্তত ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের অধিকাংশই ছাত্র।
দিনাজপুর শহরে শহীদ মিনারের পাদদেশে দুপুরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ১৮ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশের ভ্যান থেকে চিৎকার করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী, আমরা আপনাদের কাছে বিচার চাই। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’
দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবীদের একটি অংশও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বাধা দেন। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। পরে লক্ষ্মীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ঝিনাইদহ শহরে দুপুরের পর শিক্ষার্থীরা জর্জকোট এলাকায় যেতে চাই বাধা দেয় পুলিশ। ফরিদপুরে ঢাকা-বরিশাল সড়কে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। টাঙ্গাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জজকোর্ট প্রাঙ্গণের পাশে হেলিপ্যাড এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী শহরে দুপুরে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ময়মনসিংহ শহরে গতকাল পুলিশের বেষ্টনীর মধ্যে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নরসিংদীতেও একই ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ শহরে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে আইনজীবীরা সংহতি জানান।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবারও বইমেলা যাতে খুব সুন্দর হয়। সময়ের ব্যাপারে আমি জানি না, বাংলা একাডেমি কি একই সময়ে করবে নাকি সময় একটু হেরফের করবে—সেটা বাংলা একাডেমির বিষয়। তবে মেলা হবে—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এমন একটা বইমেলা চাই, যে বইমেলায় আমাদের সব মানুষের বই থাকবে। আমরা যারা বই লিখি, যে যেইটাই লিখুক কেন, যে কোনো ভিন্ন মতের লেখাই থাকুক না কেন, সবার বই যেন বইমেলায় থাকে। পাঠক বেছে নেবেন—উনি যেটা পড়তে চান, যে বই তাঁকে টানে উনি ওই বইটা কিনবেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা চাই এমন একটা মেলা, অবশ্যই সেটা বৈষম্যবিরোধী। কারও প্রতি যেন বৈষম্য না করা হয়। কেউ যেন এসে না বলেন যে না, আমার প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি যে বইটা প্রকাশ করতে চাচ্ছি বা বিক্রি করতে চাচ্ছি, এটা এখানে করা যাচ্ছে না। এই কথাটা যেন না শোনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এমন কোনো বইমেলা চাই না যেখানে ৪০ শতাংশ বই হচ্ছে একটা লোকের ওপরে। এমন একটা বইমেলার সময় গেছে, সামনে আপনি বই দেখবেন, সবই হচ্ছে শেখ পরিবারের বই। উনি টুঙ্গিপাড়ায় পুকুরের পাশে বসে আছেন, সেটা নিয়েও একটা বড় বই কেউ লিখে ফেলেছে। ওই বইগুলো ছিল—কোনোভাবে প্রতারণা করে কিছু টাকা-পয়সা কামানোর জন্য।’
সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, ‘বইমেলাকে দলীয় বইমেলা হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। প্রতিটি স্টল, প্যাভেলিয়ন আওয়ামী দালালদের দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকেরা ছিল ফ্যাসিস্টদের দোসর। তবে এবারের বইমেলা হবে সবার।’
নির্বাচনের কারণে বইমেলা বন্ধের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা হোক। নির্বাচনের কয়েক দিন বইমেলা বন্ধ রেখে। তা আবার কয়েক দিন বর্ধিত করা যেতে পারে। তা-ও যাতে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা বন্ধ না থাকে। এবারের বইমেলা না হলে মনে করা হবে, ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসররা এটা জন্য জড়িত। তারাই ষড়যন্ত্র করে বইমেলা বন্ধ করতে চাইছে। সরকারের কাছে আবেদন বইমেলা যাতে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখেই হয়।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাঈদ বারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি গাজীউল হাসান খান, ফয়েজ আলম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং
০১ আগস্ট ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং
০১ আগস্ট ২০২৪
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং
০১ আগস্ট ২০২৪
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের ওপর আবার চড়াও হলো পুলিশ। গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। কোথাও কোথাও লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ ও বিজিবি। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানী এবং
০১ আগস্ট ২০২৪
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি আয়োজিত ‘কেমন বই মেলা চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১৭টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
৩৪ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৫ ঘণ্টা আগে