নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের সঙ্গে রুনির ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আর এ কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই অনুমতি দেন।
একইসঙ্গে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়ে আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। এই নিয়ে ১১৯ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ধার্য তারিখের আগে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ মে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক এই মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চান।
তদন্ত কর্মকর্তা তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনে উল্লেখ করেন, তানভীরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। মামলাটি তদন্তের বৃহত্তর স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।
আবেদনে আরো বলা হয়, এই মামলার ঘটনায় নিহত মেহেরুন রুনির সঙ্গে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রনির বাসায় তার যাতায়াত ছিল। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হত। ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের সামনে তারা দেখা করেন। গাড়িতে করে তারা ঘোরাফেরা করেন। একান্তে সময় কাটানো। ঐদিন দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর পর্যন্ত যেকোনো সময় সাগর-রুনি খুন হন। এই ঘটনার পরে তানভীর রুনির বাসায় যাননি। জানাযায় শরিক হননি। রনির স্বজনদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি। তানভীর কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সহ মামলার রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তানভীর কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির আবেদনের শুনানির সঙ্গে আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। এরপর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এই মামলায়। নতুন তদন্ত সংস্থা তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে আজ কোন প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত নয় বছরেরও বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোনো সংস্থা। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরণের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন।
তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের পরে সংশ্লিষ্ট অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের সঙ্গে রুনির ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আর এ কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই অনুমতি দেন।
একইসঙ্গে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়ে আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। এই নিয়ে ১১৯ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ধার্য তারিখের আগে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২১ মে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক এই মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চান।
তদন্ত কর্মকর্তা তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনে উল্লেখ করেন, তানভীরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। মামলাটি তদন্তের বৃহত্তর স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।
আবেদনে আরো বলা হয়, এই মামলার ঘটনায় নিহত মেহেরুন রুনির সঙ্গে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রনির বাসায় তার যাতায়াত ছিল। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ হত। ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের সামনে তারা দেখা করেন। গাড়িতে করে তারা ঘোরাফেরা করেন। একান্তে সময় কাটানো। ঐদিন দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর পর্যন্ত যেকোনো সময় সাগর-রুনি খুন হন। এই ঘটনার পরে তানভীর রুনির বাসায় যাননি। জানাযায় শরিক হননি। রনির স্বজনদের সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি। তানভীর কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সহ মামলার রহস্য উদঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তানভীর কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির আবেদনের শুনানির সঙ্গে আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে পিবিআইকে দায়িত্ব দেন। এরপর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এই মামলায়। নতুন তদন্ত সংস্থা তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে আজ কোন প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। কিন্তু তারাও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত নয় বছরেরও বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোনো সংস্থা। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরণের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন।
তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের পরে সংশ্লিষ্ট অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো, নূর আলম এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক জানিয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট আগামীকাল বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা আপত্তিকর ভিডিওর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) উপসচিক আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে