Ajker Patrika

সমরজিৎ রায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তার বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।

প্রসঙ্গত, আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

সমরজিৎ রায়চৌধুরী চারুশিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি সম্মানজনক একুশে পদক, শিল্পকলা পদক এবং সুলতান পদক পেয়েছেন। তাঁর শিল্পকর্ম দেশে-বিদেশে প্রদর্শিত হয়েছে।

চিত্রশিল্পী হিসেবে তাঁর কাজে শৈশবের সরল উচ্ছ্বাস, সুরেলা নিদর্শন ও গ্রামীণ জীবনের ছন্দময়তার স্মৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। শিল্পীর সরলীকৃত, প্রায় বিমূর্ত ভাষা খেলা করে রোমান্টিক জ্যামিতিক, ঘুড়ি, পাখি ও বান্টিংয়ের কৌণিক চিত্রের সঙ্গে সঙ্গে মাটির পুতুল, লখি শরা, পটচিত্র ও অন্যান্য স্থানীয় কারুশিল্পের মোটিফের ওপর। কলকাতায় শিক্ষকদের, কাঠের ভাস্কর মামা ও সূক্ষ্ম সূচিকর্মে দক্ষ মায়ের মাধ্যমে তিনি এসবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ঢাকার আর্ট অ্যান্ড ক্র্যাফ্ট কলেজে (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, আনোয়ারুল হক, মোহাম্মদ কিবরিয়া এবং সফিউদ্দিন আহমেদ তাঁর শৈল্পিক দক্ষতার প্রশংসা করেছিলেন।

১৯৩৭ সালে কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া সমরজিৎ রায়চৌধুরী ১৯৬০ সালে ঢাকার গভর্নমেন্ট আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

সমরজিৎ রায়চৌধুরী ৪৩ বছর ধরে সরকারি চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্ট বিভাগের ডিন হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি ২০১০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। সমরজিৎ রায়চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পাকিস্তান টেক্সটাইল ডিজাইন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত