Ajker Patrika

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি ‘কিছুটা’ পূরণ হলো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ২১
রেলের রানিং স্টাফদের দাবি ‘কিছুটা’ পূরণ হলো

বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বহাল রেখে সংশোধনী দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে কিছুটা দাবি পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে রেলপথ সচিবের কাছে একটি সংশোধনী চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বহাল রাখার কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২২ সালের ২১ আগস্ট ৯১ নম্বর স্মারকে জারি করা পত্রের (ক) অনুচ্ছেদটি এবং অর্থ বিভাগের গত ২৩ জানুয়ারিতে ২৭ নম্বর স্মারকে জারি করা পত্রটির রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্যতার বিষয়টি সংশোধন করা হলো।’

সংশোধনীটি হলো, ‘রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ের এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না।’

বর্তমান সংশোধনীতে দাবি পূরণ হয়েছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দাবির কিছুটা পূরণ হয়েছে। আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু ৭৫ শতাংশ আনুতোষিক সুবিধাটা দেয়নি।’

উল্লেখ্য, কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬২ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ—যা যুগ যুগ ধরে বেতনের অংশ ছিল—সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেওয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়।

এরপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ এপ্রিল রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে অর্থ মন্ত্রণালয় ১৩ এপ্রিল চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেয়।

পরে তৎকালীন রেলমন্ত্রী ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ১১ জুন তৎকালীন রেলওয়ের মহাপরিচালক স্পষ্ট করে রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই বছরের ১৮ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আবারও আপত্তি জানায়। ফলে রানিং স্টাফদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা শুরু হয়।

সর্বশেষ, গত ৯ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১০ দিন সময় চাইলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন। কিন্তু এর মধ্যও কিছু করতে পারেনি রেলপথ মন্ত্রণালয়। পরে ১ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়, ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালাবেন না তারা। তারই প্রেক্ষিতে গত সোমবার রাত থেকে সাড়ে ২৬ ঘণ্টা ট্রেনে ওঠেননি রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ